তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব-৩৮+৩৯

0
2556

#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:38
#Suraiya_Aayat

আরূর খবর শুনেই রেজোয়ানা আহমেদ তড়িঘড়ি করে ছুটে এসেছেন , প্রথমে তিনি জানতেন না যে আরুর ঠিক কি হয়েছে , তারপর যখন জানলেন যে তার মেয়ে মা হতে চলেছে তখন আনন্দে আটখানা হয়ে পড়লেন ৷
এ আনন্দ উনি কোথায় রাখেন….

সেই কখন থেকে আরূর সঙ্গে বসে গল্প করছেন, মা মেয়ে মিলে বেশ ভালই গল্প জমিয়েছে ৷

__”আরিশ কোথায় ওকে তো কোথাও দেখছি না?”

__”আসলে মা উনি একটু বাইরে গেছেন দরকারে, এক্ষুনি চলে আসবেন ৷”

__”আচ্ছা ৷ যখন শুনেছিলাম যে তুই অসুস্থ তখন মনে হচ্ছিল হৃদয়টা যেন বেরিয়ে এসেছে ৷”বলে আরুকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন ৷

আরূ ওর মায়ের ভালোবাসা পেয়ে আবেগে উৎফুল্ল হয়ে গেল , যতই হোক নিজের মা বলে কথা,এত বছর তার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এখন উনাকে পেয়ে খুব খুশি আরু…

তড়িঘড়ি করে আরূর আম্মু ছুটতে ছুটতে আরুর ঘরে এলেন ,এসেই বুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে আরম্ভ করে দিলেন,,,,,,

হঠাৎ এমনটা হওয়াই আরু চমকে গেল তারপর বুঝতে পারলেন যে ওর আম্মু প্রচন্ড কান্নাকাটি করছে, দুই মাকে পেয়ে বেশ খুশি আরূ, দু জনকেই সমানভাবে ভালবাসে ও ৷

__”কয়েক মুহুর্তের জন্য আমার মনে হয়েছিল যে আমার জীবন টাকেই আমি হারিয়ে ফেলেছি ৷ নিজের একটু যত্ন নিয়ে হয় তো নাকি?এত কেয়ারলেস কেন তুই? এত বছরেও তোকে আমি শুধরাতে পারলাম না৷”

আরূ ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,,
__” আমি যদি পাল্টে যাই তখন কি আমি আর তোমার সেই আগের আরু থাকবো ? আমি যাতে না চেঞ্জ হয়ে যাই সেই জন্যই তো আমি এমন অবাধ্য মেয়ের মত হয়ে থাকি তোমার কাছে সব সময় ৷ তোমার কি ভালো লাগে না সেটা?”

উনি আরুর কপালে চুমু দিয়ে বললেন,,,,
__” তুইতো আমার সেই ছোট্ট আরু মা ই থাকবি , তুই কি আমার কাছে কখনো বড় হবি নাকি রে! ‘
ওনার চোখের কোনে জল চলে এলো ৷

হঠাৎ করে ওনার নজর গেল রেজোয়ানা আহমেদের দিকে , উনি এতক্ষণ রেজোয়ানা আহমেদ কে লক্ষ্য করেননি , উনি সেই ঘরে কে কে উপস্থিত তা দেখেননি ,আসলে আরূ কে নিয়ে এতো চিন্তায় ছিল যে আশেপাশে কোন কিছুতেই নজর দেন নি ৷

__”আসলে আমি বুঝতে পারিনি যে আপনি এই ঘরে রয়েছেন ৷”
বলে আরুশির আম্মু মাথাটা নীচু করে নিল ৷
উনার মধ্যে আজ একটা অনুশোচনা কাজ করছে অপরের সন্তানকে কেড়ে নিয়ে নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করার জন্য , তবুও উনি আজও এখনও আরুকে আগের মতই ভালবাসেন, মায়ের ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন হয়না ৷

রেজোয়ানা আহমেদ মুচকি হেসে বললেন ,,,,,,

__”একজন মা হয়ে আপনার থেকে এমনই ব্যবহারটাই আশা করেছিলাম আপু , আপনি আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কেন উল্টো আমার আপনার কাছে আরও কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত কারণ আপনি এতগুলো বছর একটা মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন , যেটা আমিও করতে পারিনি ৷ আপনি এত বছর ওর মায়ের মতো ওর পাশে ছিলেন, ওকে ভালোবেসে গেছেন,ওর দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ আমি আপনার কর্মের বিন্দু পরিমাণ মাত্রও কিছু করতে পারিনি শুধু দূর থেকে চোখের জল ফেলে গেছি ৷
আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করার মত মুখ আমার নেই তবে আপনার প্রতি ভালোবাসার হাতটা বাড়িয়ে দিতে পারি ৷”

