তোমাতে আসক্ত ২ পর্ব-২৯+৩০

0
1359

#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৯

আর কতোদিন এভাবে অভিমান করে থাকবে অভ্র। ভালোবাসা কেনো লুকিয়ে রাখছো। একবার জিজ্ঞেস করার প্রয়োজনীয় মনে করোনি আমি কেনো ঐদিন কেনো মিথ্যা বলেছিলাম। মনে মনে ভাবলাম যা ই হক আজ অভ্রের সাথে সকল মান অভিমান মিটিয়ে নিবো।

–অভ্র জানতে চাওনা আমি কেনে ঐদিন মিথ্যা বলেছিলাম?

–যে মিথ্যা বলে সে সব সময় ই মিথ্যা বলে বিনা কারণে।

–কিন্তু আমারটা কারণ ছিলো অভ্র।

— বানোয়াট কারণ শুনতে চাই না।

–আমি বলি তারপর যদি আপনার বানোয়াট মনে হয় তাহলে আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই।

–হুম।

–আচ্ছা আপনার কী একবার ও মনে হয়নি, মিনতি আপুর বৌভাতের দিন আমি হঠাৎ কেনো চেঞ্জ হয়ে গেলাম। হঠাৎ কেনো আপনার থেকে দূরে সরে আসার চেষ্টা করেছিলাম। আপনার একবার ও প্রশ্ন জাগেনি হঠাৎ আমি কেনো এমন করছি।

–আপনি ইচ্ছে করে আমার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, এসব প্রশ্ন কেনো জাগবে। তাও যখন আপনি নতুন করে নাটক সাজাতে চাচ্ছেন, সাজান। শুনি বলুন।

–সত্য কথাটা শুনতে তেতু হলে ও কিন্তু সত্য। ঐদিন আপনার মা আমাকে আপনার থেকে দূরে থাকতে বলেছে।এটাও ও বলেছে আপনার থেকে দূরে না সরলে আমার বোনের ডিভোর্স করে দিবে।

কথাটা বলার সাথে সাথে অভ্র সজোড়ে থাপ্পড় মারে। গালে হাত দিয়ে বেডে বসে পড়লাম দুচোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। কান্না করতে করতে বললাম।

–আরো একশত থাপ্পড় দিলে ও কি সত্যিটা মিথ্যে হয়ে যাবে না।ইভেন কলেজে ঐদিন প্রিন্সিপালের সামনে ও আমাকে মিথ্যা বলতে বাধ্য করেছিলো আপনার মা।

–মিহি ভালোবাসি বলে যা নয় তাই কিন্তু বলতে পারো না।যেটা ইচ্ছা ঐটা দিয়ে নাটক সাজাও কিন্তু আমার মাকে এর মধ্যে টানবে না।

–আমার মা সব জানে এই ব্যাপারে। ঐদিন বিয়ের আসর থেকে রক্তিমকে পুলিশ এরেস্ট করার পর অন্য কাউকে কী মা বলতে পারতো না আমাকে বিয়ে করার কথা। ভেবে দেখুন তো আপনাকে ই কেনো বলেছে।

অভ্র আর কেনো কথা বললো না। ল্যাপটপটা একপ্রকার ছুড়ে মেরে রুম থেকে বের হয়ে যায়। অভ্রের অবিশ্বাস করাটা স্বাভাবিক কারণ অভ্রের সব বিশ্বাস আমি আরো কবছর আগে ই ভেঙ্গে দিয়েছি। যে বিশ্বাস একবার ভাঙ্গে তা কী আর জোরা লাগানো সম্ভব। কিছু ঘোলাটে মিথ্যের জন্য জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিলো। যদি সত্যি ভালোবাসো অভ্র তাহলে তুমি আমার কথা বিশ্বাস করবে।

বেশিক্ষণ পর,

অভ্র রুমে ডুকতে ই দেখে মিহি বেডের এক সাইডে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে। কাছে গিয়ে বসে। বসতে ই মুখে দিকে চোখ পড়লো, ফর্সা গালে হাতের আঙুলে দাকটা স্পষ্ট হয়ে আছে। অভ্র কখনো ভাবেনি এভাবে মিহি গায়ে হাত তুলবে।

অভ্র আর বসে না থেকে একটা ওষুধের বাক্স নিয়ে আসে। সাইড টেবিলে বাক্সটা রেখে মিহি পাশে গিয়ে আবার বসে। মিহির মাথাটা কোলে নিয়ে ব্যাথা পাওয়ার স্থানে আলতো করে চুমু খায়। ঔষুধটা লাগাতে ই মিহি ঘুমের মধ্যে ই অভ্রের হাতটা টেনে জড়িয়ে ধরে।
অভ্র মুচকি হাসি দিয়ে মিহির দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকে।

_______________________________

মনে হচ্ছে হাত পা কেউ বেধে রেখেছে। দম আটকে আসছে এসব অস্থিরতা নিয়ে চোখ খুলতে ই দেখলাম অভ্র আামকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আছি। আমি বিন্দু পরিমান নড়তে পারছি না। এখন আমার কী করা উচিত তা বুঝতেছি না।
কোনো উপায় না পেয়ে কোনো রকম অভ্রের কানের কাছে গিয়ে জোড়ে চিৎকার দিলাম।

–উফফ টিয়াপাখি প্লিজ এতো ডিস্টার্ব করো না।

হঠাৎ এতো পরিবর্তন আমাকে রীতিমত অবাকের চরম পর্যায় নিয়ে যাচ্ছে। এটা কী সত্যি ই আমার প্রতি ভালোবাসা নাকি অন্য কিছু। ঝড়ের আগে পরিবেশ শান্তি ই থাকে। আল্লাহ ই জানে আমার জন্য কী অপেক্ষা করছে।

–এভাবে ধরে আছেন কেনো।

–আমার বউকে আমি ধরেছি তোমার কী।

–আমাকে কপি করছেন।

–নাহ্

–আজকে কী অফিসে যাবেন না।

–তুমি জানো।

–আমি জানি মানে।

–কিছু না ঘুমাও তুমি।

–এই সরুন তো, উঠতে হবে।

বলে ই ধাক্কা দিয়ে উঠে বসলাম। একটা ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পড়লাম। অলরেডি নয়টা বেজে বেজে গেছে হাতে টাইম নেই দ্রুত রেডি হতে হবে।

ওয়াশরুম থেকে বের হতে ই আমার চোখদুটো বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এটা কী অভ্র আমার জন্য নাস্তা নিয়ে রেডি। আমি বের হতে ই একটুকরো পরোটা মুখে পুরে দিলো।

–রেডি হও আস্তে আস্তে।

–কটা বাজে দেখেছেন আপনি।

–তোমার জামাই এর অফিস এতো তাড়া কিসের।

–সময়ের কাজ সময় মতো করতে শিখুন।

অভ্র আমার কাছে এসে কোমড় জড়িয়ে ধরে বললো,

–পালাচ্ছো মনে হচ্ছে।

–ক..ক..কখন?

–পালাচ্ছো না তো?

–না।

–হে খালা আসছি।

–বোকা বানিয়ে লাভ নেই খালা ডাকেনি তোমাকে।

–প্লিজ রেডি হন, অফিসে যেতে লেট হবে অনেক। আপনি লেট করলে স্টাফরা ও লেট করবে।

অভ্র আমাকে ছেড়ে রেডি হয়ে নিলো। দুজন একসাথে বেড়িয়ে পড়লাম অফিসের উদ্দেশ্য।
হঠাৎ মনে একটা প্রশ্ন আসতে ই জিজ্ঞেস করলাম,

–এক সাথে যাচ্ছি, কেউ জিজ্ঞেস করলে কী বলবেন?

–বউকে কী একা ছেড়ে চলে আসবো নাকি।

–ওহ্ তাই নাকি, গতকাল একা ছেড়ে চলে আসছিলেন যখন।

–কালকে তো অভিমান ছিলো তাও তোমার জন্য রিক্সা ঠিক করে এসেছিলাম। না হয় তুমি কালকে রিক্সা ই পেতে না। তোমার দিকল সব থেকে বেশি খেয়াল আমার। শুধু একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো যার কারনে আমার দুজন ই কষ্ট পেয়েছি।

কথাটা শেষ করতে ই অফিসের সামনে এসে গাড়িটা থামলো, গাড়ি থেকে বের হয়ে দুজনে ই অফিসে ডুকলাম।
অভ্র কেবিনে ডুকে ই আমাকে ডাকলো।

–কী হলো, এসে ই ডাকছেন কেনো।

–এমনি ইচ্ছে হয়েছে, আমার বউকে আমি ডাকি এতে তোমার কী।

–আমাকে কপি করা বন্ধ করুন।
এটা বলে ই চলে যেতে লাগলাম।

–আরে যাচ্ছো, কোথায়।

–নিজের ডেস্কে যাচ্ছি।

–এখন থেকে আমার কেবিনে বসে কাজ করবে।

–আপনার কেবিনে বসে কাজ করলে সবাই কী ভাববে।

–সেটা তোমার না ভাবলে ও চলবে।

–কিন্তু

–আর একটা কথা ও শুনতে চাই না টিয়াপাখি।

কথাটা বলে ই একটা ফ্লাইং কিস দিলো।

আমি কেবিন থেকে বের হতে ই, অরু ম্যাম আমাকে একপ্রকার টেনেহিজরে নিজরে কেবিনে নিয়ে গেলো,

–বলেছিলাম বা তুই স্যারের সাথে এতো মিশবি না, দেখ এখন আমি তোর কি অবস্থা করি,

চলবে,

#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ৩০

আমি কেবিন থেকে বের হতে ই, অরু ম্যাম আমাকে একপ্রকার টেনেহিজরে নিজরে কেবিনে নিয়ে গেলো,

–বলেছিলাম বা তুই স্যারের সাথে এতো মিশবি না, দেখ এখন আমি তোর কি অবস্থা করি,

আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে মুচকি হাসছি। হেসে হেসে জিজ্ঞেস করলাম,

–এই যে আপনার কেবিনে বসলাম। এখন কী করবেন করুন।

–এতো বেয়াদব মেয়ে আমার জীবনে কখনো দেখিনি।

–ওহ্ তাই, ভালো করে দেখে নিন।

–তোর লজ্জা করে না, সামান্য একটা স্টাফ হয়ে স্যারের দিকে হাত বাড়াস।

–হাত বাড়ায়নি শুধু, হাত দিয়ে স্যারকে ধরেছি ও।

এটা শুনার সাথে সাথে অরু ম্যাম কেবিন থেকে বের হয়ে যায়। আমি বসে বসে হাসছি।

কিছুক্ষন পর,

ল্যান্ডফোনে কল আসলো, এক্ষুনি অভ্রের কেবিনে যাওয়ার জন। কেবিনে বিনা অনুমতিতে ই ডুকলাম। আমি ডুকার সাথে সাথে অরু ম্যাম বলতে শুরু করলো,

–দেখুন স্যার কতটো বেয়াদব আপনার রুমে অনুমতি পর্যন্ত নিয়ে আসে না এর পর ও কী এই মেয়েকে আপনি অফিসে রাখবে।

–কী বেয়াদব করেছে মিহি?

–আপনার সামনে ই তো করলো তা ও দেখলেন না।

–আমি বলেছি মিহি বিনা অনুমতিতে ই আমার কেবিনে ডুকার জন্য।

অরু মাথা নিচু করে বললো,

–সরি স্যার।

অভ্র এবার আমার দিকে তাকায়, তাকিয়ে ই ইশারায় চুমু দেখায়। আমাকে জিজ্ঞেস করে,

–তুমি নাকি বাজে ব্যবহার করেছো অরুর সাথে,

আমি হাসি আটকিয়ে রেখে উওর দিলাম

–আমি বাজে ব্যবহার করেছি এটা বলেছে কিন্তু কী বাজে ব্যবহার করলাম তা বলেনি?

অভ্র অরুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

–এখন বলুন আপনার সাথে কী বাজে ব্যবহার করেছে।

অরু চুপ করে আছে কিছু বলছে না। অভ্র কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর ও কোনো উওর না দেওয়াতে রেগে গিয়ে বললো,

–আর কখনো যদি মিহির নামে কোনো কমপ্লেন করতে আসেন। তাহলে আপনার জবটা থাকবে না। গেইট আউট।

আর একমুহূর্তে জন্য ও অরু দাড়ায়নি, হনহন করে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়। অরু বের হতে ই অভ্র আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে কোলের উপর বসায়। একহাত দিয়ে কোমড় বরাবর জড়িয়ে ধরে , জিজ্ঞেস করে

–কী হয়েছে টিয়াপাখি।

–কিছু নাহ্।

–আবার কী লুকাচ্ছো।

–কিছু না বললাম তো।

–ছাড়ুন, আমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এই কেবিনে নিয়ে আসি।

–উঁহু তোমার আনতে হবে না আমি কউকে দিয়ে আনিয়ে নিবো।

–কেউ চলে আসবে।

–আসুক। তোমার এতো ভয় কিসের।

হঠাৎ অভ্রের ফোন আসায় অভ্র কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে গেলো এই সুযোগ চলে আসলাম।

অফিস শেষে, দুজন ই বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়তে ই অভ্রকে বললাম,

–এই শুনছেন

–বলো।

–চলেন না মায়ের বাসায় যাই।

কিছুক্ষ ভেবে বললো,

–যেতে পারি কিন্তু একটা শর্তে।

অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

— কী শর্ত।

–আমাকে তুমি করে বলতে হবে।

–আপনি ডাকটা ই অনেক সুন্দর।

–তাহলে যাবো না।

–প্লিজ অভ্র।

–তাহলে বলো, তুমি আমাকে নিয়ে যাও।

–আপনি আমাকে নিয়ে যান।

–যাবো নাহ

–আচ্ছা তুমি আমাকে নিয়ে যাও। এবার খুশি তো।

–হুম, লাভ ইউ মাই টিয়াপাখি। যাও রেডি হয়ে নেও। এখন থেকে আপনি করে বললে তোমাকে কিন্তু নিয়ে যাবো না।

আমি মুখটা বাকিয়ে রেডি হতে চলে গেলাম।

রেডি হয়ে আসতে ই দেখি অভ্র হোয়াইট কালার একটা পাঞ্জাবি পড়েছে। আমি মেরুন কালারের একটা শাড়ি পড়েছি। অভ্র আয়নায় আমাকে দেখে বললো,

–তুমি ও হোয়াইট কালারের শাড়ি পড়তে পারতা বউ। তাহলে দুজন ড্রেস ই ম্যাচিং হয়ে যেতো।

–অন্য একদিন দুজন ম্যাচিং করে ড্রেস পড়বো। আজকে না এখন চলেন।

–তুমি করে না বললে যাবো না।

রাগ নিয়ে বললাম,

–আচ্ছা তুমি।

–ওয়েট করো একটু।

–তুমি তো মেয়ে মানুষ থেকে ও বেশি টাইম নিও দেখছি রেডি হতে।

— প্রথমবার শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি একটু তো টাইম নিবো ই।

–আগে কখনো যাওনি মনে হচ্ছে।

–গিয়েছিলাম বাট মেয়ের জামাই হয়ে তো এই প্রথমবার যাচ্ছি।

আমি আর কিছু বললাম না চুপচাপ সোফায় বসে বসে অভ্রের কান্ড দেখছি।

–চলো রেডি হওয়া শেষ।

কথাটা বলতে ই আমি উঠে দাড়ালাম। আচমকা আমাকে কোলে তুলে নিলো।

–আরে আজব তো কী করছো

–হাটতে হবে না, শাড়িতে পা আটকে পড়ে যাবা।

–কী সব বলো হে, আমি কী বাচ্চা নাকি যে শাড়িতে পা লাগলে পড়ে যাবো। আমি কী আর কখনো শাড়ি পড়িনি নাকি।

–আগে কী করেছো জানি না, আমার ইচ্ছে হয়েছে কোলে করে গাড়ি অব্দি নিবো, সো এটা ই ফাইনাল তুমি আমার কোলে উঠে ই গাড়িতে বসছো।

–আরে কী করছো বলো তো, নিচে কাজের লোক আছে।ওরা দেখলে কী মনে করবে।

–আমি কী অন্যের বউ কোলে নিয়েছি নাকি নিজের বউ কোলে নিয়েছি, দেখলে দেখুক।

–তুমি একটা নির্লজ্জ কিন্তু আমি তো না।

–এই জন্য তোমাকে ও নির্লজ্জ বাননোর মিশনে নেমেছি।

আমার সাথে কথা বলতে বলতে গাড়ির সামনে চলে এলো। কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে গাড়িতে বসতে বললো।
আমি মুচকি হেসে গাড়িতে বসলাম। ড্রাইভ করছে আর আমার সাথে গল্প করছে।

আমাদের বাসার সামনে যেয়ে গাড়ির হর্ন দিতে ই মা দৌড়ে আসে। আমাকে জড়িয়ে ধরে কতোক্ষন কান্না করে। আমার পিচ্চি কাজিনগুলো বরন ঢালা সাজিয়ে নিয়ে আসে। বরন করা শেষে রুমে ডুকলাম। সবার সাথে কৌশল বিনিময় করে নিজের রুমে ডুকলাম। কজিনগুলো খুব সুন্দর করে রুমটা সাজিয়েছে। আমাকে ডুকতে দিয়ে অভ্রকে আটকে রেখেছে টাকা নেওয়ার জন্য।

–ভাইয়া টাকা দেন না হয় রুমে ডুকতে দিবো না, খুব কষ্ট করে ফুল এনে রুম সাজিয়েছি।

–আমার বউ আগে আমার বুকে ফিরিয়ে দেও তারপর টাকা খুজবা।

–আপনি আগে আমাদেরকে টাকা দেন, আপনার বউ ও আপনাকে দিয়ে দিবো।

–তোমরা তো কিডন্যাপার, আমার বউ নিয়ে বিনিময়ে টাকা খুজছো।

ওদেরকে কথা দিয়ে ভুলিয়ে এক ধাক্কা দিয়ে অভ্র রুমে ডুকে, ফুলদিয়ে সাজানো বেডের উপর শুয়ে পড়লো।

–এটা কী করলা?

আমি কথাটা বলতে ই আমাকে টান দিয়ে অভ্রের উপরে ফেলে দেয়।

আমার কাজিনগুলো এই দৃশ্য দেখে দৌড়ে পালায়।

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে