তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
শেষ পর্ব
মুন নিজের চোখ খুলে দেখে একটা অন্ধকার ঘরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পরে আছে
মুন নিজেকে বের করার অনেক চেষ্টা করছে কিন্ত পারছেনা চিৎকার দিতে চাইছে মুখ বাধা থাকার কারণে পারছে না ।
কিছুক্ষণ ছুটা ছুটি করে হার মেনে থেমে গেলো।
মুনের এই সময় রোদের কথা মনে পড়ছে রোদকে কি আর কখনই দেখতে পারবে না
এসব ভাবতেই মুন কান্না করে দিল।
।
।
।
কিছুক্ষণ পর ওখানে কয়জন লোক আসলো তাদের কথাতে বুঝা গেলো ওদের হেড এখন আসবে। লোকগুলো মনের মুখ খুলে দিল।
একটু পর একটা ছেলে রুমে ঢুকলো কালো কোর্ট আর ব্লু জিন্স পরে ।
ছেলেটার মুখ ভালো ভাবে মুন দেখতে পারছে না ছেলেটা আরো সামনে আসলে মুন দেখতে পারলো ছেলেটা কে ।
মুন ছেলেটাকে দেখে অবাক হয়ে যায়
মুনের মুখ থেকে আপনাআপনি বেরিয়ে গেলো
মুন: আরুশ
হ্যা মুনের সামনে আরুশ দাড়িয়ে আছে পকেটে হাত গুজে একটা ভিলেন স্মাইল দিয়ে ।
আরুশ : আরে আমার সুইটহার্ট যে আমাকে চিনতে পেরেছে এই তোমরা আমার জানকে এভাবে কষ্ট কেনো দিচ্ছ
মুন: আরুশ আপনি আমাকে এখানে কেনো এনেছেন ? ছাড়েন বলছি
আরুশ: আরে জান এভাবে কেনো ছুটছ তুমি যে এখান থেকে বের হতে পারবে না সেটা খুব ভালো করে জানো তাই চুপ চাপ আমার কথা শুন
মুন তাও নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করছে
আরুশ কিছু না বলে মুনের চুলের মুঠি ধরে একটা চর মেরে দেয়।
মুন কাদ কাদ ফেস করে তাকিয়ে আছে।
আরুশ: বলেছিলাম না আমার সামনে একদম বাড়াবাড়ি করবে না বলেছিলাম না( রেগে)
তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে ভালোবাসি কখনো না আমি প্রতিশোধ নিয়ে চাইছি ওই রোদ আহমেদ চৌধুরীর থেকে
মুন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
আরুশ : কিসের প্রতিশোধ বুঝতে পারছো না তাই তো ওকে বুঝিয়ে বলছি তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই কিন্ত কি করবো তোমার পেয়ারের জান যে আমার ভাই কে মেরে ফেলেছে আমার জানের ভাই যে আমার সব কিছু ছিল
( কথাটা বলতে গিয়ে আরুশ এর গলা আটকে আসলো)
কিছুক্ষণ থেমে আবার বললো
আরুশ : যানো আমার দাদু আর আমার ভাই ছাড়া আমায় কেউ বুঝে না । আমরা এমন ভাবে বেড়াতাম যে কেউ দেখলে মনে করবে নিজের ভাই । হ্যা ও আমার নিজের ভাই ছিল না মামাতো ভাই ছিল কিন্ত নিজের ভাইয়ের থেকে কম কিছু ছিল না।
সেই ভাই কে তোমার রোদ মেরে ফেলেছে যেভাবে এখন আমি তোমাকে মারবো
( রেগে)
মুন: আমার রোদ কখনো কাউকে মারতে পারে না আপনার ভুল হচ্ছে আমি জানি আমার রোদকে
আরুশ : এতো ভালোবাসা তোমার বরের জন্য কিন্ত তোমার বর তো একটা খুনি হা খুনি আমার ভাইয়ের খুনি
আয়াশ কে তোমার মনে আছে
আরুশের কথা শুনে মুনের মনে পড়ে গেলো মুন যখন এখানে আসে তখনই রোদের সাথে ওর ভার্সিটির অনুস্থানে যায় আর সেখান থেকে ওর পিছনে একটা ছেলে লাগে যাকে রোদ সবার সামনে অপমান করে তার নাম ছিল আয়াশ
মুন: আয়াশ এনি তো রোদের ফ্রেন্ড ছিল আমাকে বিরক্ত করতো
আরুশ : তোমাকে খুব ভালোবাসতো তুমি তখন তেমন বুঝতে না সোসিয়াল মিডিয়া তোমার পিক দেখে প্রম পরে যায় আর রোদের সাথে ভার্সিটিতে দেখে তোমার পিছনে পরে যায়।
কিন্ত তোমার রোদ সবার সামনে ওকে অপমান করে সবার সামনে মারে তাতে না কম হয়নী বলে ভার্সিটি থেকে বের করে দেয় আমার ভাই এত অপমান সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড অ্যাটেমদ করে।
সেদিন একা আমার ভাই মারা যাইনি তার সাথে আমার সব খুশি মারা গেছে যেদিন ওকে কবরে রেখেছিলাম সেদিন থেকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমার ভাইয়ের খুনি কে ছাড়বো না আমি জানি রোদের কলিজা তুমি তাই তো এই ভার্সিটিতে ভর্তি হই আর তোমার পিছনে পরে যাই ভেবেছিলাম তোমাকে বিয়ে করে রোদ কে তিলে তিলে মারবো কিন্ত হলো না এখন তোমাকে মেরে রোদকে তিলে তিলে শেষ করবো ।
রোদ যে ইয়াশ হয়ে ফিরে এসেছে সেটা আমি জানি এতটা বোকা আমি নই যাই হোক সব তোমাকে বলে দিলাম এখন তোমাকে টাটা বাই বাই করার সময় হয়েছে
বলে গানটা মুনের দিকে তাক করলো
মুনের এই মুহুর্তে রোদের কথা মনে পরছে
মুন: রোদকে কি আর দেখতে পাবো না ওকে কি জানাতেই পারবো না আমি আর উনি একা না আমাদের সাথে আর একজন আসছে রোদ কোথায় আপনি আমাদের বাঁচান ( চোখ বন্ধ করে এসব ভাবছে)
আরুশ কিছু না ভেবে সুট করলো
।
।
।
৬মাস পর
এই কি মাসে অনেক কিছু বদলে গেছে রুমা আর নিরব স্যার এর বিয়ে হয়ে গেছে
আজ লামিয়া আর বাঁধনের বিয়ে
সবাই চলে আসছে কিন্ত একজন এখন ও আসেনি লামিয়া ফোন দিচ্ছে কিন্ত লাভ হচ্ছে না
রুমা: কিরে ওরে ফোন দিচ্ছিস ?
লামিয়া: হা কিন্ত ধরছে না
রুমা: ওরে আজ আসতে দেবে না জানিস তো ওর কি অবস্থা
লামিয়া মুখ গোমড়া করে চলে গেলো
এদিকে ঘরে একজন মুখ গুমড়া করে রেগে আরেক জনের দিকে তাকিয়ে আছে
রোদ: ওভাবে তাকিয়ে লাভ নেই তোমার যাওয়া হচ্ছে না মানে হচ্ছে না
( জী ছেলেটা রোদ আর মুখ গোমড়া করে মুন তাকিয়ে আছে)
মুন: আপনি ওমন কেনো আমরা ওনলি ওন বন্ধুবি তার বিয়েতে আমি গেলে কি হবে
রোদ: অনেক কিছু হবে আগের বার রুমা বিয়েতে কি করছিলে মনে নেই এই অবস্থায় নাচতে গিছিলা আমি ঠিক টাইম মতো না গেলে কি হতো
মুন: এবার ওমন কিছু করবো না সত্যি
রোদ: জী না আমি আমার বেবি আর বেবির আম্মুকে নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাইনা।
( মুন ৬ মাসের প্রেগেনট)
মুন মুখ গোমড়া করে বসে রইল
রোদ উঠে গিয়ে আবার ফিরে আসলো
রোদ: এই দেখো
মুন: না
রোদ: দেখো না দেখলে কিন্ত তোমার লস
মুন তাকিয়ে দেখে লেপটপে লামিয়ার বিয়ে দেখা যাচ্ছে
মুন খুশিতে লাফ দিতে গেলে রোদ ধরে ফেলে
রোদ: এই মেয়ে তোমার কি মাথা গেছে এখনই জী কিছু একটা বাধিয়ে ফেলতে স্টুপিড একটা( রেগে)
মুন চুপ করে বিয়ে ইঞ্জয় করছে।
কিছু বুঝলেন না তো ওকে অতীতে ঘুরে আসি
৬ মাস আগে
আরুশ যেই মুনকে সুট করবে তখনই রোদ আরুশ এর হাতে লাথি মারে আর মুনের গায়ে না লেগে অন্য কোথাও লাগে
আরুশ তাকিয়ে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে
রোদ: কি ভেবেছিলি আমার জান কে এতো সহজে মারতে পারবি আমি আগে থেকে সব জানতাম তোর লোকদের কাল আমি বেশি টাকা দিয়ে কিনে নিচি তারা এতো দিন যা করছে সব আমার কথায় আমি জানতে চাইছিলাম তুই কেনো এমন করছিস তাই তো আজ মুনের চোখে লেন্স আর মেশিন লাগিয়ে দি যাতে ও যা দেখে সব আমি দেখতে পারি আর ও না শুনে সব আমি শুনতে পারি।
তোর ভাই আমার কলিজায় হাত দিয়েছিল তাই তাকে আমি উচিৎ শিক্ষা দিছি আর তুই ও তার থেকে ও বেশি বড়ো অপরাধ করছিস এবার দেখ তোর কি হয়
রোদ চোখের ইশারা করতে ওর লোক আরুশ আর পিয়ালী ধরে
রোদ: ওদের এমন মৃত্যু দাও যেনো ওদের রুহু ও কেপে উঠে।
রোদের লোকরা আরুশ আর পিয়ালী নিয়ে গেলো।
রোদ গিয়ে মুন কে বাঁধন থেকে ছড়ায়
মুন কিছু না ভেবে রোদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে
রোদ: এই পাগলী কান্না কেনো করছো আমি তো এখানেই আসি কান্না থামাও
মুন তো কেড়েই যাচ্ছে
মুন: আমি ভাবছিলাম আমি আর আপনাকে দেখতে পাবো না আপনি আমাদের হারিয়ে ফেলবেন খুব ভয় হাসছিল
রোদ আমরা শুনে অবাক হয়
রোদ: আমরা মানে?
মুন রোদের বুক থেকে উঠে
মুন: রোদ আপনি আব্বু হতে যাচ্ছেন কাল ডক্টর এর কাছে গিয়ে চেক আপ করে জানতে পারি আজ সকালে রিপোর্ট দিয়েছিল আপনাকে বলার আগেই
বলে আবার কাদতে লাগলো
রোদ মুনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো
রোদ: তুমি জানো না আজ আমি কত খুশি আমার পিচ্ছি বউটা আজ মা হতে যাচ্ছে আমি আব্বু হবো আমি যে আজ কতো খুশি কি বলবো ।
চলো এক্ষুনি বাড়ি চলো আজ সবাই কে জানাতে হবে এতো খুশি খবর আমাদের আর একটা ছোটো মুন আসছে।
রোদ মুনকে কোলে তুলে বাড়ি নিয়ে আসে বাড়ি এসে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ায়
রোদের খুশি দেখে কে মুন বসে বসে রোদের পাগলামি দেখছে
তার ২মাস পর রুমা আর নীরবের বিয়ের দিন রোদ আসতে পারেনি একটা কাজে ।
মুন একা যায়
রোদ যখন ওখানে যায় গিয়ে দেখ মুন আর লামিয়া উরাধুরা নাচছে।
রোদের দেখে তো মিজাজ গরম হয়ে যায়
মুন এমন ভাবে নাচছে যেন ও যে প্রেগেনট ভুলেই গেছে সাথে লামিয়া
মুনের একমাত্র বান্ধবীর বিয়ে নাচবে না আর নিজের বিয়ে তো সাইকো রোদের জন্য সব শেষ তাই এভাবে নাচছে যেনো ওর বিয়ে
( নিজের বিয়েতে ও উরাধুরা নাচবো সেটাই আসাই আছি)
রোদ মুনের কাছে যায়
মুন তো রোদকে দেখে যান যায় যায় অবস্থা রোদ মুনকে কোলে করে বাড়ি নিয়ে আসে সেদিন থেকে মুনকে আর একটা কোথাও যেতে দেইনা রোদ ও বাড়ি থেকে সব কাজ করে।
অতীত শেষ
বর্তমান
মুন মন দিয়ে ওদের বিয়ে দেখছে আর রোদ মুনকে দেখছে ।
মুন: ইসস আমি যদি আবার বিয়ে করতে পারতাম
কথাটা রোদের কানে গেলো
রোদ: বিয়ে করতে ইচ্ছা করছে
মুন: হবে না সব তো আপনার জন্য শেষ সালা সাইকো ছোটো করে বিয়ে করছে আমার ছেলে মেয়ে বরো হয়ে দেখতে চাইলে কি দেখাবো যে তার আব্বু কিপটা( রেগে)
রোদ: কি আমি কিপটা ( ভূ কুচকে)
মুন ভয় পেলো না কারণ মুন জানে রোদ মুনকে একটু ও বকবে না
মুন: হা বলছি
রোদ: খুব সাহস বেড়েছে তোমার তাইনা
মুন: হ্ন
বলে মুন শুয়ে পরলো
মাঝরাতে
মুনের ঘুম ভেংগে যায়
মুন: এই রোদ উঠুন না প্লিজ
রোদ: কি হলো
মুন: আমার খিদে পেয়েছে
রোদ: আচ্ছা আমি খাবার নিয়ে আসছি
মুন: না আমি ওসব খাবো না ফুসকা খাবো
রোদ: এখন এই রাতে
মুন: হুম এখনই মানে এখনই
রোদ কিছু বললো না রোদ জানে মুন যা বলবে তাই করতে হবে এটা মুনের প্রতিদিন এর কাজ মাঝ রাতে রোদকে ডেকে এটা খাবে ওটা খাবে আবদার করা ।
রোদ উঠে গিয়ে ওর বডিগার্ড কে ফোন করে ফুসকার আনতে বলে
।
।
।
মুন ফুসকা খাচ্ছে আর রোদ মুনকে দেখছে
মুন: অভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আপনার খেতে ইচ্ছা হলে খান
রোদ: তুমি খাও
মুনের খাওয়া শেষ হলে
রোদ: খাওয়া শেষ ?
মুন: হুম
রোদ: এবার চলো
বলে মুনকে নিয়ে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো
৪ বছর পর
তোহা মুনের দিকে একবার তাকাচ্ছে আর একবার রোদের দিকে
রোদ: কি হয়েছে মামনি
( তোহা মুন আর রোদের একমাত্র মেয়ে)
তোহা: পাপা মাম্মা আমার চকোলেট খেয়েচে
মুন: ওই আমি কখন খেলাম
রোদ: মামনি আমি তোমাকে অনেক গুলো এনে দেবো তোমার মামনি তো চোর যানো না আমার জিনিস ও চুরি করছে
তোহা: তোমার চকোলেট খেঁয়েছে
রোদ: না মামনি আমার মন চুরি করেছে
মুন লজ্জায় চলে গেলো
তোহা: পাপা আমার অনেক গুলো চকোলেট কিনে দিবা
রোদ: এখনই দিচ্ছি
রোদ ওর বডিগার্ড কে ফোন করে চকোলেট আনতে বলে
রোদ: তোমার চকোলেট এখনই চলে আসবে এখন পাপা কে একটা চুমু দাও তো
তোহা ওর পাপা কে চুমু দিল
রাইমা: কি আমার দাদুভাই শুধু পাপা কে আদর করলে হবে
তোহা ওর দাদুর কাছে যায়
নিহাল চৌধুরী আর রাইমা চৌধুরী কলিজার টুকরা
রোদ উঠে ওদের ঘরে গিয়ে দেখে
মুন বারান্দায় দাড়িয়ে আছে
রোদ মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে
মুন: আপনি
রোদ: হা আমি তুমি কি অন্য কাউকে চাও
মুন কিছু বললো না
রোদ: আমার মামনি টা খুব একা তাই না
মুন: কই একা সবাই তো আছে
রোদ: হুম কিন্ত একটা খেলার সাথী হলে ভালো হয় তাইনা
মুন: খেলার সাথী তো আছে
রোদ: উফফ ওর একটা ভাই বন হলে ওর খুব ভালো লাগতো
মুন এতক্ষণে বুঝলো রোদ কি বলতে চাচ্ছে
মুন কিছু না বলে রোদের বুকে মুখ লুকালো
রোদ: আমার সাইকো গিরি কি আবার শুরু করবো?
মুন: সাইকো
রোদ: তোমার জন্য সাইকো হতে পারি
খুব ভালোবাসি
মুন: আমি ও খুব ভালোবাসি
তোহা: আমি ও ভালোবাসি
রোদ মুন পিছনে তাকিয়ে দেখে তোহা কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে
রোদ গিয়ে তোহা কে কোলে নিল
রোদ: ওরে আমার মামনি আমি ও তোমাকে ভালোবাসি
মুন: আমি বুঝি বসি না?
রোদ: না না তোমার মাম্মা ও ভালোবাসে
তোহা: পাপা সাইকো মানে কি
রোদ আর মুন হেসে দিল
রোদ: সেটা তোমার ম্যামমা কে বলো
মুন: সাইকো হলো কাউকে ভালোবাসলে তারজন্য পাগলামির শেষ পর্যায়কে সাইকো বলে
তোহা: ওহ
মুন: হুম এবার আমাকে একটু আদর কর
তোহা মুন কে আদর করে দিল সাথে রোদকে ও
।
।
এভাবেই ওদের ভালোবাসা বেচে থাকুক
সত্যি কারের ভালোবাসা গুলো বেচে থাকুক
মিথ্যে ভালোবাসা বন্ধ করা হোক।
ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়।
ভালোবাসার মানুষের জন্য সাইকো হতে রাজি
সমাপ্ত