আরুশির আম্মু এবার কেঁদে ফেললেন , কারণ উনি ভেবেছিলেন রেজোয়ানা আহমেদ হয়তো মায়ের অধিকার চাওয়ার জন্য ওনাকে আরুশির কাছে এলাও করবেন না, এ সমস্ত হাজারো আজগুবি কথা উনি ভেবেছিলেন নিজের মনে মনে ৷

আরুশি ছলছল চোখে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে, কত সুন্দর ভাবে দুজন দুজনকে মানিয়ে নিয়েছেন ওর সঙ্গে সম্পর্কটা নিয়ে কোনো বিবাদ ছাড়াই ৷ এইভাবে ভালবাসার মানুষগুলো সুখে থাক , আনন্দে থাক…..

জোর করে আরুশির মুখে ডিমের শেষ টুকরোটা ঢুকিয়ে দিল আরিশ ৷ এখন থেকে ওকেই আরুশিকে খাইয়ে দিতে হবে কারণ আরিশ জানে যে ও যদি আরুর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর না দেয় তাহলে দুদিন পর আরুশিকে আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না৷ এমন অবস্থায় আরূশির বেশি বেশি চিপস , কোলড্রিংস,চকলেট খাওয়া এগুলোকে বন্ধ করতে হবে, তবে সেগুলো একদিনে সম্ভব নয় তাই বেশ একটু খাটাখাটনি করতে হবে আরিশকে ৷
ডিমের শেষের অংশটুকু আরূশির মুখে একটু বেশিই ছিল কারণ এতক্ষণ ধরে যা যা খাচ্ছিল তার সমস্ত টা খেয়ে উঠতে পারছিল না তাই বেশির ভাগটাই মুখে রয়ে গেছে , আর এই অবস্থায় ও আরিশকে কিছু বলতে চায় তবে মুখের খাবার গুলোর জন্য কিছু বলতে পারছে না ঠিকঠাক ৷

আরিশ ধমক দিয়ে বলল,,,,,
__” মুখের খাবার গুলো আগে শেষ করো তারপর যা খুশি বলবে তার আগে একটা কথা বললে আরো ডিম নিয়ে আসবো ৷”

আরুশি আরিশের ধমকে তাড়াতাড়ি করে মুখের খাবারটুকু শেষ করে নিয়ে ট্রে র উপর থেকে গ্লাসটা নিয়ে ঢকঢক করে জল খেয়ে নিলে ,কারন এই মুহূর্তে ও আরিশকে যেটা বলবে সেটা বলা খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করছে ও , এটা না বলতে পারলে হয়ত পেটের খাবার গুলো হজম হবে না ,তা পেটের মাঝেই ওর বেবির সাথে তিড়িংবিড়িং করে খেলা করবে ৷

জলটা খাচ্ছে আর ক্রমাগত হাত নাড়াচ্ছে আরূ, তারমানে ও আরিশকে কথাটা ভীষণভাবে বলতে চাই৷

আরুর কর্মকান্ড দেখে আরিশ রেগে যাচ্ছে কারণ খাওয়ার সময় কথা বললে গলায় খাবার আটকে গেলে বিপদ আর এখন জল খেতে গিয়ে যদি গলায় আটকে যায় তখন আরেকটা সমস্যা হবে , মেয়েটাকে নিয়ে কোনভাবেই ও পেরে ওঠেনা আরিশ, বড্ড বেপরোয়া নিজেকে নিয়ে ৷কবে যে নিজেকে ঠিকভাবে গুছিয়ে নেবে সেটা আরিশ জানে না ৷ আরিশ তো ভেবেই নিয়েছে যে সারা জীবন ওর বেবিকে আর আরুর টেক কেয়ার করার দায়িত্বটা ওরই ৷ কারণ মা যেমনটা কেয়ারলেস , বেবি ও যদি তেমনটাই কেয়ারলেস হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ৷

__”জলটাকে শেষ করো তারপর কথা বলবে ৷”

আরুশি ঢকঢক করে সমস্ত টা খেয়ে নিল,তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ট্রের দিকে তাকিয়ে বলল ,,,,,

__”ওই যে দেখছেন দুধের গ্লাস টা , আমি কিন্তু দুধটুকু আর খাব না ৷”

আরুশির কথা শুনে আরূশির দিকের ভ্রু কুঁচকে তাকাল আরিশ অর তার সঙ্গে চোখ দুটোও ছোট ছোট হয়ে এল ৷ সামান্য এই কথাটুকু বলার জন্য আরূর মধ্যে এত ব্যস্ততা দেখে আরিশ অবাক ৷ মাঝেমাঝে নিজেকে পাগল বলে মনে হয় আরিশের ৷ আরুশি যা যা করে তাতে ও হাসবে না কাঁদবে সেটাই বুঝে উঠতে পারেনা ৷

আরুশি এবার গ্লাসটার দিকে মেনশন করে বললো,,,,,

__” ওই যে ওদিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন,আর আমার মনে হচ্ছে আপনি হয়তো ঠিক দেখতে পাচ্ছেন না তাই আমার দিকে এভাবে ড্য৷ব ড্যাব করে তাকিয়ে আছেন ৷”

আরিস আরুর দিকে রাগী চোখে তাকালো, নিজের অবাক হওয়াটাকে আটকাতে হবে ওকে, এবার একটু স্ট্রিকট হতে হবে না হলে আরুশিকে কোনভাবেই শায়েস্তা করা যাবে না….

আরিশ আরুর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে দেখে আরু বললো,,,
__” এই যে আপনি এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমার দিকে , আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক?”

আরিশ,,,,
__” তুমি বাঘও না আর ভাল্লুকও না ,তুমি আমার আরুপাখি আর আমার বাবুর আম্মু তাই আমার বাবুর এখন খিদে পেয়েছে তাই তুমি এখন খাবে…”

আরোশী দেখছে যে কোনোভাবেই কোনো কাজ হচ্ছেনা তাই ও আস্তে আস্তে আরিশের দিকে সরে গেল গিয়ে আচমকা আরিসের জামার কলার ধরে নিজের কাছে টেনে নিয়ে এলো,,,,,,

__”আপনি কি এখন আমাকে ভালোবাসবেন ? যেমনটা আপনি আমাকে বাসেন ৷”

আরিশ একটু ভ্রু কুঁচকে তাকালো আর বুঝতে পারলো যে আরুশির মতলবটা কি ৷ অন্য দিন আরু প্রচণ্ড লজ্জা পাই, কখনো এমন কিছু বলে উঠতে পারে না ৷

__”অনেক ভালোবাসবো তোমায় আরুপাখি , ভালবাসায় ভরিয়ে দেবো তবে আপাতত ওই এক গ্লাস দুধ তোমাকে শেষ করতেই হবে ৷”

বলে আরুকে কিছু আর বলার সুযোগ না দিয়ে দুধের গ্লাস টা নিয়ে জোর করে খাইয়ে দিলো ৷

এই দুধের গন্ধটাই যেন আরুশির একদম সহ্য হয় না ৷
দুধটুকু আরুশিকে খাইয়ে গ্লাসটা ট্রেতে রাখার অপেক্ষা তারমধ্যেই আরোশী হড়হড় করে বমি করে দিল আরিশের গায়ে ৷

আরিসের বেহাল অবস্থা , জামা কাপড়ের উপরে সব বমি লেগে গেছে ৷

আরুশি ভয় পেয়ে গেল , তাহলে এবার কি আরিশ ওকে খুব বকা ঝকা করবে এই নিয়েই ভেবে কিন্তু না, আরিশ আগের মতই শান্ত যেমনটা সব সময় থাকে৷ ওকে অবাক করে দিয়ে আরিশ আরিশিকে কলে তুলে নিলো,তারপর প্রথমে আরুশিকে চেঞ্জ করিয়ে দিয়ে তারপরে নিজের ফ্রেশ হয়ে নিল….

মানুষটিকে আরুশি যতই দেখে ততই যেন অবাক হয়ে যায় বারবার , একটা মানুষ এতটা শান্ত ভাবে কি করে সমস্তটা সমাধান করে যেখানে আরোশী কখনো এত শান্ত দৃষ্টিতে কখনো কোন কিছুই ভাবে না সমস্ত কিছুতেই ও তাড়াহুড়ো করে ৷বারবার মানুষটার প্রেমে পড়ে যায় ও তার জন্য কোন কারন লাগে না ৷

আরিশ কোলে তুলে নিতেই আরুশি শক্ত করে শার্টের কলারটা খামচে ধরল, আজ ওর ও খুব ইচ্ছা করছে আরিশের ভালোবাসা পেতে, ও জানে যে আরিশ তাকে কখনোই ফিরিয়ে দেবে না…..

আরুশিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আরিশ আরুশির দিকে ঝুকে বলতে লাগলো,,,,,,

__”কেন সব সময় তোমার নেশায় আমাকে ঘায়েল করো , তুমি কি জানো না যে বারবার আমি তোমার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ি !”

বলে আরোশীয দুই গালে হাত রেখে ওর ঠোঁট জোড়াকে আঁকড়ে ধরল ৷ আরুশি ও পরম আবেশে আরিশকে ওর নিজের কাছে টেনে নিল….

চলবে,,,,,

#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:39
#Suraiya_Aayat

ক্যাম্পাসের মধ্যে বসে আছে ওরা তিনজন, তিথি সানা আর আরু….

তিনজনের মধ্যে নানান ধরনের গল্প চলছে আর তা নিয়ে হাসাহাসি চলছে নানান রকমের ৷
মূলত সেখানে যে যার নিজেদের জামাইকে নিয়ে চর্চা করছে ৷

তিথি নাহিদ কে নিয়ে নানারকম কথা বলছে ,আর সানা বলছে আরাভ কে নিয়ে ৷ কিঞ্চিত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ভঙ্গিতেই বলছে কথাগুলো ওরা দুজনে ৷
আরু ওদের দুজনের কথাই শুনছে আর মুচকি মুচকি হাসছে ৷ ওর কাছে তো আরিশকে নিয়ে অভিযোগ করার মতো কোন বিষয়বস্তুই নেই তাই কিছু না বলে চুপ করে ওদের কথা শোনায় শ্রেয় বলে মনে করছে ও ৷
এতদিন ধরে আরিশকে যতটা কাছ থেকে জেনেছে আর চিনেছে তাতে আরূর চোখে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দেখেনি ৷ মানুষটা কি করে এতটা পারে সেটার উত্তর আজো বুঝে উঠতে পারেনি আরু….
বারবারই মানুষটার প্রেমে পড়ে যাই আর তখন একটাই কথা মনে হয়,,,,,
__” বৃথা একটা সংজ্ঞাহীন অথৈ সাগর এর মত মানুষকে হয়তো পুরোটা নাই বা জেনে উঠতে পারলাম ,থাক না তার প্রতি কিছু অজনা ভালোবাসা ৷”

তিথি এবার আরূকে ধরে বলল :
__” কিরে তুই চুপ করে আছিস যে, তোর কি আরিশ ভাইয়াকে নিয়ে কিছু বলার নেই?”

সানা মুচকি মুচকি হেসে বলল ,,,,,
__”ওর ভাইয়ার প্রতি কোন অভিযোগ থাকতেই পারে না কারন ভাইয়া কখনো কোনো অভিযোগ করার সুযোগ রাখে না ৷”

তিথি আরুকে ডাকতেই আরূ চমকে গেল কারণ এতক্ষণ ধরে আরিসের রুমটার দিকে তাকিয়ে ছিল ও, মানুষটা রুমে নেই ক্লাস নিতে গেছে,আর দরজাটা হাট করে খুলে রেখে গেছেন তাই রুমের ভীতরটাতে স্পষ্ট দৃষ্টিপাত করতে পারছে আরূ ৷ আরিশ ওখানে না থাকলেও আরু সেই চেয়ারটায় আরিশ কে কল্পনা করার চেষ্টা করছে বারবার , হয়তো কাজের সময় ব্যস্ততার খাতিরে ওই চেয়ারটায় বসে মানুষটা হয়ত মুখে কলম গুজে কাজটাকে সহজ করার চেষ্টা করেতেন,আবার হয়তোবা মাঝে মাঝে অগোছালো চুল গুলো কে আঙ্গুল দিয়ে মঠি করে পিছন দিকে ঠেলে দিতেন তখন হয়ত শার্টের কলারটা কেও একটু নামিয়ে নিয়েন নীচের দিকে যাতে হাজারো ব্যস্ততার মাঝে কিঞ্চিৎ স্বস্তি মেলে ৷

এসবই হাজারো কল্পনা জল্পনা করছিলো আরিস কে নিয়ে, তখনই তিথি ডাকতেই চমকে গেল ও ৷

আরোশী মুখের হাসিটা চওড়া করে বলতে শুরু করল,,,,,

__”কি শুনতে চাইছিস তোরা বল আমি নিশ্চয়ই বলবো যদি তার সঠিক উত্তরটা আমার কাছে থাকে ৷”

__”এটাই জানতে চাইছি যে আরিশ ভাইয়া তোকে কতটা ভালোবাসে,আই মিন তোর প্রতি ওনার ভালোবাসাটা ঠিক কেমন সেটাই জানতে চাইছি , তাহলে আমি বুঝতে পারবো যে নাহিদ আর আরিশ ভাইয়ার ভালোবাসার গাঠনিক পার্থক্যটা ঠিক কোথায় !”

__” আসলে ভালোবাসায় পার্থক্য বলে কোন জিনিস হয় না ৷ শব্দটা যেন বড্ড বেমানান এই ভালোবাসা নামক সম্পর্কটার সাথে , আমি ঠিক কখনো ভালোবাসার ভেদাভেদ করতে চাইনি আর করলেও হয়তো বারবার ব্যর্থ হতাম কারণ আমি নিজেই কখনো ভালোবাসার সংজ্ঞাটা গড়ে তুলতে পারিনি নিজের মতো করে ৷ উনিই আমাকে শিখিয়েছেন ভালোবাসা জিনিসটা কেমন হয় ৷ উনি নিজের সম্পূর্ণ ভালবাসাটাকে অনুভূতির আকারে প্রকাশ করেছেন আমার কাছে তাই হয়তো কখনো এমন পার্থক্য করে বোঝার চেষ্টা করে ওঠা হয়নি আর ৷
তুই যদি জানতে চাস যে আমার প্রতি ওনার ভালোবাসাটা ঠিক কেমন তাহলে আমি এটাই বলব যে আলাদাভাবে উনি কখনো ভালবাসার ডেফিনেশন আছে বলে মনে করেন না , ওনার মতে আমি ওনাকে ভালোবাসা কি তা শিখিয়েছি এবং আমাকেও যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তো আমিও একই কথাই বলবো যে আমি উনার থেকে ভালোবাসা জিনিসটা কি তা শিখেছি ৷ আমরা দু’জনে একে অপরের পরিপূরক তাই সবটা এত সহজ বলে মনে হয় ৷
ভালোবাসা একটা অনুভূতি যা সকল মানুষের প্রতি আসে না যেমন তোর নাহিদ ভাইয়া ছাড়া এত বছরেও অন্য কোন পুরুষের প্রতি আসেনি তেমনি উনিও আমাতে আকৃষ্ট , আমার ভালোবাসায় আসক্ত , আমি উনাকে হাজার বার দূরে ঠেলে দিলে তুমি কখনও দ্বিধাবোধ করবেন না পুনরায় আমার কাছে ফিরে আসতে….
আসলে ভালোবাসা জিনিসটা ঠিক কেমন সেটা বুঝে উঠতে পারলেও উনার আমার প্রতি ভালোবাসাটা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না আজো ৷ উনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভালবাসেন যেগুলো হয়তো উনি আমার জীবনে না আসলে জানতেই পারতাম না যে কতটা চাইলে একটা মানুষ কে নিজের করে পাওয়া যায় ৷
আর তাছাড়া উনি ভালোবেসে যে কাজগুলো করেন সেগুলোর কথা নাহয় আমি নাই বললাম ৷ আমার কুড়ি বছর বয়সেও আমার বাচ্চামো স্বভাব গুলোকে ভালবাসার চোখেই দেখেন, কখনো বিরক্ত বোধ করেন না, হালকা কুয়াশা মাখা রাতেও ওনার গায়ে বমি করে দিলেও মুখদিয়ে আবেগজনিত একটা শব্দটিও উচ্চারণ করেন না , আমার কিছু হলে যেন নিজের প্রাণটাই যেন হারিয়ে ফেলেছেন এমনটাই অনুভব করেন উনি….
আমি হিনা উনি কিছুই নয় এই জিনিসটা উনি বড্ড বিশ্বাস করেন তাই আমিও উনার দীর্ঘ বিশ্বাসের দেয়ালটা কখনো ভাংতে চাইনা ৷
আজো ভালোবাসি আর আজীবন ভালোবাসবো,,,,,, অনুভুতিতেই বিরাজ করুক সকল ভালোবাসা ৷ ভালোবাসা অবিরাম ৷”

এতক্ষণ ধরে তিথি আর সানা দুজন আরূর কথা মন দিয়ে শুনছিল, ওরা এত বছর ধরে আরূকে দেখছে,তাই ওকে ভালোভাবে চেনে যে ও ঠিক কেমন স্বভাবের,তাই আজ আরুর মধ্যে পরিবর্তনটা ওরা লক্ষ্য করতে পারছে , দীর্ঘ পরিবর্তন হয়েছে ওর মাঝে ৷

ওদের দুজনের গভীর দৃষ্টি উপেক্ষা করে আরু আবার মুচকি হাসি দিয়ে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হাটা দিল সামনের দিকে, কারন সেখানে আরিশ পকেট এ্ হাত রেখে আরুর জন্য অপেক্ষারত আর মুখে রয়েছে বরাবরের সেই মন মাতানো হাসি , যা আরূকে বারবার ঘায়েল করার জন্যই যথেষ্ট ৷

আরু নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে, নিজের ম্যাচিউরিটি টাকে বাড়াতে চাইছে কারণ ও জানে ওর অনেক কাজ কর্মের জন্য আরিশকে অনেক ধকল সামলাতে হয়, ওর বাচ্চামো স্বভাবগুলো মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে চলেছে দিনদিন, আর এগুলো যে দিন শেষে আরিশ এর জন্য বড়ই কষ্টদায়ক আর ক্লান্তিকর সেটা আরিশ কখনো প্রকাশ না করলেও আরু ঠিক বুঝতে পারে….

সানা আর তিথির মধ্যে এখন অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করছে ৷ আরূর বলা প্রত্যেকটা শব্দ যেন ওদের ভাবনাচিন্তা কে পরিবর্তন করে দিয়েছে৷ এতক্ষণ ধরে ওরা যে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছিল আরুশির কথাগুলো হলো তার যোগ্য জবাব ৷ আসলে সত্যিই ভালবাসার মানুষটাকে যদি সঠিকভাবে না ই ভালোবাসতে পারো তাহলে তারা অপরের চোখে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের নজরে আসে , আর আরু ওর কথাতেই প্রমাণ করে দিল ৷ অরিশ আর আরুর ভালোবাসাটা এক অদ্ভুত রকমের, যেমনটা আরুশিও ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি আজও তেমনি হয়তো বাইরের তৃতীয় ব্যক্তি চেষ্টা করলেও কখনো বুঝে উঠতে পারবে না কারণ তা যে দীর্ঘ মহা সাগরের মতই যেখানে শুরু থাকলেও কোনো শেষ নেই ৷

আরিশ আর আরু দুজনে সামনের দিকে হেটে যাচ্ছে, দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ নিরবতা ৷ নীরবতা ভেঙে আরিশ বলল,,,,,
__” আমার রুমের দিকে তাকিয়ে কি দেখছিলে আরুপাখি?”

আরিশের থেকে এরকম একটা প্রশ্ন আরু শুনবে সেটা হয়তো আশা করেনি ও ৷ হাটতে হাটতেই বলল,,,
__”কই না তো ৷”

__”ওহ আচ্ছা তাই ! তাহলে এখন তো ধরে নিতেই হয় যে আজকাল ভালোবাসার নজরে কিছু দেখলেও সেটা ভুল হয় ৷”

আরু এবার থেমে গেল, থেমে আরিশের দিকে তাকিয়ে বলল ,,,,,,
__”আমি আপনার রুমের দিকে তাকিয়েছিলাম কারণ ওই ফাঁকা রুমটার মধ্যে আপনি উপস্থিত না থাকলেও সেখানে আপনাকে অনুভব করতে চাইছিলাম আমি ৷ ভালোবাসার মানুষটা চোখের সামনে না থাকলেও মনের মাঝে কল্পনা করতে অসুবিধা কোথায় ?”

অন্য সময় হলে আরু হয়তো প্রশ্নটা কে এড়িয়ে যেত কিন্তু আরিশের বলা শেষের কথাটা যেন বড্ড স্পর্শকাতর , কারণ আরিশ বললো যে ও ভালবাসার চোখ দিয়ে কিছু দেখলে তাও আজকাল ভুল দেখায়,কিন্তু সেটা তো সত্যি নয় ৷ আরিশের ভালোবাসা নিখাদ, সেটা আরু জানে তাই এখন সত্যিটাকে অস্বীকার করলে ওদের ভালোবাসাকে অসম্মান করা হয়, তার জন্যই উত্তরটা দেওয়া জরুরি বলে ও মনে করলো ৷

মুখের হাসিটা টেনে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আরুকে চোখের ইশারায় আবার পুনরায় সামনের দিকে এগোতে বলল , একসাথে আরো পথ চলা বাকি ওদের, জীবনে একবার থেমে গেলে সেখানেই পড়ে থাকতে হবে নাহলে সামনে এগোনোর রাস্তাটা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসবে….

সামনে নানান ধরনের খাবার রয়েছে আর আরিশ আর আরূ দুজনেই বসে আছে ৷ আরূ খাবার গুলো দেখছে আর কেমন একটা হচ্ছে তবু এখন ভাবছে যে ওর কষ্ট হলেও নিজের বেবির কথা ভেবে আর আরিশের কথা ভেবে ওকে খেতেই হবে কারণ ও আরিশ কে বারবার কষ্ট দিতে চায় না, যদিও বা আরিশ এগুলো জানলে খুবই রাগ করবে যে ওর ভালোবাসাটাকে আরোশী কষ্টের চোখে দেখে তবুও এত ব্যস্ততার মাঝেও আরিশকে যদি একটু ফ্রী স্পেস দেওয়া যায় তাহলে সমস্যা কিসের….

আরুশি খাবার হাত নিতেই আরিস বলে উঠলো,,,
__”তোমাকে হাত দিতে হবেনা আমি খাইয়ে দিচ্ছি৷”

আরুও আর না করলো না কারণ এগুলোর সাথে ও পরিচিত ৷ আরিশ কখনো কাউকে পরোয়া করেনি আর আজ করবে না , আগে ক্যান্টিনে খুব লাঞ্চ করার সময় আরিশ খুব একটা না আসলেও তবে এখন আরিশ প্রতিনিয়ত আসে, আর ওদেরকে এমনভাবে দেখে দেখে সকলেই অভ্যস্থ, কেউ আর আগের মতো বিষয়টা দেখে হাসাহাসি করে না ৷ আগে আরূও এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অনেকটা ভাবলেও এখন আর ভাবে না কারণ যার যা ভাবার সে সেটাই ভাববে, ওর ভাবনাতে কারোরই ভাবনা-চিন্তার পরিবর্তন হবে না…..

আরিশ আরুকে খাইয়ে দিচ্ছে মনোযোগ সহকারে আর আরু ও খাচ্ছে কিন্তু আরিস এখনো খাচ্ছে না দেখে আরু বলে উঠলো,,,
__”আপনি সেই থেকে আমাকে খাইয়ে যাচ্ছেন আর নিজে তো কিছু খাচ্ছেনা৷”

__”আগে তোমার খাওয়া শেষ হোক তারপরে আমি অফিসে গিয়ে লাঞ্চ করে নেব ৷”

__”আপনি কি আবার অফিসে যাবেন ?”
ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বলল কারণ আরিশের এত কষ্ট আরু আর নিতে পারছে না, মানুষটা বড্ড বেশি স্ট্রাগেল করে সারাদিন ৷

__”হ্যা অফিসে যেতে হবে , অফিসে কাজের প্রচণ্ড চাপ , তাছাড়া বাবা একা হাতে কতটা সামলাবেন বলো!আমারও তো একটা দায়িত্ব আছে কিনা ! বাবারও বয়স হয়েছে বেশি প্রেসার দেওয়া ঠিক না তাই নিজেই হ্যান্ডেল করা যায় তারই চেষ্টা করছি ৷”
__”কিন্তু তুমি খাওয়া থামালে কেনো? তাড়াতাড়ি খাও ৷”
খানিকটা ধমকের সুরেই বললো আরিশ ৷ আসলে এক্সট্রা 5 মিনিট ক্লাস নিতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে ওর ৷
আর আজকে অফিসের কাজটাও একটু বেশি সেই কারণে ৷
আরুশির খাওয়া শেষ হয়ে গেলে আরিশ আর আরু ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এল ৷ আরূ আরিশকে অনেকবার খাওয়ার কথা বলেছে তবে আরিশ খাইনি ৷ আরুর আন্দাজ হয়ে গেছে যে অফিসে গিয়েও আরিশের আর খাওয়া হবে না , একবার কাজের মধ্যে ঢুকে গেলে খাওয়া-দাওয়ার কথা আর কিছু মনেই থাকে না আরিশের, এতদিনে এগুলো বেশ ভালই বুঝতে পেরেছে আরূ ৷

একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,,,,,,
__” কখন ফিরবেন?”

আরিশ ঘড়ির দিকে এক পলক তাকিয়ে নিয়ে আরু কে বলল,,,,
__” আজ হয়তো ফিরতে লেট হবে আরুপাখি, তুমি যেন বেশি রাত জেগো না কেমন!”
বলে আরুশির গালে আলতো করে স্পর্শ করে কপালে ভালবাসার পরশ একে দিল….

আরুর চোখের কোনায় জল জমে রয়েছে,
হয়তো পলক পড়লেই টপটপ করে গড়িয়ে পড়বে৷ মানুষটার কষ্ট দেখে নিজেরও প্রচন্ড কষ্ট হয় ৷ সারাদিন অফিস কলেজ করে নিজের কেয়ার টুকু নিতেই ভুলে যাই আরিশ ৷

আরুর থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল আরিশ ৷

আরিশ যেতেই আরুর চোখের কোনে জমে থাকা জলগুলো অবাধ্য হয়ে গড়িয়ে পড়ল চোয়াল বেয়ে ৷ কেন এতটা কষ্ট পায় মানুষ টা ? কেন এত কষ্ট করে? উত্তর একটাই,,,,, প্রিয়জনকে ভালো রাখার জন্য ৷
কিন্তু সকলকে ভাল রাখতে গিয়ে দিনশেষে আরিশের নিজের আর ভালো থাকা হয়ে ওঠে না….

অনেকক্ষণ ধরে ঘরে বসে থাকতে থাকতে আরুসি বোর হয়ে গেছে ৷ একপলক ঘড়ির দিকে তাকাতেই দীর্ঘশ্বাস নিয়ে চোখটা নিচে নামিয়ে নিল , ঘড়িটার দিকে তাকালেই বুকের ভেতরটা কেমন একটা করে ওঠে ৷ কত তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায় দিনটা ৷ শীতকালের আবহে সূর্য্যটাও আজ কাল তাড়াতাড়ি নিজের গন্তব্য ফিরে যায়, যদি তাকে কোনভাবে আটকে রাখা যেত তাহলে হয়তো প্রিয় মানুষটার জন্য অপেক্ষার প্রহরটাও আরো দীর্ঘ তো….

সন্ধ্যা হতেই আরো বেশ কিছুক্ষন বাকি আছে তাই একটু গার্ডেন থেকে ঘুরে আসতে ইচ্ছা হল আরুশির, সানা কলেজ থেকে এসেই ঘুমিয়ে পড়েছে তাই ওর সাথে আজকের গল্প করার সুযোগটা আজ নেই ৷ এমনিতেও আজকে মনটা ওর কেমন একটা করছে, খুব একটা ভালো লাগছে না , বড্ড একা একা ফিল করছে আরিশকে ছাড়া ৷

বিছানা থেকে ওড়নাটা নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল আরূ ৷
আস্তে আস্তে বাগানের মধ্যে হাঁটছে আর ফুল গাছ গুলোকে মাঝে মাঝে আলতো করে স্পর্শ করে দেখছে, দিনের শুরুতে কত সহজ ভাবে ফুটে ওঠে আর দিনশেষে কেমন নেতিয়ে পড়ে ৷
তবে আরিস সারাদিন নিজেকে সতেজ প্রমাণ করার চেষ্টা করে তবুও ভীতর থেকে ওর নিজের শরীরটা যে আর চলে না সেটা ও নিজেও বুঝলেও কাউকে বুঝতে দেয়না , কথাগুলো বারবার ভাবছে আরূ….

কিছুটা হাটতেই নিজেকে যেমন ক্লান্ত ক্লান্ত বলে মনে হল তাই আর বেশি না হেঁটে দুরে দোলনাটাই গিয়ে বসে পড়ল ৷ দোলনার শিকলটার সাথে মাথা ঠেকিয়ে নিজের ক্লান্তি দূর করতেই কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে ঘুরে তাকাতেই দেখলো অনিকা খান হাতে একটা প্লেট নিয়ে ওর পাশে বসে আছেন….

__”কিরে তুই এখানে কি করছিস? আমি তোকে কখন থেকে খুঁজেই চলেছি, তোর রুমে গেলাম তোকে না পেয়ে তাই গার্ডেনে এলাম, দেখলাম তুই এখানে বসে আছিস ৷”

আরু মুচকি হেসে বলল,,,,,,
__” কিছু বলবে মামনি?”

__”কিছু বলবো তো অবশ্যই আর তার সঙ্গে আমার নাতিনাতনীটার পেটপুজোটাও সেরে যাব ৷ তোর জন্য গরম গরম চিকেন দিয়ে সিঙ্গারা বানিয়েছি আমি, তুইতো খুব ভালবাসিস ! তাই জন্য নিয়ে এলাম বানিয়ে ৷সানা তো ঘুমাচ্ছে, ওর জন্য কয়েকটা রেখে দিয়েছি আর আরিশের জন্যও রাখলাম ৷ তাড়াতাড়ি খেয়ে নে না হলে আবার ঠান্ডা হয়ে যাবে ৷”

আরু প্লেটটার দিকে তাকিয়ে বলল ,,,,,
__”তুমি রেখে যাও মামনি আমি খেয়ে নেব ঠিক ৷”

__”আমি জানি তুই খাবি না তাই তুই আগে খা তারপর আমি যাবো ৷”

তখনই বাড়ির কাজের মেয়েটা অনিকা খানকে ডেকে উঠতেই তাড়াহুড়ো করে ব্যস্ততা নিয়ে আরুশিকে সিঙাড়াটা খেতে বলে উনি চলে গেলেন ৷

সিঙাড়ার প্লেটটা নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটা দিল আরু, আরিশ আসলে তারপর দুজনে একসঙ্গে খাবে ৷

চলবে,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে