#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২০
সূর্য তির্যক হয়ে মাথা উপরে আলো দিচ্ছে। চারদিকে মানুষ যে যা কাজে ব্যস্ত,কয়েকজন মানুষ আমাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে চলে যাচ্ছে। হয়তো সবার এক ই প্রশ্ন আমি এইখানে কেনো। বাসা থেকে বের হবার সময় জুতোটা ও আনিনি। অভ্রের এমন ব্যবহার আমি নিতে পারছিলাম না। সারাক্ষণ আমার সাথে সাথে লেগে থাকে আমাকে জ্বালানো ইদানীং তার প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে।
অফিসে ও যায় কম, অফিসের কাজ বাসায় বসে ই করে।হয়তো আমাকে বিরক্ত করার জন্য ই অফিসে যায় না। অভ্রের স্টাম্প সাইন করেছি পাঁচ দিন হয়ে গিয়েছে, এই পাঁচ দিনে উনি আমাকে পাচ মিনিট শান্ততে থাকতে দেয়নি। মাঝে মাঝে অনেক খারাপ ব্যবহার ও করেছে। সে যা ই হব দুচোখ যেদিকে যায় চলে যাবো। হাটা শুরু করলাম অজানার উদ্দেশ্য।
________________
অভ্র আজকে অফিসে গিয়েছিলো, আসার পর পুরো বাড়ি তনতন করে খুজে কিন্তু মিহিকে খুজে পায় না।
প্রায় একঘন্টা হয়ে গিয়েছে সব জায়গায় খুজ নিয়ে দেখেছে কিন্তু মিহি কোথাও যায়নি। অভ্র নিকটস্থ থানায় ইনফর্ম করেছে।
হঠাৎ করে মিহি এমন নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে তা অভ্রের জানা ছিলো না।অভ্রের মাথা কাজ করছে না। হয়তো মিহিকে কষ্ট দিয়েছে কিন্তু এই কষ্টগুলো দেওয়ার সাথে সাথে অনেক ভালো ও বেসেছে। হয়তো কষ্টের ভিড়ে অভ্রের ভালোবাসা গুলোকে চোখে পড়েনি।
মিনতি কেঁদে কেটে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বোনকে অনেক ভালোবাসে। মিহির বাবার বাসায় জানানো হয়নি। রেনু বেগম মিনতিকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
দাদিমা পায়চারি করছে আর বার বার দরজার দিকে দেখছে। উনি বেশ রেগে আছে।মিহিকে ঐ দিন এতো করে বুঝানোর পর ও এই কাজ করবে ভাবতে পারেনি।
রেনু বেগম মিনতিকে একটু শান্ত করে অজু করে জায়নামাজ এ বসে পড়লো, নফল নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে দোয়া করবে, ছেলের বউ এর যেনো কেনো ক্ষতি না হয়।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো,
আকাশে মেঘ জমেছে বেশ, মনে হচ্ছে আকাশ আজকে রাগ করে এতো মেঘ জমিয়েছে। কখন জানি বৃষ্টি নেমে আশে। সাদার মধ্যে ঘন কালো মেঘগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। চারদিকে বাসতাসে বেগ ধীরে ধীরে বাড়ছে। গাছের পাতাগুলো ফুলের মতো উপর থেকে পড়ছে, পানিতে তাকাতে ই দেখলো কয়েক ফোটা বৃষ্টি পড়ছে খুব ই হালকা গতিতে।
হালকা বৃষ্টি পড়তো ই চারদিকে চোখ যায়, একটা নদীর উপর ব্রিজে দাড়িয়ে আছে মিহি। এখানে যা মানুষ ছিলো বৃষ্টির ছোয়া পেয়ে সবাই ছুটতে শুরু করলো হয়তো বাড়ির উদ্দেশ্য।
অনেকদিন পর বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো ই লাগছে মিহির। ব্রিজে দাড়াতে ই চারদিকের সবুজে সমারোহ চোখ ছোয়ে যায়। পাখিরা কাছের ডালে বসে বসে ভিজতেছে। আচ্ছা ওদের কী আমার মতো বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে নাকি, ওদের থাকার মতো জায়গা নেই।
বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাতের শব্দ মিহি ভয় পেয়ে যায়। এখন এতো বেশি বৃষ্টি পড়ছে না,
–এই মেয়ে তোমার কী কোনো কান্ড জ্ঞান নাই নাকি এভাবে রাস্তা কেনো দাড়িয়ে আছো।
পিছনে ফিরতে ই দেখে একটা মধ্যে বয়স্ক মহিলা মিহির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলছে।
মিহি ছলছল নয়নে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না। আসলে মিহি কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
–কথা বলছো না কেনো, বোবা নাকি দেখতে তো মনে হচ্ছে ভালো পরিবারের মেয়ে ই, তা এই বৃষ্টি মধ্যে এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো। চলে আমার সাথে আমার বাড়িতে।
মিহি শুধু চুপ করে দাড়িয়ে আছে কোনো কথা বলছে না। মিহিকে এমন চুপ থাকতে দেখে মহিলাটা মিহির হাত ধরে টান দেয়।
============
অভ্র অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে তাও ড্রাইভ করছে। ইচ্ছে করছে এখন যদি একটু শুয়ে থাকা যেতো তাহলে মনে হয় ভালো লাগতো। হঠাৎ কল আসে অভ্ররে ফোনে।
ফোনের স্ক্রিনে অপু নাম টা ভেসে উঠতে ই দ্রুত ফোনটা রিসিভ করে।
–হে অপু বল।
অপু কিছু একটা বলতে ই অভ্র দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে দ্রুত গাড়ি চালাতে থাকে।
এদিকে মহিলাটি মিহিকে টেনে বাসায় নিয়ে যেতে চাইলে মহিলাকে মিহি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মধ্যে বয়স্ক মাহিলা কোমরে ভালো ই লেগেছে মনে হচ্ছে। মিহি মহিলাটাকে ফেলে দিয়ে দৌড়ে ব্রিজের সামনের দিকে যেতে থাকে। মিহি সামনে তাকিয়ি দেখে অভ্র দৌড়ে মিহির দিকে ই আসছে। মিহিকে দেখে এসে জড়িয়ে ধরে।
বৃষ্টি বেগ বেড়েছে। মিহির কাপড় ভিজে গায়ের সাথে লেপটে আছে। পায়ে কাদা মাটিতে ভরে গিয়েছে। মিহি এতোক্ষণ খুব ভয় পেয়েছিলো কিন্তু অভ্রকে দেখে ভয় চলে গিয়েছে। মনের ভেতর খারাপ লাগা ও কাজ করছে যার জন্য বাসা থেকে বের হলে সে ই সামনে এসে পড়লো।
–মিহি তুমি আমাকে না বলে বাসা থেকে না বলে কেনো বের হয়েছো।
–আপনার কাজগুলো আমি নিতে পড়ছিলাম না।আমার জাস্ট অসহ্য লাগছিলো।
–স্যরি মিহি, বাসায় চলো।
বলে ই হাত মিহির হাত ধরতেই সজোরে একটা থাপ্পড় মারে মিহি।
অভ্র কিছুক্ষন থমকে গিয়ে আবার বললো বাসায় চলো,
–প্রতিজ্ঞা করছি, তোমাকে আমি আর বিরক্ত করবো না প্লিজ
মিহি এবার বেশ অবাক হলো থাপ্পড় মারার পর ও মিহিকে এভাবে বলছে বাসায় যাওয়ার জন্য, অভ্রকে তো মিহি এমন জানতো না মিহি ভাবেছিলো হয়তো রাগ করে অভ্র মিহিকে রেখে ই চলে যাবে।
মিহি বৃষ্টিতে ভিজে কাপছে, অভ্র ও ভিজে গিয়েছে। মিহিকে এমন কাঁপতে দেখে অভ্র কোলে তোলে নিলো, মিহি এবার অভ্রকে আর কিছু বলছে না। হঠাৎ মহিলাটা পিছন থেকে ডাকতে ডাকতে সামনে এসে দাড়ালো।
–ওহ, ফুপি ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি অপুকে কল দিয়ে না বললে আমি হয়তো মিহিকে এখন ও খুজে বেড়াতাম।
–হে, হে তোমার বউ আমাকে ধাক্কা দিয়ে কোমরটা ভেঙ্গে দিয়েছে। অপু আমাকে ওর ছবি পাঠিয়ে বলেছিলো একটু এদিকে দেখার জন্য, মেয়েটা পেয়ে গেলাম কিন্তু এমন স্বভাবের তা জানতাম না।
–আপনাকে চিনে না তো তাই ভয় পেয়েছে হয়তো। মাফ করবেন ফুপি আসলে মিহি একটু বাচ্চাদের মতো ই আচরণ করে।আপনার সাথে আমি পরে কথা বলবো এখন চলি।
— ভয় পেলে আবার বাড়ি থেকে না বলে বের হলো কেনো। বাবা আমার বাসাতে আসো ভেজা শরিরে এখন বাসায় যাবে।
–ফুপি অন্যদিন যাবো।
বলে ই মিহিকে নিয়ে চলে আসলো, গাড়িতে বসিয়ে অভ্র অপর পাশে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
অভ্রের চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। কান্না করেছে নাকি রাগ করে মিহি বুঝতে পারছে না। অভ্রকে থাপ্পড় মারাটা মনে হয় ঠিক হয়নি।
============
সবার সামনে মিহি বসে আছে। অভ্র মিহিকে নিচে রেখে ই উপরে চলে গিয়েছে।
–নাতবৌ তোকে এতো করে বুঝানোর পর ও তুই এমন কাজটা করলি আমাদের কেমন অবস্থা হয়েছিলো চিন্তায় তোর জানা আছে।
মিহি চুপ করে আছে কোনো কথা বলছে না। সবাই ই রেগে আছে, মিনতি তো এসে গায়ে হাত তুলতে নিয়েছিলো। অপু আটকিয়েছে।
–কী হলো কথা কানে যাচ্ছে না তোর
একটু রাগ দেখাতে ই মিহি বাচ্চাদের মতো কান্না করে দেয়। মিহির কান্না দেখে অভ্রের মা এসে নিয়ে যেতে চায় এখনা থেকে। রুমের দিকে পা বাড়াতে ই দাদিমা বলে উঠে।
–অভ্র যখন তোকে এতো ই জ্বালায় এতো ই কষ্ট দেয়। আজ থেকে তুই আমার সাথে থাকবি অভ্রের সাথে দেখা হলে কোনো কথা বলবি না।
চলবে।
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২১
হঠাৎ করে ই বৃষ্টিতে ভেজার কারনে গা কাঁপিয়ে জ্বর এসেছে মিহির।ফ্রেশ হয়ে খাবার না খেয়ে ই দাদিমার রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলো মিহি, ঘুম ভাঙ্গতে ই গায়ে প্রচন্ড তাপ অনুভব হলো। রেনু বেগম মিহির পাশে বসে আছে। শরিরের তাপমাত্রা এতো বেশি তাই তিনি বসে বসে জলপট্টি দিচ্ছেন।
রেনু বেগম চেয়ছিলেন মিহিকে নিজের রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু দাদিমার আদেশ মিহি উনার সাথে ই থাকবে। কোথাও যেতে দিবে না।
মিহি চুপ করে শুয়ে আছে। দাদিমা সাথে বসে বসে ইচ্ছে মতো কথা শোনাচ্ছ মিহিকে। মিহি সব শোনে ও না শোনার মতো ই পড়ে আছে।
–মা…
মিহি শুয়ে থাকা অবস্থায় হালকা একটু শব্দ করলো মা বলে, রেনু বেগম মিহির শব্দ শুনতে ই উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
–কী মা, তোমার কী কিছু লাগবে।
–মা পানি খাবো।
কথাটা বলতে ই রেনু বেগম বসা থেকে উঠে পানি আনতে চলে গেলেন। মিহি এতো অসুস্থ অভ্র কী তা জানে না। বাসায় আসার পর থেকে একবার ও সামনে আসেনি অভ্র।
বেশ কিছুক্ষন পর রেনু বেগম রুমে ডুকলেন, হাতে খাবারের প্লেট। মিহিকে ধরে শুয়া থেকে উঠালেন। পানিট গ্লাসটা হাতে দিতে ই মিহি একটু পানি মুখে নেয়। একটু পানি খেয়ে গ্লাসটা রেনু বেগমের হাতে দিয়ে দেয়। মিহি আবার শুয়ে পড়তে চাইলে রেনু বাধা দেয়।
–খাবার খেয়ে নেও।
–খাবো না আম্মু।
–সারাদিন তো কিছু ই খাওনি, এখন ও যদি না খাও তাহলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বা।
মিহির ও খুব ক্ষুধা পেয়েছে তা আর না করেনি। কিন্তু মুখে খাবার দিতে ই তেঁতো ভাবের জন্য গলা দিয়ে খাবার নামছে না। মিহি দ্রুত পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়লো।
–কী হয়েছে মিহি শুয়ে পড়লে কেনো।
–আম্মু খাবো না। ভালো লাগছে না।
রেনু বেগম জোর করে ও খাওয়াতে পারেনি তাই বাধ্য হয়ে চলে যায়।
মিহির বার বার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে অভ্র কোথায়। আজকে অভ্রের সাথে যা করলো তারপর কোন মুখে আবার অভ্রের কথা জিজ্ঞেস করবে। এসব ভেবে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে ও থমকে গিয়েছে।
মিহি ঘুমানোর চেষ্টা করছে, মিনতি এসে কয়েকবার দেখে গিয়েছে। কিন্তু কোনো কথা বলেনি। অপুকে ওষুধ আনতে বলেছিলো কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়া অপু বলেছে সকালে ওষুধ এনে দিবে। এই মুহুর্তে অভ্রকে খুব বেশি ই মিস করছে মিহি। অভ্র মনে হচ্ছে বাসায় নাই, বাসায় থাকলে ঠিক ই ওষুধ এনে দিতো সে যত রাত ই হক না কেনো।
এসব ভাবতে ভাবতে মিহি ঘুমিয়ে পড়লো।
_______________
মিহি ঘুমিয়ে পড়েছে তাই রেনু বেগম ও নিজের রুমে চলে গিয়েছে। দাদিমা ও মিহির পাশে শুয়ে পড়েছে।
মাঝ রাতে মনে হচ্ছে কেউ মিহিকে টেনে উপরে তুলছে, বার বার হা করতে বলছে
জ্বরের কারণে মিহি কে কী বলছে ওসব খেলায় নাই। শুধু যা বলছে তাই করছে। হঠাৎ মনে হলো কেউ কপালে ঠোঁট দুটো ছুয়ে দিয়েছে। হয়তো স্বপ্ন দেখছে তাই মিহি আর চোখ খুলে তাকায়নি।
বেশকিছু ক্ষন পর, মিহি প্রচন্ড ঘেমে যায়। শরীরের উপর থেকে কম্বল সরিয়ে দেয়। মিহি উঠে বসে, শরিরে জ্বর নেই। বেশ ভালো লাগছে এখন। ঘুম ভাঙ্গার পর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে পাঁচটা বেজে গিয়েছে তারমানে কিছুক্ষণের মধ্যে ই আজান দিবে, তাই মিহি আর ঘুমায়নি।
একটু আগে কেউ মনে হচ্ছিলো ঔষুধ খাইয়ে দিচ্ছিলো পরম উষ্ণতায় জড়িয়ে নিচ্ছিলো এটা কী স্বপ্ন ছিলো নাকি সত্যি।
যদি সত্যি হয় তাহলে অভ্র কোথায় আশেপাশে তো দাদিমা ছাড়া কেউ ই নেই। যার জন্য এ কয়েকদিন বিরক্ত হয়েছি আজ তাকে মিস করতেছি।
দরজা খোললাম অভ্রের রুমের দিকে যাবো।অমনি দরজা খোলার শব্দে দাদিমা জেগে গেলো,
মহিলা ঘুম থেকে ওঠে ই ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,
–এই নাতবৌ কোথায় যাস, তোর জ্বর কমে গিয়েছে নাকি। এদিকে আস তো।
— হে দাদিমা কমে গিয়েছে।
–তাহলে যা ওজু করে আস, আমার সাথে নামাজ পড়বি।
–ঠিক আছে দাদিমা।
আমি দাদিমার কথা মতো ওজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। এখন বসে আছি। অভ্রের রুমের দিকে যাওয়ার কোনো উপায় খোজে পাচ্ছি না। আমি কালকে অভ্রকে থাপ্পড় টা দিয়ে ভুল করেছি আমাকে অভ্রের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কেনো জানি অস্থির লাগছে আামর, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ভালো থাকতে পারবো না আমি।
_____________________
অভ্র ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছে। অফিসে যাওয়ার জন্য। অবশ্য মিহিকে অনেক মিস করছে তাও মিহির সাথে দেখা করবে না। মেয়েটা আমাকে বুঝোক। ভালোবেসে তাকে আমার ভালোবাসা বুঝানো যাবে না। কষ্ট দিয়ে ই তোমাকে আমার ভালোবাসা বুঝাবো মিহি পাখি।
অভ্র রুমের দরজা খুলে বের হতে নিলে ই সামনে মিহিকে দেখতে পায়। মিহিকে দেখতে পেয়েও না দেখার ভাব করে চলে যায়।
এতে মিহি রেগে যায়, পরক্ষণেই কালকের থাপ্পড়ের কথা মনে হতে ই রাগ চলে যায়। অভ্রের পিছনে পিছনে যেতে নিলে নিচে দাদিমাকে দেখে থমকে যায়।
অভ্র সোজা গিয়ে খাবার টেবিলে বসে পড়ে।মিহি ও গুটিগুটি পায়ে গিয়ে অভ্রের পাশের চেয়ারে বসে।
–নতবৌ
দাদিমার কন্ঠ শোনে পিছনে তাকায়,
–উঠে আমার পাশে বস।
–কেনো দাদিমা?
–কোনো প্রকার কথা শোনতে চাই না আমি যা বলছি তা ই কর।
মিহি অভ্রের দিকে অসহায় এর মতো তাকিয়ে আছি। কিন্তু অভ্র মিহির দিকে একবার ও তাকায়নি। বাধ্য হয়ে মিহি দাদিমার পাশে গিয়ে বসে।
খাবারে হাত দিয়ে অভ্ররে দিকে তাকিয়ে আছে, অভ্রকে ইশারায় কথা বলতে বলবে কিন্তু এই অভ্র বজ্জাত টা তো মিহির দিকে তাকাচ্ছে ই না।
–ভাবি খাবার শেষ করে ভাইয়াকে মন ভরে দেখে নিয়েন, এখন খাবার টা খেয়ে নিন।
অপুর এমন কথা শোনে সবাই মুখ টিপে টিপে হাসতেছে। অভ্র খাবার শেষ করে কারো সাথে কোনো কথা না বলে ই অফিসের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়ে।
অভ্রকে এমন গম্ভীর দেখে মিহি ভয় পেয়ে যায়। তাহলে কী অভ্র আমার সাথে আর কথা বলবে না। আমার দিকে ফিরে ও তাকাবে না।
মিহি সুযোগ বুঝে অভ্রের পিছনে গিয়ে হাতটা ধরতে ই দাদিমা নাতবৌ বলে জোরে চিৎকার করে উঠে।
চলবে,
[ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]