#তোর_ছায়ার_সঙ্গী_হব
লেখক-এ রহমান
সূচনা পর্ব
১
–সবাই এসে গেছে।
ইরার কথা শুনে ঈশা সামনে তাকায়। তিনটা গাড়ি বাড়ির সামনে দাঁড়ালো। এক এক করে সবাই গাড়ি থেকে নামছে। নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস ঠিক মতো নামাতে ব্যস্ত সবাই। সবার পিছনের কাল রঙের কারটা থেকে একজন নেমে গাড়ির দরজা টা ধরে দাড়িয়ে নিস্পলক ছাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশাকে এমন ভাবে দেখছে যেন নিজের তৃষ্ণার্ত চোখ গুলোকে তৃপ্ত করে নিচ্ছে। ঈশাও তার দিকে নিস্পলক তাকিয়ে আছে।
–আপু!! নিচে চল। সবাই এসে গেছে তো।
ইরার কথায় এবার ঈশা তার দিকে ঘুরে বলল
–বাবা কোথায়?
–অফিসে
–কখন আসবে?
–তাড়াতাড়ি চলে আসবে। কি যেন জরুরী কাজ আছে। নাহলে নাকি আজ জেতনা।
কথা শেষ করে ঈশা নিচে নামতে যাবে তখনি ইরা তার দিকে তাকিয়ে পিছন থেকে বলল
–আপু তোমাকে কি নিতে এসেছে?
ঈশা তার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকাল। তার কথার উত্তর না দিয়ে বলল
–নিচে চল। সবাই অপেক্ষা করছে।
দুজনে তিনতলার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে দেখল দোতলার সিঁড়ি বেয়ে সবাই এক এক করে উপরে উঠছে। চাচি ঈশাকে দেখে তার কাছে এসে মাথায় হাত দিয়ে বলল
–কেমন আছিস মা?
–ভালো আছি চাচি।তুমি কেমন আছো? একটু হেসে তার চাচিকে জড়িয়ে ধরে বলল।
–ভালো…
ঈশার চাচি রুবিনা বেগম কথা শেষ করতে পারলনা। তার ছোট ছেলে ইলহাম এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল
–মিস ইউ মাই ডিয়ার আপি!
ঈশা হেসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল
–দেখা হলেই মনে হয় আমার কথা। তাছাড়া তো একবারও খোঁজ নিস না। আমি বেঁচে আছি না মরে গেছি।
–তুমি কেমন আছো তা তো আমি কাউকে দেখেই বুঝতে পারি। আলাদা করে তোমার সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়েনা।
একটু হেসে কথাটা বলল ইলহাম। তার কথা শুনে ঈশা গম্ভীর হয়ে যায়। কিছুক্ষন চুপ করে থাকে। সবাই তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে দেখে পরিস্থিতি সামলাতে বলে
–পাজি ছেলে খুব পেকেছ না!
–আরে আপি আর বলনা। তোমার সাথে অনেক কথা আছে। কানের কাছে মুখ এনে বলে
–সিক্রেট!!
ঈশা একটু হেসে তার গালে আসতে করে মেরে ভিতরে যেতে ইশারা করে। তারপর দাড়িয়ে থেকে এক এক করে সবার সাথে গলা মেলায়।ভিতরে ঢুকে যায়। সবাই সাথে কথা বলছে আর হাসছে। ঈশার মাও রান্না ঘর থেকে বের হয়ে এলো। সবাইকে দেখে হাসি দিলো। যেন এক উতসব মুখর পরিবেশ সারা বাড়িতে। ঈশার মা চারিদিকে দেখে বলে
–ইভান কোথায়?
নামটা শুনে ঈশা দাড়িয়ে যায়। মুখ ঘুরিয়ে কিছু একটা ভাবতেই পিছন থেকে আওয়াজ আসে
–আমাকে খুজছিলে বুঝি?
ঈশার মা ঘুরে তাকায়। হোয়াইট টি শার্ট আর ব্ল্যাক জিন্স পরে ইভান দাড়িয়ে আছে। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে। ৫বছর আগে ইভান যেমন ছিল এখন আর তেমন নেই। অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। ইভান দেখতে বেশ হ্যান্ড সাম। ইভান কে দেখে ঈশার মা নিজের খুশি ধরে রাখতে পারেনা। ইভান ঈশার চাচার ছেলে। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই সে ঈশার মায়ের কাছেই বড় হয়েছে। তার কোন ছেলে নেই বলে তিনি ইভান কেই নিজের ছেলের মতো দেখেন। তিনি এতদিন পর ইভান কে দেখে কেদে ফেললেন।ইভান তার কাছে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে
–কাদছ কেন? আমি এসেছি তো!
–কতদিন পর তোকে দেখলাম। কাঁদতে কাঁদতে কথাটা বলল ঈশার মা।
ইভান এবার তাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল
–তোমাদেরকে অনেক মিস করেছি।
ঈশার দিকে তাকিয়ে ইভান কথাটা বলল। কিন্তু ঈশা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ইভানের কথা তার কানে গেলেও মন পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারল কিনা তা ইভান বুঝতে পারলনা। তাদেরকে এভাবে কাঁদতে দেখে ইলহাম পরিস্থিতি সামলাতে ঈশার কাছে এসে তার গলা জড়িয়ে বলল
–তোমার বড়মা আছে আর আমার আপি আছে। তাই না আপি।
ঈশা এবার একটা হাসি দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল
–আমি সব সময় তোর জন্য থাকব। তুই আমার একটাই ভাই।
এই কথা শুনে ইরা এবার মন খারাপ করে বলল
–ওহ তাই নাকি! আর আমি…
তার কথাটা শেষ না হতেই ইভান বলে উঠলো
–তোর জন্য তোর ভাই আছে। ভাবিস না।
কথাটা শেষ হতেই ইরা ইভান কে জড়িয়ে ধরে বলল
–মাই ওয়ার্ল্ডস বেস্ট ব্রাদার!
তাদের কথা শুনে সবাই হেসে দিলো। যে যার মতো কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো। ঈশা তার ঘরে চলে গেলো। ইভান সারা রাস্তা ড্রাইভ করেছে। খুব টায়ার্ড! ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশ রুমের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর জোরে চিৎকার করে বলল
–আর কতক্ষণ ইলহাম?
–আর একটু ভাইয়া। তুমি অন্য ওয়াশ রুম ইউস কর।
ইভান কিছু একটা ভেবে ঈশার রুমের দিকে গেলো। ঈশা চোখ বন্ধ করে হেড ফোন কানে গুজে গান শুনছিল। ইভান অনেক্ষন দরজায় দাড়িয়ে তার দিকে দেখছে। ইরা এসে বলল
–ভাইয়া কিছু লাগবে?
ইরার কথা হালকা কানে আসতেই ঈশা চোখ খুলে সামনে তাকাতেই ইভানের চোখে চোখ পড়লো। সে চোখ নামিয়ে নিলো। ইভান ঈশার দিকে তাকিয়েই বলল
–শাওয়ার নিবো। একটা টাওয়াল এনে দিতে পারবি?
ইরা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো। ইভান ইশাকেই দেখছে। ঈশা মাথা নিচু করে বিছানাতেই বসে আছে। ইভান ঈশাকে মনোযোগ দিয়ে দেখছে। ঈশার অভাবে এতদিনে নিজের অতৃপ্ত চোখ গুলোকে তৃপ্ত করতে ব্যস্ত সে। ঈশা আগের থেকে একটু বেশি সুন্দর হয়েছে। বেশি বললে ভুল হবে। ছোট বেলা থেকেই বেশ দেখতে ঈশা। কয়েক বছর পর যেন অন্য রকম মনে হচ্ছে তার সৌন্দর্য। একটু মোটাও হয়েছে। ইভানের ভাবনার মাঝেই ইরা বলে
–ভাইয়া এই নাও টাওয়াল।
ইরার হাত থেকে টাওয়াল নিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ঈশার ওয়াশ রুমে ঢুকে যায় ইভান। ঈশা এই বার একটু বিরক্ত হয়ে ওয়াশ রুমের দিকে তাকায়। ইভান দরজা লক করে দিয়েছে। ঈশার খুব অসস্তি হচ্ছে। আগে বলতেই পারতো ওয়াশ রুমে যাবে। এই ওয়াশ রুম ঈশা একাই ব্যবহার করে তাই অনেক ব্যক্তিগত জিনিস থাকতে পারে। কে জানে কোথায় কি আছে? ভাবতেই ঈশা বিরক্তি ভাব নিয়ে মাথায় হাত দিলো। কিছুক্ষন ওভাবে থাকার পর ঈশার মনে হল এরকম কোন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে যদি পড়তেই হয়ে তাহলে সেটা তারই দোষ। কারন সে জানতো আজ বাড়িতে অনেক মেহমান আসবে। তার সাবধান হওয়া উচিৎ ছিল। সে ওভাবেই ওখানে বসে ভাবছিল। ইলহাম দৌড়ে এসে বিছানায় বসে বলল
–আপি কি করছ?
ঈশা কিছু বলতে যাবে তখনি ইভান ওয়াস রুম থেকে বের হল। ইলহাম অবাক হয়ে একবার ইভান কে দেখে নিয়ে তারপর ঈশার দিকে তাকাল। সে ইভান কে এই ঘরে এভাবে দেখবে সেটা হজম করতে পারলনা। নিজের মনের প্রশ্নটা মুখে করেই ফেললো
–ভাইয়া তুমি এখানে কি করছ?
ইভান তার কথায় ভ্রু কুচকে বলল
–আমার কি এখানে আসা নিষেধ?
–তা বলিনি মানে…
বলেই ঈশার দিকে তাকাল। ঈশা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। সে ঈশা কে ভালো করে দেখে নিয়ে ইভানের দিকে ঘুরে বলল
–আচ্ছা যাই হোক। আমি একটু হাত ধুব। সরও ওখান থেকে।
বলেই উঠে ইভানের সামনে দাড়াতেই ইভান ওয়াশ রুমের দরজা টা টেনে দিয়ে বলল
–বাইরে বেসিনে হাত ধুয়ে নে।
–এখন বাইরে যেতে পারবোনা। সর না!
–না। এখানে যেতে পারবি না তাছাড়া যেখানে ইচ্ছা সেখানে যা।
–কেন? তুমিও তো মাত্র এখানেই শাওয়ার নিলে তাহলে আমি কেন যেতে পারবোনা? রহস্যময় ভঙ্গিতে ইভানের দিকে তাকিয়ে বলল।
–এই বাড়িতে আমার জায়গা আর তোর জায়গা আলাদা। বেশি কথা না বলে এখন যা এখান থেকে।
ইভানের কথা শুনে ঈশা চোখ বড় বড় করে ইভানের দিকে তাকাল। ইভান ইলহাম কে আটকাতে চেষ্টা করছে। ঈশার এবার বেশ সন্দেহ হল। তার ধারনাই তাহলে কি ঠিক। নিশ্চয় ওয়াশ রুমে উলটা পাল্টা কিছু দেখেছে ইভান। তাই তো ইলহাম কে ওভাবে আটকাচ্ছে। ইলহাম ইভানের কথায় আরও জেদ করে বসলো। সে যাবেই।ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–আপি এটা তো তোমার ওয়াশ রুম। ভাইয়া এখানে যেতে পারলে আমি কেন পারবোনা? বলনা ভাইয়াকে।
ঈশা কি বলবে বুঝতে পারছেনা। সে অসহায়ের মতো ইলহামের দিকে তাকিয়ে আছে। নাও বলতে পারছেনা আবার অনুমতিও দিতে পারছেনা। ইভান একবার ঈশার দিকে তাকাল।তার চাহুনি দেখে মনে হচ্ছে হয়ত কিছু আন্দাজ করতে পারছে। তাই এবার ইভান ইলহামকে এক ধমক দিলো
–মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলব। যা এখান থেকে।
ইভানের ধমকে ইলহাম বাইরে চলে গেলো। ইলহাম থেকে চোখ সরিয়ে ইভান ঈশার দিকে তাকাল। ঈশা বড় বড় চোখে তার দিকে চেয়ে আছে। তার এরকম আচরনের মানে বুঝতে চেষ্টা করছে। ইভান ঈশার দিকে তাকিয়ে একটা ভিলেনি হাসি দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে চলে গেলো। ইভান রুম থেকে বাইরে না যেতেই ঈশা বিছানা থেকে নেমে ওয়াস রুমের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর সামনে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ঠোঁট কামড়ে ধরল। ইশ!! যা ভেবেছিল ঠিক তাই। কি একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হল। ইভান দরজায় দাড়িয়ে ঈশার কাণ্ড দেখছিল আর হাসছিল।
–ভাইয়া এভাবে হাসছ কেন?
ইরা জিজ্ঞেস করতেই ইভান তার দিকে তাকিয়ে দেখল। তারপর একটু হেসে তার মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলল
–মেঘ না চাইতেই যখন বৃষ্টি পেয়ে যাস তখন তোর অনুভুতি টা কেমন হয়?
–অনেক জোস! না চাইতেই বেশি পায়ে গেলে সেটা কি আর বলে বোঝানো যায়।
–ভেরি গুড! তুই বড় হয়েছিস।
বলেই ইভান একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো।ঈশা ইভানের কথা শুনে তার দিকে তাকাল। ইরা ভিতরে ঢুকে বলল
–ভাইয়া কি বলে গেলো?
–আমি কি ভাইয়ার পি এ যে কি বলে সব জানবো?
ঈশা রাগ করে কথাটা বলল। ইরা বুঝতে পারল কোন কারনে সে খুব রাগ করেছে। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো। ঈশা চোখ বন্ধ করে একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে ভাবছে “কেন সব কিছু এমন হল? সবই তো ঠিক ছিল। সব সম্পর্ক কেমন হয়ে গেলো। কখনও কি ঠিক হবে সব?”
২
সবাই টেবিলে বসে রাতের খাবার খাচ্ছে। ঈশা গিয়ে টেবিলের কাছে দাড়াতেই তাঁর চাচা মানে ইভানের বাবা আশফাক মাহমুদ বলল
–ঈশা তুই আমার কাছে বস মা।
ঈশা কোন কথা না বলে তার চাচার পাশে গিয়ে বসলো। ঈশাকে তার মা প্লেট বেড়ে দিলো। ঈশা খাবার তুলে নিচ্ছে প্লেটে। সেই সময় ইভান আসলো। সে ঠিক ঈশার সামনের চেয়ারটায় গিয়ে বসলো। ঈশা এক এক করে সব খাবার তুলে নিলো। মাথা নিচু করে খাচ্ছে সে। তার চাচা তার দিকে তাকিয়ে বলল
–তোর তো পড়ালেখা শেষ। এখন কি করবি কিছু ভেবেছিস?
ঈশা খাবারের দিকে তাকিয়ে একটু তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল
–আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছ? আদৌ কি আমার জিবনের কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আমার আছে? ঠিক মানুষ কে জিজ্ঞেস কর তোমার কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়ে যাবে।
ঈশার কথা শুনে সবাই থেমে গেলো। তার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। ঈশা নিচের দিকে তাকিয়েও খুব ভালো করে বুঝতে পারল সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার খুব অস্বস্তি হল সাথে রাগও। রাগে চোখে পানি চলে এলো। সেখানে আর বসে থাকার মতো তার মানসিকতা নেই। তাই খাবার ছেড়েই উঠে গেলো। ঈশার মা পিছন থেকে বলল
–খাবার ছেড়ে এভাবে উঠতে নেই। খেয়ে যা।
কিন্তু ঈশা শুনলনা। সবাই নিশ্চুপ তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশার এভাবে কথা বলা আর খাবার ছেড়ে উঠে যাওয়ায় ইভানের খুব রাগ হল। সে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে সালাতের প্লেটে থাকা কাচা মরিচ একটার পর একটা চিবিয়ে যাচ্ছে। এবার সবাই ইভানকে দেখছে। ঈশার মা এসে ইভানের হাত থেকে মরিচ টা ফেলে দিলো। সামনে থেকে প্লেটটা সরিয়ে নিয়ে বলল
–তুই কি পাগল হয়ে গেলি? কি করছিস এসব? তুই তো অন্তত বুঝিস সব।
ইভান কোন কথা না বলে উঠে ছাদে চলে গেলো।
ছাদে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে “পাগল তো আমি আগেই হয়েছি। কিন্তু বোঝাতে পারিনি। আর কিভাবে বোঝাব।এতদিন ধরে নিজের ভিতরে সব কিছু চেপে রেখে একা একা পুড়ছি এই অপেক্ষায় কবে সব ঠিক হবে। কবে আমি সব কিছু ফিরে পাব।” তার চোখ মুখ ঝালে লাল হয়ে আছে। সে ঝালে কাঁপছে। চোখ বেয়ে দুই ফোটা পানি ঝরে পড়লো। কিন্তু ঝালের কারনে নয় ভিতরে জমে থাকা কষ্টের কারনে। কবে এই কষ্টের অবশান হবে।কবে ইভানের জীবনে সব কিছু ফিরে আসবে।
চলবে……।