#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#সিজন:2
#পর্ব:12(দ্বিতীয় খন্ড)
#Suraiya_Aayat
হৃদয়ের টাকায় কেনা খাবারগুলো ওরা সব গরিব এতিমদের মাঝখানে বিলিয়ে দিল ৷ তারপরে আরু সানা আর আর তিথি ওরা তিনজন বাড়ি ফেরার পথে এগোতেই সানা কথার মাঝখানে বলল…
__” শোন তুই কিন্তু আর হৄদয় ভাই এর সাথে কথা বলবি না ৷ ভাইয়া খুব একটা ভালো মানুষ নন , মেয়েদেরকে টিস করা , উত্ত্যক্ত করা , বিরক্ত করা ভাইযয়ার স্বভাব, আর এই নিয়ে ভার্সিটিতে বহুবার ঝামেলা হয়েছে ৷ আরিশ ভাইয়া এই সমস্ত একদম পছন্দ করে না তাই দুজনের মাঝে মনোমালিন্য ৷ আই থিঙ্ক তুই আমার কথা মেনে চলবি আর তার সাথে তুই ওনাকে সরাসরি জানিয়ে দিবি যে তোর সঙ্গে ওনার ফ্রেন্ডশিপ করা নিয়ে প্রবলেম আছে , তাই তুই ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করতে পারবি না ৷”
__” হমম সারা পৃথিবীর সব মানুষ খারাপ আর তোর ভাইয়া তো ধোয়া তুলসী পাতা তাই না যে উনি যা করবে আমাকেও তাই করতে হবে ৷ আর বাইদাওয়ে এমনিতেও উনার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করার কোন ইচ্ছা নেই আমার আর আজকে যা হয়েছে তারপর আমার মনে হয় না উনি দ্বিতীয়বার আর আমার সাথে কথা বলতে আসবেন ৷”
__” তবুও তোকে আমি সাবধান করে দিচ্ছি আশা করি তুই আমার কথা রাখবি ৷ তুই ওনাকে ইগনোর করলে আমার মনে হয় না যে উনি আর তোর সাথে কথা বলতে আসবেন কারন একটা মেয়ের সাথে একটা ছেলে ফ্রেন্ডশিপ বজায় রাখার জন্য কখনো ছেলেটা মেয়েটার হাতে পায়ে ধরবে না , আর হৃদয় ভাইয়া তো তেমন নয় , আর আমি ওনাকে খুব ভালভাবেই চিনি ৷”
__” হ্যাঁ মনে রাখবো জানু, তোমার কথা কি আমি কখনো ফেলতে পারি বল! আর তোমার কোন কথাটা আমি শুনি না বলো !”
__” হমম তাই ই শুনলে তো আমার আর কোন চিন্তাই থাকতো না তাই না ?”
__” 😁 ৷”
❤
আজকে আকাশটা কালো মেঘের ঘনঘটায় আচ্ছন্ন , চারিদিকের একরাশ কালো মেঘ জমাট বেঁধে এসেছে, হয়তো মুষলধারে বৃষ্টি নামবে খুব শীঘ্রই ৷
এই মুহুর্তে আরুর খুব ইচ্ছা করছে পায়ে নূপুর পড়ে একটা সাদা শাড়ি আর নীল রঙের চুড়ি পরে কাদামাখা ঘাসের ওপরে দাঁড়িয়ে নিজের দুবাহু প্রসারিত করে জমাটবাঁধা ঘন কালো মেঘের কাছে নিজের হাজার অভিযোগ জানাতে আর এটাও প্রশ্ন করতো যে কেন এভাবে হঠাৎ বর্ষণে সে সমস্তটাকে ভিজিয়ে দিয়ে যায় !সেটা আরূর খুব জানতে ইচ্ছা করে ৷
কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই জানলা থেকে চোখ সরিয়ে নিল আরু,মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে ক্লাসে, তবুও হচ্ছে না ৷
সামনের ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে তাকিয়ে আছে বহুক্ষন, কোন কিছুই যেনো কানে যাচ্ছে না কারন হলো মনোনিবেশের অভাব ৷
এখন ওর খুব ইচ্ছা করছে ওর স্যারকে সরিয়ে তার স্থান দখল করে ব্ল্যাকবোর্ড এ বর্ণমালার দৃশ্যগুলো সৃষ্টিকারী চকটাকে দুই আঙুলের মাঝে নিয়ে হাজারো আঁকিবুঁকি করতে আর নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে ৷ আদতে তেমনটা কি সম্ভব !
হঠাৎ বাইরে ছমছম শব্দ করে বৃষ্টি নামতেই মাটির অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ আরুর নাকে পৌঁছাতেই মনটা যেন বারবার উতলা হয়ে পড়ছে ওর মুষলধারে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য, বৄষ্টি টা যে ওকে বড্ড টানছে ৷ আজ হয়তো ওর বহুদিনের ইচ্ছাটা পূরণ হতে চলেছে, আর সেখানে বাধা সৃষ্টিকারী হিসাবে থাকবে না কেউ ৷
আকাশের ঘন কালো মেঘ দেখে আজকে সানা আসেনি , বৃষ্টির দিনটা খুব একটা পছন্দ করে না ও ,আর এটা আরুকে অবাক করে খুব ৷ এই ভাবে একটা মানুষ বৃষ্টির মতো একটা সৌন্দর্যময় জিনিসকে কিভাবে উপেক্ষা করতে পারে সেটা ওর ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধারণাতে আসেনা….
তবে আজকের এই ঘন কালো মেঘের বর্ষণ কি কোন বার্তা সংকেত বহন করে নিয়ে আসছে যা আরু স্মৃতির অগোচরে আর ধরাছোঁয়ার বাইরে !
কিছুক্ষণ পর ক্লাস শেষ হতেই ছাতা টা হাতে নিয়ে বাইরে এসে দাঁড়াতেই দেখল বৃষ্টির ধারা ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ জীবনে এমন সময়ে যদি আরু এই মুহূর্তটাকে উপেক্ষা করে তাহলে জীবনটাকে উপভোগ করা হবে না , তাই আরূ আর কোন কিছু না ভেবে বৄষ্টির কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দিল ৷ ছাঁটে শরীরের অনেক অংশই ভিজে যাচ্ছে তবে আরু আর নিজেকে আটকাতে চাইছে না কারন এমনই একটা সৌন্দর্য উপভোগ করতে চেয়েছিল ও , আর তা থেকে নিজেকে কিভাবে আটকায় ?
কিছুটা দূরে এগিয়ে যেতেই দেখল ওর বাড়ি থেকে পাঠানো গাড়িটা দাঁড়িয়ে রয়েছে আর ড্রাইভার আমেজে চা খাচ্ছেন দোকানে , এটাই হলো সুযোগ ! তাই আর কোনো রকম কোনো দেরি না করে ব্যাগটা গাড়ির মধ্যে রেখে চম্পট দৌড় দিল, তবে তার আগে গাড়িতে চিরকুট রেখে এসেছে যাতে লেখা আছে যে ড্রাইভার আঙ্কেল আপনি বেশীক্ষন অপেক্ষা করবেন না আমার জন্য কারণ আমি তারাতারি বাড়ি পৌঁছে যাব ৷
বেশ কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর সামান্য থিতু হলো আরু, এখন সবার ধরাছোয়ার বাইরে ও ৷ পায়ে থাকা জুতো গুলো খুলে হাতে নিয়ে হাঁটতে লাগলো , এই জিনিসটা বড্ড ভালো লাগে , খালিপায়ে হাটতে বেশ লাগে তবে কখনো শীতের সকালের শিশির ভেজা ঘাসে পা রেখে হাটা হয়নি কারণ ওর ঘুমই ভাঙ্গে না যে সকালের সৌন্দর্যকে উপভোগ করবে ৷
নির্জন রাস্তার একপাশ দিয়ে হাঁটছে আর আপন খেয়ালে গুনগুন করে গানের সুর তুলেছে, মাঝেমাঝে হাত দুটোও মেলে দিচ্ছে ৷ আজকে যেন নিজেকে এই বৃষ্টির কাছে সমর্পণ করে দিয়েছে , কোন বাধা ধরা ওকে ছুঁতে পারবে না , তবে আনন্দটা যেন আর বেশিক্ষণ রইল না ৷ রাস্তা সব নোংরা জল ওর জামাই এসে পড়াই রেগে গিয়ে আরূ বলতে লাগলো,,,,,
__” রাস্তায় দেখে গাড়ি চালাতে পারেন না ?”সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল হৃদয় দাঁড়িয়ে আছে৷
ওকে দেখে মুডটাই বিগড়ে গেল আরুর,,,,,
__” এই যে ভাইয়া আপনি এটা কি করলেন ? আমার জামাটা সম্পূর্ণ নোংরা করে দিলেন তো , চোখ কি বাড়িতে রেখে আসেন নাকি ? ”
__” আসলে আমি খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই তাড়াহুড়ো এর মধ্যে আর দেখতে পাইনি, তাছাড়া রাস্তা অন্ধকার কিছুই দেখাও যাচ্ছে না তাই ভুল করে হয়ে গেল ৷”
হৃদয়ের কথার পরিবর্তে আরূ কিছু বলতে যাবে তার আগে হঠাৎ চোখ পড়ল দূরে একটা ছাউনির নিচে আরিশ দাঁড়িয়ে আছে ৷
হয়তো ছাতা আনেনি সেই কারণেই বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতেই ও সেখানে স্হির , না হলে হয়তো বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে চলে যেতো নিজের মন্তব্যের উদ্দেশ্যে ৷আরু ও হঠাৎ খেয়াল করলো যে আরিশের চোখটা ওর দিকেই আর তা দেখে তখনই ওর মনে হলো,,,,,,
__”ওনাদের তো তিনদিন পরে এক্সাম তাহলে উনি এত আজ এখানে কি করছেন ? যা করে করুক তাতে আমার কি ! হোয়াটএভার ৷(আরু মনে মনে)
হঠাৎ একটা কথা ওর মনে পড়ল জে সানা ওকে বলেছিল যে আরিশের সাথে হৃদয়ের তীব্র শত্রুতা তাই আরিশকে অপমান করতে গেলে হৃদয় কে বাহবা দিতে হবে তা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ৷ তাই না পেরে হৃদয় কে বলল,,,,
__” ভাইয়া প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে তো আর আমার গাড়িটা আসেনি তাই আপনি কি আমাকে একটু লিফ্ট দেবেন?”
__”কেন নয় অবশ্যই ৷”
কথাটা বলার পরপরই আরূ হৃদয়ের গাড়িতে উঠে গেল আরিশকে দেখিয়ে ৷ হৃদয় প্রচন্ড speed নিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে গেল , ও আরিশকে এতক্ষণ দেখেনি ৷
গাড়ি কিছুদূর যেতেই আরূ বলে উঠলো,,, ,
__” ভাইয়া থামান , আমি নামবো ৷”
__” কেন তুমি নামবে কেন ? তাছাড়া তোমার বাসা তো এখনো আসেনি তাহলে !”
__” আমার বাসা অবধি আপনার যাওয়া লাগবে না, আপনি এখানেই আমাকে নামিয়ে দিন ৷”
আরু বেশ কয়েকবার হৃদয়কে বললেও হৃদয়ে গাড়ি থামাল না অবশেষে কোন এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গাড়িতে থামাল….
__” কি হলো আপনি এখানে গাড়ি থামালেন কেন?”
হৃদয় গাড়ি থেকে নেমে আরূর কাছে গিয়ে বলল ,,,,
__”বেবি তুমি কি মনে করো আমি তোমাকে বাসায় দিয়ে আসতাম , সত্যি হাস্যকর ব্যাপার স্যাপার সব ! তোমার মত মেয়েকে হৃদয় খান তার গাড়িতেও উঠাই না , আমিতো শুধু তোমার সাথে বাসর করার জন্য এনেছি এখানে ৷”
কথাটা শুনে আরু চমকে গেল , রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে ঠাস করে একটা চড় মারল ওকে ৷
__” সত্যিই আপনি এত নিচু মনের মানুষ সেটা আমরা আগে বোঝা উচিত ছিল, সানার কথাটা শোনা উচিত ছিল আমার ৷”
কথাটা শুনে হৃদয় উচ্চস্বরে হেসে বলল,,,
__” তুমি কি মনে করো যার জন্য আমি মার খেয়ে টানা 7 দিন হসপিটালে ভর্তি ছিলাম আমি তাকেইলিফ্ট দেবো ৷”
কথাটা বলতে বলতেই হঠাৎ একটা চিরচেনা কন্ঠসর কানে আসতেই হৃদয় সেদিকে তাকিয়ে দেখল,,,,,
__” কিরে এত রাত্রে দুজন এখানে ? জিএফ নাকি আইমিন আমাদের ভাবি নাকি ?”
আরু আরিসের কথা শুনে অবাক হলো , হঠাৎ করে আরিস এসব কি বলছে , আর এই মুহূর্তে ও আরিশকে সত্যিটা বললেও হয়তো আরিশ কোনো কিছু বিশ্বাস করবে না তাও আরূ বলল,,,,
__” ভাইয়া আপনি ভুল ভাবছেন আর উনি তো আমাকে খারাপ কথা বলছেন ৷”
আরূকে আর কিছু বলতে না দিয়ে হৃদয় আরিশের দিকে তাকিয়ে বলল ,,,,,,
__” কি আজকে আবার আমাকে মারবি তাই তো ? যার কারনে মারবি তাকেই শ্পরষ করে খুবলে খাবো, দেখি তুই কী করিস ৷”
কথাটা বলে যেই আরূর ওড়নাটা ধরে টানতে যাবে তখনই আরিস হৃদয়ের হাত ধরে ফেলল , তারপর আর কোন কথা না , লি দে দানা দান ৷
আরিশ হৃদয়কে এমন মার মারল তাতে মনে হয় না একমাস বিছানা ছেড়ে উঠতে পারবে, হয়তো এরপর আরূ অথবা অন্য কোন মেয়ের দিকে খারাপ নজরে দেখার কথা একবার হলেও ভাববে…..
হৃদয় অলরেডি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে , আরিশ পকেট থেকে ফোনটা বার করে এম্বুলেন্স ডাকতেই দু মিনিটের মধ্যে এম্বুলেন্স এসে হৃদয় কে নিয়ে চলে গেলো ৷ সবকিছু এত তাড়াতাড়ি হল যেন মনে হচ্ছে সবই আগে থেকে ঠিক করা , আর এম্বুলেন্সটাও যেনো আগে থেকে ডেকে আনা হয়েছিল হৃদয় কে নিয়ে যাওয়ার জন্য…..
এখন ফাঁকা নির্জন রাস্তার মাঝখানে শুধু আরূ আর আরিশ , নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে চারপাশে, আর বিদ্যুতের ঝলকানি তে মাঝে মাঝে আরূর ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠার দৃশ্যটা ভেসে উঠছে ৷
আরূ ভাবেনি ঠিক এমনটা হবে ৷ আর ও আরিশকে না দেখিয়ে হৃদয়ের সাথে না আসলেও পারতো ৷ আরিশকে ছোট করার জন্য এত কিছু করল আর আজ সেই আরিসে ওকে এত বড় সর্বনাশ এর হাত থেকে বাঁচালো ৷ মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে কাদতে হেচকি উঠছে আরূর ৷ হঠাৎ নিজের গালে ধাম করে চড়ের তীব্র ব্যাথা পেতেই কান্নার তীব্রতা বেড়ে গেল ৷ বৃষ্টির ফোঁটাগুলো চোখের জল দিয়ে ধুয়ে মুছে নিয়ে যাচ্ছে…
আরিশ ঠাস করে একটা চড় মারলো ,মেরে বলতে লাগলো,,,,
__” দেখানোর জন্যে এমন কিছু করো যাতে তোমার ভালো হয় তবে এমন কিছু করো না যে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দিতে হয় ৷”
বলে পিছু ফিরে চলে যেতে লাগলো আর আরূ তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,,,,
__” আমি কি জানতাম যে উনি এতটা খারাপ , এতটা বাজে এতটা পচা ৷ আর এর জন্য আপনি আমাকে মারতে পারলেন ?”
আরূশির কথা শুনে আরিশ আরূর দিকে ঘুরে পকেট এ্ হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বললো,,,,
__” লাইক সিরিয়াসলি ! এত বড় অন্যায় করার পরেও এখন আবার আমাকে দোষ দিচ্ছ যে কেন তোমাকে চড় মেরেছি? তুমি কি বুঝতে পারছ না যে কেন চড় মেরেছি নাকি আরেকটা দিলে বুঝবে কোনটা ৷”
আরু গালে হাত রেখে কাঁদতে কাঁদতে বলল,,,,
__” আমাকে ঠিকঠাক করে বললেই তো হতো এভাবে কেউ একটা মেয়েকে চড় মারে ? আমার আম্মু তাই মারেনি কখনো আর আপনি মারলেন ,আপনি খারাপ ৷”
আরুর কান্ড দেখে আরিশ হাসবে নাকি কাদবে কিছুই বুঝতে পারছেনা……
আরিশ এবার ওর আর আরুর মাঝের দূরত্বটা কমিয়ে ওর কাছে এসে বললল,,,,,,
__” তাহলে এখন কি করনীয় ?”
__” ছোটদের কে কেউ মারলে কি করে?”
আরিশ হঠাৎ করে আরুর গালে আলতো করে ঠোঁট ছোয়ালো ৷ এতে আরুর সারা শরীর জুড়ে শিহরন বয়ে গেল, আর অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করতে লাগলো আরিশের প্লতি যা কখনো হয়নি ৷ আরূশি কিছু বলার ক্ষমতা পাচ্ছে না ,সবটাই যেনো হারিয়ে ফেলে নিজেকে শূন্য মনে হচ্ছে ৷
.আরিশ এবার সরে এসে ওর বৄদ্ধাঙগুল দিয়ে আরূশির গালে হালকা করে স্লাইড করতে লাগলো যে গালে চড় মেরেছে,,,,আর আরু শিউরে উঠছে ক্রমাগত ৷আরিশের ছোয়াতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলছে বারবার ৷
__” এতেও যদি আপনার না হয় তাহলে ললিপপ কিনে দেবো, তাও আপনি কান্না থামান ৷”
ললিপপ এর কথা শুনে আরূর নিমেশেই রাগ উঠে গেল কারণ ও এতটা বাচ্চা নয় যে ললিপপ কিনে দিতে হবে কান্না থামানোর জন্য , আরিশ যে এটা বিদ্রুপ করে বললে সেটা ও ভালোই বুঝেছ তাই মুখ ভাঙচি দিয়ে আরিশের থেকএ দূরে সরে গিয়ে বলল,,,, __” লাগবেনা আপনার ললিপপ আর আপনার ভালোবাসা ৷ সব নিজের বউকে বউয়ের জন্য রেখে দিন , আপনি খারাপ , আপনি আমাকে মেরেছেন, আর সুযোগ নিয়ে গালে ,,,,,,,,,”
কথাটা বলে থেমে গেল আরূ ৷
__” গালে কি ?বলেন গালে কি ?”
আরু পিছন করে চলে যেতে লাগলো আর আরিশের উদ্দেশ্যে জোরে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো,,,,,
__” এই যে আপনি নামক মিঃ অভদ্রটা হলেন একটা লুচু ৷”
__” আমি কেমন আর কতটা লুচু সেটা আমার বউকেই বোঝাবো আর আরো কি কি করতে পারি করে দেখাবো ৷ আর একা যেওনা রাস্তায় হৃদয় আছে ৷”
আরু আরো একবার আরিশের দিকে তাকিয়ে বলল ,,,,,,
__” সে অন্তত আপনার থেকে ভালো, আমাকে চড় মেরে কান্না থামানোর জন্য ,,,, ধূর ৷”
বলে গটগট করে হাটতে হাটতে চলে গেলো ৷
আরিশ ততক্ষণ সেই চলমান আরুশির দিকে তাকিয়ে ছিলে যতক্ষণ অন্ধকারে সৄষ্টি হওয়া আরুর ছায়মূরতি টা ওর চোখের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় ৷
আরু চলে যেই ফোনটা বার করে কল করলো,,,,
__”সঠিক সময়ে খবরটা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ৷”
বৃষ্টির জলে ভেজা মাথার চুল গুলোকে আলতো করে হাত দিয়ে আলতো করে ঝেড়ে নিয়ে মুখের টেডি smile নিয়ে পকেটে হাত রেখে বাড়ির দিকে রওনা দিল ৷
চলবে,,,,,,