দহন ফুল পর্ব-০২

0
518

#দহন_ফুল– ২

মা তুমি কথাগুলো ওভাবে না বললেও পারতে?
— কোন কথাগুলো?
হাতের নাগেটস আর পাস্তার বাটি গুলো টেবিলে রাখতে রাখতে জিজ্ঞেস করলেন প্রভার মা লুবনা।
— ওই যে সেদিন আমার শ্বশুর বাড়িতে রান্নাঘরে বললে।
— তোমার কষ্ট লেগেছে?
— হ্যা ভীষণ ভীষণ রকম।
— এবার বুঝে দেখো, মাসুমার কেমন লাগে?
— কিন্তু আমি তো কিছুই করিনা ভাবীর সাথে?
— সেটাই তো সমস্যা তুমি কিছু করো না, তোমার করা উচিত।
— কি করবো আমি? শাশুড়ী মা সারাদিন বকাবকি করে ভাবীকে, হাভাতে, ছোটলোক, ফকিন্নি এসব বলে আমি কি করে থামাবো?
— করতে জানলে অনেককিছু করা যায়?
— মানে? বুঝতে পারছি না মা খুঁলে বলো?
— আচ্ছা বাদ দাও, আজ মা মেয়েতে গল্প করবো। তোমার পছন্দের ঝাল ঝাল চিজি হোয়াইট সস পাস্তা খাও আর ওখানে কিভাবে সময় কাটাও বলো আমি শুনি।

— ওখানে…. ওখানে সকালে উঠে নাস্তা খাই, তারপর মুভি দেখি শুয়ে থাকি। কখনো বই পড়ি কখনো একটু ঘুমাই অথবা কাজের মেয়েটাকে দিয়ে দু’দিন পর পর ফার্নিচারগুলো মুছাই। কোনো কোনো দিন উপটান মাখাই বা চোখে শসা স্লাইস দিয়ে কতক্ষণ পর কুসুম কুসুম পানিতে গোসল করি। বেশ ফ্রেশ লাগে জানো মা তুমিও করে দেখতে পারো।
— আচ্ছা অবসর পেলে করবো।
— তারপর কি করো?
— তারপর দুপুরের খাবার খাই, গান শুনি বা ঘুমাই নয়তো ঘুরতে বের হই লেক পাড়ে হেটে আসি।
— এরপরে…
— এরপরে নাস্তা খাই, সামির আসে বাসায় ওর সাথে গল্প গুজব করি, ডিনারের পর সামির কাজ করে আমি মুভি দেখি।
— এতো ঘুমাও এতো মুভি দেখো?
— কি করবো সময়ই কাটে না।
— রাতে ঘুমাও কখন?
— মুভি শেষ করতে করতে তিনটা চারটা বেজে যায়। কিন্তু সামিরের জন্য সকালে আবার উঠা লাগে ঘুম চোখে লেগে থাকে।(বিরক্তির সুরে)
— তাইতো সময় না কাটলে কি করবে?
— হুমম
— জানো খুব আফসোস হয় আমার…

মা বিষন্ন মুখে কথাগুলো বললেন।
— কেনো মা?
— কারণ তোমাকে শিক্ষিত করতে পেরেছি কিন্তু মানুষ বানাতে পারিনি। মা হিসেবে আমি ভীষণ ব্যর্থ ।
— মায়ায়া… আবার শুরু করলে? আমি কিন্তু এখন চলে যাবো।
— নাহ তুমি যাবে না (রুক্ষস্বরে বললেন) আমার সন্তান অমানুষের মতো বিবেকবর্জিত আচরণ করবে আমি তা কিছুতেই মেনে নেবো না।

মায়ের এই উগ্রমূর্তি দেখে আমি মিনমিন করে বললাম— মা..
— চুপচাপ বসে আমি যা বলবো, তুমি তাই শুনবে?
আমি ভয়ে ভয়ে ঘাড় নাড়ালাম যেমন করে রিপোর্ট কার্ডে গড়বড় করলে নাড়াতাম।
— তোমার যখন সময় কাটে না, মাসুমা তখন কি করছে খবর নিয়েছো?
— জানিতো ভাবী খুব সকালে উঠে নাস্তা বানায়, রুটি, আলুভাজি অথবা সুজির হালুয়া, ডিম ভাজি ডিমপোচ, চা এসব বানায়।
— আর তুমি রেডিমেড খেতে যাও
— আমি কি এসব পারি নাকি?
— কেনো পারো না? হাত পা নেই তোমার?
মেয়েটা সেই ভোরে উঠে সবার জন্য নাস্তা বানায়, দুপুরে কাটাকুটি রান্নাবান্না, বিকেলের নাস্তা, রাতের খাবার সব কাজ সেরে ঘুমাতে যায়।
তোমার শ্বশুর বাড়ি যতবার গিয়েছি দেখেছি, সে সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত থাকে কারো সাথে বসে দুদন্ড কথা বলার সুযোগ নেই তার।

বিষয়টাকে হালকা করার জন্য মাকে প্রশ্ন — তুমিতো আমার মা উকালতি ভাবীর জন্য করছো যে?
— করছি কারণ এই অবস্থাটার মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি, আমি জানি একা একা সব কাজ সামলানো তার পরও কটুকথা শুনতে কতটা কষ্ট লাগে।
— তুমিও মানে?
— হ্যা আমিও.. আমার অপরাধ কি ছিলো জানো? সবার অমতে তোমার বাবার মতো বেকার ছেলেকে বিয়ে করা। বরের ইনকাম নেই বউকে দাসীবৃত্তি করতে হবেই, এটা আর নতুন কি? অবশেষে তোমার বাবা ছোটখাটো একটা চাকুরী জোটালেন, যা বেতন পেতেন তাতে তার যাতায়াত খরচ রেখে সংসারে খুব সামাণ্যই দিতে পারতেন। আমি গ্রাজুয়েশন করা মেয়ে কিন্তু কিছু না করে সবার মন জোগাতে দিনরাত এক করে সেবা করে যাচ্ছি। কিন্তু ফলাফল শূন্য, তোমার দিপা আপু জন্মের পরও কেউ বদলালো না। খেয়াল করে দেখলাম আমি নত হওয়াটাকে তারা রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করে। ধীরেধীরে আমার পিঠটাকে তারা তাদের পা রাখার জায়গা বানিয়ে নিচ্ছে। এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম, আর নয় এবার এদের থামাতেই হবে।

বিস্ময়ে হতবাক আমি বললাম
— মা কখনো তো বলোনি।
— তোমার বারার পরিবার লোকদেরকে তোমাদের চোখে ছোট করতে চাইনি কখনো।
— তারপর কি হলো?
— প্রতিবাদ করলাম, আমার একার পক্ষে সকলের ফরমায়েশ খাটা সম্ভব নয়। লেগে গেলো আগুন, অন্যায় কর‍তে করতে অন্যায়কারীদের কাছে এটাই নিয়মে পরিনত হয়। প্রচন্ড গালাগালি করে যা নয় তা বলে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন। তোমার বাবার হাত ধরে ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে পথে নামলাম। এক বান্ধবীর সহায়তায় খিলগাঁওয়ের দিকে, সাবলেটে এক কামরার একটা বাসায় উঠলাম। তোমার বাবা বাসে করে আসা যাওয়া করতো আর আমি একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকুরী নিলাম, বাচ্চাকে আয়ার কাছে এর ওর কোলে রেখে চাকুরী করতাম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করতে পারবো না তাই বাসায় আশেপাশের গরীবদের বাচ্চা অল্প টাকায় পড়াতে শুরু করলাম। সিভি জমা দিতে লাগলাম বেসরকারি স্কুলগুলোতে, ওদিকে আমার এক মামার সহায়তায় তোমার বাবার ইনকাম ট্যাক্স অফিসে চাকুরীর সুযোগ এলো। উনি দরখাস্ত করতে বললেন, তুখোড় মেধাবী তোমার বাবা রিটেন ও ভাইবা’ দুটোতেই টিকলো আমার মামা সুপারিশ বা টাকার ব্যাপার কিভাবে কি করলেন জানিনা চাকুরীটা হলো। আল্লাহ নিরাশ করেন না তাই আমাদের সুদিন এলো, আমরা মোহাম্মদপুর ভালো বাসা নিয়ে অভিজাত এলাকায় আসলাম। এদিকে আমারও ডাক আসলো বেসরকারি গার্লস স্কুল থেকে, তোমার বাবা চায়নি আমি চাকুরী করি, কিন্তু আমি নিজেকে চেনার আত্মনির্ভরশীল হবার সুযোগ আর হাতছাড়া করিনি। তুমি জন্ম হলে সোনার চামচ মুখে নিয়ে তাই এত্তকিছুর কোনো কিছুই তোমাকে ছোঁয়নি।

— তাহলে কাকা ফুফুরা সবাই যে আসে আমাদের বাসায়?
— এরা সুদিনের মৌমাছি, তোমার জন্মের পর তোমার দাদী পার্মানেন্ট থাকতে এলেন, ওখাকার চরম আদর যত্ন উনার সয়নি, ফিরলেন আমার কাছে ক্ষমা চাইলেন নিজের কৃতকর্মের জন্য। আমিও ফিরিয়ে দেইনি, দাম্ভিক মানুষের নতমুখ সমস্ত যন্ত্রণার শীতল পরশ হয়ে আসে। তোমাকে দেখাশোনা করেন, কাজের লোকেদের পরিচালনা করেন আমিও ছেড়ে দিলাম থাকুক যেভাবে শান্তি পায়। তারপর থেকে পরিবারের সব একে একে এসে জুটছে। আমি ওদের সাথে গম্ভীর হয়ে কথা বলি বলে তোমাদের মনে প্রশ্ন ছিলো, এই হলো তার উত্তর।
— মা এতোটা সয়েছো তুমি?
— যন্ত্রণা কাতর মানুষ একটু ভালো ব্যবহারকে স্বর্গীয় সুখ ভাবে। কখনো কারো জন্য যদি কিছু করতে না ই পারো তবে তার কষ্টের কারণ হইও না।

— মা তোমার অনেক গোপন ব্যথা আজ জানলাম, তোমার গাম্ভীর্যের পেছনে কোমল মনের খবরও জানলাম।

— আচ্ছা তোমার শাশুড়ী মাসুমাকে পছন্দ করে না কেনো?
— আমি ঠিক জানি না মা, তবে পরিবারের অমতে গিয়ে ভাইয়া বিয়ে করেছে, ভাবীর মা বাবা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, মামা মামীর কাছে থেকে বড় হয়েছেন। বিয়ের সময় কিছু আনতে পারেনি। শাশুড়ীর শখ পূরণ হয়নি ঠকেছেন এসব সারাদিনই বলতে থাকেন।
— আর তোমাকে আদর করে কেনো?
— আমি শিক্ষিতা, সুন্দরী মিষ্টি মেয়ে বিয়েতে অনেককিছু পেয়েছে, ঈদেও ভালো উপহার পায়, আমার বাবার বাড়িতে আদর আপ্যায়ন পায় এসবই তো বলেন। তাছাড়া সামির খুব ভালো বেতনে চাকুরী করে।
— শ্বশরবাড়িতে তোমার অবস্থান বুঝেছো?
— মানে?
— তোমার কোনো কদর নেই, তোমাকে তারা ভালোবাসে তোমার বাবার অর্থবিত্তের কারণে। সব স্বার্থের জন্য এমনকি সামিরও তোমাকে নয় তোমার বাবার অর্থবিত্তকে ভালোবাসে। প্রকৃতপক্ষে মাসুমা ভাগ্যবতী মেয়ে, যতকটু কথাই শুনুক সবার আত্মার দোয়া সে পাচ্ছে। আর সাবির তাকে প্রচন্ড ভালোবাসে, সে ভালোবাসার জোরে মাসুমা সব কষ্ট সয়ে নিচ্ছে।
— সেটা জানিনা…তবে সামির আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে মা, আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছি।
— আচ্ছা….. ঠিক আছে পরীক্ষা নিও.. কিভাবে নেবে তুমি ভেবে নাও।

বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে ঢুকে দেখি ভাবী রাতের খাবার তৈরি করছে।
পেছন থেকে ডাকলাম — ভাবী কি করছো?
মাসুমা ভাবী তাজ্জব হয়ে তাকালো, হবারই কথা কখনো এভাবে জিজ্ঞেসও করিনি বা দুই বছরে কখনো দাঁড়িয়ে কথা বলেছি কবে আমারই মনে নেই।
— ওইতো রাতের খাবার তৈরি করছি, তোমার কিছু লাগবে?
— না না কিছু লাগবে না, আমি কি সাহায্য করতে পারি?
এবার ভাবীর আকাশ থেকে পড়ার পালা..
আমার মুখে এমন কথা কখনো শোনেনি,
নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, — না সাহায্য লাগবে না, তুমি গিয়ে বসো আমি সব করছি।
তবুও মাসুমা ভাবীর আশেপাশেই রইলাম।

হাতে হাতে খাবারের বাটি সব টেবিলে রাখলাম, ভাবীর চোখে প্রশান্তির ঝিলিক দেখলাম। শাশুড়ী এসে আমাকে টেবিল সাজাতে দেখে প্রশ্ন করলেন
— প্রভা তুমি এসব করছো কেনো? এসো আমার সাথে বসো , তুমিতো এসব কাজে অভ্যস্ত না সোনা মা ।
অন্যসময় ভালো লাগলেও আজ কেনো যেনো শাশুড়ী মায়ের আমার প্রতি আহ্লাদ ভালো লাগলো না।
বললাম — না মা আমার করতে ভালো লাগছে।

সবাই খেতে বসলো, আমি ভাবীকে বললাম
— ভাবী আপনিও আসুন।
শাশুড়ী মা বললেন ওকে ডাকছো কেনো? ও পরে খাবে।
মাসুমা ভাবী বললেন — হ্যা আমি পরে খাবো, তোমার ভাই আসুক।

আমরা সবাই খেয়ে নিলাম, ভাবী দাঁড়িয়ে থেকে কার কি লাগবে দেখতে লাগলো। সবার খাওয়া শেষে ভাবী সব গোছাতে লাগলো, সাথে আমিও হাত লাগালাম। শাশুড়ী মা বললেন — প্রভা তোমার এসব করা লাগবে না, তুমি রুমে যাও সামিরের কিছু লাগবে কিনা সেটা দেখো।
মায়ের সম্মতি পেয়ে, সামির বললো — হ্যা হ্যা এসো একটু কাজ আছে।
আমি পানির বোতল হাতে দিয়ে বললাম — তুমি রুমে যাও, আমি আসছি। সামির থ হয়ে থেকে রুমে চলে গেলো।

প্লেট বাটি সিংকে রাখতে রাখতেই কলিং বেল বাজলো, ভাবী দরজা খুলে দিতে ভাই বাজারের থলে হাতে ধরিয়ে দিলো।
ভাবী ব্যাগ নিয়ে রান্নাঘরের দিকে আসছে ভাই পেছনে পেছনে আসছে আর বলছে— নীনু জানো এই ইলিশ মাছগুলো বেশ পছন্দ হয়ে গেলো আর তুমিও পছন্দ করো তাই নিয়ে এলাম।
ভেতরে ঢুকে আমাকে দেখে থমকে গেলো। ভাবী কৌতুকপূর্ণ হাসি দিতেই ভাই লজ্জা পেয়ে চলে গেলো রুমের দিকে।
এই প্রথম আমি ভাইকে সরাসরি খেয়াল করে দেখলাম, ভাই বেশ লম্বা সুদর্শন ও সুঠাম, কাটা কাটা চেহারায় ব্যক্তিত্বের ছাপ স্পষ্ট সে তুলনায় সামির সাদামাটা চলনসই পুরুষ। ধৈৎ নিজের ভাসুরকে বিশ্লেষণ করছি মনে পড়তেই লজ্জা লাগলো। নিজের রুমে ফিরে গিয়ে দেখি সামির ল্যাপটপে কিছু একটা করছে। আমি তার পাশে গিয়ে আধা শোয়া বসলাম। আমাকে দেখে প্রশ্ন করলো– কি ব্যাপার আজ যে বড্ড কাজ দেখাচ্ছিলে?
মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো, রেগে গেলাম — কাজ দেখাচ্ছিলাম মানে?
— রাগ করছো কেনো? কখনো কিছু করতে দেখিনি তো তাই বললাম।
— কখনো করিনি বলে কোনোদিনই করবো না এর কোনো মানে নেই।
— আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।
— ভাবীকে ভাই নীনু বলে ডাকে?
— হুমম, ডাকে ওসব ঢং ছাড়া কিছু না, আমার ভাল্লাগেনা।
বলেই সে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিলো।
আমি নেটফ্লিক্সে মুভি অন করলাম, কতক্ষণ দেখলামও কিন্ত মন বসছে না। মায়ের সব কথা রিফ্লেকশন হচ্ছে, মনে ভাবনার ঝড় উঠেছে, কিছুই ভাল্লাগছেনা। উঠে পায়চারি কর‍তে লাগলাম। আড়ি পাতা স্বভাবে নেই আমার কিন্তু আজ খুব করে মন চাচ্ছে ভাই ভাবীর জগতে আড়ি পাতি। চুপচাপ বেড়াল পায়ে ডাইনিং এর দিকে গেলাম আড়ালে দাঁড়িয়ে যা দেখলাম তাতে হিংসুক ছাড়া যে কেউ মুগ্ধ হবে। ভাই ভাবীকে লোকমা তুলে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে, ভাবী কি মিষ্টি করে হাসছে। ভাই দুষ্টু চোখে ভাবীকে দেখছে, অন্যহাতে ভাবীর কপাল থেকে অবাধ্য চুল সরিয়ে দিচ্ছে। দুজনার চোখে দুজনের জন্য বাঁধভাঙা প্রেম। সামির আর আমার প্রেমের বিয়ে কিন্তু সামিরের চোখে এমন প্রেম আজো দেখলাম না কখনো এমন করে কাছে বসিয়ে যত্ন করতে দেখলাম না। সামিরের সবকিছু প্রয়োজনে কেমন যেনো গৃহস্থালি প্রেম। শরীরে খেলায় শরীর কাছে আসে, ঝড় উঠে উত্তাল, ভেস্তে যায় লাজ লজ্জার দেয়াল সমর্পণের আলিঙ্গনে কিন্তু ঝড় থেমে গেলে আর চেনে না সামির। অথচ এমন একটা প্রেমপূর্ণ দৃষ্টির জন্য হাজার কষ্ট, এমন এক চিলতে ভালোবাসার জন্য অগ্নিকাঁকরও মাড়িয়ে যাওয়া যায়। ভাবীর সারাদিনে করা সব কষ্টের, কটু কথা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা, যন্ত্রণার অবসান এই সময়টুকুতে এসে।
সত্যিই ভাবীর কাছে আজ নিজেকে বড্ড কাঙাল নিঃস্ব রিক্ত মনে হচ্ছে। আমি সব পেয়েও শূন্য ভাবী কিছু না পেয়েও কানায় কানায় পূর্ণ।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে