তোর ছায়ার সঙ্গী হব পর্ব-১৭

0
1615

#তোর_ছায়ার_সঙ্গী_হব
লেখক-এ রহমান
পর্ব ১৭

৩৮
অনুভূতিহীন নিরব দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে ঈশা। তার দৃষ্টিতে আজ কোন অনুভুতি নেই। হয়ত মানুষের সব থেকে কষ্টের সময় অনুভুতি শুন্য হয়ে যায়। আশে পাশে সবাই কাঁদছে। কিন্তু ঈশার চোখে কোন পানি নেই। ইভানের এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাই সবাই বেশ চিন্তিত। সবাই কান্নাকাটি করছে। কিন্তু ঈশা কোন কথাই বলছেনা। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনে। নার্সের ব্যস্ত কণ্ঠ শুনে তার ধ্যান ভাঙ্গে
–এখনি আরও এক ব্যাগ রক্ত লাগবে। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করেন।
ঈশা ফিরে তাকায়। রাশিক আর সাহিল রক্ত ম্যানেজ করতে বের হয়ে যায় দ্রুত। ঈশা খুব শান্ত কণ্ঠে নার্স কে জিজ্ঞেস করে
–আমি কি একবার ইভান কে দেখতে যেতে পারি?
নার্স তার দিকে একবার তাকায়। ঈশার মনের অবস্থা বুঝতে পারে তিনি। হালকা হাতে তার মাথা স্পর্শ করে বলে
–আমার হাতে কিছুই নেই মা। তুমি দোয়া কর। আমি তোমাকে অনুমতি দিতে পারবোনা।
নার্সের কথা শেষ হতেই একজনের কণ্ঠ শুনে দুজনেই পিছনে ফিরে তাকায়।
–ওকে যেতে দিন।
কথাটা বলতে বলতে রিহাব সামনে এগিয়ে আসে। ঈশা অসহায়ের দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। নার্স কিছু না বলে চলে যায়। রিহাব ঈশার সামনে দাড়িয়ে বলে
–আমাকে চিনতে পেরেছ ঈশা?
ঈশা রিহাবের দিকে তাকিয়ে বলে
–আপনি এতদিন পর?
রিহাব একটু হেসে বলে
–পড়ালেখা শেষ করতে এতদিন দেশের বাইরে ছিলাম। শেষ করে গত সপ্তাহে ফিরেছি। বাবার হসপিটালের দায়িত্ব গুছিয়ে নিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এর মাঝে শুনলাম ইভান এসেছে। ভেবেছিলাম একটু গুছিয়ে নিয়ে তোমাদের সাথে দেখা করতে যাব। কিন্তু আজ সাহিল ফোন দিয়ে খবর দিলো। তখনি আমি তাড়াতাড়ি ওকে এখানে আনতে বলি।

রিহাব ইভানের ছোটবেলার বন্ধু। খুব ভালো সম্পর্ক দুজনের মধ্যে। রিহাব ডাক্তারি পড়ার জন্য দেশের বাইরে চলে যায়। তাই তাদের মধ্যে মাঝখানে তেমন যোগাযোগ ছিলোনা। পড়া শেষ করে ফিরে এসে নিজের বাবার হসপিটালের দায়িত্ব নিয়ে নেয় সে।

ঈশা অসহায়ের মতো বলে
–আপনাকে দেখে মনের মাঝে একটু হলেও স্বস্তি পেলাম রিহাব ভাইয়া।
রিহাব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
–তুমি ভিতরে যাও। তোমার ওকে এই মুহূর্তে খুব দরকার। তবে হ্যা কিছু রুলস আছে জেগুলা তোমাকে মানতে হবে।

ঈশা মাথা নাড়িয়ে আই সি ইউর পোশাক পরে ভিতরে চলে গেলো। ভিতরে ঢুকেই দেখল ইভানের জ্ঞান শুন্য দেহটা বিছানায় ছড়িয়ে দিয়ে আছে। ঈশার চোখ ভরে আসলো। কিন্তু সে কাঁদতে পারবেনা। রিহাব স্ট্রিক্টলি বলে দিয়েছে ঈশাকে। চোখের পানি মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করে ইভানের পাশে বসলো। তার হাত ধরে বলল
–আমি জানি তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাও।

৩৯
সবার চোখে মুখে খুশির ছটা ইভানের জ্ঞান ফিরেছে। কিছুক্ষন পরেই তাকে কেবিনে শিফট করা হবে। সবাই তার সাথে দেখা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে আছে। নার্স এসে বলল
–রুগিকে কেবিনে দেয়া হয়েছে। আপনারা চাইলে দেখা করতে পারেন।
সবাই ঘরে গেলো। ইভান কে দেখে সবাই খুব খুশি। তার সাথে এক এক করে কথা বলছে। রিহাব এসে রুমে ঢুকতেই ঈশার বাবা বলল
–আমরা এখন বাইরে যাই। ওর রেস্ট দরকার।
তার কথা শুনে সবাই বাইরে চলে গেলো। রিহাব এসে ইভানের পাশে বসলো। রিহাব কে দেখে ইভান অবাক হয়ে বলল
–তুই?
রিহাব রেগে বলল
–আমিই তোর ট্রিটমেন্ট করেছি।
ইভান খুব শান্ত কণ্ঠে বলল
–তুই কবে এসেছিস? আর আমার সাথে দেখা করিস নি।
রিহাব বলল
–১ সপ্তাহ হল এসেছি। সব গুছিয়ে নিয়ে ভেবেছি তোর সাথে দেখা করবো। কিন্তু তার আগেই তো তোর এই অবস্থা!
ইভান খুব শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলো
–ঈশা কোথায়?
রিহাব একটু হেসে বলল
–তোর কাছেই সারা রাত ছিল। তাই আমিই একটু রেস্ট নিতে বাসায় পাঠিয়েছিলাম। চলে আসবে।
ইভান চিন্তিত হয়ে বলল
–ঠিক আছে তো?
–ভাবিস না। প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলো। পরে ওর অবস্থা বুঝতে পেরে ওকে তোর কাছে থাকার পারমিশন দেই। তারপর একটু শান্ত হয়।
তাদের কথার মাঝেই রাশিক আর সাহিল ঢুকে পড়লো। দুজনি তাদের দিকে তাকাল। সাহিল এসে রিহাবের ঘাড়ে হাত রেখে বলল
–তুই না থাকলে যে কি হতো?
রিহাব ওকে হালকা হাতে মেরে বলল
–এতদিন পর দেখা হল বলে পর ভাবছিস তাই না? তাই তো এরকম কথা বলছিস। আমি বিপদে পড়লে কি তোরা আমাকে ফেলে চলে যেতিস?
তার কথা শুনে সবাই একটু হাসল। রাশিক ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল
–ঠিক করে বলত কিভাবে হল এটা?
ইভান নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল
–যা ভেবেছিস তাই। কিন্তু এই বিষয়ে আর কোন কথা না। কারও কানে যেন কিছুই না যায়। মনে রাখিস।
ইভানের কথা শেষ হতেই ইরা ভিতরে ঢুকে এক গাল হেসে বলল
–ভাইয়া কেমন আছো?
তাকে দেখে ইভান হেসে হাতের ইশারায় কাছে ডাকল। ইরা তার কাছে আসতেই বসতে বলল। সে পাশে চেয়ারে বসে পড়লো। ইভান তার হাত ধরে বলল
–আমি ভালো আছি। কিন্তু তোর কথা বল। কেঁদে কেঁদে কি অবস্থা বানিয়েছিস?
ইরা একটু মন খারাপ করে বলল
–খুব ভয় পেয়েছিলাম। তুমি কিভাবে বুঝবে তুমি কি দেখেছ নিজের অবস্থা?
ইরার এমন অবুঝের মতো কথা শুনে সবাই হেসে দিলো। ইরা একটু লজ্জা পেলো। ইভান ইরাকে জিজ্ঞেস করলো
–খেয়েছিস?
ইরা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলো
–ইলহাম কে দেখছিনা?
–ভাইয়া আপুকে নিয়ে বাসায় গেছে। চলে আসবে এখনি।
রশিক আর সাহিল তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে গেলো। ছেলে গুলো খুব খেটেছে। তাই একটু বাসায় গিয়ে রেস্ট নিবে। ইভান কিছু বলতে যাবে রিহাব কে তাই পাশে মাথা ঘুরিয়ে দেখল রিহাব নিস্পলক ইরার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষন রিহাবের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
–এটা হসপিটাল তাই ডাক্তার এর মন সব সময় পেশেনটের উপরেই থাকা উচিৎ।
ইভানের কথা শুনে রিহাব ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকাল। ইভান কঠিন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ইভানের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে রিহাব তার কথার মানে বুঝতে চেষ্টা করলো। কিছুক্ষন ভাবার পর রিহাবের বুঝতে বাকি থাকলো না সে কি বুঝাতে চেয়েছে। তাই একটু হেসে বলল
–ডাক্তার হওয়ার আগে আমি একজন মানুষ। হসপিটালে আসার সময় নিজের অনুভুতি গুলো বাসায় রেখে আসিনি। সাথে করে এনেছি।
ইভান তার কথা শুনে হাসল। ইরা ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল
–ভাইয়া তুমি রেস্ট নাও। আমি একটু আসছি। আপু আসলে আবার আসবো।
বলেই বের হয়ে গেলো। রিহাব ইরার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
–ভেবেছি প্রতিদিন একবার তোর বাসায় চা খেতে যাব। নিয়ম করে।
ইভান কঠিন গলায় বলল
–আমি ওর বড় ভাই এখনো বেঁচে আছি।
রিহাব তার দিকে তাকিয়ে বলল
–প্রেমিক পুরুষেরা এসবের ভয় করেনা।
–ও কিন্তু ঈশার মতো নয়। খুব স্ট্রিক্ট।
–আমি ডাক্তার। স্ট্রিক্ট কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সেটা আমি ভালো করেই জানি।
তাদের কথার মাঝেই ঈশা আর ইরা ঢুকল। ঈশাকে দেখে রিহাব তার দিকে তাকিয়ে বলল
–তুমি এতো তাড়াতাড়ি এলে কেন? তোমাকে আমি রেস্ট নিতে পাঠিয়েছিলাম।
ঈশা ধির কণ্ঠে বলল
–আমার রেস্ট নেয়া হয়ে গেছে ভাইয়া।
রিহাব চোখ ফিরিয়ে ইভানের দিকে তাকাল। সে ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–তুমি বস আমি যাই।
বলেই উঠে পাশে দাঁড়ালো। ঈশা চেয়ারে বসে পড়লো। ঈশাকে বসতে দেখে রিহাব ইরার সামনে দাড়িয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে স্থির কণ্ঠে বলে
–ওরা কথা বলুক। তুমি আমার সাথে আসো।
রিহাবের কথা শুনে ঈশা আর ইভান দুজনেই তার দিকে তাকাল। রিহাব তাদের দিকে একবার তাকিয়ে ইরার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে ধমকের সূরে বলল
–কি হল চল!
ইরা রিহাবের ধমকে একটু হকচকিয়ে গেলো। তারপর কোন কথা না বলে ঈশা আর ইভান কে একবার দেখে নিয়ে বাইরে চলে গেলো। রিহাব ইভানের দিকে তাকিয়ে হাসল। তাদের দুজনের বাইরে যাওয়ার দিকে ঈশা তাকিয়ে থাকলো। ইভান ঈশার দিকে তাকাতেই ঈশাকে ভাবনায় ডুবে থাকতে দেখে বলল
–এতো টেনশন করার কিছুই নেই। তুই জানিস রিহাব কেমন ছেলে! তাছাড়া আমি আছি তো এসব নিয়ে ভাবতে। তোর এই মলিন মুখটা আমাকে খুব কষ্ট দেয় জান।
ইভানের কথা শুনে ঈশা তার দিকে তাকাল। ইভানের দিকে তাকাতেই ঈশার চোখ ভরে এলো। চোখ নামিয়ে নিতেই দুই ফোটা পানি গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। ইভান তার হাত শক্ত করে বলল
–আমার শারিরিক কষ্টের চেয়ে তোর চোখের পানিটা আমাকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে। তুই কি বুঝতে পারিস না?
ইভানের কথা শুনে ঈশা চোখের পানি মুছে ফেললো। কিন্তু নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছেনা কিছুতেই। আবার দু চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। ইভান আবার বলল
–তুই জানিস তুই ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকি। তুই এভাবে ভেঙ্গে পড়লে আমি কিভাবে ঠিক থাকি বল।
ঈশা দুই হাতের পিঠ দিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে নিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলল
–কত ভয় পেয়েছিলাম জানো?
–কি ভেবেছিলি আমি মরে গেছি!
ঈশা রাগ করে ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল
–তুমি কি কখনও ভালো কথা বলতে পারনা?
ইভান একটু হেসে বলল
–পারিনা যে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। পারলে এতদিনে কবেই তোকে পোটেই ফেলতাম।
ঈশা এবার আরও রেগে গেলো। কঠিন দৃষ্টিতে ইভানের দিকে তাকিয়ে থাকলো। ইভান মুচকি হেসে বলল
–আমার এই ঈশাকেই বেশি ভাললাগে। জেদি রাগী কিন্তু ইনোসেন্ট! ইমোশনাল ঈশা আমার একেবারেই পছন্দ না।
ঈশা খুব বিরক্ত হয়ে বলল
–আমি তোমার উপরে বিরক্ত হচ্ছি।
–জানি তো! তোর আর আমার সম্পর্কটাই এরকম। আমি বিরক্ত করবো আর তুই বিরক্ত হবি।
ইভানের কথা শুনে ঈশা কি বলবে বুঝতে পারলনা। কিন্তু না চাইতেও হেসে দিলো। কারন সত্যিই ইভান আর ঈশার সম্পর্কটা এরকমই। ভালবাসাময় খুনসুটিতে ভরা এই মিষ্টি সম্পর্ক।

৪০
রিহাব ইরার সামনে দাড়িয়ে আছে। তার দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো
–তুমি এখন কি করছ ইরা?
ইরা এতক্ষন নিজের ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিল। তার কথা শুনে মাথা তুলে বলল
–অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছি ভাইয়া।
–খুব ভালো। পড়া শেষ করে কি করবে ভাবছ?
–আপাতত তেমন প্ল্যান নেই। সময় হলে ভাববো।
রিহাব হাত গুঁজে ভালো করে দাড়িয়ে বলল
–আর বিয়ে নিয়ে কিছু ভেবেছ?
ইরা রিহাবের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়। একটুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে
–ভাবার কি আছে? যখন সময় হবে তখন ভাববো।
–কেমন ছেলে পছন্দ তোমার?
ইরা এবার আরও অবাক হয়ে তাকায়। কি বলবে বুঝতে পারেনা। তার এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে রিহাব বুঝতে পারল ইরা তার কথায় অপ্রস্তুত হয়ে গেছে। তাই পরিস্থিতি সামলাতে বলে
–জাস্ট কিউরিসিটি থেকেই জিজ্ঞেস করলাম।
ইরা আবার ফোনে মনোযোগ দিলো। তারপর কি মনে করে মাথা তুলে জিজ্ঞেস করল
–ইভান ভাইয়াকে আমরা কবে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারব?
–একটু সুস্থ হলেই নিয়ে যেতে পারবে।
ইরা আবার ফোনের মাঝে চোখ ডুবিয়ে দিলো। রিহাব কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
–তোমার কি কোন বয় ফ্রেন্ড আছে?
ইরা চোখ তুলে রিহাবের দিকে ভ্রু কুচকে তাকাল। এমন প্রশ্ন করার কারন বুঝতে চাইলো। কিন্তু না বুঝেই মাথা নাড়িয়ে না উত্তর দিলো। রিহাব ইরার চোখের দিকে তাকিয়ে একটু কঠিন গলায় বলল
–তাহলে এতো মনোযোগ দিয়ে কার সাথে চ্যাটিং করছ?
ইরা এবার একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। রিহাব এভাবে তাকে জেরা করছে কেন? আর সেই বা বুঝল কিভাবে যে ইরা চ্যাটিং করছে? রিহাবের এমন আচরনের মানে বুঝতে না পেরে ইরা তার দিকে তাকিয়ে থাকলো। রিহাবও ইরার দিকে তাকিয়ে থাকলো। কিন্তু কেউ কোন কথা বলছেনা। এমন সময় নার্স এসে বলল
–স্যার আপনাকে একটু ৬ নাম্বার রুমে ভিজিটে যেতে হবে।
রিহাব নার্সের দিকে তাকিয়ে ইশারায় যেতে বলল। তারপর ইরার দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বলল
–এখন থেকে আশে পাশের মানুষকে সময়টা একটু কম দিবে। কথাটা মাথায় রেখো!
কথাটা শেষ করেই সে সামনের দিকে চলে গেলো।

চলবে………।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে