ধর্ষক থেকে বর পর্ব ২য়
.
ছেলেটা মেয়েটার একদম কাছে চলে আসলো।মেয়েটা জানে এখন
আর তার বাঁচার কোন পথ নেই।মেয়েটা দু চোখ বন্ধ করে নিরবে দু চোখের অশ্রু ফেলছে।ছেলেটা মেয়েটার সামনে এসে মেয়েটার ওড়না
ছুরে মাটিতে ফেলে দিল।তারপর ছেলেটা মেয়েটাকে ধর্ষণ করলো।
মেয়েটা চিৎকার করে কাদছে কিন্তুু তার আত্ননাথ শোনার মতো
এখানে কেই নেই।কারণ এই জঙ্গলের আসে পাশে কেউ থাকে না।
এখানে শুধু থাকে বন্য পশুপাখি।যারা কখনো মানুষের ডাকে সাড়া
দিতে পারে না।ছেলেটা ধর্ষণ করার পর মেয়েটার জামা কাপড় মেয়েটার
দিকে ছুড়ে মড়লো।মেয়েটা কাপড় জরিয়ে আরো উচ্চ স্বরে কাঁদতে
শুরু করলো।ছেলেটা করুন স্বরে বললো:
— কাপড়টা পড়ে নে।
— দেখ কান্না কাটি আমার
একদম ভাল লাগে না।
— চুপ করে কাপড়টা পড়ে নিয়ে
আমার পিছন পিছন আয়।
.
মেয়েটা কাপড় চোপড় পড়ে নিয়ে।ছেলেটার সাথে পোড়াবাড়ি থেকে
বেড়িয়ে এসে গাড়িতে গিয়ে বসলো।ছেলেটা গাড়ি স্টাট করে জঙ্গলের
রাস্তা পেরিয়ে আবার হাইওয়েতে উঠলো।মেয়েটা জানালা দিয়ে বাহিরে
তাকিয়ে আছে আর নিরবে দুচোখের অশ্রু ফেলছে।মেয়েটার শুধু বার
বার মনে হচ্ছে চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে আত্মহত্যা করতে কিন্তুু নিজের
পরিবারের সবার মুখটা চোখের সামনে ভেসে ওঠায় সেটাও পারছে না।
কিছুদূর যাওয়ার পর ছেলেটা দেখলো একটু দূরে হাইওয়ে পুলিশ সব গাড়ি চেক করতেছে।শাকিল গাড়ি থেকে অঙ্গান করার ঔষুধটা বের
করে সেই ঔষুধটা রুমালে মিশিয়ে মেয়েটার মুখের সামনে ধরলো।মেয়েটার মুখের সামনে ধরতেই মেয়েটা নিমিশেই অঙ্গান হয়ে গেল।
এমন সময় হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি থামানোর জন্য সিংঙ্গাল দিল।শাকিল
গাড়িটা দাড় করাতেই হাইওয়ে পুলিশ বললো:
— কোথায় যাচ্ছেন?(পুলিশ)
— স্যার বাসায়।
— আপনার বাসা কোথায়?
— স্যার সামনেই।
— এই মেয়েটা কে?
— স্যার আমার বউ।
— ওনি এইভাবে শুয়ে আছেন কেন?
— অনেক পথ যার্নি করে এসেছে
তো।তাই হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে।
— ঠিক আছে যান।তবে এ রকম বেশী
রাত করে রাস্তায় বেরুবেন না কেমন।
— আচ্ছা।
.
শাকিল আবার চলতে শুরু করলো।কিছু পথ অতিক্রম করার পর
গাড়িটা শাকিলের বাসার সামনে দাড় করালো।মেয়েটা এখনো
অঙ্গান হয়ে পড়ে আছে।শাকিল মেয়েটাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে
কোলে তুমে নিয়ে হাটতে শুরু করলো।রুমের সামনে এসে চাবি দিয়ে
রুমের দরজা খুলে মেয়েটাকে খাটের ওপর শুয়ে দিল।মেয়েটাকে
খাটের উপরে শোয়ে বারান্দার কাছে এসে একটা সিগারেট ধরালো।
সিগারেটের ধোয়া উড়ায়তেছে আর নিজের কষ্ট গুলোকে সিগারেটের
ধোয়ার সাথে বাষ্প করে উঠিয়ে দিচ্ছে।একটা সিগারেট শেষ হওয়ার
পর অরেকটা এরকম মোট ৫ টা সিগারেট শেষ করলো।তারপর বারান্দা
থেকে মেয়েটার কাছে আসলো।মেয়েটার কাছে এসে দেখলো মেয়েটা
এখনো অঙ্গান হয়ে শুয়ে রয়েছে।শাকিল টেবিলের উপর থেকে গ্লাসে
পানি ঢেলে মেয়েটার মুখে ছিটিয়ে দিল।মেয়েটার জ্ঞান ফিরে আসলো।
জ্ঞান ফিরতেই মেয়েটা বললো:
— আমি এখানে কেন?আমাকে
ছেড়ে দিন।প্লিজ আমার সাথে
আর কিছু করবেন না।আমাকে
ছেড়ে দিন।প্লিজ আমাকে ছেড়েদিন।
(মেয়েটা কান্না জরিত কন্ঠে বললো)
— ওই চুপ একদম কাদবি না বলছি।
— আমাকে বাসায় যেতে দিন।
— বল কোথায় তোর বাসা আমি
পোঁছে দেব।
— না আপনাকে পৌঁছে দিতে হবে না।
আপনি শুধু আমাকে এখান থেকে
যেতে দিন প্লিজ।
— আবার কথা বলে।যেটা জিঙ্গাসা করছি
সেটার জবাব দেব।
— মেয়েটা ওর বাসার ঠিকানা বললো।
.
শাকিল মেয়েটাকে নিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলো।গাড়ি তার নিজ গতিতে
চলছে।মেয়েটা শুধু নিরব হয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।তার প্রচুর চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে কিন্তুু পারছে না।দেখতে দেখতে মেয়েটার
বাসা চলে আসলো।মেয়েটাকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে শাকিল
বাসায় চলে আসলো।মেয়েটা বাসায় ঢুকতেই বাবা এসে তার
সামনে দাড়ালো।
— এতোক্ষণ কোথায় ছিলি।
— মেয়েটা চুপ করে আছে।
— কি হলো কথা বলছিস না কেন?
— বাসায় আসতে এতো রাত
হলো কেন?
— আসলে আব্বু নীলার পাটিটা
একটু বেশী সময় ধরে হয়েছে।
— এরপর থেকে আর কখনো রাতে
কোথাও যানি না।যা রুমে যা।
.
মেয়েটা রুমে চলে গেল।রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিয়ে চিৎকার
করে কাদতে শুরু করলো।রুমটা সাইন্ড প্রুভ ছিল তাই।ভেতরের কান্না
বাহিরে যাচ্ছে না।এমন সময় কারো দরজায় আঘাত করার আওয়াজ
শোনা গেল।দরজায় আঘাত করার শব্দ শুনে মেয়েটা চমকে উঠলো।
^
^
^
^
^
^
#________ চলবে________