তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১৪

0
3216

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৪
রোদ মুনকে টেনে হিচড়ে নিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল ।
রাইমা চৌধুরী নাহিল চৌধুরী কে খাবার দিচ্ছিলেন হটাৎ মুনকে এভাবে ফেলে দেওয়াতে ওনারা অবাগ হয়।
রাইমা: কিরে রোদ আজ আবার মুন কি করলো মেয়েটাকে অভাবে ফেলে দিলি কেনো( মুনের কাছে গিয়ে)
রোদ কিছু বলছে না
নিহাল চৌধুরী: রোদ এবার কিন্ত তুমি বেশি করছো । তোমাকে আমি আগেই বলেছিলাম
রোদ: কি বলেছিলে মুনকে যাতে কষ্ট না দি তাই তো আর আজ যে ও আমাকে কতো টা আঘাত করেছে তার বেলা কি হা । আজ আমি ওকে মেরেই ফেলবো।
রাইমা চৌধুরী: কি করেছে মুন
রোদ: কি করেনি সেটা বলো
নাহিল চৌধুরী: ওতো ভোমিতা না করে সোজা কথা বলো
রোদ: মুন আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলো তাও আবার যে ছেলেটা ওকে বিরক্ত করতো সেই ছেলেটাকে
রাইমা চৌধুরী আর নিহাল চৌধুরী তো আকাশ থেকে পড়লো।
রাইমা: মা রোদ এসব কি বলছে।
মুন তো কেদে যাচ্ছে
রোদ: ও কি বলবে ওর কোনো মুখ আছে
নিহাল চৌধুরী: মামনি তোর যদি কোনো পছন্দ থাকত আমাকে বলতে পারতি। আমি কি তোর কেউ না তোকে যে আমি নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসি।
মুন: পাপাই আমি
রাইমা চৌধুরী: তোর আর রোদের বিয়ে তো সেই ছোটো বেলা থেকে ঠিক হয়ে আছে তোর আব্বু রোদ কে পছন্দ করত আমরা ভাবছিলাম তুই ও রোদ কে কিন্ত তোর যদি কোনো পছন্দ থাকত আমাদের বলতি।
রোদ: কি বলবে তোমাদের আমার আর ওর বিয়ে ঠিক হয়ার পর ও এমন কেনো করলো । আজ আমার আর আমার স্ত্রী এর মাঝে কেউ আসবে না । ( রেগে)
রাইমা: স্ত্রী মানে
রোদ: মুনকে যখন আরুশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল তখন আমার বডিগার্ড দেখে। মুনের পিছনে আমি অনেক আগে থেকে লোক লাগিয়ে রেখেছিলাম সেই আমাকে জানায়। আমার লোকেরা কাজী অফিসে যায় কাজী সাহেব কে বলে মুনের সাথে আমার বিয়ে করায় আর আরুশ কে একটা ফালতু কাগজে সাইন করাই ।আমি গিয়ে দেখি মুন সাইন করছে। আমি যাওয়ার পর আরুশ কে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় । পরে আমরা বিয়ে করে আসি।
নিহাল চৌধুরী : আমাদের বংশে অভাবে কেউ বিয়ে করে না কিন্ত যখন করে ফেলেছো তোমাদের জন্য অনুষ্ঠান করা হবে সবাই আসবে তোমাদের দেখতে ।
রোদ: সে সব পরে আগে আমি আমার স্ত্রীর সাথে কিছু হিসাব মিলানো আছে ।
বলে মুনকে টেনে রুমে নিয়ে গেল।

পিছন থেকে রাইমা চৌধুরী ডাকলেন
নিহাল চৌধুরী: ছেলেটাকে আটকাও
রাইমা : আজ ওকে কেউ আটকাতে পারবে না খুব কষ্ট পেয়েছে আমার ছেলেটা।
নিহাল চৌধুরী চলে গেলেন
রাইমা চৌধুরী ওখানেই ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

রোদ মুনকে নিজের ঘরে নিয়ে এসে বিছানায় ছুড়ে মারলেন।
রোদেকে আজ খুব হিংস্র লাগছে যে কেউ দেখে ভয় পাবে ।
মুন: রোদ প্লিজ আমার কথা টা একটু শুনুন আপনি যা ভাবছেন সেসব কিছু না
রোদ: কি সব কিছু না বলো ( চিৎকার করে)
আমার চোখে দেখা সব ভুল
তোমাকে বলেছিলাম এমন কিছু করো না যাতে আমার ধর্যের বাদ ভেঙ্গে যায় কিন্ত না সেটা তুমি করলে কি ভেবেছিলে আমার থেকে বেচে যাবে কখনো না মরবো তোমাকে নিয়ে আর বাঁচবো তোমাকে নিয়ে ।
আজ তুমি আমার আসল রূপ দেখবা
কথা বলে রোদ চলে গেলো
মুন ওখানে বসে কাদচে
মুন: রোদ আমার কথা একটু শুনুন আমি ইচ্ছা করে করিনি আমাকে যে করে হোক রোদকে বলতে হবে ।
একটু পর রোদ আসলো হাত সেদিনের মতো বেলেট আর মোমবাতি নিয়ে।
রোদ: সেদিন তোমাকে ছেড়ে দেওয়া আমার ভুল হয়েচিলো বুঝিনি তোমার কলিজা এতো বড়ো হবে ।
তুমি তোমার সাহস দেখিয়েছো এখন আমাকে তোমার সাহসের পুরষ্কার দিতে হবে।
বলে মুনের দিকে এগিয়ে গেলো।
মুন পিছিয়ে আছে
মুন: রোদ প্লিজ বিশ্বাস করুন আমি
রোদ মুনের উরনা টান দিয়ে ফেলে দিয়ে মুনের বুকে বেলেট দিয়ে নিজের নাম লিখতে লাগলো একটা সময় মুন আর সহ্য করতে না পেরে স্ন্সেলেস হয়।
রোদ মুনকে বুকে নিয়ে কাদছে
রোদ: কেনো মুন কেনো আমাকে এত কষ্ট দিলে আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায় না ছোটো বেলায় তো বলতে আমায় ছেড়ে কখনো যাবে না তাও চলে গিয়েছিলে বড়ো হয়ে ও কথা দিয়ে রাখলে না কিন্ত আমি তোমাকে আর নিজের থেকে আলাদা করবো না তোমাকে আড়ালে ভালোবাসবো কিন্ত কষ্ট ও দেব বুঝাবো যে ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিকে কেমন আগে তুমি আমার কাছে থেকে ও আমাকে পাবে না ।
মুনের কপালে একটা চুমু খেয়ে নাম লেখা জায়গায় ওষুধ লাগিয়ে কিছুক্ষণ মুনের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে রোদ চলে গেলো।

রাইমা চৌধুরী: মুনের জন্য আমার খুব ভয় করছে রোদ যা ক্ষেপেছে জানিনা কি করবে ।
নিহাল: সে তো আমার ও করছে। রোদ কথায় এখন?.
রাইমা: বাইরে গেছে
নিহাল: আর মুন
রাইমা: ঘরে আছে ।
নিহাল: কাল রোদ আর মুনের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে রোদ আসলে ওকে জানিয়ে দিও।
রাইমা: কাল
নিহাল: হা কালকে আমার সব মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে আমি চাইনা মিডিয়াতে এটা অন্য ভাবে বের হোক তাই কাল
রাইমা: তুমি যেটা ভালো বোঝ

রোদ গাড়ি নিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় আসে
হাতে হুসকির বোতল একটু পর পর খাচ্ছে।
রোদ: মুন আমি এটা চাইনি আমি কখনো এটা চাইনি খুব ভালোবাসি তোমায় তোমাকে হারানোর কথা আমি স্বপ্নে ও ভাবতে পারিনি আমি এখন থেকে যা করবো তার জন্য তুমি দায়ী তুমি যদি ওটা না করতে তাহলে আমি কখনো এমন করতাম না bt i cannot give up i cannot Sacrifice তুমি আমার ছিলে আমার আছো আর আমার থাকবে ।
বোতলে চুমুক দিয়ে ।

বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ গাড়ি নিয়ে বাড়ি যায়
বাড়ি গিয়ে দেখে মুন এখন ও অভাবে আছে রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে জোরে ডাক দিল
মুন ধরপরিয়ে উঠলো
তাকিয়ে দেখে রোদ ওর দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।
রোদ কিছু না বলে মুনের গলা চেপে ধরে
রোদ: কি ভেবেছিলি অন্য কারোর বউ হলে আমার থেকে মুক্তি পেয়ে যাবি কখনো না
তুই আমার ছিলি আর আমার থাকবি
মুনের তো দম বন্ধ হয়ে আসছে।

রোদ মুনকে ছেড়ে দেয়।
মুন তো কাশতে কাশতে শেষ।
রোদ মুনকে বিছানায় নিয়ে মুনের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরে।

সকালে
মুনের ঘুম ভাঙ্গল মুন নিজের ঘরে যায় ফ্রেশ হতে ।

রোদ ঘুম থেকে উঠে মুনকে না পেয়ে জোরে ডাক দেয়।

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে