তোর ছায়ার সঙ্গী হব পর্ব-২১

0
1499

#তোর_ছায়ার_সঙ্গী_হব
লেখক-এ রহমান
পর্ব ২১

৪৮
চেয়ারে হেলানি দিয়ে স্থির দৃষ্টিতে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে ইভান। দরজায় নক করতেই ওই অবস্থা থেকেই বলল
–কামিং!
বলেই চোখ তুলে তাকাতেই দেখল রিহাব অগ্নি দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে ইভান একটু হাসল। তারপর খুব শান্ত ভাবে বলল
–বস।
রিহাব রেগে বলল
–আমি যা জানতে এসেছি সেটা বল।
ইভান একটু হেসে বলল
–আগে তো বস। তারপর বলি। অনেক কথা তো। বলতে সময় লাগবে।
রিহাব সামনের চেয়ারে বসে ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল
–তোর এলোমেলো কথায় আগেই সন্দেহ হয়েছিলো কিন্তু এরকম কিছু সেটা বুঝতে পারিনি।
ইভান শব্দ করে হাসল। রিহাব রেগে বলল
–তুই কি জানিস ওখানে কি হতে যাচ্ছিলো? কোন ধারণা আছে আমি একটু লেট করলে কি হতো?
ইভান শান্ত দৃষ্টিতে রিহাবের দিকে তাকিয়ে বলল
–তোর কি মনে হয় আমি কোন প্রস্তুতি ছাড়াই এরকম একটা কাজে হাত দিবো। তোর সাথে সেদিন কথা বলেই আমি সব খবর নেই। শোভনের সাথে ইরার প্রেমের সম্পর্ক হয়ত এখনো হয়ে উঠেনি তবে ইরার অনুভুতি গুলো তার প্রতি ধিরে ধিরে গভীর হতে শুরু করেছিলো। শোভন সব কিছুই খেয়াল করছিলো। আর সে অল্প কিছুদিনেই ইরাকে প্রপোজ করত। আর ইরা যেহেতু ওকে পছন্দ করে তাই না বলার কোন প্রশ্নই উঠে না। শোভনের আচরণ সম্পর্কে ইরা কিছুই জানেনা। আর জানালেও সে বিশ্বাস করত না। উলটা আমাকেই ভুল বুঝত। যে বোকামিটা তুই করেছিস। তাই তো ছোট একটু নাটক করতে হল।
রিহাব হতাশ হয়ে বলল
–তুই তো নিজেও এটা করতে পারতিস আমাকেই কেন পাঠালি?
ইভান মুখ চেপে হেসে বলল
–নাহলে এই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হতে আরও দেরি হতো। কিন্তু আমি আর সময় নষ্ট চাইনা। আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়েটা হয়ে যাক।
রিহাব এবার রেগে চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে বলল
–তুই যা ভাবছিস তা কখনই হবে না। ইরা এই বিয়েতে রাজি না। আর আমি ওকে জোর করে বিয়ে করবোনা।
কথা শেষ করেই রিহাব চলে যাওয়ার জন্য যেতে নিলেই ইভানের কথায় থেমে যায়।
–যদি ইরা রাজি হয় তাহলে?
রিহাব এবার নিজেকে শান্ত করে আবার ইভানের সামনের চেয়ারে বসে খুব শান্ত ভাবে বলল
–তুই আসলে কি চাইছিস বল তো?
–আমি চাইছি তোর আর ইরার বিয়েটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়ে যাক।
–কিন্তু আমি এই বিয়ে করতে চাইছিনা।
–তুই তো ইরাকে পছন্দ করিস তাহলে কেন চাইছিস না?
–আমি ইরাকে পছন্দ করি ঠিকই কিন্তু ইরা আমাকে পছন্দ করেনা। তাই আমি জোর করে কিছুই করতে চাইছিনা।
–ইরা খুব ইমোশনাল। ওর ইমোশন ক্যাপচার করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার না।
রিহাব একটু রেগে বলল
–তুই কি বলছিস সেটা বুঝতে পারছিস নাকি না বুঝেই বলছিস? সব জায়গায় তোর এই নাটক কাজে দেয়না ইভান। এটা আমার লাইফ! সারাজিবনের একটা সম্পর্ক। আমি এখানে কোন রিস্ক নিতে চাইনা। আমি এমন কিছুই করতে চাইনা যাতে এটার প্রভাব ভবিষ্যতে পড়ে। তুই কি আবার সেই ৫ বছর আগের ঘটনা তৈরি করতে চাইছিস? তোর অনেক ধৈর্য তাই তুই সব কিছু মেনে নিয়েছিলি। কিন্তু আমার অতো ধৈর্য নেই। আমি আমার জীবনের এতগুল বছর সামান্য একটা ভুল বুঝাবুঝির অবসান হওয়ার অপেক্ষায় নষ্ট করতে পারিনা।
ইভান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
–আমার আর ঈশার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। তুই সবটা জেনেও এমন কথা কেন বলছিস? আমাদের মধ্যে আদৌ কি কোন ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো? ঈশার মধ্যে আমাকে বোঝার ভুল থাকতে পারে কিন্তু আমার মধ্যে ঈশার প্রতি কোন মান অভিমান কিছুই ছিল না। আমাদের সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য অনেক কিছুই করা হয়েছিলো। আর আমি এতো বছর ঈশার উপরে অভিমান করে যে দূরে ছিলাম না সেটা তুই জানিস। কারণটাও ভালো করেই জানিস। তাই এরকম ভাবার কোন কারন নেই। আর এখানে ভুলের কোন জায়গা নেই রিহাব। ইরাকে শুধু ওর ভুলটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। যা হয়েছে সেটা আজ নাহলেও পরে তো হতোই। তখন কি হতে পারতো ভেবেছিস একবারও।
রিহাব একটু ভেবে বলল
–আমাকে নিয়ে ইরার মনে এমনিতেই অনেক খারাপ ধারনা আছে। কিছু করতে গিয়ে বিষয়টা যদি আরও খারাপ হয়ে যায় তাহলে?
ইভান একটু হেসে বলল
–ওই সিচুয়েশনে তুই শোভনের থেকেও ওর কাছে বেশি অপরিচিত ছিলি। কিন্তু শোভনের কাছ থেকে বাঁচতে তোকে জড়িয়ে ধরা মানে বিশ্বাসটা কত বেশি সেটা বোধ হয় আর বলার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া তুই নিজেই তো শোভন কে বলেছিস যে তোর বুকেই ইরা নিজেকে সেফ মনে করছে।
ইভানের কথা শুনে রিহাব একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। কারন এতো টেনশনের মাঝে এই বিষয়টা রিহাবের মাথাতেই ছিলোনা। ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল
–সব কিছু গুছিয়ে রেখেছিলিস আগে থেকে। তুই যে কি……।
ইভান তার কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে বলল
–সব কিছু গোছানো ছিল কিন্তু এটা ছিলোনা। আমি আসলে এটাই দেখতে চেয়েছিলাম ইরার চোখে। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি দেখতে পাব তা ভাবিনি। এখন শুধু ইরাকে রিয়েলাইয করানোর পালা।
রিহাব ইভানের দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে চেয়ার থেকে উঠে বলল
–আমার কাজ আছে। আমি যাচ্ছি।
বলেই দরজা খুলতে গেলেই পিছন থেকে ইভান আবার বলল
–তোর হবু বউকে বিয়ের দাওয়াত টা কাল বাসায় এসে দিয়ে যাস। পাত্রির নামটা নাহয় গোপন থাকলো।
রিহাব বিরক্ত হয়ে বলল
–তোর যা মনে চায় কর। আমাকে এসব বলিস না।
ইভান একটু হেসে বলল
–ঠিক আছে। আমিই নাহয় সব করবো। তোর কিন্তু দাওয়াত থাকলো কাল। কাজ শেষ করে আসিস।

৪৯
অনেক রাত হয়েছে। ঈশা ইভানের জন্য অপেক্ষা করছে। আসতে এতো দেরি হচ্ছে কেন? খুব চিন্তা হচ্ছে তার। ভাবনার মাঝেই কলিংবেল বেজে উঠলো। ঈশা দরজা খুলে কঠিন ভাবে ইভানের দিকে তাকিয়ে আছে। ইভান শান্ত ভাবে বলল
–সরি জান। দেরি হয়ে গেলো।
ঈশা কোন কথা না বলে ঘরে চলে এলো। ইভানও ঈশার পিছনে ঘরে চলে এলো। ঈশা কোন কথা বলছেনা। ইভান তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল
–আজকে একটা খুব জরুরী মিটিং ছিল। কিছু নতুন স্টাফ জয়েন করলো। তাদের জন্যই মিটিং। তাই শেষ করতে দেরি হয়ে গেলো।
ঈশা এমন ভাব করলো যেন ইভানের কথা তার কানেই গেলনা। ইভান ঈশাকে ছেড়ে দিলো। একটু দূরে দাড়িয়ে আছে হাত গুঁজে। বেশ কিছুক্ষন ইভানের উপস্থিতি না পেয়ে ঈশা পিছনে ঘুরে তাকায়। ইভান তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা রেগে গিয়ে বলল
–তুমি খুব খারাপ একটা মানুষ।
ইভান হাসতে চেয়েও চেপে গিয়ে একি অবস্থা থেকেই বলল
–এটা পুরাতন কথা। নতুন কিছু বল।
ঈশা আরও রেগে বলল
–তোমার মতো বাজে দুনিয়াতে আর একটাও নেই। আমার কাছে আসবেনা একদম। দূরে যাও।
ইভান নিজের হাসি চেপে রেখে বলল
–মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে গেছে। চোখে কি কম দেখছিস? আমি আমার জায়গাতেই আছি। কাছে যাইনি তো।
কথাটা শেষ হতেই ঈশার মেজাজ চরম খারাপ হয়ে গেলো। সে বের হয়ে যাবে তখনি ইভান তার হাত টেনে তাকে দেয়ালের সাথে আটকে দেয়। ঈশা নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে। ইভান কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে
–এভাবে অকাজে নিজের শক্তি প্রয়োগ করে লাভ নেই। তুই নিজেকে ছাড়াতে পারবিনা।
ঈশা থেমে গেলো। মাথা নিচু করে মুখ কাল করে দাড়িয়ে থাকলো। ইভান ঈশার সামনের চুল গুলো কানে গুঁজে দিয়ে কোমর টেনে তাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। ঈশা ইভানের শার্টের কিছু অংশ খামচে ধরে। ইভানের ভারি নিশ্বাস ঈশার মুখে পড়ছে। মাতাল করা পারফিউমের সেই ঘ্রান ঈশাকে আরও কাছে টানছে। ইভান ঈশার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল
–তুই কি সত্যিই চাস আমি তোর কাছে আসবনা। ঠিক আছে। তাহলে আসবো না।
বলেই ঈশাকে ছেড়ে দিলো। ঈশা রেগে আগুন হয়ে গেলো। সে ইভানের কাছে এসে তার শার্টের কলার টেনে ধরে মুখের কাছে নিজের মুখ এনে বলল
–তুমি চাইলেও আমার কাছ থেকে দূরে যেতে পারবে না। তোমাকে আমি আমার কাছে আসতে বার বার বাধ্য করবো।
ঈশার কথা শেষ হতেই ইভান তার ঠোঁট ঈশার ঠোটের মাঝে ডুবিয়ে দিলো। ইভানের মোহময় স্পর্শে ঈশার সব রাগ পানি হয়ে গেলো। সে চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে। ইভান দুই হাতে তাকে জড়িয়ে নিলো। ঈশাও ইভানের পিঠের শার্ট খামচে ধরল। কিছুক্ষন পর ইভান তার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল
–সরি জান। আমি চাইলেও তোর রাগ ভাঙ্গাতে পারতাম না। কারন আমি জানি তোর রাগের থেকে জেদটা একটু বেশি। তাই আরেকটু সেটা বাড়িয়ে দিলে তুই জেদ করে নিজে থেকেই আমার কাছে আসবি আর আমার রাগ ভাঙ্গাতেও সহজ হয়ে যাবে। দেখ তাই হল।
ঈশা কোন কথা না বলে ইভান কে জড়িয়ে ধরল। ইভান নিশব্দে হেসে ঈশার মাথাটা তার বুকে চেপে ধরে বলল
–তোকে কখন কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয় সেটা আমি ভালো করেই জানি।
ঈশা বুকের ভিতরে মাথা রেখেই বলল
–ফ্রেশ হয়ে এসো। খাবে না।
–তুই খেয়েছিস?
ঈশা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল। ইভান ঈশার চুলের ভাজে হাত বুলাতে বুলাতে বলল
–মিটিং ছিল আজকে। তাই খেয়ে এসেছি।
ঈশা আর কিছু বলল না। ইভান ঈশাকে ছেড়ে দিয়ে বলল
–আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
ঈশার কপালে একটা চুমু দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

৫০
সবাই মিলে টেবিলে বসে খোশ গল্পে মশগুল। চায়ের সাথে আড্ডা বেশ জমিয়ে উঠেছে। ছোট বেলার কথা গুলো মনে করে সবাই হাসতে লাগলো। ইভান বারবার ঘড়ি দেখছে। বেশ বোঝা যাচ্ছে কারও জন্য অপেক্ষা করছে। ঈশা বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করলো
–কার জন্য এতো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছ?
ইভান তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসল। কিছু বলতে যাবে তার আগেই কলিং বেল বেজে উঠলো। মুখের হাসিটা প্রশস্ত করে বলল
–রিহাব এসেছে।
বলেই ইরার দিকে তাকাল। ইরার কানে কথাটা যেতেই সে দরজার দিকে ঘুরে তাকাল। ঠোটের কোণে ক্ষীণ হাসি ইভানের চোখ এড়াল না। ইলহাম দরজা খুলে রিহাবকে ভিতরে ঢুকতে সাইড দিলো। রিহাব ঢুকেই ইরার দিকে তাকাল। ঠোঁটে মিষ্টি হাসি নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘটনাটা বাড়ার আগেই ইভান বাধা দিয়ে বলল
–তাড়াতাড়ি আয়। তোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
ইরার ঘোর কাটতেই সে মাথা ঘুরিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। রিহাব ইভানের পাশে এসে বসে। ইভান একটু হেসে রিহাবের দিকে তাকিয়ে বলল
–ঈশা রিহাব বিয়ে করছে তোকে বলেছে?
রিহাব ইভানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে নিলো। ঈশা কৌতূহলী কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো
–সত্যি ভাইয়া! কই আমি তো জানিনা।
ঈশার কথার উত্তরে রিহাব কি বলবে বুঝতে পারল না। অগ্নি দৃষ্টিতে ইভানের দিকে তাকাল। ইভান হালকা হেসে দুষ্টুমির সূরে বলল
–কি বলিস তোকে জানায় নি এখনো? ছি রিহাব! তুই ঈশাকে বলিস নি? আচ্ছা ঠিক আছে এখন বল।
রিহাব রেগে গেলো ইভানের কথায়। পাশ ফিরে ইরার দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো ইরার মুখও ভঙ্গি আগের মত নেই। মুখটা কাল করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। কথাটা যে তার পছন্দ হয়নি সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। রিহাব তার দিকে তাকিয়েই বলল
–আর কত অপেক্ষা করবো। তাই এবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম।
ইলহাম খুশি হয়ে বলল
–কবে বিয়ে হচ্ছে?
রিহাব একটু হেসে ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল
–কথা চলছে। সব ঠিক থাকলেই এই সপ্তাহেই বিয়ে।
ইভান নিঃশব্দে হেসে ফেললো। ঈশা অবাক হয়ে বলল
–এতো তাড়াতাড়ি কেন?
–আসলে আব্বু আম্মু সামনে সপ্তাহে লন্ডন চলে যাবে। প্রায় ৬ মাসের জন্য। তাই তাদের তাগিদেই তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হচ্ছে। আর আমিও ভাবলাম যে অনুভূতির মুল্য বোঝে তাকে বেশিদিন অপেক্ষা করানো ঠিক না। নাহলে একবার সেই মানুষটা হারিয়ে গেলে শত চেষ্টায়ও আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না।
রিহাব কথাটা বলে মাথা নিচু করে হাসল। ইরা রিহাবের কথা শুনে তার দিকে তাকাল। রিহাবের কথাটা তাকে কোথাও একটা খুব করে আঘাত করলো। সেই আঘাতের মানেটা ইরার কাছে স্পষ্ট না। কারণটা সে এখনো বুঝতে পারছে না। রিহাবের সেই হাসি ইরার শরীরে একটা অদ্ভুত জ্বালার সৃষ্টি করছে। ইভান ঠোঁটে বাকা হাসি নিয়ে নিস্পলক ইরার দিকে তাকিয়ে আছে। আর ইরা রিহাবের দিকে।

চলবে………।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে