#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১০
এখন ভয় পাচ্ছিস কেনো। আমি যেভাবে বলবো তোকে ঐভাবে ই থাকতে হবে।
কথাটা বলে সাথে সাথে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেলকনিতে চলে গেলো। আমি ও আর কিছু বললাম না। রুমে থেকে বের হয়ে নিচে চলে আসলাম।
নিচে অনেক হাসাহাসি শব্দ শোনা যাচ্ছে, আমি নিচে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
–কী হইছে মিনতি এতো হাসতেছিস কেনো।
–সবাই মিলে সিলেটে ঘুরতো যাবো।
–সত্যি, তাহলে আমি ও যাবো।
–জ্বি নাহ্। আপনি অভ্র ভাইয়া যাচ্ছেন না ভাবি।
–মিনতি তুই এভাবে বলছিস কেনো, আর ভাবি ডাকা বন্ধ কর।
— তুই না একটু আগে বললি তোকে সম্মান দেওয়ার জন্য।
–এগুলো বাদ দিয়ে বল তো, কবে যাচ্ছি।
–কালকে সকালে সবাই মিলে যাবো শুধু তুই আর অভ্র ভাইয়া বাদে।
এবার আমি অভ্রের মার কাছে গিয়ে বললাম,
–আম্মু আমি তোমাদের সাথে যাবো।
–নাহ্। অভ্র আমাদের সাথে কোথাও ঘুরতে যায় না তাই তুমি বাসায় থেকে অভ্রের কী প্রয়োজন তা দেখবে।
–আম্মু উনারটা উনি একা ই করতে পারবে। আমি তোমাদের সাথে যাবো।
হাজার বলে ও লাভ হলো না,আমি ঘুরতে কতো ভালোবাসি কিন্তু এই অভ্র বজ্জাতটার জন্য আর যাওয়া হলো না। কান্না পাচ্ছে খুব।
আচ্ছা অভ্রকে গিয়ে রাজি করালে তো আমাকে ওরা সাথে নিয়ে ও যেতে পারে। তাই আর দেরি করলাম না দ্রুত রুমে গেলাম।
দেখলাম অভ্র ফোনো কিছু একটা করছে,গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে বললাম,
–বাসার সবাই সিলেট যাচ্ছে। আপনার জন্য আমাকে ওরা নিয়ে যেতে চাচ্ছে না তাই আপনি একটু বলে দেন, আমাকে নিয়ে যেতে।
–সবাই চেয়েছিলো তোমাকে নিয়ে যেতে।
–তারপর
–আমি নিষেধ করেছি,আমি যাবো না তো আমার বউ ও যাবে না।
–এই আপনি সব সময় আমার পাকা ধানে মই দিতে আসেন কেনো। অসহ্য। আপনার কী খেয়ে আর কোনো কাজ নেই নাকি।
আমি হাতের আঙ্গুল ঘুরিয়ে কথাগুলো বলছি অভ্র হঠাৎ আমার আঙ্গুটা মুখে নিয়ে আলতো করে একটু কামড় দিয়ে ছেড়ে দিলো।
আমি পাঁচ মিনিট ফ্রিজ হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম।আর এই পাঁচ মিনিটে উনি আমার সামনে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। অভ্রের ছোয়াতে আমি নিজের মধ্যে থাকি না। মানুষটাকে বুঝি না জোর করে বিয়ে করলো। এই ভালো এই খারাপ ঠিক হঠাৎ বৃষ্টির মতো।।
_____________________________
বিকেল বেলা বেলকুনিতে বসে আছি, বাহিরে বাগানের দিকে তাকিয়ে। বাহিরে গোলাপ গাছের গোলাপ ফুলগুলো সূর্যের হালকা আলোয় মনখুলে হাসছে মনে হচ্ছে। ফুলকে তো সবাই ভালোবাসে৷ আমি ও যদি ফুলের মতো হতে পারতাম তাহলে আমাকে ও সবাই ভালোবাসতো।
–ভাবি।
ডাকটা শুনে পিছনে ঘুরে দেখলাম, অনি।
–ভাবি তোমাকে কখন থেকে খুজতেছি।
–হে, বলো
–আমরা সবাই মিলে ট্রুথ অর ডেয়ার খেলবো। অভ্র ভাইয়াকে ও অনেক কষ্ট রাজি করিয়েছি খেলার জন্য, প্লিজ তুমি ও আসো।
–আচ্ছা চলো।
–তার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।
–কী কাজ?
–আম্মু বলেছে তোমাকে আম্মুর সাথে দেখা করার জন্য।
আমি রুমের ভিতরে ডুকে দেখলাম অভ্রের অনেকগুলো কাজিন বসে আছে আর অভ্র লেপটাবে কাজ করছে। আমি সবার সাথে কথা বলে নিচে যেতে লাগলাম। আম্মুর রুমে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
–আম্মু ডেকেছো আমায়।
–হে, আমরা তো কালকে সকালে চলে যাবো।
–হুম।
–তুমি অভ্রের খেয়াল রেখো। আমি কাজের লোককে বলে দিয়েছি। ও সকালে রান্না করে দিয়ে চলে যাবে বাকি কাজগুলো তুমি করে নিয়ো।
–ঠিক আছে মা, আমি যদি আপনার ছেলেকে রাজি করাতে পারি।
–দেখো পারো কিনা আমি তো কখনো পড়লাম না আমার ছেলেকে সাথে করে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে। আমি কী কারো কথায় ই যায়নি
–হে মা আমি একবার চেষ্টা করে দেখি।
এটা বলে ই উপরে চলে গেলাম, দেখলাম সবাই আমার জন্য ওয়েট করতেছে। আমি যেতে ই অভ্র উঠে ওদের সাথে যোগ দিলো।
অভ্রের আর অনির মাঝখানে আমার জায়গা দিলো। চুপ করে বসলাম। সামনে একটা টেবিল রাখা হলো, টেবিলে উপর বোতল রাখা হলো,
ফাস্ট ঘুরানো পর ই অনির দিকে বোতলের মুখ পড়লো,
–অনি বলো ট্রুথ ওর ডেয়ার।
–ট্রুথ
–বলো কয়টা রিলেশন করেছো।
–একটা ও না ভাবি তোমার জামাই সব সময় আমার পিছনে লোক লাগিয়ে রাখতো আমি কখনো রিলেশন করতে পারিনি। এখন তো আমি বিবাহিত ই, জামাই বেচারা ও বিদেশ।
–খুবই দুঃখজনক অনি, এবার আবার খেলা শুরু করো।
এবার বোতলের মুখ অরুর দিকে পড়লো, অরু আয়ুশি অভ্রর কাজিনদের নাম।
–অরু ট্রুথ অর ডেয়ার।
–ট্রুথ
–তোমার ক্রাশের নাম কী।
–তোমার জামাই অভ্র ছিলো।
সবাই অরুর কথাশুনে হাসছে, অভ্র আমার দিকে তাকিয়ে বললো সবারটা তো আপনি দিচ্ছে মিহি। আপনার ট্রুথ অর ডেয়ার আমি দিবো।
–ওকে।
এবার বোতল ঘুরানোর পর অভ্রের দিকে আসলো,
–পেয়েছি এবার, ট্রুথ অর ডেয়ার। সবগুলো ভাই বোন তো ট্রুথ ই নিচেছে, আপনি কী আর ডেয়ার নিবেন।
–ওহ, তাই নাকি তাহলে আমি ডেয়ার ই নিলাম।
–আপনি এখন আম্মুকে গিয়ে বলবেন আমরা কালকে সিলেট যাচ্ছি সবার সাথে।
–নাহ্।
–সাহস থাকলে বলে আসেন। খেলার নিয়ম অনুযায়ী এটা আপনাকে করতে হবে।
–আমি আম্মুকে কখনো মিথ্যা বলি না।
–মিথ্যা বলতে বলছে কে। আমরা কালকে যাবো সিলেট।
আপনার খুব ইচ্ছে না যাওয়ার আচ্ছা ঠিক আছে আমরা যাবো।
অভ্র আস্তে আস্তে মিহির কানেকানে গিয়ে বললো, আপনার যে সবার সামনে কী হাল করি বুঝবা।
এবার বোতলের মুখটা মিহির সামনে এসে পড়লো,
অভ্র হাসি মুখে বললো,
–সবাই চুপ কর, মিহিকে আমি ডেয়ার দিবো।
আবার আমার কানের কাছে এসে বললো, সবার সামনে অভ্রকে কিস করার জন্য।
আমি অভ্রের দিকে বড় বড় চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছি। কর করবো এখন…..
চলবে
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১১
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কী বলেছ সবাই জানার জন্য উৎসাহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমি কিছু বলছিনা বলে অরু বললো,
–ভাবি কী ডেয়ার দিয়েছে আমাদের বলেন।
আমি অভ্রের দিকে তাকাতে ই দেখি অভ্র অন্য দিকে তাকিয়ে আছে এমন একটা ভাব করছে যেনো কিছু ই জানে না।
–যে ডেয়ার দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞেস করো। কী বলেছে আমি শুনি নাই।
অভ্র মুখ অন্য দিকে করে ই বললো,
–মিহির ডেয়ার কমপ্লিট না করলে আমার ডেয়ার ও আমি কমপ্লিট করবো না।
অভ্রের ডেয়ার কমপ্লিট না করলে তো আমার আর সিলেট যাওয়া হলো না। আমি কোনো উপায় না পেয়ে অসহায় ভাব নিয়ে বসে আছি।
–ভাইয়া ভাবিকে আবার বল কী ডেয়ার ভাবি শোনে নাই।
–তোর ভাবি কানে কম শোনে…
এর মধ্যে ই আমি অভ্রের গালে কিসটা দিয়ে দিলাম। সবাই আমার দিকে রসগোল্লা মতো চোখ করে তাকিয়ে আছে।
–এটা কী ডেয়ার ছিলো ভাবি, নাকি ভাইয়াকে খুব সুন্দর লাগছে তাই দিলা।
অভ্র বললো,
–আরে তোর ভাই অনেক কিউট তো তাই দিয়ে দিলো এবার কমপ্লিট করেন ডেয়ার।
–এটা ই তো ডেয়ার ছিলো
–আপনি না ডেয়ার শোনেন নাই।
–ঐ টাইমে মিথ্যা বলেছিলাম।আপনি তো এটাই আমাকে ডেয়ার দিয়েছিলেন।
–ওদের সামনে লজ্জা পাচ্ছেন কেনো মিহি।
–লজ্জা কোথায় পেলাম, এটা ই ডেয়ার ছিলো।
–নাহ্ আমি বলেছিলাম,আমি আম্মুকে গিয়ে সিলেট যাবার কথা বলার পরের মিনিটে ই আপনি আম্মুকে বলবেন, আপনার শরীর ভালো না আপনি সিলেট যাবেন না।
–ভাইয়া এটা তুই ভাবির কানের কাছে গিয়ে বলেছিলি।
–হে
এটা বলে ই অভ্র মিহির হাত ধরে টান দিয়ে বললো,
–চলো দুইজন মিলে সংসার কইরা খাই,নাহ্ ডেয়ার কমপ্লিট করি।
মিহির মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব রাগ হয়েছে। অভ্র তো মিহির এই মুখ দেখে বেশ মজা ই লাগছিলো। মায়ের রুমের সামনে গিয়ে অভ্র বললো,
–আমি যাচ্ছি ভিতরে, আপনি পরে এসেন
মিহি মুখানা বাকা করে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে কিছু বলে না।
অভ্র রুমে ডুকে দেখতে পেলো, অভ্রের মা কাপড়গুলো লাগেজে ডুকাচ্ছে।
–আম্মু কী করছো,,
–দেখছিস ই তো।
–আমি তোমাদের সাথে সিলেট যাবো।
অভ্রের মুখের দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে।
–এ কাকে দেখছি আমি, তাহলে অবশেষে বউের কথায় ই রাখতে যাচ্ছিস।
–মানে
–মিহি তো বললো তোকে সিলেট যেতে রাজি করবে।
অভ্র মেকি হাসি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
মিহি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নিজেকে দোষ দিচ্ছে, নিজের কথার জালে ই বজ্জাতটা আমাকে ফাসিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আমি ও দেখে নিবো, হনুমানটাকে।
—এই যে, বলে এসেছি এখন আপনি যান।
মিহি অভ্রে দিকে না তাকিয়ে ভেতরে ডুকে গেলো,
–আম্মু
–ওহ্ মিহি এসেছো মা।
–হে, আম্মু দেন আমি সব গুছিয়ে দিচ্ছি।
–না মা, আমি সব গুছিয়ে ফেলেছি।
–আমাকে একবার ডাকতে পারতেন আম্মু।
–লাগবে না মা। আমি জানি তুমি কোনো কাজ ই করতে পারো না। মিনতি বলেছে।
–আমি শিখে নিবো সব আম্মু।
–তা ঠিক আছে, অভ্রকে তো রাজি করিয়ে ফেলেছো দেখছি।
–হে আম্মু কিন্তু একটা প্রবলেম হয়েছে।
–কী প্রবলেম!
— আপনার ছেলের নাকি বমি বমি ভাব হচ্ছে, মাথা ব্যাথা শরির টা নাকি ঠিক নেই।
–এখন ই তো আমার সাথে কথা বলে গেলো তা এমন কখন থেকে হচ্ছে।
–এই তো একটু আগে থেকে, আমি বলছি ডক্টর দেখাতে। আমার কথা রাখার জন্য তোমাদের সাথে যেতে চায় তাই আমি নিষেধ করতে আসলাম।
–অভ্রকে বলে দিয়ো যেতে হবে না। পরে তোমরা দুজন এক সাথে যেও কেমন৷ অভ্র সুস্থ হলে।
–তা অবশ্য ই মা। এখন যাই দেখি আপনার ছেলে কী করে। একটু সেবা করে আসি।
দিলাম ডেয়ার কমপ্লিট করে, খুব মজা লাগতাছে সব দোষ অভ্র হনুমানের ঘাড়ে চাপিয়ে।
খাবার টেবিলে সবাই বসে রাতের খাবার খাচ্ছে। আর সবাই অনেক প্লান করছে, সিলেট গিয়ে কী করবে, আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি।
–অভ্র মিহিকে আমাদের সাথে নিয়ে যাই।
–নাহ্ আমি কী একা থাকবো নাকি বাসায়।
এটা বলে ই হাত ধুয়ে উপরে চলে গেলো।
–আগে তো ভাইয়া একা ই থাকতো তাহলে এখন প্রবলেমটা কী। বেচারি মিহির যে অবস্থা মনে হচ্ছে কান্না ই করে দিবে।
–মা, আমার বোন কে ছাড়া আমার ও একা যেতে ভালো লাগছে না।
–অভ্র অসুস্থ না হয় সবার কথা ভেবে মিহিকে নিয়ে যেতাম।
–কী বলছেন মা, ভাইয়ার কী হলো।
–ওর নাকি বমি বমি ভাব হচ্ছে, সাথে মনে হয় মাথা ব্যাথা ও আছে।
মেয়েদের অসুখ ভাইয়ার কাছে কীভাবে গেলো।
অপুর এই কথা শোনে সবাই হাসা শুরু করে দিলো। মিহি এবার ভাবছে যদি কেউ আবার অভ্রকে বলে দেয় তাহলে মিহির অবস্থা খারাব বানিয়ে দিবে।
–স্বামীর সেবায় নিয়জিত থাকবেন ভাবি।
–মিহি যে দুষ্ট আর অসল মাথায় মনে হয় শয়তানের রাজপ্রাসাদ, দেখা যাবে মিহিকে ই অভ্র ভাইয়া সেবা করছে।
সবাই আবার হাসা শুরু করছে। মিহি মিনতির দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকায়।
–মিহি রাগ করেনা আম্মু খেয়ে নেয়। খাবার খেতে বসে এতো কথা বলতে হয় না। সবাই দ্রুত খাবার শেষ করো।
__________________________
সকালে অভ্রের ডাকার শব্দ ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে দেখি ছয়টা বাজে। ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে অভ্রকে বললাম,
–এতো সকালে ডাকছেন কেনো?
–সবাই চলে যাচ্ছে। আপনি নিচে যাবেন না।
আমি মনে ই ছিলো না সবাই যে চলে যাবে। পাঁচ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। গিয়ে দেখলাম সবাই রেডি চলে যাচ্ছে।
আমাকে দেখে দাদিমা বললো,
–দেখে রাখিস আমার নাতিকে। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে টাইম মতো এগিয়ে দিস।
আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম। অভ্র এসে আমার পাশে দাড়াতে ই দাদিমা আবার বলে উঠলো,
–অভ্র নিজের খেয়াল রাখিস, ঔষুধগুলো ঠিক মতো খাবি।
–কীসের ঔষুধ দামিমা।
–ঘুম থেকে উঠে, সব ভুলে গেলি নাকি অভ্র, তোর না মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব।
অভ্র আমার দিকে ভ্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে আছে, বুঝতে পেরেছে এই কাজটা আমার।
–দাদিমা ঠিক হয়ে গিয়েছে সব। চলো সাতটা বেজে যাচ্ছে ট্রেন ধরতে পারবে না পরে।
সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেলো। সাথে অভ্র ও গেলো। অভ্র শুধু স্টেশন পর্যন্ত যাবে।
___________
আপামনি আমি কালকে আসতে পারবো না,
রাহেলা, মানে কাজে লোকের মুখে এই কথা শুনে উনার দিকে তাকিয়ে বসে আছি।
–কেনো আসতে পারবেন না,
–আমার ছেলেটার খুব অসুখ আপামনি।আজকে ই আসতে চাইনি শুধু রাগ করবেন বলে এসেছি।সারাদিনের রান্না করে দিয়ে গেলাম
কী আর বলার আছে। আমি যে রান্না করি তা কেউ খেতে পারে না। সব রকমের খাবার ইউটিউব দেখে রান্না করতে পারি শুধু আমি ছাড়া কেউ খেতে পারে না।
কালকে দিনটা তাহলে আমার রক্ষে নেই।
চলবে,
[গঠনমূলক কমেন্ট করুন, ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]