ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১১__
.
আমি আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে আসলাম।আমি যত লামিয়ার কাছে আসছি।লামিয়া তত জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে।আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সাথে লাগাতেই লামিয়ার নিশ্বাস আরো দ্বিগুন বেড়ে গেল।আমি আলতো করে লামিয়ার কোমরে হাত রাখলাম।কোমরে হাত রাখতেই লামিয়া শিউরিয়ে উঠলো।এমন সময়
দরজায় কারো আঘাত করার শব্দ শুনতে পেলাম।লামিয়া গিয়ে দরজাটা খুলতেই দেখি আম্মু দাড়িয়ে আছে।
.
— বউ মা এখনো তোমরা ঘুম
থেকে উঠো নি।(আম্মু)
— এইতো উঠতেছি আম্মু।(লামিয়া)
— তোমরা তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে
খেতে আসো।
— আচ্ছা।
.
আম্মু রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই লামিয়া সোজা ওয়াস রুমে চলে গেল।লামিয়া ফ্রেস হয়ে আসার কিছু সময় পর আমি ওয়াস রুমে চলে আসলাম ওয়াস রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে খাবার রুমে আসলাম।খাবার রুমে এসে বসার কিছুক্ষণ পরই আব্বু চলে আসলো লামিয়া আমাদের জন্য প্লেটে খাবার বেড়ে দিল।আমরা খেতে শুরু করলাম।কিছু সময় পর
আব্বু বললো:
.
— শাকিল আজকে বউমা কে একটু
শপিংয়ে নিয়ে যাস তো।(আব্বু)
— কেন আব্বু?
— কেন মানে?বউমার জন্য কেনা
কাটা করতে যাবি।
— আমি পারবো না।
— কেন?পারবি না।
— আব্বু আমার এইসব শপিং টপিং
ভালো লাগে না।
— আমি তোকে যেতে বলছি
তুই যাবি ব্যাস।
— আর এই নে টাকা।
.
তারপর আমি খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম।উফ কি ঝামেলা রে বাবা এখন বউকে নিয়ে আবার শপিংয়ে যেতে হবে।আজকে যদি লামিয়াকে নিয়ে শপিংয়ে না যায় তবে আব্বু আমার বারটা বাজিয়ে দিবে।
এক প্রকার জোর করেই বিকালে বাইকটা বের করে লামিয়াকে নিয়ে শপিংয়ের উদ্দেশ্য রওনা হলাম।কিছু পথ চলার পর একটা দোকানের সামনে বাইকটা দাড় করালাম।বাইকটা রাস্তার পাশে রেখে এসে দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে লামিয়ার সামনে আসলাম।লামিয়ার সামনে এসে দেখি লামিয়া আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি সামনে এসে সিগারেটে একটা টান দিতেই লামিয়া আমার মুখ থেকে সিগারেটটা নিয়ে ভেঙে ফেললো।
.
— এটা কি হলো।(আমি)
— কি হলো? (লামিয়া)
— তুমি আমার সিগারেটটা এভাবে
ভেঙে ফেললে কেন?
— তোমার সাহস তো কম নয় তুমি সিগারেট
খাচ্ছো।তাও আবার আমার সামনে।
— তাই বলে সিগারেটটা ভেঙে ফেলবে!
— তো কি করবো?
— তুমি আর কখনো সিগারেট খাবে না।
— খেলে কি করবে?
— তোমার ওই পোড়া ঠোঁঠ দিয়ে আমাকে
কিস করতে দেব না।
.
কথাটা বলেই লামিয়া মন খারাপ করে অন্য দিকে ঘুরে রইলো।
আমি পিছন থেকে লামিয়াকে জরিয়ে ধরে বললাম:
.
— ঠিক আছে সোনা।আর কখনো
সিগারেট খাবো না।
— মনে থাকে যেন।
— হু।
— কি করছো ছাড়ো সবাই দেখছে তো।
.
এমন সময় সামনে তাকিয়ে দেখি স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা আমাদের দুজনকে এমন অবস্থায় দেখে হাসছে।আমি লজ্জায় লামিয়াকে ছেড়ে দিলাম।তারপর বাইকটা স্টাট করে দুজন মার্কেটে চলে আসলাম।লামিয়া নিজের ইচ্ছা মতো করে কেনাকাটা করছে।আমি মার্কেটের অন্য দিকটায় একটু ঘুরে দেখতে আসলাম।অন্য দিক টায় এসে একটা মেয়ের দিকে চোখ পড়তেই অবাক হয়ে গেলাম।একটু দূরে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি দাড়িয়ে আছে।আমাকে দেখেই বৃষ্টি আমার সামনে আসলো।
.
— তুমি এখানে?(আমি)
— এই একটু কেনাকাটা করতে
আসলাম।তুমি?
— আমিও তো।
— তা তুমি একাই এসেছো।
— আরে না আমার সাথে লামিয়াও আসছে।
— কই লামিয়াকে দেখছি না তো।
— ও একটু ভিতরে কেনা কাটা করছে।
— ওহ আচ্ছা।
— হু।
.
এমন সময় কারো ডাকে পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি লামিয়া দাড়িয়ে আছে।
.
— এই যে শুনছো।(লামিয়া)
— কি হলো তোমার কেনা কাটা শেষ?
— হু।
— চলো এখন বাসায় যায়।
— আচ্ছা চলো।
— বৃষ্টি এখন আসছি কেমন।
— আচ্ছা আসো।(বৃষ্টি)
.
মার্কেট থেকে দুজন বেরিয়ে আসলাম।মার্কেট থেকে বেরিয়ে কিছুদূর আসার পর হঠাৎ করে লামিয়ার কাধে রাখা ব্যাগটা ছিনতায় হয়ে গেল।
আমি ব্যাগটা ফিরিয়ে আনার জন্য ছিনতায়কারীর পিছন পিছন দৌড় দিলাম।কিছুপথ দৌড়ানোর পর আমি ব্যাগ ধরে লাথি মেরে লোকটাকে মাটিতে ফেলে দিলাম।লোকটা ওঠেই আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলো।আমি ছুরিটা হাত দিয়ে আটকে ঘরতেই আমার হাত কেটে রক্ত বেরুতে শুরু করলো।লোকটা আমাকে আঘাত করেই ব্যাগটা রেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল।আমি সেখান থেকে লামিয়ার কাছে চলে আসলাম।আমাকে দেখেই লামিয়া বললো:
.
— তোমার হাত তো অনেকটা কেটে
গিয়েছে।(লামিয়া)
— এইটা কিছু না একটু পর ঠিক
হয়ে যাবে।
— কিছু না মানে।তোমার
হাতটা দাওতো।
— আরে বললাম তো কিছু হয়নি।
— আমি তোমার হাতটা দিতে বলেছি।
.
আমি আমার হাতটা লামিয়ার দিয়ে এগিয়ে দিলাম।লামিয়া ওর ব্যাগ থেকে ব্যান্ডেজটা বের করে আমার হাত ব্যান্ডেজ করে দিল।তারপর
আমি বাইকটা স্টাট দিয়ে লামিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
.
.
.
.
.
.
.
.
#_______চলবে_______