#দোলনচাঁপা
কলমে : #ফারহানা_কবীর_মানাল
পার্ট -৩
ভাবী কিছু বলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু উনাকে সময় দিলাম না। মোবাইলটা উনার হাতে দিয়ে বাবার ঘরের দিকে রওনা দিলাম। বাদশা বাবু র’ক্তমাখা ছু”রি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে মুখে বিষ্ময়ের ছাপ। আমায় দেখে শান্ত গলায় বললো, ” বাড়িতে ক’জন থাকেন?”
” জ্বি, আমরা চারজন থাকি। ভাই-ভাবী, বাবা আর আমি। ”
” আপনার ভাবীকে দেখলাম, মহিলা দারুণ ভয় পেয়েছে। আপনার ভাই কোথায়?”
” ব্যবসার কাজে বাইরে গেছে। ক’দিনের মধ্যে ফিরে আসার কথা। ”
” খবর দিয়েছেন? ”
” হ্যাঁ। ”
” কখন আসছেন?”
” বলতে পারবো না। সঠিক সময় জানায়নি। ”
” আপনাদের ব্যাপারে অনেক তথ্যের প্রয়োজন। আশা করছি আপনারা সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। ”
” নিশ্চয়ই। খু”নের ব্যাপারে কি বুঝলেন? ”
” দেখে মনে হচ্ছে নৃ’শং’সভাবে খু” ন করেছে। আপনাদের উপর অনেকদিন থেকে রাগ পুষে রেখেছে এমন কোন শত্রু আছে? আপনার বাবার শত্রুদের ব্যাপারে কিছু জানেন?”
” বাবার শত্রু আছে কি-না জানা নেই। তবে উনার কয়েকজন বন্ধু আছে। মাঝেমধ্যে দেখা করতে আসে। ”
” আপনার বাবা কি কাজ করতেন?”
” পারিবারিক ব্যবসা। দোকানে দোকানে কাঁচামাল সাপ্লাই করে। দাদার আমল থেকে চলে আসছে। ”
” ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন? ”
” কে?”
” আপনি কিম্বা আপনার ভাই?”
” আমি এসব ব্যবসার সাথে জড়িত না। কোন কালে ছিলামও না। বাবার পরে ভাইয়াই এসবের দেখাশোনা করে। ”
” আর আপনি?”
” মাস্টার্স পাশ করে বেকার ঘুরছি। দু’চারটে টিউশনি করে হাত খরচ চালাই। ”
” বাবার সঙ্গে সম্পর্কে কেমন?”
” ভালো না। ”
” এতো সহজভাবে বলে দিলেন। নিজের বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে পারেনি?”
” নিজের বাবার সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ হয়। অন্যের বাবার সঙ্গে কারোর তেমন লেনাদেনা থাকে না। ”
” আপনি তেমন সুবিধার লোক নয়। যাইহোক, কিছু মনে করবেন না। পুলিশের চাকরি করতে গিয়ে সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হয় না। ”
উনার কথার জবাব দিলাম না। লোকটার কথাবার্তা সুবিধার মনে হচ্ছে না। বোধহয় সন্দেহ করেছে।
” হাবু মিয়া লা”শটা পো”স্ট”ম”র্টেমের জন্য পাঠিয়ে দাও। ছু”রিটাও সাথে দিয়ে দিও। র”ক্তের ব্যাপারটা মিলিয়ে দেখতে হবে। ”
” আচ্ছা স্যার, ফল কা’টা ছু’রি দিয়ে কি গ”লা কা”টা সম্ভব? ব্যাপারটা যেন কেমন কেমন লাগছে।”
” হাবু মিয়া, বেশি কথা বলার স্বভাব কখনোই গেল না। ”
হাবু মিয়া দেদার হেসে কাজ করতে লাগলো। বাদশা বাবু ভাবীর দিকে এগিয়ে গেলেন। এখন ভাবীর দিকে গাদাগাদা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিবেন। এসব অশান্তি ভালো লাগছে না।
দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। বাদশা বাবু হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিসব বলছেন। ভাবী আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে সকল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। ওদের কথপোকথন শোনার জানার আগ্রহ দেখলাম না। এমনিতেই বাদশা বাবুর নজরে পড়ে গেছি। আগ বাড়িয়ে কোন কিছু করা উচিত হবে না। যে ব্যক্তি বাবাকে হ”ত্যা করেছে সে যেমন-তেমন লোক নয়। অনেকদিন ধরে মনের মধ্যে রাগ পুষে রেখেছে। সেজন্যই লা”শের এমন বি’ভৎ’স অবস্থা। মৃ’ত ব্যক্তির শরীরকে কষ্ট দিয়ে সমস্ত রাগ উসুল করে নিয়েছে।
ভাইয়া হন্তদন্ত হয়ে ঘরে প্রবেশ করলো। ব্যস্ত গলাশ বললো, ” কোথায় বাবা? বাব কোথায়! কি হয়েছে উনার? তোরা সবাই কোথায় ছিলি? বাবাকে দেখে রাখতে পারলি না।”
ভাইয়ার গলা শুকিয়ে গেছে। কন্ঠস্বর জড়িয়ে আসছে। চারদিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করছে। ভাবীর দিকে তাকিয়ে কর্কশ গলায় বললো, ” তুমিও বাবাকে দেখে রাখতে পারলে না। সারাদিন এমন কি কাজ করো শুনি? ‘
ভাবী কিছু বলার আগে ভাইয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। কয়েকজন লোক ভাইয়ার কাছে দৌড়ে এলো। বাদশা বাবু তখনও কিছু বলছিলেন, ভাবী উনার কথা উপেক্ষা করে ভাইয়ার কাছে ছুট লাগালেন।
” কি হলো ছেলেটার? কেউ একটু পানি দেও। ”
” বাপের ম’রা সহ্য করতে পারেনি রে। জ্ঞান হারিয়েছে। ”
” সত্যিই ছেলেটা বাপকে অনেক সম্মান করতো। আজকালকার ছেলেদের মতো নয়। ”
ভাইয়াকে ঘিরে ছোটখাটো জটলা সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে এসব কথা ভেসে আছে। বাদশা বাবু তীক্ষ্ণ নজরে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। হয়তো কোন হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছে।
” উনি আপনার ভাই?”
” হ্যাঁ। ”
” দূর্বল হৃদয়ের মানুষ। আপনার মতো শক্ত না। ”
” বাদশা বাবু প্লিজ। আপনি বাবার খু”নের তদন্ত করুন, আমার চরিত্র বিশ্লেষণ করতে হবে না। ”
” রেগে যাচ্ছেন কেন? ”
” রেগে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। ”
” আপনার বাবারা কয় ভাই-বোন? ”
” তিন ভাইবোন। দু’জনেই বাবার থেকে বয়সে অনেক ছোট। ”
” উনারা কোথায় থাকে?”
” ফুফুর বিয়ে হয়নি। ছোট চাচার সঙ্গে গ্রামে থাকেন। গঞ্জের বাজারে চাচার মুদি দোকান আছে। ওই দিয়েই ওদের সংসার চলে। ”
” আপনাদের সাথে সম্পর্ক কেমন? আসা-যাওয়া করে? ”
” নাহ্! আসা-যাওয়া নেই বললেই চলে। বাবার সঙ্গে কোন কাজ না থাকলে কখনোই আসে না। ”
” আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছি’ন্ন করতে নেই। ইসলামে নিষেধ আছে। জানেন তো?”
” জানতাম। ”
” গ্রামে খরব পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। উনাদের প্রয়োজন পড়তে পারে। ”
” আপনি কাকে সন্দেহ করছেন? ”
” আমি সবাইকে সন্দেহ করি। বাড়িতে আপনারা দু’জন মানুষ থাকতে এমন ঘটনা ঘটছে। অথচ কেউ কিছু জানেন না। ব্যাপারটা গোলমেলে লাগছে।”
” আমরা সত্যি বলেছি। বিশ্বাস করা না করা আপনাদের ব্যাপার। ”
” আপনার মোবাইলটা নিয়ে আসুন তো। ”
” কেন?”
” দরকার আছে বলেই বলছি। এতো প্রশ্ন করলে হবে।”
মোবাইল আনতে ঘরের দিকে হাঁটা ধরলাম। সত্যি বলতে কাল রাতে কি হয়েছে না হয়েছে কিছুই জানি না। সন্ধ্যার দিকে বাবার ঘরের সঙ্গে লাগানো অন্য রুমটায় শুয়ে ছিলাম। বাবা ওষুধ খাচ্ছে কি-না নিশ্চিত হওয়ার জন্য। রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে গেছিলাম। ওখান থেকে তেমন কিছু শুনতে পাইনি। মোবাইল এনে বাদশা বাবুর হাতে দিলাম। উনি কল লিস্ট ঘাটিয়ে দেখছেন।
” রিপা কে?”
” ভাবীর বোন। ”
” আর আপনার?”
” বিশেষ কেউ না। ”
” তারপরেও গত রাতে তিন ঘন্টা আটান্ন মিনিট কথা বলেছেন।”
” একটা বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন ছিলো।”
” থানায় চলে আসবেন ওখানেই বাকি কথা হবে। হাবু মিয়া মনির বাবুর বড় ছেলের জ্ঞান ফিরেছে। উনারর সঙ্গে কথা বলে থানায় চলে আসুন। গাড়ি আসলে লা”শটা পাঠিয়ে দিয়েন। দেরি করলে রিপোর্ট আসতে দেরি হবে। ”
হাবু মিয়া মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানাতেই বাদশা বাবু বেরিয়ে গেলেন। বাড়ির সামনে লোকজনের ভীড়, যদিও ভীড় ঠেলে সামনে এগোতে সমস্যা হচ্ছে না। ভাইয়া সোফায় বসে আছে। ভাবী পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় তেল পানি দিচ্ছেন। এতোটা সমস্যা হবে ভাবতেও পারিনি। পো’স্ট’ম’র্টে’ম রিপোর্ট আসলে ফেঁসে যেতে পারি। ভাবীর বাপের বাড়ি লোকজন এসে পৌছুলো। সবার সামনে রিপা। মেয়েটা বড় বড় পা ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। যেন নিজেই সবকিছুর সমাধান করে ফেলেবে।
” রঞ্জু বাবু, আপনি কি আমার উপর রেগে আছেন?”
” না তো। আপনার উপর রেখে থাকবো কেন?”
” কাল রাতে আমার সঙ্গে কথা না বললে বাবাকে বাঁচাতে পারতেন। আমার জন্যই সবকিছু হয়েছে। ”
“না রিপা। তোমার জন্য কিছু হয়নি। তাছাড়া কাল রাতে তুমি কল দাওনি। আমিই তোমায় কল দিয়েছিলাম। এতে তোমার কোন দোষ নেই। ”
” সত্যি বলছেন তো। আপনি আমার উপর রেগে নেই না?”
” না। তোমার উপর রেগে নেই। এখন গিয়ে ভাবীকে স্বান্তনা দেও। সকাল দিয়ে অনেক ধকল গেছে। ”
” মা-বাবা গিয়েছে আপুর কাছে। আমি না হয় আপনাকে স্বান্তনা দেই। ”
” আমি ঠিক আছি। ”
” নাহ্! আপনি ঠিক নেই। আপনার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। গায়ের শার্টটাও ভিজে গেছে। এভাবে ভেঙে পড়বেন না। ”
” আচ্ছা। ”
” এদিকে এসে বসুন। ফ্যানের নিচে বসলে আরাম লাগবে। ”
” বললাম তো ঠিক আছি। ”
রিপা আমার কথার গুরুত্ব দিলো না। হাত ধরে টেনে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো। চেয়ারটা সোজা ফ্যানের নিচে রাখা। রান্নাঘরে গিয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে এলো, গ্লাসটা মুখের সামনে ধরে বললো, ” পানি খেলে কিছুটা ভালো লাগবে। ”
” পানি আনতে রান্নাঘরে গেলে কেন? টেবিলের উপর জগ রাখা আছে। ”
” একটু কষ্ট করতে ইচ্ছে হলো। ”
” রিপা, ”
” জ্বি বলেন। ”
” শান্ত হয়ে বসো। বাড়িতে অনেক লোক জড় হয়েছে। সবাই এই ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক চোখে দেখবে না, বিশেষ করে মহিলারা। ”
” কে কি ভাবলো না ভাবলো তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ”
” আমার যায়-আসে। একটু বাদেই খরব ছড়িয়ে পড়বে। ”
” কি খবর?”
” রঞ্জু ছেলেটার চরিত্র ভালো না। বাপের লা””শ ঘরে রেখে মেয়েদের সাথে কিসব করছে। ”
” দুঃখিত। ”
রিপা আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেল। ওর যাওয়ার দিকে তাকাতে পারলাম না। হাবু মিয়া ভাইয়ার সাথে কথা বলছে। আজ কোন কাজ নেই। বিকেলের দিকে থা’নায় যেতে হবে। আস্তে আস্তে লোকের ভীড় কমতে শুরু করছে। ভাইয়া হাতের ইশারায় কাছে ডাকছে।
” রঞ্জু, এসব কি করে হলো?”
” জানি না। কাল রাতে খাওয়ার সময় বাবার সাথে দেখা হয়েছিলো। সবকিছু একদম ঠিকঠাক। ”
ভাইয়া উঠে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ” আমরা এতিম হয়ে গেলাম রে ভাই। আমরা এতিম হয়ে গেলাম। ”
না চাইতেও ভাইয়ার পিঠের উপর হাত চেপে ধরলাম। এই মানুষটার প্রতি অভিযোগ করতে পারি না। কখনোই না। পিঠের উপর ফোটা ফোটা পানি পড়ছে। ভাইয়ার চোখের পানি। বাবা হারানোর যন্ত্রণা এমনই হয় তাহলে!
” ভাবী, ভাইয়াকে ঘরে নিয়ে যাও। ”
ভাবী এগিয়ে এসে ভাইয়ার হাত ধরলো। নরম গলায় বললো, ” ঘরে চলো। ওরা বাবাকে নিয়ে গেছে। ”
ভাবীর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। মোছার চেষ্টা করছে না। ভাইয়া ধীর পায়ে হেঁটে ঘর চলে গেল। ভাবীর মা, রিপাও ওদের পিছনে গেছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম। লোকজন নেই বললেই চলে। সজীব কাকু দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আমায় ডাকছে।
” আল্লাহ সবকিছুর বিচার করবো। ভরসা রাখো বাবা। আমরা কাল আসুম, একটু কাজ আছে। কান্নাকাটি করো না। আসি কেমন?”
মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম। কি আশ্চর্য! চোখের কোণা ভিজে গেছে। আমি কি কাঁদছি!
****
ফাহাদ বিছানায় শুয়ে আছে। রিপা ওর কপাল চেপে দিচ্ছে, মাঝেমধ্যে দুলাভাইয়েের সেবা করলে নেহাৎ মন্দ হয় না। তবে রিপার কাছে এসব ভালো লাগছে না। অন্য পুরুষের সেবা করার কোন মানেই নেই, যেখানে তার বউ উপস্থিত।
” আপা তুমি এসে ভাইয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও। ”
” কেন রে? দেখছিস না কাজ করছি। ”
রিপা মুখ বিকৃত করে জোরে জোরে কপাল চাপতে থাকে। ফাহাদ বোধদয় রিপার বিরক্তি অনুভব করছে। সে তরল গলায় বলে, ” থাক। মাথা ব্যাথা করছে না। তোমরা বরং এখন এ ঘর থেকে যাও। আমি কিছুসময় একা থাকতে চাই। ”
রিপা এক লাফে খাট থেকে উঠে দাঁড়ায়। তারপর বোনের হাত ধরে বলে, ” চলো দু’জনে মিলে কিছু নাস্তা তৈরি করি। মনে হচ্ছে কারোরই সকালে খাওয়া হয়নি।”
তনিমা মাথা নেড়ে বোনের কথায় সম্মতি দেয়। বাবা মা এ ঘর নেই। পাশের ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছে। বাড়ির পরিবেশ একদম স্বাভাবিক। দেখে বোঝার উপায় নেই সকাল থেকে এতো কান্ড হয়ে গেছে। সকলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই ফাহাদ মোবাইল বের করে। পরিচিত নম্বরে ডায়াল করে মোবাইলটা কানে চেপে ধরে,
” চিন্তা করো না। তেমন সমস্যা হয়নি। ”
……
“না না কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। আমি ঠিক আছি। ”
…..
“আচ্ছা পরে কথা হবে, এখন রাখছি।”
তনিমা গরম পানি করছে। নুডলস রান্না করবে। শর্টকাটে হয়ে যাবে। ঘটা করে রান্না করার ইচ্ছে নেই। কেউ নিশ্চয়ই পাত পেড়ে খেতে চাইবে না। কিছু একটু মুখে দিলেই হলো। রিপা পেঁয়াজ কা’ট’ছে।
” আচ্ছা আপা, তোমার কোন বয়ফ্রেন্ড আছে? ”
” ছি ছি রিপা। এসব কি বলছিস?”
” নাহ্, থাকতেও পারে। ভাইয়া তো তেমন সময় দেয় না। ”
” বাজে কথা বলিস না। ”
” কেন জানি মনে হচ্ছে তুমি এই খু’নের সাথে জড়িত।”
রিপা কথা শেষ হতে না হতেই জোরে আওয়াজ হয়। তনিমা রিপার পিঠের উপর খুন্তি দিয়ে বা”ড়ি মেরেছে। রিপা হতভম্ব হয়ে বোনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
চলছে