#তোর_ছায়ার_সঙ্গী_হব
লেখক-এ রহমান
পর্ব ২২
৫১
গোধূলি বেলায় আকাশ রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে। চারিদিকে সূর্য তার লাল আভা ছড়িয়ে দিগন্তের মাঝে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নারিকেল গাছের মাথায় লাল সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে একটু একটু করে। তার আশে পাশেই পাখি উড়ছে। ইরা নিস্পলক সেদিকে তাকিয়ে আছে। সূর্য ডোবা দেখার ভাগ্য এভাবে আগে কখনও হয়নি। প্রতিটা সেকেন্ডে সূর্যটা একটু একটু করে অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। কি অদ্ভুত দৃশ্য। প্রকৃতি সত্যিই মনোরম। শত মন খারাপের মাঝেও প্রকৃতি মন ভালো দেয়। ইরা মাথা তুলে আরও উপরে তাকাল। পুরো আকাশের দিকে তাকিয়ে ইরার মনটা ভীষণ করে কারও শুন্যতা জানিয়ে দিলো। কিন্তু কে সে? ইরা মাথা নামিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো। কারও অস্পষ্ট অবয়ব দেখা যাচ্ছে। তার মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো। চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে আবার ভাবনায় ডুব দিলো। ঈশা ধির পায়ে ইরার পাশে এসে দাঁড়ালো। ইরাকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলল
–তোর কি মন খারাপ?
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ইরা ছোট্ট করে না বলল। ঈশা তার দিকে তাকিয়ে বলল
–আমি জানি তোর মন খারাপ। কিন্তু যদি বলতে না চাস তাহলে বলিস না আমি জোর করবো না।
ইরা সামনে তাকিয়ে বলল
–আচ্ছা আপু ভালোবাসা কিভাবে হয়?
ইরার প্রশ্ন শুনে ঈশা স্ট্যাচু হয়ে গেলো। এই প্রশ্নের উত্তরে তার কি বলা উচিৎ সেটা সে জানেনা। ইভানের প্রতি তার অনুভুতি গুলো ধিরে ধিরে তৈরি হয়েছিলো। সেই ছোট বেলা থেকেই। তার সমস্ত কিছু ঘিরে শুধু ইভানই ছিল। এই অনুভুতি কবে কিভাবে তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সে কখনই ভাবেনি। তার এই সুপ্ত অনুভুতি প্রকাশ পেয়েছে যখন অন্য কারও সাথে বিয়ের কথা হচ্ছিলো। কিন্তু তার আগে এই পর্যন্ত কিভাবে পৌঁছেছে তা সে জানেনা। ইরা আবারো বলল
–তুমি তো ভাইয়া কে ভালবাস তাহলে বল কিভাবে ভালোবাসা হয়?
ইভান সিঁড়ি থেকেই দুজনের কথা শুনছিল। ঈশার অবস্থা বুঝতে পেরে এগিয়ে গিয়ে বলল
–কাকে জিজ্ঞেস করছিস? তোর বোন যে আমাকে ভালবাসে সেটাই বুঝতে পেরেছে যখন অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলো। তার আগে তো এসব মাথাতেই ছিলোনা।
ঈশা রেগে ইভানের দিকে তাকাল। ইরা ইভানের কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে বলল
–কি বলছ ভাইয়া? এতো ভালবেসেও বুঝতে পারেনি কেন?
–বোঝার জন্য মাথায় বুদ্ধি থাকতে হয়। সেটা নেই তাই।
ইভানের কথা শুনে ঈশা চরম রেগে গেলো। চলে যেতে নিলে ইভান হাত টেনে ধরে বলে
–আমি তোকে বোঝার সুযোগ দেইনি। আমার ভালোবাসার বৃত্তে আবদ্ধ করে রেখেছিলাম যাতে ভালোবাসার মধ্যে থাকা কোন কষ্টই তোকে ছুঁতে না পারে।
ইভানের কথা শুনে ঈশার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। ইভানও একটু হাসল। ইরা ইভানের কথার মানে বুঝতে চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারল না। ঈশা একটু হেসে বলল
–আমি একটু আসছি।
ইভান তার হাত ছেড়ে দিলো। ইরা আবার সামনে তাকাল। তাকে এভাবে ভাবনায় ডুবে থাকতে দেখে ইভান তার মাথায় হাত দিয়ে বলল
–আমি জানি তুই কি ভাবছিস। যে কোন সম্পর্কের মাঝে ভালো থাকার প্রধান শর্ত হচ্ছে বিশ্বাস। আর বিশ্বাস থাকলে ভরসা আপনা আপনিই চলে আসে। আর এই দুইটার সমন্বয় হল ভালোবাসা। ভালবেসে যেমন ভালো থাকা যায় তেমন ভালো থেকেও ভালোবাসা যায়। আসলে ভালোবাসার ধরনটা ওই দুইটা মানুষের উপরে নির্ভর করে যারা একসাথে থাকতে চায়। তারা কিভাবে ভালবাসতে চায় সেটা তাদের উপরে নির্ভর করে। সবার ভালোবাসার ধরন এক না। একেক জনের মনের অনুভুতি একেক রকম। সেটা প্রকাশ করার ধরনও একেক রকম। তুই তোর মনের অনুভুতি কিভাবে প্রকাশ করবি সেটা সম্পূর্ণ তোর উপরে নির্ভর করে।
একটু থেমে আবার বলল
–যে কোন সম্পর্ক তোকে নিজে থেকে কিছুই দেবেনা। নিজের জায়গাটা নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। যে কোন একজনকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে অপরজনের অপেক্ষা করতে হয়। তা নাহলে সুপ্ত অনুভুতি দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে যায়না। এক কথায় তোর অনুভুতি সামনের মানুষটার প্রতি যেমনই হোক না কেন সেটা প্রকাশ করাটাই ইম্পরট্যান্ট অনুভূতির ধরনটা না।
ইরা সামনে তাকিয়েই বলল
–আমি বুঝব কিভাবে তার প্রতি আমার অনুভুতি আছে কিনা?
ইভান সামনে রেলিঙ্গে কনুইয়ের উপরে ভর দিয়ে বলল
–সেই মানুষটার কোন কথা যখন তোর মনের উপরে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে তখন বুঝবি তার প্রতি তোর অনুভুতি আছে। এই অনুভুতি গুলো খুব সূক্ষ্ম হয়। এগুলো বলে বোঝানো সম্ভব না। অনুভব করতে হয়। তুই জানতে চাইলি এতো ভালোবাসার পরেও ঈশা কেন বুঝতে পারেনি। আসলে আমি ওকে এসব অনুভুতি বোঝার সুযোগ দেইনি। আমাকে প্রয়োজন হওয়ার আগেই কাছে পেয়েছে। মিস করার আগেই সামনে এসেছি। আমার কোন কথায় কষ্ট পেলে বা রাগ করলে সেটা মনে কোন রকম প্রভাব ফেলার আগেই আমি তার সেই কষ্ট বা রাগ মন থেকে দূর করে দিয়েছি। আমার অনুভুতি প্রকাশের ধরন এটাই।
ইরা কিছুক্ষন ইভানের দিকে তাকিয়ে থেকে সামনে তাকাল। ইভানের কথা তার মাথায় ঢুকলেও এখনো কোথাও একটা কনফিউশন কাজ করছে। আদৌ তার মনে কোন অনুভুতি আছে কিনা সেটা সে বুঝতে পারছেনা। আর এটাই খুব স্বাভাবিক। কারন এই মুহূর্তে সে বুঝতে চাইছে যে এটা যদি ভালোবাসা হয় তাহলে আগের অনুভূতিটা কি ছিল? সেটা জতক্ষন সে বুঝতে পারেনি ততক্ষন তার কাছে কিছুই স্পষ্ট না। বেশ কিছুক্ষন দুজনে চুপ থাকার পর নিরবতা ভেঙ্গে ইভান বলল
–ডিসিশন নেয়াটা খুব কঠিন হয়ে গেলো তাই না?
ইরা তার দিকে তাকাল। ইভান কি বলতে চাইছে সেটা বুঝতে পারল না। আবার এই মুহূর্তে সে কি ভাবছে সেটাও বুঝতে দিতে চাইছেনা। তাই খুব ম্লান গলায় বলল
–কিসের ডিসিশন ভাইয়া?
ইভান সামনে তাকিয়েই একটু হাসল। তারপর বলল
–তুই এখন যার কথা ভাবছিস আমিও তার কথাই বলছি।
ইরা অবাক হয়ে তার দিকে তাকাল। কাপা কাপা গলায় বলল
–কাকে নিয়ে ভাবছি?
ইভান আগের অবস্থা থেকেই বলল
–বলেছিলাম না কোন কিছুই আমার চোখ এড়ায় না। তোর এই অনুভুতি গুলোও আমার চোখে ভালভাবেই পড়েছে। তুই নিজে যেটা বুঝতে পারিস নি সেটাও আমার বুঝতে বাকি নেই। নিজের অনুভুতি গুলো প্রকাশ করতে হয়। দেরি হয়ে গেলে তখন সেগুলোর কোন মুল্য থাকেনা।
ইরা অবুঝের মত তাকিয়ে থাকে। ইভান একটু হেসে ইরার মাথায় হাত দিয়ে বলে
–আচ্ছা তোর জন্য একটু সহজ করে দেই। সবাই কিন্তু রাজি। রিহাব কে সবার খুব পছন্দ হয়েছে।
ইভানের কথা শুনে ইরা একটু অপ্রস্তুত হয়ে যায়। নিচে তাকিয়ে থাকে। কি বলবে বুঝতে পারেনা। ইভান কোন কথা না বলে নিচে চলে যেতে নিলে ইরা মন খারাপ করে বলে
–রিহাব ভাইয়ার কার সাথে বিয়ে হচ্ছে?
এমন অবুঝের মত প্রশ্ন শুনে ইভান খুব বিরক্ত হয়। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুরে তাকিয়ে বলে
–সিরিয়াসলি ইরা! তুই কি সত্যিই এতো বোকা।
ইরা ইভানের কথা শুনে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকে। ইভান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে
–কাল বিয়ে। তোকে দাওয়াত দিয়েছে। তোর সুযোগ মতো ওর হসপিটালে চলে যাস। সেখানে গেলেই সব দেখতে পাবি। আমি এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।
বলেই ইভান চলে যায়। ইরা গভীর ভাবনায় ডুবে যায়। ইভানের কথার মানে বুঝতে চেষ্টা করে। সে যতই বোকা হোক হসপিটালে যে কারও বিয়ে হয়না সেটা খুব ভালো মতো বুঝতে পারছে। কিন্তু ইভান ওকে কেন যেতে বলল? বেশ কিছুক্ষন ভাবার পর ইরার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। সে ইভানের কথার মানে বুঝতে পেরেই হাসি মুখে এক দৌড়ে নিচে চলে গেলো।
৫২
ইরা রিসিপশনে দাড়িয়ে আছে। একজন মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো
–হাউ মে আই হেল্প ইউ ম্যাম?
–ডাক্তার রিহাব আছেন?
মেয়েটা ইরাকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলল
–ওনার সাথে কি অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে?
ইরা মাথা নাড়িয়ে না বলল। মেয়েটি বলল
–স্যার আজকে সারাদিন বিজি থাকবেন। ওনার সাথে দেখা হবেনা।
ইরা তার কথার কোন উত্তর না দিয়ে বলল
–উনি এখন কি করছেন?
মেয়েটি ইরার উপরে বিরক্ত হয়ে বলল
–স্যার এখন রাউন্ডে আছেন। কিন্তু দেখা হবেনা ওনার সাথে।
ইরা মেয়েটির দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে কোন কথা না বলে সোফায় বসে ওয়েট করতে লাগলো। কাজ শেষ করে রিহাব ওই দিক দিয়েই যাচ্ছিলো। হঠাৎ ইরার দিকে চোখ পড়তেই দাড়িয়ে গেলো। তার এখানে থাকার কারণটা রিহাবের বোধ গম্য হলনা। ইরার সামনে দাঁড়ালো। কিন্তু ইরা গভীর ভাবে ফোনের মাঝে ডুবে আছে। রিহাব ইরাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো
–তুমি এখানে?
রিহাবের কথা শুনে ইরা খানিকটা চমকে গেলো। তার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে পাশে ব্যাগটা হাতে নিয়ে দাঁড়ালো। সামনের ছোট ছোট চুল গুলো ঠিক করতে করতে বলল
–অন্য কারও আসার কথা ছিল কি?
রিহাব তার কথা শুনে তার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো। তারপর রিসিপশনের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল
–আমি একটু বিজি থাকব। কিছুক্ষনের জন্য আমাকে ডিস্টার্ব করবে না।
ইরার দিকে ঘুরে তাকিয়ে বলল
–আমার সাথে আসো।
ইরা মেয়েটার দিকে কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রিহাবের সাথে চলে গেলো। রিহাব ইরাকে তার কেবিনে আনল। তারপর সামনে সোফায় বসতে বলল। ইরা চারিদিকে ভালো করে দেখে নিয়ে সোফায় বসে পড়লো। রিহাব তার পাশে বসে তার দিকে তাকিয়ে বলল
–কখন এসেছ?
ইরা ফোনের দিকে চোখ রেখেই বলল
–১৫ মিনিট হবে।
–কি খাবে?
ইরা ফোন থেকে চোখ সরিয়ে রিহাবের দিকে তাকিয়ে বলল
–কফি।
রিহাব দুইটা কফি দিয়ে যেতে বলল। পানির গ্লাস হাতে নিয়ে সেটার দিকে তাকিয়েই বলল
–তুমি এখানে হঠাৎ?
ইরা কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–তার মানে আমি আসাতে আপনি খুশি হন নি?
রিহাব পানিটা শেষ করে গ্লাসটা রেখে বলল
–আমি সেরকম কিছুই বলিনি বা ইঙ্গিতও করিনি। আবার এভাবে তোমাকে এখানে এক্সপেক্টও করিনি। তাই একটু কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইছি কারণটা।
ইরা একটু হেসে বলল
–কেন কোন কারন ছাড়া কি আমি আপনার কাছে আসতে পারিনা?
রিহাব খুব সোজা সাপটা উত্তর দিলো
–আমার মনে হয়না কোন কারন ছাড়া আমার কাছে তোমার আসা উচিৎ।
রিহাবের কথা শুনে ইরার মন খারাপ হল। ফোনটা বন্ধ করে রিহাবের দিকে মনোযোগ দিলো। সে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। ইরা খুব শান্ত গলায় বলল
–রিহাব ভাইয়া একটা মানুষ যখন তার ভুল বুঝতে পেরে নিজে থেকেই মাফ চায় তখন আমার মনে হয় তাকে মাফ করে দেয়া উচিৎ।
রিহাব ইরার দিকে তাকাল। একটু হেসে স্বাভাবিক ভাবে বলল
–তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাও?
ইরা রিহাবের দিক থেকে চোখ নামিয়ে মিন মিনে কণ্ঠে বলল
–বিষয়টা ঠিক……।
ইরা কথা শেষ করতে পারেনা। থেমে যায়। রিহাব তার দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করে
–বিষয়টা কি ইরা?
ইরা এবার কঠিন হয়ে বলল
–না বোঝার তো কিছু নেই। আমি এখানে এতো আয়োজন করে নিশ্চয় আপনার বিয়ের দাওয়াত খেতে আসিনি।
রিহাব একটু হেসে বলল
–তাহলে কেন এসেছ?
ইরা চোখ নামিয়ে নিল। এক রাশ হতাশা নিয়ে বলল
–যে অনুভুতি বুঝে তাকে অপেক্ষা করানো ঠিক না আর যে বোঝেনা তাকে বোঝানো কি আপনার দায়িত্ব না?
ইরার কথার মানে বুঝতে পেরে রিহাব খুব শান্ত গলায় বলে
–আমি তো সব দায়িত্বই নিতে চেয়েছি। কিন্তু তুমি তো চাওনি।
ইরা ছল ছল চোখে কাপা কাপা গলায় বলল
–এখন কি সম্ভব না?
ইরার কথা শেষ হতেই দুই ফোটা পানি গাল বেয়ে পড়লো। সে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারল না। রিহাব তার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে এক হাতে তার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বলে
–কষ্ট পাচ্ছ তবুও নিজের মনের কথাটা বলতে পারছনা।
রিহাবের এমন আদুরে কণ্ঠে ইরা নিজেকে ঠিক রাখতে পারল না। তার চোখ বেয়ে আরও দ্রুত পানি ঝরতে লাগলো। কিন্তু এতো কষ্টের মাঝেও রিহাবের কাছেই তার ভাললাগছে। সে এই মুহূর্তটাকে মিস করতে চাইছেনা। তাই নিজেও সব সংকোচ পেরিয়ে রিহাবকে জড়িয়ে ধরল। রিহাব ইরার এভাবে জড়িয়ে ধরায় তাকে নিজের সাথে আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বলল
–আমি আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলেছি। কাল তোমাদের বাসায় যাবে সবার সাথে কথা বলতে।
কথাটা ইরার কানে আসতেই সে বাস্তবে ফিরে আসে। নিজের এমন কাণ্ডে অপ্রস্তুত হয়ে যায়। রিহাব কে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে সরে যায়। রিহাব নিঃশব্দে হেসে বলে
–এভাবে লজ্জা পেলে সারাজীবন আমার সাথে থাকতে পারবে তো?
ইরা তার কথায় আরও লজ্জায় মিইয়ে যায়। মাথা নামিয়ে হাসে। তার সেই সম্মতির হাসি রিহাবের মনকে শান্ত করে দেয়।
চলবে………।