দহন ফুল পর্ব-০৩

0
380

#দহন_ফুল– ৩

শরীরের ঘাম আর শ্রম দিয়ে যে কাজ করবা তার মূল্য তোমাদের কাছে অনেক বেশি মনে হবে, কিছু বুঝলা ?

কি সাবির মিয়া কিছু বলো না কেনো?
— জ্বি আব্বা।
সামির মিয়া তোমার কোনো কথা নাই বলার মতো?
— জ্বি বুঝেছি।
বাবা একটু পায়েশ দেবো?
মাসুমা ভাবী পায়েশের বাটি নিয়ে সামনে এগিয়ে আসলেন।
— না না বউ মা এখন আর খাবো না, পেট ভরে গেছে, রান্না সবগুলো চমৎকার হয়েছে, বিশেষ করে কলাপাতায় ইলিশ ভাপা।
কই চলো দুইভাই আমার সাথে ড্রয়িংরুমে, তোমাদের সাথে আমার জরুরি কথা আছে। মেয়েরা সবাই খেয়ে নাও, খবরদার আগে পড়ে না একসাথে বসবা সবাই।শাশুড়ীর মনোমত হলো না কথাটা পিনপিন করে কি সব বললো। সবাই খেতে বসার আগে আমি দৌড়ে গিয়ে মিষ্টি মশলার বাটিটা শ্বশুর বাবার সামনে রেখে আসলাম, — বাবা মশলা।
শ্বশুর বাবা আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। আমার কি যে ভালো লাগলো, শ্বশুরের মন জয়ের চেষ্টায় আছি আজকাল।

টেবিলে গিয়ে খেতে বসলাম প্লেটে ভাত নিয়ে ভাপা ইলিশ একপিস নিলাম, ভাতে মেখে মুখে দিলাম চোখ বুজে এলো উমমম.. সত্যিই তো চরম স্বাদ! ভাবী ধন্যবাদ আপনাকে এতো মজার রান্না করার জন্য, আমাকেও কিন্তু শেখাবেন এটা কিভাবে রাঁধে।
শাশুড়ীর মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না, — বুঝি না বাপু কি এমন স্বাদ হয়েছে যে সবাই আদিখ্যেতা শুরু করেছে।
বিরক্ত লাগলেও কথাটা ইগনোর করলাম ভাবীও আমি ও।
যা ই খাচ্ছি না কেনো আমার সমস্ত মনোযোগ বাবা ছেলেরা কি বলছে তা শোনার জন্য। আমি নাকে মুখে গিলে দৌড়ে গিয়ে দরজায় দাঁড়ালাম। আমাকে দেখে শ্বশুর বাবা বললেন এসো মা, আর সবাইকেও ডাকো খাওয়া শেষে সবাই এখানে আসুক। সবারইকে সাথে নিয়ে সাক্ষী রেখেই কথাটা বলবো।

আমি গিয়ে প্লেট বাটি গোছাচ্ছি আর দুজনকে বাবার কথাটাও বললাম, ভাবী দেখলাম বড় বড় লোকমায় খাবার শেষ করলো। শাশুড়ী চুপচাপ উনার তাড়া নেই। আমরা উনার প্লেট বাটি রেখে বাকী সব গুছিয়ে ফেললাম । ড্রয়িংরুমে গেলাম, আমাদের দেখে বাবা বললেন — তোমার শাশুড়ী এলো না?
— উনি খাচ্ছেন বাবা।
— এর তো সারাজীবনই এমন, আপন মর্জির মালিক।

আইচ্ছা এইবার শোনো সবাই,
সামির তুমি যে বিরক্ত হইতেছে সেটা আমি জানি, হইলেও কিছু করার নাই, তোমার গতিবিধি আমার কাছে ভালো ঠ্যাকতেছে না, তোমার কথাগুলো শোনা বেশি জরুরি।
সারাজীবন শুনে আসছো এক পুরুষে করে ধন, সাত পুরুষে খায়
এখন এসব কথার ভাত নাই, নিজের ঘাম ও শ্রমের মূল্য দিয়ে সব করতে হয়।
আমি হাফিজ আজমান কৃষকের ছেলে, আমার দাদা আরো বড় কৃষক শহুরে ভাষায় চাষাই বলতে পারো। তাদের একমাত্র স্বপ্ন ছিলো, রাস্তার মাথায় দাঁড়ালে যতদুর চোখ যায় সব জমি আমার হবে। পুকুর ভরা মাছ, গোলা ভরা ধান আর গোয়াল ভরা গরু। তারা খেয়ে না খেয়ে জমি জিরাত করতো এটাই তাদের মনের শান্তি ছিলো। আমার দাদা ইংরেজদের দেখাদেখি দুই চার পাতা লেখাপড়া করেছেন। তার ছেলে মানে আমার বাবাকেও এন্ট্রান্স পাস দেওয়াইলেন চাকুরী বাকুরী করান নাই ক্ষেত খামার নিয়াই পইড়া রইলেন সারাজীবন। কিন্তু আমার বাবার শখ জাগলো তার ছেলেকে কোট টাই পড়া ভদ্রলোক বানাবেন। তাই বিদ্যা শিক্ষা দিলেন পর্যাপ্ত, দেশে যুদ্ধ শুরু হইলো, বয়স আমার ১৭/১৮ বছর, না আমি যুদ্ধে যাই নাই, কেনো যে যাই নাই নিজেও জানিনা। আমার মতো যারা যায় নাই তারাও জানে না, তাই বলে মনে দেশ প্রেম নাই তা কিন্তু না। জীবনে একটা বোধহয় ভালো কাজ করছিলাম, যুদ্ধের সময় একজন রাজাকাররে ধরাইয়া দিছিলাম চুপেচুপে, তাই যুদ্ধে না যাবার দুঃখ আমার ঘুচে গেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তারপর বাকী পড়ালেখা মানে ডিগ্রি পাস করলাম, ঢাকা শহরে আইসা চাকরি নিলাম সাবরেজিস্টার অফিসে সত্তুর দশকের মাঝামাঝি । বলা নাই কওয়া নাই হুট কইরা অনুমতি ছাড়া বাবা মা গ্রামে তলব কইরা নিয়া বিয়া করাইয়া দিলেন। সে গল্প অন্যদিন হবে এখন আসল কথায় আসি।
তোমার মাকে নিয়া আইসা উঠলাম নুরজাহান রোডের একটা দেড়কামরার বাসায়। নতুন সংসার আনাড়ি সব কিছু চলছে কোনো রকম।
এর মাঝেই খবর পাইলাম রইছ শেখ নামের এক ধনী ব্যক্তি তার স্থাবর অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রি করে ইউরোপ চলে যাচ্ছে তার খুব সুন্দর একটা বাড়ি আছে।সেটা সে একপ্রকার পানির দরেই বেঁচে দিচ্ছে। কৌতুহলী হয়েও দেখতে আসলাম বাড়িটা, দেখে আমার আর চোখ সরে না। রইছ শেখের হাত ধরে ফেললাম, এই বাড়ি যেনো সে আর কাউকে না বেচে আমি যেভাবেই হোক আমি কিনবো। সে আমারে সময় দিলো ২০দিনের, তার জন্য পানির দর হলেও আমার জন্য বিরাট কিছু। দৌড়ে গেলাম আব্বার কাছে, আব্বা প্রথমে খুব রাগ করলেন, আমিও জিদ ধরে বসলাম। আপনাদের পছন্দে বিয়ে করাইছেন কিচ্ছু কই নাই এখন নিজের পছন্দে এই বাড়ি আমার চাই, ভবিষ্যতে আমারে আর কোনো সম্পত্তির ভাগ দিয়েন না যান। আব্বা অনেকক্ষণ পায়চারি করলেন মাথা চুলকালেন এরপর বললেন
– আইচ্ছা যাও একটা বিহিত করতেছি।

তবুও মনে শংকা নিয়ে ফেরত আসলাম, এক সপ্তাহ পরে আব্বা আসলেন বাড়ির যা দাম তার অর্ধেকের বেশি টাকা নিয়া। এই বাড়ি কিনতে গিয়া হারাইলাম খুব প্রিয় একটা জিনিস, এতো তাড়াতাড়ি টাকা পাওয়া সম্ভব না, জমির খরিদ্দার নাই কিন্তু মাছভর্তি পুকুর, ভরা দীঘি বেইচা দিলেন আরও কিছু বাড়তি টাকার আসায় আমার অতিপ্রিয় রেডিওটা হারাইলাম।

শ্বশুর থামতেই আমরা সবাই মোটামুটি একসাথে বলে উঠলাম — রেডিও!!
শ্বশুর বললেন — হ্যা রেডিও, যে সে রেডিও নয় মরফি ব্র‍্যান্ডের রেডিও।
তোমরা কি বুঝবা রেডিওর কদর। কোনো কোনোটা তো ছোটখাটো সুটকেসের সাইজ হতো। তখনকার সময়ে গ্রাম বাংলার পালা গান, জারী গান, কুস্তি খেলা আর আধুনিক বিনোদন যন্ত্র ছিলো এই রেডিও।

যখন টিভি ছিলো ধনী ব্যক্তিদের বিলাসিতা তখন সময় কাটানোর জন্য কম বেশি মধ্যবিত্তদের অনেকে সাধ্যের মতো মূল্যের এবং অ্যাক্সেসযোগ্য মারফি রেডিওর মালিক হওয়া ছিলো রীতিমতো গর্বের বিষয়।
তখন যৌতুক হিসেবে রেডিও দেয়া হতো , গ্রামে যার ঘরে রেডিও আছে তারে অনেক সম্মানের চোখে দেখা হইতো।
পুরো গ্রাম জুড়ে দুই একজন সৌখিন মানুষের ঘরে রেডিও থাকতো আর সে সবার কাছে ভি আই পি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ চরমপত্র শুনতো এই রেডিওতে, যজ্ঞের ধনের মতো যত্নে রাখতো মানুষ। বিশ্বাস না হইলে পুরানো দিনের বাংলা ছবিগুলো দেখে নিও।

আর টিভি কয়েক গ্রাম খুঁজলে একজনের পাওয়া যেতো, কারণ সামর্থ্যও ছিলো না আবার টিভি দেখা হারাম এই ফতোয়া জারী ছিলো । যেদিন বাংলা সিনেমা থাকতো সেদিন প্রজেক্টরের মতো করে টিভিটা উঠানে টেবিল পেতে তার উপর রাখা হতো, এই দৃশ্য নব্বই দশকে প্রথমার্ধেও ছিলো। তারপর চায়না কোম্পানি আইসা টেলিভিশন সস্তায় বাজারে ছাড়া শুরু করলো, বাংলাদেশেও বানানো শুরু হইলো মানুষের হাতের নাগালেও আসলো।

আসল কথায় আসি এইবার, পুকুর বেচা দীঘি বেচা, রেডিও বেচা টাকা দিয়ে, বিভিন্ন জনের কাছে ধারকর্জ কইরা এই বাড়ি আমি কিনলাম। সৌখিন মানুষ চুনকাম করে রাখতো সব সময় তাই নতুন করে রঙটঙ করা আর লাগে নাই, নইলে আরেক দফা খরচ হইতো।
এই ধারের টাকা শোধ দিতে গিয়া আমরা ঠিকমতো মাছ গোস্তো খাওয়া ছাড়লাম কয়েকবছর টানা কষ্ট কইরা ঋণ শোধ দিলাম।
যদিও গুলশান, ধানমন্ডির আশপাশ বলতে গেলে পুরোপুরি শহর হয়ে উঠে নাই, গ্রামই ছিলো কিন্তু এই লেকপাড়ের আশেপাশে জায়গা জমি তখনও দাম ছিলো আর এখন তো আগুন দাম।

এই যে সামির বাবা, আমার এতো সাধনার এতো কষ্টের বাড়ি তুমি কোন আক্কেলে ডেভলপারদেরকে দিয়া দেবার পায়তারা করতেছো?
তোমার মনে এই দূরাভিসন্ধি কে ঢুকাইলো?
— বাবা আসলে মানে ওই হইছে কি?
— মানে মানে বাদ দেও.. আর স্বপ্নেও এই চিন্তা যেনো না আসে মাথায়।
— বাড়িটা তো পুরাতন হয়ে গেছে, তাছাড়া আশেপাশে সব উঁচু উঁচু বিল্ডিং, তার মাঝখানে বাড়িটা…..
— বাড়িটা বেমানান তাইতো?
— জ্বি
— এই বাড়িটাতে যখন উঠি, তখন আশেপাশে এরচেয়ে সুন্দর বাড়ি একটাও ছিলো না, আমরা কষ্ট করে খেয়ে পড়ে থেকেছি কিন্তু, মনে শান্তি আসতো বাড়িটার দিকে তাকালে। এই বাড়িটাতে আমাদের তোমাদের ভাইয়ের শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
— বাবা আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলে না।
— তোমার সাহস দেখে তাজ্জব হচ্ছি। তোমার যদি ফ্ল্যাট বাসার শখ হয়ে থাকে, তাহলে নিজের যোগ্যতায় করো। তোমার বেতনের একটাকাও তুমি ঘরে খরচ করো না, সব আমার আর সাবিরের টাকায় চলে। যাও ওগুলো কাজে লাগাও। আর কোনোদিন বাড়ি নিয়ে কথা বলবা না। আমি বেঁচে থাকতে এই বাড়িতে কেউ হাত দিবে না বলে রাখলাম।
আহা — ছেলেটা কি বলতে চায় শুনবা তো একবার? বললেন শাশুড়ী মা।
রেগে গেলেন শ্বশুর,
— তুমি চুপ থাকো, পারুল, এই বাড়ির জন্য তুমি কোনো কষ্ট করো নাই, আমার আব্বা জমিজিরাত বেইচা এই বাড়িতে টাকা দিছি, সেই বাড়িতে আমার মা বাবা বোন আসলে তুমি বিছানা নিতা, অসুস্থ হইয়া পড়তা, হাড় কড়াকড়ি মরমরি ব্যারাম হইতো। তুমি তাদের সেবা করবা কি তারাই তোমার সেবা ঘরের রান্নাবান্না সব করতো। তোমার ছেলেদের লালনপালন তো আছেই।
— হ আমি কোনো কষ্ট করি নাই।
— করছো তো কষ্ট কইরা খাইছো, আর ঘুরছো। ছেলেদেরকে পালছে আমার বিধবা বইন।
— তুমি পোলার বউদের সামনে আমাকে অপমান করছো, ওরা কিন্তু লাই পেয়ে মাথায় উঠবে।
— আমার ঘাড়ে একটাই মাথা ওইটাতে তুমি উঠে বসে আছো, আর জায়গা নেই। এখন আমার সামনে থেকে তোমরা দুই মা ছেলে যাও তো, আর সহ্য হচ্ছে না।
সবাই চুপ হয়ে গেলো, শুনশান নীরবতা নেমে এলো।

ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে শোবার আগে মাথা আঁচড়ে নিলাম, নাইট ক্রিম মেখে, গুণে গুণে ২০ বার পায়চারি করলাম, ২০বার উঠ বস করলাম। ২০বার হাত গুলোকে আগে পিছে ঘুরালাম। সামির আমার দিকে চেয়ে থেকে বললো,
— কি হলো এমন অদ্ভুত আচরণ করছো কেনো?
— শরীরটাকে ক্লান্ত করছি যেনো তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে।
— কে শিখিয়েছে এসব ফর্মুলা?
— আম্মু
— বেশ ভালো।
— হুমম।
— দেখলে তো আব্বা কি রকম করলো?
— কি করলো?
— এইযে বাড়ি নিয়ে তামাশা।

আমি গিয়ে বিছানায় সামিরের পাশে বসলাম,
— এখানে তামাশার কি হলো? উনি কষ্ট করে বাড়ি করেছেন, উনার বাড়ি উনি যা খুশি করবেন।
— প্রভা আংকেল না তোমাকে ফ্ল্যাট দেবেন বলেছিলেন? তাকে বলো না বুকিং দিতে?
— নাহ আমার লাগবে না।
— কি বলো? আমার কত্তদিনের শখ তোমার ফ্ল্যাট হবে, ওটা তুমি মনের মতো করে সাজাবে?
— আমার ফ্ল্যাট হলে তোমার শখ হবে কেনো?
— তুমি আমি কি আলাদা? তোমার যা তাতো আমারই আর আমার যা তা তোমার।
— সব যদি আমার বাবাই করে তুমি জীবনে কি করবে? বাই দ্যা ওয়ে তোমার বেতনের টাকা সংসারে না দিলে ওটা তুমি কি করো?
— ওওও ওটা একটা বিজনেসে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করছি।
— আচ্ছা আচ্ছা তা কিসের বিজনেস?
— একটা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি করবো বন্ধুরা মিলে।
— দেখো আবার টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে না যায়।
— না না তা হবে না। ওরা খুব ভালো মানুষ।

সামির আসলে মানুষ খারাপ নয় লোভী ও নয়, নিজের বুদ্ধি খাটায় কম আর অন্যের বুদ্ধি শোনে বেশি এই যেমন ইতিমধ্যে হয়তো কোনো ডেভলপার বুদ্ধি দিয়েছে বাড়ি ভেঙে এপার্টমেন্ট করার তাই শুনে এসে বাবার সাথে অযথা ঝামেলা করেছে। বাবার আবেগ অনুভূতির তোয়াক্কা করছে না। এখন বেতনের সব টাকা কি করছে ভালো করে খোঁজ নিতে হবে। শ্বশুর বাবা শুনলে রেখে যাবেন তাই বাপিকেই বলবো খোঁজ নিতে।
ঘাড়ে হাত পড়তেই ভাবনার ঘোর কাটলো। দেখি সামির আদুরে বিড়ালের মতো আমার ঘাড়ে নাক মুখ ঘষছে। হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কপট রাগ দেখালাম,
— এই কি হচ্ছে এসব?
— কিছু না, একটু কাছে এসো না।
— না তুমি ভালোবাসতে জানো না।
— তাহলে কে জানে?
— তুমি সাবির ভাইয়ার মতো করে ভালোবাসতে পারো না।
— ভাইয়া কিভাবে ভালো বাসে আমি কি করে জানবো।
— সে আমি জানিনা, সে রকম করে ভালোবাসতে পারলে আমার কাছে এসো, না হলে তোমার সাথে কোনো কথা নেই।
বলেই আমি লাইট অফ করে চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম, হাবাটা বসেই আছে, ঠিকইতো একজনের মতো করে অন্যজন কিভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করবে? প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্র, তার প্রকাশভঙ্গীও আলাদা। আমার মনেমনে খুব হাসি পাচ্ছে, কিন্তু আমি কপট অভিমান দেখাচ্ছি। আজ জব্দ করতে বেশ মজা লাগছে। চুপচাপ অন্ধকারে বসে আছে আমার পায়ের কাছে, আর আস্তে আস্তে ডাকছে… প্রভা শোনো না….
আমি চুপ করে মজা নিচ্ছি এতো বোকা কেনো? নিজের বুদ্ধি খাটায়ই না, হাঁদারাম…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে