তোমাকে_চাই (Season 2)Part:-11+12

0
1930

তোমাকে_চাই (Season 2)Part:-11+12
#পার্ট_১১
#আরবি_আরভী

আমি ফোনটা হাতে পেয়ে তা ধিন তা নাচার উপক্রম।। ইচ্ছা করছে এখুনি উনার গালে কয়েকটা কিস বসিয়ে দেই।।। আম্মুর ফোনটা একটু ধরলেই বকুনি শুরু।। এই প্রথম আমি নিজের
কোন ফোন পেলাম।। উনি যা বুঝাছেন সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।।। হাতে ফোন পেয়েছি এটাই বড় কথা,,,

সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে সজীব প্রকৃতিটাকে উপভোগ করতে লাগলাম।। বেশ ভালোই হয়েছে আজকের ঘুমটা।।ফ্রেশ মোড ফ্রেশ মাইন্ড।। ভাবলাম আমার উনার জন্য এক কাপ চা করে নিলে মন্দ হয়ে না।।মনের মতো একটা গিফট দিয়েছে বটে।। যেই ভাবনা সেই কাজ।।চা হাতে উনার রুমে ঢোকে দেখি মশাই এখনো গভীর ঘুমে মগ্ন ।। ঘুমের ঘোরে উনাকে বেশ কিউট লাগে ঠিক একটা অবুঝ শিশুর মতো ।।

আমি দরজাটা একটু আড়াল করে চা টা টি-টেবিলে রেখে বিছানায় উনার পাশে বসে আলতো হাতে চুলগুলো উনার মুখ থেকে সরিয়ে কপালে একটা চুমু খেলে সাথে সাথে উনি আমার হাতটা ধরে এক জাটকায় আমাকে উনার পাশে শুইয়ে দিয়ে খুব জোরে আকড়ে ধরে চোখগুলো বন্ধ করে মাথাটা আমার কাধে রেখে ঘুম ঘুম সুরে বলতে লাগলেন,,,
-রাতে কেমন ঘুম হলো আপনার??
-খুব ভালো,,,(একটা মুচকি হাসি দিয়ে)
-হুম্মম আমার ঘুম হারাম করে খুব ভালো ঘুম হয়েছে তাই না,,,,,
উনার কথার মাথা মুন্ডু খোঁজে না পেয়ে গম্ভীর মুখ নিয়ে পাশ ফিরে উনাকে তাই জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম,,,,,
-কেন আমি আবার কি করলাম,,,,
-কিছু করেন নাই,,, শুধু আমার ধৈর্য্যের পরিক্ষা নিয়েছেন এই যা,,,,,,,
-প্লিজ বলেন না কি করেছি,,,
-দুরত্ব বেড়েছে তাই ফোনটা কিনে দিয়েছি,,,ফাস্ট টাইম তাই ক্ষমা করলাম আর কোনদিন যদি আমার কল ধরতে এক মিনিট দেরি হয়ে তাহলে খুন করে ফেলবো বলে দিলাম,,,,
আমি উনার কথার মারপ্যাঁচ কিছুই বুঝছি না কিন্তু ফোনের বিষয়টা কি।। ঘটনার উম্মোচন ঘটাতে উনাকে ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে ব্যাগটা খুলে ফোনটা অন করে দেখি টুনির আব্বু নামে ১০২ টা মিসেড কল।। রাত বারোটা থেকে চারটা পর্যন্ত একনাগাড়ে কল দিয়েই চলছিলেন বেচারা।। আর আমি হয়েতো সেই সময়টায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে উনাকে নিয়ে একটা মিষ্টি সপ্ন দেখতে ব্যাস্ত।।।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


তার কয়েকদিন পর উনারা পুরোপুরি ২ তলায় সিফট হয়ে গেলে ঘটনাস্থলের পর থেকে প্রতি রাতে সারা রাত উনার সাথে আমার মধুর আলাপ হয়।।কল ধরতে একটু দেরি হলে উনি যে ভীষণভাবে খেপে যাবেন সেটা আমার জানা তাই আর দেরি করি না।। চৌতি আপুর ঘুম অনেক ভার তাই সে কিছুই টের পায় না।।

এমনি একদিন সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতেই আমি ঘুমিয়ে যাই।। একপর্যায়ে ফোনের বিকট অতিষ্ঠকর আওয়াজে জেগে গেলে ফোনটা হাতে নিয়ে রেহানের কল দেখে তারাহুরা করে কলটা রিসিভ করতেই রেহান ওপাশ থেকে রুক্ষ কন্ঠে রেগে বলে উঠলেন,,,,,,
-কি ঘুমিয়ে গেছিস,,,,তা কার সাথে সপ্ন দেখছিস এইভাবে ঘুমিয়ে??
– আপনার সাথে রেহান,,,,,,,(ঘুম আচ্ছন্ন কন্ঠে)
-এই একদম ন্যাকামি করবি না বলে দিলাম,,, আমি এদিকে কল দিতে দিতে পাগল হয়ে যাচ্ছি আর উনি নাকি নাক ডেকে ঘুমুচ্ছেন,,,, আর কখনো কথা বলবি না আমার সাথে,,,,
-প্লিজ বাবু রাগ করোনা প্লিজ,,
-এত্ত ড্রামা করতে হবে না আপনাকে ড্রামা কুইন একটা,,,, তারাতারি ছাদে আসেন,,,
-What!! এত্ত রাতে,, কেন??
-তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে জান প্লিজ তারাতারি চলে এসো আমি।অপেক্ষা করছি ওকে বায়,,,,

কথাটা বলেই উনি কলটা কেটে দিলেন।। আমার আর টু শব্দ করারও সময় দিলেন না।।এত রাতে ছাদে যাওয়ার ব্যাপারটা একদম অসহ্য লাগছে আমার।। এভাবেই ঘুমে চোখ এলিয়ে পড়ছে।। আবার বলে আমি নাকি ন্যাকামি করি তাহলে তুই কি করিস।। ডেভিল খরুচ রাব্বিস এক একটা।। কথাগুলো নিজে নিজে কিছুক্ষণ বিরবিরিয়ে শেষমেশ একপ্রকারের বাধ্য হয়ে ছাদে গিয়ে দেখি এক ভদ্র লোক পিছনে মোড়ে হাতগুলো মুঠো করে পেছনে এনে বেশ টানটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।।মনে হচ্ছে রেহানকে যেন আমি নতুনরুপে দেখছি।। সত্যি বলতে তার পেছন সাইট দেখেই আমার কেন জানি না সন্দেহ লাগছে মনে হচ্ছে এটা রেহান না অন্য কেউ।। পরে ভাবালাম হয়েতো ঘুম থেকে হঠাৎ করে উঠাতে আমার চোখ ভুলভাল দেখছে।।এখানে রেহানকে ছাড়া আবার কে আসবে।।

যাইহোক সেটা বড় কথা নয়।। উনার রাগটা কিভাবে ভেঙে দেয়া যায় সেই চিন্তায় নিজেকে ব্যাস্ত রেখে কোনো উপায় না পেয়ে দৌড়ে পেছন থেকে উনাকে জাপটে ধরে বিনয়ী কন্ঠে বলে উঠলাম,,,,
-লাভ ইউ জান,,,, প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা করে দাও,, আমার লক্ষী বাবুটা প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,,
যাকে ধরে আছি তার কোন প্রতিক্রিয়াই নেই যেন এটা একটা মূর্তি।। তার এরুপ আচরণ আমার সন্দেহের ঘোর আরো বৃদ্ধি করে দিচ্ছে।। মনটা বারে বারে সাড়া দিচ্ছে যে এটা রেহান না।। আমার ধ্যানধারণার অবসান ঘটে যখন দুই-তিন জন ছেলে কোলাহলপুর্ন
হাসি দিয়ে সামনে এগিয়ে আসেন।। আমি লোকটাকে ছেড়ে চারপাশের চেহারাগুলো দেখে একদম থঁ মেরে গেছি।। আরো বেশি অবাক হলাম যখন লোকটা সামনে মোড়েতেই নিলয় ভাইয়ার উপস্থিত লক্ষ্য করলাম।। আমার আর বোঝাতে বাকি রইলো না যে সব বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেয়ার সময় আমার সাথে একটা গেইম খেলেছে।।। তার মানে আমার মন ঠিকই বলেছিল যে উনি রেহান ছিলেন না।।

রেহানের সব বন্ধুরা দম ফাটা হাসিতে যখন মগ্ন তখনি ছাদের একপাশে মুখ গম্ভীর করে চোখগুলো লাল করে রেহান দাঁড়িয়ে থেকে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।। আমাকে যেন আস্ত গিলে খাবেন ।। আমি তার দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছি না ভয়ও করছে অনেক।। তার মধ্যে তামিম ভাইয়া আবার বলে বসলেন,,,,
-হায় হায় ভাবী এটা কি করলেন,,,
কথাটা শোনে রেহান যেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন ঝড়ের গতিতে আমার কাছে এসে মুখটা একদম গম্ভীর করে দাঁতে দাঁত চেপে আমাকে বলে উঠলেন,,,,,,
-সামান্য শরীরটাকেই চিনতে পারলি না আবার আমার মন চিনবি কি করে,,,,

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছি।।নিচের দিকে তাকিয়ে ওড়নার কাপড়টা দু হাত দিয়ে মোড়াতে লাগলাম।।লজ্জায় কিছুই ভাবতে পারছি না বলব তো দূরের ব্যাপার।। মনে মনে নিজেকে হাজারটা বকুনি দিতে লাগলাম।। আস্ত একটা মাথা মোটা আমি।। আমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে রেহান আমার হাতটা খুব শক্ত করে ধরে টেনে হিছরে সিড়ি দিয়ে নামাতে লাগলেন ।।।আমার মুখের বুলি শুনতে নারাজ সে।। এখুনি যেন জেলখানায় নিয়ে বন্দী করবে এমনি হাবভাব তার,,,,,,,,,
চলবে
#তোমাকে_চাই (Season 2)
#পার্ট_১২
#আরবি_আরভী

আমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে রেহান আমার হাতটা খুব শক্ত করে ধরে টেনে হিছরে সিড়ি দিয়ে নামাতে লাগলেন ।।।আমার মুখের বুলি শুনতে নারাজ সে।। এখুনি যেন জেলখানায় নিয়ে বন্দী করবে এমনি হাবভাব তার।।

সকালবেলা স্কুলে যাওয়ার সময় রেহান ভাইয়াদের ফ্লেটের সামনে আসতে না আসতেই রেহানের স্পষ্টভাবে ভীষণ জোরে জোরে পড়ার আওয়াজ পাচ্ছি।।উনাকে একপলক দেখার জন্য দরজাটা আড়াল করে মাথাটা একটু উঁচু করে উঁকি দিয়ে দেখি মশাই তো একদম দরজা বরাবর হয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন।।। আমি দরজায় দাড়িয়ে মুগ্ধভাবে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।। একপর্যায়ে উনি পড়ার ছলে দরজার দিকে তাকালে আমাকে দেখে মুখটা গম্ভীর করে পেঁচার মতো করে ফেলেন।।আমি একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে নিজের অবস্থানে অটল থাকলে উনি ভীষণ রেগে ধমক দিয়ে বলে উঠেন,,,,

-কি এইভাবে হাসছিস কেন,,??

আমি কিছু বলার জন্য মুখটা খুলব অম্নি চাচ্চী এসে কাপরের আচঁলে হাত মুছতে মুছতে মৃদু হেসে ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করে উনাদের সাথে ব্রেকফাস্ট করতে বললে আমি তার এক কথায়ে রাজি হয়ে যাই।। আমার এই আগমন রেহানের মনে হয় একদম ভালো লাগেনি তাই তো সে আমাকে স্বাগতম না জানিয়ে চাচ্চীর আড়ালে উল্টো হাতের ইশারায় আমাকে থাপ্পড়
দেয়ার কথা বললেন।।আমিও একটা ভেংচি কেটে উনার নাকের ডগা দিয়ে চাচ্চীর পেছন পেছন খাবার রুমে চলে গেলাম।।।

সন্ধ্যাবেলায় রেহানদের নতুন ফ্লেটে যাত্রা করার উপলক্ষে পুরো কলোনিতে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।।পাড়ায় থাকা প্রায় সব জানা-চেনা ব্যাক্তিদের নিমন্ত্রণ পড়েছে।। অসহ্যকর কোলাহলে উনাদের ফ্লেটটা একদম আমোদ হয়ে আছে।। আর রেহান ভাইয়া তো মেহমানদারী নিয়ে খুব ব্যস্ত।। আমি যে এসে সেই কখন থেকে বসে আছি সেদিকে তো ডেভিলটার কোনো খেয়ালই নেই।। আমিও তাকে পাত্তা না দেয়ার মতোই রেগে গিয়ে নাক মুখ লাল করে সোফায় বসে রোদ্দুরের সাথে টিভিতে কার্টুন দেখতে লাগলাম।।।রোদ্দুর মেয়েটা সত্যি অনেক মিষ্টি যদিও ৪ বছর কিন্তু ভীষণ পাকা।।

কিছুক্ষণ পর ডেভিলটা এসে ধপাস করে ক্লান্তি শরীরে আমার পাশে বসে হাত থেকে এক টানে টিভির রিমোটটা কেড়ে নিয়ে চ্যানেল পাল্টে দিলে আমি ভেবাচেকা খেয়ে উনার দিকে তাকালে উনি একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে রোদ্দুরের সামনেই একটা চোখ টিপ মেরে ফ্লাইং কিস দিলেন।।

পিচ্চি মেয়েটা তো হা করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।। লোকলজ্জার কথা ভেবে নিজের দেহটাকে উনার পাশ থেকে সরিয়ে মিনিমাম ৬ ফুট দূরে সোফার একদম কোণে গিয়ে বসে পরলাম।।তার কয়েক মিনিট পরই রোদ্দুর কার্টুন দেখার জন্য কাঁন্না করতে শুরু করলে রেহান নানা ছলাকলায় তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও কনভেনস করতে পারছে না।। বিরক্তিতার ছাপ বেচারার চেহারায় স্পষ্ট।।। মনে মনে বেশ আনন্দই পাচ্ছি এবার ব্যাটা কার্টুন না দিয়ে যাবে কোথায়।। কিন্তু হঠাৎ করে উনি কি যেন ভেবে এক লাফে বসা থেকে উঠে দৌড়ে রুমে গিয়ে আবার ফিরে এসে আগের মতো বিন্দাস বসে রোদ্দুরকে লালসা দেখানোর জন্য জিন্সের দুই পকেট ভর্তি কিটকাট গুলো বের করে উনার পাশেই বাজ করে একটার উপর আরেকটা রেখে দিলেন।।ওদিকে পিচ্চি রোদ্দুর কিছুটা কাঁন্না থামিয়ে একবার রেহানের দিকে তাকাছে আরেকবার চকলেট গুলোর দিকে।। আমারো তো অবস্থা খারাপ।। ইচ্ছা করছে এক মুঠোয়ে সবগুলো নিয়ে এদিক থেকে কেটে পড়ি কিন্তু তা করতে পারবো না।। কারন রাব্বিস ডেভিলটা তো আর আমাকে ছেড়ে কথা বলবে না।।তারপর আর উপায় না পেয়ে একটা ভেংচি কেটে আবার টিভি দেখতে লাগলাম

বেচারি রোদ্দুর নিজেকে আর সামলাতে না পেরে করুন দৃষ্টিতে রেহানের দিকে তাকিয়ে বলেই ফেল্লো,,,,,
-আমাকে একটা দাও,,,
-হুম্ম দিবো কিন্তু তোমাকে আমি টিভিতে যেটা দেখবো তোমাকেও সেটাই দেখতে হবে,,,(মুচকি হেসে)
-আচ্ছা দেখবো এবার দাও,,,,

রোদ্দুর রেহানের কাছে এলে রেহান ওর হাতে চকলেট দিয়ে রোদ্দুরকে পুরোপুরি শান্ত করে দিলো কিন্তু আমাকে দেবে থাক দূরের কথা এমন এক ভাব করছেন যেন এখানে আমার অস্তিত্বই নেই।।এদিকে চকলেট গুলোর দিকে তাকালে ওগুলোও যেন আমার দিকে ডেবডেবিয়ে তাকিয়ে থেকে প্রতিনিয়ত ওদের খাওয়ার জন্য আমাকে ডেকেই চলছে।। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না।।

শেষমেশ যখন দেখলাম উনি একদৃষ্টিতে টিভির দিকে খুব মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছেন ঠিক তখনই আমি আসতে করে ডান হাতটা বারিয়ে যেইনা চকলেটের উপর রেখেছি অম্নি উনি হাতটা খুব জোরে ধরে সরিয়ে নিয়ে একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে বলে উঠলেন,,,
-ছোট্টরা বেশি চকলেট খেতে নেই দাঁতে পোকা হয়ে,,,,জানিস না??,,,

রাগে গা টা জ্বলে যাচ্ছে আমার।। একেতো এত্তক্ষন উনার কোন পাত্তাই ছিলো না আর এখন শান্তিতে একটু কার্টুন দেখবো তার মধ্যে আসছে ন্যাকামি করতে।।এত্তগুলা চকলেট তার মধ্যে কয়েকটা আমাকে দিলে যেন উনার মহাভারত অষুধ হয়ে যাবে।।যত্তসব ডেভিল খরুচ রাব্বিস একটা।।

কিছুক্ষণ পর তিনজন মিলে টিভি দেখার ফাকে রোদ্দুর চকলেট মাখা মুখে আমার দিকে আঙুল করে রেহানকে জিজ্ঞাসা করে বসে,,,,
-এইটা কি তোমার জিএফ,,,?
তার এরুপ উদ্ভ্রান্ত প্রশ্ন শুনে আমার মাথা প্রায় চক্কর খাওয়ার সামিল।। এতটুকু একটা পিচ্চি মেয়ে এত্তকিছু বুজে আর আমি হয়তো ওর বয়েসে মুরগির যে দুটা পা আছে হয়তো এটাও বুঝতামনা।।

যাইহোক রোদ্দুরের প্রশ্ন শুনে আমি হতভম্ব হলেও রেহান কিন্তু একেবারে স্বাভাবিক হয়ে তাকে উত্তরে বললেন,,,
-না,আমার বউ,,,
আমি উনার এমন ন্যাকামি ভরা উত্তর শুনে উনার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কাটলে রোদ্দুর আবার রেহানকে বলতে শুরু করে,,,,,
-তোমার বউ মনে হয়ে রেগে আছে,,,
-হুম্মম,,,,ভীষণ রেগে আছে,,,,(আমার দিকে একপলক আআড়চোখে তাকিয়ে)
-ওরে একটা কিস করো তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে,,

রোদ্দুরের কথাটা শুনে আমি আঁতকে উঠে চোখগুলো বড় বড় করে বলে উঠলাম,,,
-এইসবের কোন দরকার নেই,,,,আচ্ছা তুমি কিভাবে জানো এত্তকিছু??
-মামনি রাগ করলে বাবাই মামনিকে কিস করে আমি দেখেছি,,,,
কথাটা বলেই রোদ্দ চকলেট মাখা মুখে মিটমিট করে হাসতে শুরু করে।।আমি তো একদম থঁ মেরে গেছি।। ওদিকে রেহান তার চেহারাটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের সাপেক্ষ করে একটা বাকা হাসি দিয়ে রোদ্দুরকে বলে উঠেন,,,,,,
-বেশ ভালো বুদ্ধি দিয়েছো তো রোদ্দ,,,,আমি তো এটা ভাবিনি,,,
কথাটা বলেই উনি রিমোটটা রোদ্দুর কাছে দিয়ে আমার কাছে এসে জোর করে হাতগুলো আটকে ধরে গালে খুব জোরে একটা চুমু খেয়ে হাসতে হাসতে রুম থেকে চলে গেলেন,,,,,,,,
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে