ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১০ম
.
আমার প্লেটের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার প্লেটে রাখা কাঁচা মরিচটা
নেই।তার মানে মেঘলা আমার খাবারের সাথে মরিচটা মিশিয়ে দিয়েছে।মুখটা খুললেই মনে হচ্ছে আমার সমস্ত মুখ দিয়ে আগুন বেরুতে শুরু করবে।এরকম অবস্থায় লামিয়ার ওই মায়াবী মুখটার দিকে তাকাতেই আমার সমস্ত ঝাল হজম হয়ে গেল।তারপর আমি ওদের দুজনকে খাইয়ে দিয়ে এসে রুমে চলে আসলাম।বিকালে বউকে নিয়ে লামিয়াদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে চলে আসতেছি।এমন সময় মেঘলা আমাকে
ডাক দিল।মেঘলা আমাকে ডাক দিতেই আমি পিছনে ফিরে তাকালাম।
.
— এই যে দুলাভাই শুনছেন?
— হু বলো।
— আপনার বন্ধু রাফির ফোন
নাম্বারটা একটু দেন তো।
— কেন?
— এমনি।দেন না প্লিজ।
— আচ্ছা নাও।
[01724904640]
— ধন্যবাদ।
— হু।
.
হাহাহাহাহাহা শালিকা তুমি আমারে অনেক জ্বালাইয়াছো।এবার বুঝবে জ্বালানো কাকে বলে।ওইটা তো রাফির নাম্বার না।রাফির নাম্বারের
পরিবর্তে আমার নাম্বার দিয়ে দিয়েছি।আমারে মরিচ খাওয়ানো।এবার বুঝবে কোন মরিচে কত ঝাল।যাই হোক তারপর সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম।বাসায় এসে আমি আমার রুমে বসে ল্যাপটপ চালাইতেছি।এমন সময় লামিয়া আমার পাশে এসে বসলো।
কিছু সময় পর লামিয়া বললো:
.
— এই যে শোন।
— কিছু বলবে?
— হু।
— আচ্ছা বলো কি বলবে?
— চলো না একটু ছাদ থেকে
ঘুরে আসি।
— তুমি যাও। আমি যাবো না।
— চলো না।প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
— আচ্ছা চলো।
.
তারপর আমি লামিয়াকে নিয়ে ছাদে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
ছাদের শিঁড়িঁর সামনে আসতেই লামিয়া দাড়িয়ে পড়লো।
.
— আমি শিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারবো না।
— তাহলে আমি কি করবো।
— আমাকে কোলে তুলে নিয়ে উপরে
নিয়ে যাও।
— আমি পারবো না।
— আর তাছাড়া অন্যরা দেখলে কি বলবে।
— তুমি আমাকে কোলে তুলে নেবে না।
তাই তো।
— হু।
— আচ্ছা যাও নিতে হবে না।আমাকে কোলে তুলে
নেবে কেন?আমি তোমার কে হই।আমি তো তোমার
কেউ হই না।(কান্না জরিত কন্ঠে)
— ওই বৃষ্টি তো তোমার সব।
— ওই চুপ আর কখনো এইসব কথা বলবে না।
.
তারপর আমি লামিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে ছাদে চলে আসলাম।ছাদে এসে বেশ কিছু সময় দুজন একসাথে কাটানোর পর রুমে আসার জন্য রওনা হলাম।হঠাৎ করে লামিয়া পা স্লিপ কেটে শিঁড়ির উপর পড়ে গেল।
শিঁড়ির উপর পরার ফলে লামিয়া পায়ে আঘাত পেল।আমি লামিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে এসে রুমে চলে আসলাম।রুমে আসতেই লামিয়া আমার থেকে নেমে দৌড়ে চলে গেল।কি ব্যাপার লামিয়ার তো পায়ে ব্যাথা তাহলে এমন দৌড়ে পালিয়ে গেল কেন?তার মানে লামিয়া আমার কোলে ওঠার জন্য এই অভিনয়টা করেছে।কি পাজি মেয়েরে বাবা।রাতে খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।এমন সময় আমার ফোনে মেঘলার
নাম্বার থেকে ফোন আসলো।হাহাহাহাহাহা পাখি জালে আটকাইছে।আমি ফোনটা রিসিভ করলাম:
.
— আসসালামু ওয়ালাইকুম।(আমি)
— ওলাইকুম আসসালাম।(মেঘলা)
— কে বলছেন?
— রাফি ভাইয়া আমাকে চিনতে পারছেন
না।আমি মেঘলা।
— ওহ তুমি!
— হু।
— তা কি মনে করে ফোন করলে এখন।
— আপনাকে খুব মিস করছিলাম।তাই
ফোনটা করলাম।
— তাই বুঝি।
— হু।কি করেন এখন?
— এই তো শুয়ে আছি।তুমি কি করো?
— আমিও শুয়ে আছি।
.
এরকম আরো কিছু সময় কথা বলার পর ফোনটা রেখে দিলাম।ফোনটা
রেখে দেওয়া পরই লামিয়া রুমে চলে আসলো।লামিয়া রুমে এসে সোজা আমার পাশে শুয়ে পড়লো।তারপর আমরা দুজন একসাথে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি লামিয়া আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।আমি কোন কিছুই বলছি না শুধু লামিয়ার ওই মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে আছি।এমন সময় লামিয়া ঘুম থেকে উঠে পড়লো।
.
— ওই এভাবে তাকিয়ে আছো
কেন?(লামিয়া)
— তোমার ওই মায়াবী মুখটাকে
দেখছি।
— এভাবে দেখবে না।আমার খুব
লজ্জা করে।
— তো কিভাবে দেখবো?
— জানি না।
— তোমার ওই গোলাপি ঠোঁঠ দুটাকে
চুসে খেতে খুব ইচ্ছা করছে।
— না।এখন না প্লিজ।
— এখন আমি তোমার কোন বাধায়
মানবো না।
.
কথাটা বলেই আমি আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে আসলাম।আমি যত লামিয়ার কাছে আসছি।লামিয়া তত জোরে জোরে
নিশ্বাস ফেলছে।আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সাথে লাগাতেই লামিয়ার নিশ্বাস আরো দ্বিগুন বেড়ে গেল।
.
.
.
.
.
.
.
.
#________চলবে________