#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৬
মানুষ কষ্ট পেলে নিজেকে অন্ধকারে কেনো আটকে রাখে, কতো সুন্দর সূর্যের কিরণ তা কেনো সহ্য করতে পারে না।অন্ধকার হাটতে তো বেশ ভালো লাগে তারউপর যদি থাকে পূর্ণিমা, তাহলে তো ভালো লাগাটা আরো বেড়ে যায়। চারদিকে জোনাকি পোকাদের উৎসব মনে হচ্ছে,হলুদ লাইট এর কাজ করছে জোনাকি পোকাগুলো। রাস্তাটাকে অমায়িক সৌন্দর্য দিয়েছে।
মিহির কাছে অন্ধকারটা খুব ভালো ই লাগছে, কষ্ট পেলে যে নিজেকে অন্ধকারে আটকে রাখতে হবে এই মুহুর্তে মিহির তা মনে হচ্ছে না। হয়তো পাশে ভালোবাসার মানুষটি আছে তাই অন্ধকার ও ভালো লাগছে। কথায় আছে না প্রেমে পড়লে সব ভালো লাগে। আবার প্রিয় মানুষ ছেড়ে গেলে পৃথিবী নরকতুল্য মনে হয়।
আচ্ছা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছি কেনো। অভ্র কী কখনো আমাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে চলে যাবে।
নাহ্, কখনো না। আমি অভ্রের চোখে আমার প্রতি ভালোবাসা দেখেছি স্পষ্ট ভাবে, এইটা মিথ্যা নয়।
মীরার কল বার বার কেটে দিচ্ছে অভ্র, কী মনে করে এতোদিনে কল দিয়েছে তা ও একবার জানতে চায় না অভ্র। তার হৃদয়ে যে ভালোবাসা আছে তা একান্তই মিহির জন্য। ডকল জল্পনা কল্পনা শেষ করে পিছন থেকে মিহির হাতটা আবার শক্ত করে ধরেছে। এতে মিহি কল্পনা জগৎ থেকে বাস্তবতা ফিরলো।
অনি, অপু, মিনতি রাস্তায় বেশ মজার মজার কথা বলে হাটতেছে, একটু পর পর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে তিনজন। কিন্তু মিহি বা অভ্রের এতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। দুইজন ই ব্যস্ত দুজনের ভালোবাসা অনুভূতি উপভোগ নিয়ে।
মিহির দিকে তাকিয়ে হাটতেছে অভ্র, মুখে কুলুপ এটেছে দুজন ই নিরব।
অনি পেছনে ফিরে বললো,
–তোরা দুজন কী লাইলি মজনু হয়ে যাবি নাকি।
–নাহ্, নতুন রেকর্ড গড়বো।
–তাই তো মনে হচ্ছে।
সবাই চায়ের দোকানে সামনে চলে এসেছে, পাঁচটা চা অর্ডার করে। চা অর্ডার করে ই একটা বেঞ্চিতে বসে পড়ে সবাই বসে পড়ে।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর ই চা নিয়ে একটা ছেলে হাজির হলো, সবার হাতে হাতে চা দিয়ে চলে গেলো।
কিন্তু মিহি গরম কোনো জিনিস খেতে পারে না। চা খেতে গেলে ও মিহির অনেক ভয় করে যদি মুখ পোড়ে যায়। এই ভয়ে মিহি চা খেতে নারাজ। এই কথা যে শোনে সেই ই হাসে, মিহির এখন মোটে ও মন চাচ্ছে না সবার হাসির পাত্র হতে।
অভ্র মিহির দিকে তাকাতে ই দেখে চা নিয়ে বসে আছে,কিন্তু মুখে তোলছে না।তাই জিজ্ঞেস করলো,
–কোনো সমস্যা, তুমি খাওনা কেনো।
পাশে থেকে মিনতি ভালো উঠলো,
–চা কে ঠান্ডা করে শরবত বানিয়ে দিন অভ্র ভাইয়া, তখন দেখবেন ঠিক ই খাবে।
এবার সবাই হাসি শুরু করে দিলো, যেটাকে এতোক্ষণ মিহি ভয় পাচ্ছিলো।। মিহি রাগি চোখে মিনতির দিকে তাকায়। এটা দেখে অভ্র বললো,
–চা টা গরম তাই কী ভয় পাচ্ছো।
মিহি হালকা মাথা নাড়ালো।
অভ্র মেকি হাসলো।নিজের চায়ের কাপটা মিহির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
–আমারটা ঠান্ডা হয়েছে, মনে হয় তুমি খেতে পারবা।
মিহি খাবে না বলে উঠে চলে গেলো। গরম যেকোনো খাবার খেতে ই মিহি ভয় পায়। অভ্র ও আর জোড় করলো না।
সবার চা খাওয়া শেষে, বাসায় যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।
বাসায় যাওয়ার পর,
অভ্র ফ্রেশ হয়ে নিলো, সবার সাথে কথা বললো, বাসায় আসার পর থেকে মিহি আর অভ্রের সাথে কথা বলার সুযোগ পায়নি। শুধু মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখেছে।৮৩
অভ্র বেশ কয়েকবার সুযোগ খুজেছিলো কথা বলার জন্য কিন্তু কোনো সুযোগ ই পায়নি কথা বলার মতো। অভ্রের কাছে বেশ ভালো ই লাগছে ব্যাপারটা। চেয়েছিলো ভালোবেসে বিয়ে করবে,কারন হঠাৎ করে কাউকে নিজের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবল মেনে নিতে কষ্ট হবে বেশ। মিহি সাথে বিয়ের আগে কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো না কিন্তু বিয়ের পর এই লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম উপভোগ করার মতো ই।
সবার খাবার খাওয়া শেষে বসে গল্প করছে, মিহি বার বার বলছে ঘুমাবো। এই গল্প মিহির ভালো লাগছে না, মিহি চাচ্ছি, মিহি শুধু অভ্রের সাথে বসে গল্প করবে। তাই সবার কাহিনী শোনতে ভালো লাগছে না। কয়েকবার বলেছো ঘুমাবে কিন্তু সবাই কথায় এতো ই ব্যস্ত মিহির কথাকে কেউ তোয়াক্কা করছে না। এবার মিহি রেগে বললো,
–আম্মু আমি ঘুমাবো,,,
মেয়ের এমন আবদার শোনে মিহির মা বোশ অবাক হলো কেনোনা মিহির রুম তো ঠিক করা আছে তাও বার বার কেনো এই কথা বলছে। তাও তিনি বললো
–ঘুমাবি ভালো কথা যা, তোর রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
–নাহ্ মিহি আমার রুমে ঘুমাবে।
মিহির মা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো
— কেনো, আপনি একা ই ঘুমান মিহি তো ওর রুমে ই ঘুমায় সব সময়।
–নাহ্ আপনার মেয়ে অপরাধ করেছে যার শাস্তি ও পাচ্ছে।
–অপরাধ মানে।
মিহি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সব কথা মিহির মাকে বললো, মিহির মা সব কিছু শোনে বললো,
–বেশ হয়েছে, দুজন আলাদা ই থাকবে। যেদিন তুই বুঝতে পারবি অভ্র তোর সাথে কতটা জড়িয়ে আছে ঐদিন এক সাথে থাকবি, কথা ও বলবি।
মিহির খুব করে ইচ্ছে করছিলো বলতে, আমি বুঝতে পেড়েছি মা এবার তোমাদের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেও। কিন্তু লজ্জায় বললো না।
অভ্র রুমে বসে অফিসের কাজ করছিলো,অভ্র বেশ ভালো করে ই জানে মিহি দাদিমার সাথে ঘুমাবে। তাই অভ্র নিজের রুম থেকে বের হয়ে বাসা পিছনে যায়।
পিছনের জানালা দিয়ে মিহিকে ডাকে।
মিহি কন্ঠ শোনে বুঝতে পারে অভ্র ডাকছে, তাই দ্রত গিয়ে জানালা খুলে,
–তোমার ফোন কোথায়, কল দিলাম রিসিভ করলে না কেনো।
মিহি ফোন তো মিহির মায়ের রুমে রেখেছিলো আনতে মনে নাই।
–সরি মায়ের রুমে রেখেছিলাম।
–শোনো…
–নাতবৌ ঘুমিয়ে পড়েছিস নাকি।
দাদিমার কন্ঠ শোনে অভ্র নিচে বসে যায়, মিহি দ্রুত জানালা বন্ধ করে ফেলে।
–এই তুই জানালার পাশে কী করিস।
–কিছু না দাদিমা।
–ঐ সময় তো ঘুম ঘুম করে মাথা খাচ্ছিলি তো এখন কী হলো।
মিহি কোনো উওর না দিয়ে মায়ের রুমে চলে যায় ফোন আনতে। ফোন নিয়ে আবার দ্রুত রুমে ডুকে শুয়ে পড়ে। মুহুর্তে ই অভ্রকে মেসেজ করে। “কী বলতে চেয়েছিলে”
অভ্র মেসেজের রিপ্লে করে,
“১১ঃ৪০ মিনিটে বাগানে আসবা, দাদিমা ঘুমিয়ে পড়লে।সাবধানে আসবা কেউ যেনো বুঝতে না পারে”
মিহি মেসেজটা পড়ে, ফোনটা পাশে রেখে শুয়ে পড়ে, আর একটু পর পর দেখে কয়টা বাজে, দাদিমা ঘুমিয়েছে কিনা।
ঠিক সময়ে মিহি বাগানে চলে যায়, গিয়ে দেখে অভ্র দাড়িয়ে আছে। মিহি গিয়ে অভ্রের হাত ধরতে ই অভ্র মিহিকে নিজের বাহুডোর আবদ্ধ করে নেয়।
দুজন হাটতে হাটতে পুকুরের সাইডে চলে গিয়েছে, পুকুরের সাইডে বাসার ব্যবস্থা করা আছে। অনেক বাতাস এইখানে।
–টিয়াপাখি…
খুব নরম সুরে মিহিকে ডাকে অভ্র,
মিহি অভ্রের দিকে ঘুরে তাকাতল ই দেখে অনেকগুলো গোলাপ। ফুল তো বরাবরই ই ভালো লাগার জিনিস মিহির। তাই অভ্রের কাছ থেকে ফুলগুলো নিয়ে নেয়।
দাদিমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, মিহিকে খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না। তাই উনি আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসে। আজকে দেখবে মিহি কোথায় গিয়েছে।
চলবে
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৭
দাদিমা বাহিরে এসে মিহিকে খুজতেছে তা মিনতি ভালো ই বুঝতে পারছে, মিহি অভ্রের সাথে আছে তা মিনতিকে বলে গেছে তাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য অপুকে পাঠায় মিহিকে আনার জন্য। মিনতি ঘুমায়নি প্রেমিক যুগলকে পাহাড়া দিচ্ছে। পাহাড়া দেওয়ার ও একটা কারণ আছে, মিহি বলেছে মিনতিকে শপিং করিয়ে দিবে। শপিং এর লোভে পড়ে এখন না জানি কী পেঁচে পড়তে হয়। দাদিমার সামনে গিয়ে বললো,
–কিছু লাগবে দাদিমা।
–মিহি কোথায়।
–কেনো আপনার সাথে না ঘুমিয়েছিলো।
–এখন তো নাই,
–আপনি রুমে যান দাদিমা আমি খুজে দিচ্ছি।
দাদিমা কিছু একটা ভেবে রুমে চলে গেলো। যাওয়ার আগে বলে গেলো,
–তোর বোনকে বলিস, চোরের যদি সাতদিন হয়, সাধুর ও একদিন।
——————–
অভ্র একনজরে মিহির দিকে তাকিয়ে আছে, চোখের পলক যেনো পড়ছে না, তা দেখে মিহি হেসে বললো,
–এভাবে তাকিয়ে আছেন যে, অন্ধকারে কী আমার মুখ দেখতে পারেন নাকি।
–তোমার মুখ হিজাব দিয়ে বাধা অবস্থায় থাকলে ও আমি এভাবে তাকিয়ে থাকতাম। তাও পূর্ণ চাদের আলোয় মুখটা আমার চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মিহি হাটতা বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
–আমার হাতে হাত রাখুন,
অভ্র বিনাবাক্য মিহির হাতের উপর হাত রাখলো,
–এখন কথা দিন যে কালকে রাতে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন।
অভ্র এবার হাত সরিয়ে নিতে চাইলে ও মিহি হাত ছাড়া না।
–মিহি বুঝতে পাড়ছো না এতে বাসার সবাই বুঝতে পারবে।
–সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমরা যাবো।
–তাও সমস্যা হতে পারে।
–নিয়ে যাবেন না এটা বলেন। এতো বাহানা দেওয়ার কী প্রয়োজন।
কথাটা বলে ই মিহি অন্য দিকে মুখ করে তাকায়।
মিহি রাগ করেছে বুঝতে পেরে অভ্র আদর মাথা কন্ঠে বললো,
–রাগ করো না টিয়াপাখি, নিয়ে যাবো তোমাকে।
–তোমরা দুজন কী আমাদের শান্তিতে থাকতে দিবা না। তোমাদের এই লুকোচুরি প্রেম পর্ব শেষ হলে বাসায় যাও
হঠাৎ অপুর কন্ঠ শোনে পিছনে তাকালো অভ্র মিহি দুজন ই।
–কী হয়েছে,অপু।
–দাদিমা মিহিকে খুজতেছে। কতো বার কল দিলাম ধরলে না।
–এমন সময় কেউ বিরক্ত করলে কী ভালো লাগে বল। তাই কেটে দিয়েছিলাম।
দাদিমা ডাকছে শোনে মিহি বললো,
— চলেন দ্রুত বাসায় যাই। বলে ই মিহি অপুকে নিয়ে বাসায় চলে গেলো। অভ্রকে একা রেখে।
বাসার ভেতরে ডুকে দেখে মিনতি সোফায় বসে আছে। মিহি যেতে ই রাগি লুক দিয়ে তাকায়।
–কোথায় ছিলি এতোক্ষণ।
–শোন আমি মায়ের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ছি। তুই দাদিমাকে বলে দিস আমি মাকে খুব মিস করছিলাম তাই মায়ের সাথে ঘুমাতে চলে গিয়েছি।
বলে ই মিহি মায়ের রুমে চলে গেলো।
–তোমাদের দুই বোনের সাথে আমার আগে দেখা হলে আমি ভালো অভিনেতা হতে পারতাম।
মিনতি রাগি লুক দিয়ে তাকাতে ই অপু রুমে চলে যায়। মিনতি ও দাদিমার রুমে যায় মিহি মায়ের রুমে আছে এটা বলার জন্য।
‘
‘
মূলত অভ্র অপুর কল ইচ্ছে করে কেটে দেয়নি। মীরা বার বার কল দিচ্ছে যার কারণে মীরা কল বার বার কেটে দিচ্ছে মাঝখান দিয়ে অপু কল দিয়েছে তা খেয়াল না করে ই কেটে দেয়। নিজেকে জীবনটা এখন কোন দিকে মোর নিচ্ছে তার অভ্রের বোধগম্য হচ্ছে না। মীরা বেশ কয়েকটা মেসেজ করেছে, অভ্র মেসেজগুলো একবার দেখার ও প্রয়োজন মনে করে না। যখন মন থেকে চেয়েছিলো মীরাকে নিজের করে পেতে, তখন মীরার দেওয়া প্রত্যেকটা অবহেলা তিলে তিলে মনটাকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। যখন ই আবার নিজের ভাঙ্গা মনের টুকরোগুলো কুড়িয়ে আবার একসাথে যুক্ত করেছে ঠিক তখন ই আবার ভালোবাসার মায়ায় অবদ্ধ করতে চাইছে মীরা।৯৩
মীরার ভালো কাজ কিংবা খারাপ কাজের জন্য মীরাকে যেমন পুরোপুরি ভুলে যাওয়া সম্ভব না ঠিক তেমনি মিহিকে একমুহূর্তের জন্য দূরে সরানো সম্ভব না।
মিহি আমার অস্তিত্বে মিশে গিয়েছে।মিহি আসক্ততা আমার।
অভ্র এগুলো ভাবতে ভাবতে রুমে এসে শোয়ে পড়লো। শুয়ে পড়তে ই ঘুম দুচোখে ভর করেছে।
______________________
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলো মিহি । সবাই নাস্তা করে এখন ই রওনা দিবে অভ্রেদের বাসার উদ্দেশ্য। মিহি নাস্তার টেবিলে বসে ই অভ্রের দিকে চোখ যায়৷ অভ্রের মুখটাতে কেমন যেনো বিষন্নতা ছাপ। হাসি মুখটা হঠাৎ মলিন হবার পিছনে কারণ খুজচ্ছে মিহি। মিহি ইশারায় জিজ্ঞেস করলো, কি হয়েছে। অভ্র মুখে হাসি রেখে উওর দিলো কিছু না।
খাবার শেষ করে রেডি হয়ে গাড়িতে বসলো। অভ্র মিহি দাদিমা এক গাড়িতে। সামনে অভ্র ড্রাইভ করছে, পিছনে দাদিমা আর মিহি। হঠাৎ আইসক্রিম দেখে মিহি লাফিয়ে উঠলো,
–দাদিমা আমি আইসক্রিম খাবো।
–আমাকে কেনো বলিস। অভ্রকে বল।
–আপনি তো নিষেধ করেছেন, অভ্রের সাথে কথা বলতে।
–হে , তাই তো। অভ্র গাড়ি থামিয়ে অাইসক্রিম নিয়ে আয়।
–পারবো না৷, দাদিমা। যার আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে তাকে বলো, বাহির থেকে কিনে আনতে।
–দাদিমা। কান্না করে দেবো কিন্তু।
–দাদিমা বলো কান্না করতে হবে না বাসায় চলে এসেছি।
বাসার সামনে এসে গাড়ি থামতে ই, মিহি গাড়ি থেকে নেমে অভ্রকে ভেংচি কেটে চলে যায়। অভ্র মিচকি হেসে দাদিমাকে নামিয়ে অফিসের জন্য চলে যায়।
___________________
রাতের বলা,
মিহি আর অভ্র খুব মজা করছে, বাসা থেকে পালিয়ে ঘুরতে এসেছো দুজন।একটা রেস্টুরেন্টে এ এসে গাড়ি থামিয়ে দুজনে সব কিছু ঘুরে দেখতে ব্যস্ত। রেস্টুরেন্টে বললে ভুল হবে ছোটখাটো একটা পার্ক ই বলা যেতে পারে। রেস্টুরেন্টে এর ভিতরে খুব সুন্দর। সবুজ আর লাল এর কম্বিনেশনর লাইট। বাহিরের সাইডে গাছ লাগানো সবগুলো গাছ লাইটিং করা, পাশে ই বাসার ব্যবস্থা আছে। আইসক্রিম কিনে দিয়েছে অভ্র অনেকগুলো। সাথে ফুচকা চলকেট ফ্রি।
অভ্র মিহির দিকে তাকিয়ে হাসতেছে। এই হাসিটা দেখলে অভ্র সব ক্লান্তি ভুলে যায়।হঠাৎ করে ই মনে হলো সময়ের কথা।ঘড়িতে তাকতে ই দেখে রাত দুইটা বাজে।
–মিহি চলো বাসায় যাই, দুইটা বেজে গেছে।
মিহি আর কোনো কথা বললো না, দুজন ই বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে বসলো। অভ্র মিহির এক হাত ধরে আছে অন্য হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে।
বাসায় আসার পর, বাসার ভেতরের ডুকে লাইট জ্বালাতে ই দেখে,
দাদিমা সহ বাসার সবাই সোফয় বসে আছে। মিহি ভয়ে অভ্রের পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ে। এতো রাতে সবাই এভাবে জেগে বসে থাকবে তা অকল্পনীয় ছিলো।
চলবে,