#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১৭
–আপু কিছু হয়নি তো আমি একা ই যেতে পারবো।
–আরে চল তো মিহি ও আমার সাথে রাগ করে আছে দেখি কী করে মেয়েটা।
–আপু এতো রাতে যাওয়ার কী দরকার ঘুমিয়ে আছে হয়তো।
–চুপ চল আমার সাথে।
মিনতি প্রিয়ার আগে ই যেতে লাগলো। রুমে ডুকে দেখে লাইট অফ। মিনতি দ্রুত গিয়ে লাইট অন করলো। লাইট অন করতে ই দেখলো মিহি বিছানায় শুয়ে আছে। ফ্যানের বাতাসে চুলগুলো মুখে পড়ে আছে। তাই মিনতি পাশে বসলো চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। বোনের কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে ভালো করে কাঁথা উপরে দিয়ে চলে গেলো।
অভ্র খুব কষ্ট করে দরজার পিছনে লুকিয়ে ছিলো। আরেকটুকু হলে ই মিনতি অভ্রকে দেখে ফেলতো। ভাগ্য ভালো মিনতি সন্দেহ করেনি।
–ভাই রে ভাই বের হন আপনি। কী ভয়টা পেয়েছি জানেন আপনি।
অভ্র মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে প্রিয়াকে বললো,
–তোমার কেউ থাকলে ও আমাকে বলো, আমি ও হেল্প করবো।
–আমার কেউ না বের হন।
–আচ্ছা যাচ্ছি তোমার বোনকে খাবারটা খাইয়ে দিয়ো।
মিহি বেডের উপর বসে চোখ রাঙ্গিয়ে অভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। অভ্র মিহির এমন দৃষ্টি দেখে বললল,
–আরে টিয়াপাখি এতো রাগ করো কেনো যাচ্ছি তো।
অভ্র চলে যেতে ই মিহি লাইট অফ করে শুয়ে পড়লো। কী যে হয়েছে এতোক্ষণ সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
______________________
সকালে বেলা মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো মিহির। মিহির মা টেনে তুলে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দিলো। মিহির বিছানাটা ঘুছিয়ে নিতে ই মিহি এসে মাকে জড়িয়ে ধরে বসে পড়লো।
–কালকে রাতে খেয়েছিস।
–হে।
–কখন?
–রাতে ই।
–আমি কালকে ব্যস্ত ছিলাম তাই তোকে খাওয়াতে আসতে পারেনি। আজকে মিনতিকে নিতে আসবে আজকে ও কাজ ফেলে রেখে তোকে খাওয়াতে এসেছি নয়তো কালকের মতো না খেয়ে থাকবি জানি।
–আম্মু আমার ক্ষুধা নেই।
–সকাল সাড়ে নয়টা বাজে এখন ও তোর ক্ষুধা নেই তা কখন ক্ষুধা লাগবে শুনি।
কথাটা বলে ই সাইড টেবিল থেকে খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে মিহি মুখে খাবার তুলে দেয়।
–মিনতি কোথায় আম্মু।
–ওর শ্বশুর বাড়ি লোকজন নিয়ে পড়ে আছে।
–দেখলে তো তোমার মেয়ের আমার কথা মনে নেই। আমাকে পর করে দিয়েছে।
–সারাদিন রুমে শুয়ে না থেকে মেহমানদের একটু সময় দিতে পারিস। ছেলে মেয়েদের একটু আশেপাশে থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারিস।
–হুম খেয়ে যাবো।
মিহি খাবার শেষ করে পানি খেয়ে সবাই যেখানে আড্ডা দিচ্ছো সেখানে চলে গিয়েছে।
মিহিকে দেখে ই অভ্র চোখ তুলে আর চোখে তাকায়।
–আরে আমার শালিকা যে। তা ঘুম ভাঙ্গলো নাকি।
তীব্র কথাটা বলতে বলতে মিহিকে টেনে নিয়ে পাশে বাসায়।
সবাই বিভিন্ন কথা বলছে কিন্তু অভ্র আর চোখে মিহিকে দেখায় ই ব্যস্ত।
________________________
মিনতি চলে গেছে আজকে দুইদিন। সেদিনের পর থেকে মিহি অভ্র থেকে দূরে রয়েছে। অনেক কল মেসেজ দিয়েছে তাও একবারের জন্য ও ফোন ধরেনি। মিহির খুব কষ্ট হয় অভ্রকে ইগনোর করতে কিন্তু এটা ছাড়া তো কোনো উপায় নেই। দুইদিন কলেজে গিয়েছে ঠিক ই কিন্তু অভ্রের সামনে পড়েনি একবার ও। আগামী কাল কলেজে একটা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে মিহি যেটাতে নৃত্য অংশগ্রহণ করবে। মিহি একদম ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু ফ্রেন্ডদের কথা রাখতো গিয়ে অংশগ্রহন করতে হচ্ছে।
এসব ভাবতে ভাবতে ই ঘুমাতে চেষ্টা করলো কিন্তু অনেক এক্সাইটেড এই অনুষ্ঠানেটি নিয়ে ঘুম ই আসছে না। তাও মিহি চোখ বন্ধ করে আছে।
খুব সকালে মিহি ঘুম থেকে উঠে। মিহি মা দেখে হাসে,
–কি হলো এতো সকালে ঘুম থেকে উঠলি যে।
মিহি ব্রাশ করতে করতে উওর দিলো,
–কলেজে ফাংশন আছে তুমি জানো না।
–ওহ হে কালকে বলছিলি, মিনতি ও যাবে কালকে আমার সাথে কথা হলো।
–ওহ্ আচ্ছা তাহলে তো ভালো ই হবে দুবোনের দেখা হবে মা।দ্রুত নাস্তা রেডি করো আমি আসছি।
বলে ই মিহি চলে গেলো।
মিহি বাসা থেকে নরমাল ভাবে ই কলেজে গিয়েছে অবশ্য নরমাল ভাবে কলেজে যাওয়ার কারন হচ্ছে কলেজের পাশে ই পার্লার আছে যেখানে গিয়ে রেডি হবে। মিহির সাথে প্রিয়া ও এসেছে।
মিহি পার্লারের ভিতরে প্রিয়া বাহিরে দাড়িয়ে আছে ফোনে কারো সাথে কথা বলছে। প্রিয়াকে দেখে অভ্র দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
–মিহি কোথায়।
–এটার ভিতরে।
পার্লারটা দেখিয়ে বললো প্রিয়া।
–তাহলে ওয়েট করো আমি ভিতরে গিয়ে মিহির সাথে কথা বলে আসি।
অভ্র ভেতরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে ই প্রিয়া জোরে চিল্লাতে থাকে,
–আরে লেডিস্ পার্লার আপনি কোথায় যাচ্ছেন।
–আমি ভেতরে যাবো এতে সমস্যা কী।
–উপরে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখুন কী লিখা। শুধু মাত্র মেয়েরা ই প্রবেশ করতে পারবে।
অভ্র আর কিছু বললো না পার্লারের আশেপাশে ঘুরঘুর করেছে।
মিহি বের হওয়া মাত্র ই অভ্র হা হয়ে তাকিয়ে আছে,
নীল কালারের শাড়িতে খুব মানিয়েছে, দেখে চোখ ফেরানো দায়।
অভ্র মিহির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মিহি অভ্রের চোখের আড়াল হয়ে যায়।
অভ্র ও কলেজে প্রবেশ করে।
মিহি তার বান্ধবীদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। একটু পর ই মিহিরা স্টেইজে নাচ করবে৷ অলরেডি এনাউন্স করে দিয়েছে প্রস্তুত থাকার জন্য।
–আচ্ছা তোরা একটু দাড়া আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি।
–মিহি এই টাইমে কী তোর যেতে ই হবে। পরে লেইট হলে তো প্রবলেম এতো কষ্ট করে প্র্যাক্টিস করেছি সব মাটি হয়ে যাবে।
–আরে বাবা এতো টেনশন করছিস কেন ওয়াশরুমে যাচ্ছি মরে যাচ্ছি না যে কেউ আমাকে নিয়ে চলে যাবে।
মিহি ওয়াশরুম দিকে যেতে ই কেউ একজন টান দিয়ে একটা ক্লাসরুমের ভেতরে নিয়ে গেলো,
–আপনি…
–আমার কল ধরো না কেনো।
–এমনি।
–যেতে দিন।
–কল ধরো নাই কেনো এটা উওর দেও।
হঠাৎ মিহিদের নাম এনাউন্স করা হয়েছে। মিহি যেতে চাইলে অভ্র দুহাত দিয়ে আটকে রাখে।
–যেতে দিন আমাকে।
–না, আজকে তুমি কিভাবে পার্ফম করো আমি দেখবো। তুমি অভ্রকে ইগনোর করো দেখো আমি তোমার কী হাল করি…
চলবে
#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১৮
–না, আজকে তুমি কিভাবে পার্ফম করো আমি দেখবো। তুমি অভ্রকে ইগনোর করো দেখো আমি তোমার কী হাল করি…
মিহি এবার হাত পা ছুড়াছুড়ি অফ করে দিয়ে অভ্রের দিকে তাকিয়ে বললো,
–যেতে দিবেন না তো।(মিহি)
–বললাম তো না।
কথাটা বলার সাথে মিহি অভ্রের হাতে জোরে কামড় বসিয়ে দেয়। অভ্র হাত ছেড়ে দিতে ই মিহি দৌড়ে চলে যায়।
অভ্র হাসবে নাকি কান্না করবে তা বুঝতে পারছে না মিহির এমন কান্ড দেখে।
মিহির পার্ফম করা শেষ হতে ই মিনতি গিয়ে বোনকে জড়িয়ে ধরলো,
–কেমন আছিস।
–আলহামদুলিল্লাহ ভালো,ভুলে গিয়েছিস বিয়ে করে দুদিনে তো একবার কল ও দিস নাই।
–অনেক বিজি ছিলাম রে বোন।
–চল আমাদের সাথে ফুচকা খাবি।
মিহি, মিনতি, তীব্র, অভ্র, প্রিয়া, পাভেল সবাই ফুচকা খাওয়ার জন্য গেলো। অভ্র ফুচকা অর্ডার দেয়।
–মামা শুনেন(অভ্র)
–হে মামা বলেন(ফুচকাওয়ালা)
–একটা ফুচকায় বোম্বাই মরিচ দিয়ে বানাবেন অনেক জাল দিবেন।
–এতো জ্বাল দিলে তো খেতে পারবে না।
–সে আমি দেখে নিবো।
এটা বলে অভ্র দাড়িয়ে থেকে মিহির ফুচকাটা বানায়।সবাইকে ফুচকা দেওয়ার পর মিহিকে জ্বাল ফুচকাটা দেয়। মিহি হাসি মুখে ফুচকাটা নেয়।
অভ্র হাসি চেপে রেখে বলে যে আগে ফুচকা খেতে পারবে তাকে এক হাজার টাকা পুরুষ্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
মিহি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
–ওকে আমি জিতবো।
–মিহি সত্যি ই অনেক ফুচকা খেতে পারে।(মিনতি)
–আচ্ছা দেখা যাবে। সুতরাং খাওয়া স্টার্ট করো।
পুরুষ্কারের কথা শুনে সবাই দ্রুত খাওয়া শুরু করলো। মিহি একটা মুখে দিতে ই মুখ জ্বলে যাচ্ছে।
অভ্র মিহি অবস্থা দেখে বললো,
–কী হয়েছে মিহি খাচ্ছো না কেনো একটু আগে তো বেশ আমি জিতবো আমি জিতবো করছিলে।
–নিজেরটা খান মানুষের দিকে নজর দেন কেনো।
–ওকে
মিহি তিনটা ফুচকা খাওয়ার পর অনবরত চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। চোখ মুখ লাল বর্নধারন করছে। মিহি প্লেটটা রেখে দূরে এসে দাড়িয়ে পড়লে। এবার অভ্র ভয় পেয়ে গেলো। দৌড়ে গিয়ে পানি কিনে এনে পানি খেতে দেয় কিন্তু মিহি পানি নেয় না।
–এটা ই চেয়েছিলেন তো আমি কষ্ট পাই হয়েছে তো শান্তি।
–টিয়াপাখি আমি বুঝিনি যে এমন হবে। প্লিজ মাফ করে দেও।
–লাগবে না মাফ চাওয়া।
–এই মিহি কী হয়েছে ফুচকার প্লেটটা এভাবে পড়ে আছে কেন । খাবি না নাকি।
–আমি খাবো না আপু।
বলে ই মিহি চলে গেলো। প্রিয়া ও পেছনে পেছনে যাচ্ছে। মিহি সোজা দোকানে চলে গেলো। দোকান থেকে পানি কিনে পানি খেয়েছে সাথে পানি মুখে ছিটিয়ে দিয়েছে।
____________________________
–খালামনি মিহি কী বাসায় গিয়েছে।(প্রিয়া)
–না তো মা কেনো?(মিহির মা)
–কিছু হয়েছে।
–আরে না খালামনি মিহি সাথে ই আছে আপনাকে কল দিয়ে এটা বলতে বললো, আপনার রিয়াকশন দেখার জন্য।
–পাঁজি মেয়েটাকে ফোনটা দে, আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম।
প্রিয়া একটা হাসি দিয়ে বললো,
–বাসায় যাওয়ার পর আচ্ছা করে পিটুনি দিয়ো এখন রাখি।
ফোনটা রেখে দিয়ে ই অভ্রের দিকে তাকায়।
–আপনার জন্য তো মিথ্যে বললাম খালামনি কাছে এখন মিহিকে কোথায় খুজে পাবেন।
মিহি রাগ করার পর থেকে অভ্র মিহিকে খুজে পাচ্ছে না। কলেজের পুরো এরিয়া খুজে দেখেছে কোথাও নাই। মিনতির সাথে ও নাই তাহলে কোথায় গেলো।
অভ্র আর দেরি না করে মিহিকে খুজতে বেরিয়ে পড়লো।প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে কিন্তু অভ্র মিহিকে খুজে পাচ্ছে না। ক্লান্ত হয়ে কলেজে এসে চেয়ার টেনে বসে পড়েছে।হঠাৎ মনে হলো কলেজের ক্লাসরুমগুলো তো খুজা হয়নি। অভ্র উঠে ক্লাসরুমের দিকে যেতে থাকে।
–ভাইয়া কোথায় যাচ্ছেন।
–ক্লাসরুমগুলো খুজে দেখি।
–আমি ও যাবো আপনার সাথে।
অভ্র কোনো কথা বললো না প্রিয়া অভ্রের পিছনে পিছনে যেতে থাকে।
অনেকগুলো ক্লাসরুমের ভেতরে খুজার পর যখন পাচ্ছে না তখন প্রিয়া চলে যায়। কিন্তু অভ্র হাল ছাড়েনি। এতো বড় ক্লাসরুমের প্রত্যেকটা ক্লাসরুম, হলরুম খুজতে থাকে।
–কী ব্যাপার মিহি হিরোর অপেক্ষা করছো যে হিরো এসে তোমাকে বাচাবে।
–নাহিদ এর পরিণাম কিন্তু ভালো হবে না।
–তাই নাকি কি করবে শুনি। অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু শোননি।
বলে ই মিহির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
–কাছে আসবেন না। পায়ে পড়ি আপনার।
মিহিকে কিছু না বলতে দিয়ে ই একটানে মিহির শাড়িটা খুলে ফেলে।
ঠিক সেই সময় ই নাহিদের পিছনে এলোপাতাড়ি ঘুসি পড়ে।
নাহিদকে মারার সাথে সাথে নাহিদের বন্ধুরা অভ্রকে মারার জন্য আসে।
অভ্র যেতে ই মিহি এসে জড়িয়ে ধরে। কোনোমতে শাড়িদিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়েছে মিহি। তাও এ অবস্থায় মিহিকে এই জানোয়ারদের সামনে ছেড়ে দিতে মন সায় দিচ্ছে না।
অভ্র মিহিকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। অন্য হাতে নাহিদের বন্ধুদের থেকে নিজেকে বাচাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু একা কী আর এতোগুলো মানুষের সাথে পেড়ে উঠা যায়।অভ্রের পিঠে নাহিদে বাশ দিয়ে আঘাত করে এতে অভ্র ব্যথা পেলে ও মিহিকে ছেড়ে দেয়নি।
হঠাৎ প্রিয়া আসতে ই প্রিয়ার কাছে মিহিকে দিয়ে অভ্র ওদের সাথে সংঘর্ষে নেমে যায়। প্রিয়ার সাথে সাথে অভ্রের বন্ধুরা ও এসেছে।
কোনো এক ক্লাসরুমে বিকট শব্দ শুনে অনুষ্ঠান রেখে ই সবাই ঐ জায়গায় ভির করে। এসব দেখে কলেজের টিচার এবং পুলিশরা এসে সবাইকে থামায়। এবং নাহিদ অভ্র মিহিকে প্রিন্সিপাল রুমে ডাকে।
–কী ব্যাপার অভ্র দুইদিন পর পর তুমি কলেজে জামেলা করবে এ কোন অসভ্যতা তোমার।
–স্যার ও মিহির সাথে খারাপ কিছু করতে চেয়েছে।
–তুমি আমাদের জানাতে পারতে তুমি কেনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে।আর মিহি তোমার কে যার জন্য তুমি দুইদিন পর পর এসব করো।
–আমি মিহিকে ভালোবাসি স্যার।মিহি ও আমাকে ভালোবাসে।
–এর সত্যতা না পেলে তোমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবে।আর সত্যি মিহি তোমাকে ভালোবাসলে তোমাদের এখন ই বিয়ে করতে হবে।
–মিহি তুমি কী অভ্রকে ভালোবাসো।
মিহি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে কোনো কথা বলছে না।
–মিহি তুমি চুপ করে আছো তাহলে কী আমি ভাববো মৌনতা সম্মতির লক্ষন।
–না স্যার আমি অভ্রকে ভালোবাসি না। আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নাই।
–অভ্র তুমি টিচারের ছেলে দেখে ভাববানা পার পেয়ে যাবা। তোমাকে এই মুহুর্ত থেকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হলো…..
চলবে