তোমাকে বলার ছিল পর্ব-২০ এবং শেষ পর্ব

0
1735

তোমাকে বলার ছিল ……..
শেষ পর্ব
তৃণার মাথা ঝিমঝিম করছে I পা টলছে I ওর বিশ্বাস হচ্ছে না সত্যি সত্যি সুজন সামনে দাঁড়িয়ে আছে I সুজন খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বলল

– কেমন আছো তৃণা ?
তৃণার গলা দিয়ে স্বর বেরোচ্ছে না I চোখে জল এসে যাচ্ছে I সুজন কে এ অবস্থায় দেখবে কোনদিন কল্পনাও করেনি ও I সেই পরিপাটি কিশোর সুলভ ছেলেটা আর নেই I চোখ বসে গেছে , উস্কোখুস্কো চুল , মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি I কেমন তামাটে হয়ে গেছে গায়ের রং I যেন তিন মাসে বয়স বেড়ে গেছে অনেকটা I তৃণা কোনমতে বলল

– এ কি অবস্থা হয়েছে তোমার ?

– কেন ? বেঁচে তো আছি এখনো

তৃণা নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলো না I দুইহাতে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়ল I কি অদ্ভুত এতদিন তো এই অবস্থা হয়নি I কেন ওর সামনে আসলে এই অবস্থা হয় I তৃণা কিছুতেই নিজেকে আড়াল করতে পারেনা I সুজন এগিয়ে এসে তৃণাকে কাছে টেনে নিল তারপর বলল I

– এত কষ্ট পাচ্ছিলে তাহলে আমাকে ছেড়ে গেলে কেন ?
– তোমাকে এইভাবে দেখব বলে আমি চলে গিয়েছিলাম ?
– একবার আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতে না ? এটুকু ভরসা করতে পারোনি আমার উপর ?
– তাই বলে তুমি আমাকে এইভাবে শাস্তি দেবে ? আমি তো …….

তৃণা কথা শেষ করতে পারলো না ওর কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে এল I সুজন দুই হাতে ওর মুখটা তুলে ধরে বললো
– কি বলেছিলাম মনে আছে ?
– কি ?
– তুমি কাঁদলে গভীর সুখে
এক নিমেষে সবটুকু জল শুষে নেব

তারপর সত্যি সত্যি ওর গালে ঠোঁট ছুঁইয়ে সবটা জল শুষে নিল I তৃণা কিছুক্ষণ হতবিহবল হয়ে দাঁড়িয়ে রইল তারপর সুজনের বুকের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে বলল
– আমি আর কোনদিন ও তোমাকে ছেড়ে দূরে যাব না I কোনদিনও না I

ওয়াও !! হাউ রোমান্টিক !!

তৃণা এবং সুজন দুজনেই চমকে দরজার দিকে তাকালো I

– তুই এখানে কি করছিস হিয়া ?
– কি আবার করব I একটু দেখতে হবেনা বিয়ের পর কি করে I আমারও তো সামনে বিয়ে I
সুজন বিরক্ত গলায় বলল

– তোমার কোন প্রাইভেসি সেন্স নেই হিয়া
– আরে রাখো তোমার প্রাইভেসি সেন্স I নিজের বউকে তো সামলে রাখতে পারো না I শুধু অন্য লোকের সঙ্গে যত হম্বিতম্বি I বলেছিলাম ছাগলা দাড়ি কাটতে তো আমার সঙ্গে কি চোটপাট I এখন এই দাড়ি-মোচ নিয়ে বউকে চুমু খাবে কি করে ?
– ডিসকাস্টিং I শুধু প্রাইভেসি না তোমার কোন ল্যাংগুয়েজ সেন্স ও নেই
বলতে বলতে সুজন দরজার দিকে এগিয়ে গেল I
– আরে যাও যাও I এখন বউকে পেয়েছো এখন আর ছাদে আসবে কেন ?,এখনতো চিপার মধ্যে ঢোকার জন্য ব্যস্ত হয়ে যাবে I
– রেডিকুলাস I কোন লিমিট নেই কথার I এখানে আর থাকাই যাবেনা I বলতে বলতে সুজন সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল I

তৃণা দৌড়ে এসে হিয়াকে জড়িয়ে ধরল I তারপর বলল
– থ্যাঙ্ক ইউ I আমি জানি ওকে তুই ডেকেছিস
– হ্যাঁ আমি ডেকেছি I তুই আমাকে বকা দে , মার যা ইচ্ছা তাই কর I কিন্তু তোদেরকে এভাবে আমি দেখতে পারবোনা I
তৃণা চোখ মুছে বলল
– তুই এই ভাবে না ডাকলে হয়তো ওর সঙ্গে আমার কোনদিনও দেখা হতো না I
– নিচে আমার ঘরটা তোদের জন্য রেডি করে রেখেছি I তোর ছাগলা দাড়ি কে নিয়ে আজকে ওখানেই থাকবি I খবরদার ছাদে আসবিনা I একটু পরে রাতিন আসছে I আমরা সারারাত ছাদে বসে গল্প করব I

তৃণা দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল I সুজন রাগে গজ গজ করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে শেষ ধাপে হোঁচট খেলো I দরজায় কোনায় কপাল লেগে কেটে গেল অনেকটা I তৃণা দৌড়ে এসে বলল
-কি হয়েছে দেখি
– কিছু হয়নি
– কেটে গেছে তো দাঁড়াও আমি দেখছি
ওরা নিজেদের মধ্যে এতটাই ব্যস্ত ছিল যে ঘরের মধ্যে থেকে যে কয়েক জোড়া চোখ অপলক তাকিয়ে আছে সেদিকে লক্ষ্যই করেনি I তৃণা হঠাৎই লক্ষ্য করে লজ্জা পেয়ে সরে গেল
সোনিয়া রহমান এগিয়ে এলেন তারপর তৃণার চিবুক ধরে বললেন
– আমি সুজনের মা I শুধু সুজনের না এখন থেকে তোমার ও মা I মায়ের উপর এই ভাবে রাগ করে চলে যেতে হয় I আমার ভুলটা ভেঙে দেয়া যেত না ?
তৃণার চোখে জল এসে গেল I কিছু বলতে পারলো নাI I মাথা নিচু করে রইল I সোনিয়া ওকে বুকের মধ্যে টেনে নিলেন I তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন
– বাবা মা কখনো ছেলে মেয়েদের খারাপ চায় ? আমরা তো শুধু চেয়েছি তোমরা ভালো থাকো I দেখতো কি অবস্থা হয়েছে ওর তোমাকে ছাড়া I তৃণা মাথা নিচু করেই বললো
– আর এরকম হবে না I
সুলতানা চায়ের ট্রে নিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হতে হতে বললেন
– সব ওই মামুন বদমাইশটার দোষ I শয়তানটাকে আমি হাতের কাছে পেলে জুতিয়ে লম্বা করে দিতাম I
রাতিন আর ওর মা তানিয়া পাশের সোফায় বসে ছিল I রাতিন চায়ের কাপ নিতে নিতে বলল
– এটা করলে অবশ্য আন্টি , মামুন খুশিই হত I ওর যা হাইট তাতে ভালোই হতো , কি বলেন ?
সবাই হেসে ফেললো I হঠাৎ করেই পরিবেশটা কেমন হালকা হয়ে গেল I সুলতানা চা সমুচা মিষ্টি টেবিলে রাখতে রাখতে বললেন
– কি হলো রাতিন তুমি কিছু নিচ্ছোনা কেন ?
– আন্টি আমি ছাদে যাচ্ছি I হিয়া আমার জন্য অপেক্ষা করছে I
তানিয়া কিছু বলতে গেলে রাতিন ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল
– মা ড্রাইভার তো আছে তুমি বাড়ি যেতে চাইলে চলে যাও I আমরা আজকে সারারাত গল্প করবো I
রাতিন আর দাঁড়ালো না ছাদের দিকে চলে গেল I তানিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুলতানা কে বললেন
– ছেলেমেয়েরা যা শুরু করেছে ভাবি তিন মাস অপেক্ষা করা যাবে না I আপনি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন আমি ও ওর বাবার সঙ্গে কথা বলব I সামনের সপ্তাহে বিয়েটা পরিয়ে ফেলি I পরে না হয় অনুষ্ঠান করা যাবে I
সুলতানা বললেন আপনি যেটা ভাল বুঝেন I আমাদের কোনো আপত্তি নেই I
সোনিয়া হাসতে হাসতে বললেন
– আমার তো মনে হয় ওরা এটাই চাচ্ছে I তাই এরকম শুরু করেছে I
-আমারও তাই মনে হচ্ছে I দাঁড়ান ভাবি আজ ওদেরকে একটু মজা দেখাই I সুলতানা আরো কিছু বলতে গিয়ে হঠাৎ থেমে গিয়ে বললেন
– তোমরা দুজন ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছো I খাবার নিয়ে নাও I তৃণা সুজন দুপুরে খায়নি I ওকে খাবার বেড়ে দে I রান্নাঘরে সব রাখা আছে I
– আচ্ছা
সোনিয়া রহমান মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন I তৃণা সুজনকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে I শসা কেটে দিচ্ছে I চিংড়ি মাছের বাটি সরিয়ে রাখছে I প্লেটে কাবাব তুলে দিচ্ছে I কাবাব সুজনের খুব প্রিয় Iএত যত্ন করে তো মনে হয় তিনি নিজেও বহু বছর ছেলেকে খাওয়াননি I সোনিয়ার চোখে পানি এসে গেল I
***************
হিয়া আর রাতিন গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল ছাদের রেলিং ধরে I হঠাৎ শব্দ শুনে পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখল সোনিয়া, সুলতানা আর তানিয়া ছাদে উঠে এসেছেন I হাতে চায়ের ফ্লাস্ক বক্সে খাবার I হিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল
– তোমরা এখানে কি করছো ?
– কি আবার করব ? আমাদের ছাদে আসতে ইচ্ছা করে না ? আমরা ও আজ সারারাত এখানে বসে গল্প করব I
সুলতানা বললেন
– তোরা তোদের মতন ওখানে থাক I আমরা বিরক্ত করবো না I চা সিঙ্গারা মিষ্টি সবই আছে খেতে মন চাইলে নিয়ে নিস
হিয়া মহাবিরক্ত হয়ে রাতিনের কানে কানে বলল
– ধুর I এদেরকে শিক্ষা দিতে গিয়ে তো এখন সারারাত বসে মশার কামড় খেতে হবে I
– চিন্তা করোনা I কাজ হয়ে গেছে I আমি ছাদে ওঠার আগে শুনেছি I ওরা নেক্সট উইকে বিয়ের ডেট ফিক্স করছে
– ইয়াহু
তিন ভদ্রমহিলা চমকে তাকালেন I

*************
হিয়া দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বালির উপর ধপ করে বসে পড়ল সুজনের পাশে I সুজন আর তৃণা পাশাপাশি বসে ছিল I কাল রাতেই ওরা সেন্টমার্টিনে এসে পৌঁছেছে I রাতিন আর হিয়ার বিয়ে উপলক্ষে এই হলিডে প্যাকেজ টা ওদের চারজন কে উপহার দিয়েছেন সোনিয়া রহমান I
সুজন হাসতে হাসতে বলল
– কি হয়েছে এরকম দৌড়াচ্ছ কেন ? মনে হচ্ছে পাগলা কুকুর তাড়া করেছে তোমাকে
হিয়া গলা নামিয়ে বলল
– তোমাকে একটা কথা বলব বলে এলাম I এখন তো আমাকে চুমু খেতে সমস্যা নেই তাই না I এখন তো আমি সম্পর্কে তোমার শালিকা I
সুজন ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে অন্য পাশে গিয়ে তৃণার পাশে বসতে বসতে বলল
– এই মেয়ে অত্যন্ত ডেঞ্জারাস I এর কথার কোনো লাইসেন্স নেই
তৃণা হাসতে হাসতে বলল
– তুমি ওকে এত ভয় পাও কেন ?
ততক্ষনে রাতিন ডাব নিয়ে চলে এসেছে I হিয়ার পাশে বসতে বসতে বলল
– কে কাকে ভয় পায় ?
– তোমার বউ অত্যন্ত ডেঞ্জারাস মহিলা
– সে আমি জানি I তাই তো ওকে এত ভালবাসি I তবে আমি সহজে ভয় পাওয়ার লোক নই
হিয়া ওদের দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বলল
– আচ্ছা দুটো নিউজ আছে I একটা ভালো একটা খারাপ কোনটা আগে শুনবে বলো I
রাতিন বলল
– গুড নাইট
হিয়া মিষ্টি করে হেসে বলল
– গুডনিউজ হলো আমি প্রেগনেন্ট
রাতিনের চোয়াল ঝুলে পড়লো I ও ভয় পাওয়া গলায় বলল
– বেবি , কিন্তু আমরা তো…….. I মানে বলছিলাম যে … I আর ইউ শিওর ?
তৃণা হাসতে হাসতে বলল
– এবার ব্যাড নিউজটা বল
হিয়া হতাশ ভঙ্গিতে বলল
– আমার কপালে সব ভীতুর ডিম গুলোই জোটে I দেখ একটু আগে বলছিলো ভয় পায় না I কেমন ভয় দেখালাম I
সুজন অবাক হয়ে বলল
– তুমি মিথ্যা কথা বলছিলে ?
– তো তোমার কি ধারনা ছাগলা দাড়ি বিয়ের তিন দিনের মাথায় আমি প্রেগনেন্ট হয়ে গেছি ?
– এই তুমি আমাকে এই নামে ডাকবে না
– একশো বার ডাকবো I
সুজন উঠে দাঁড়িয়ে বলল
– তোমার সঙ্গে কথাই বলা উচিত না I তৃণা চলোতো আমরা ওদিকটায় যাই
– যাও যাও I বউ নিয়ে কেন ঝোপের আড়ালে ঢুকতে চাইছ মনে হয় আমি বুঝিনা I এখানে কিছু করলেও আমরা কিছু মনে করবোনা
– রেডিকুলাস I তুমি মুখটা একটু বন্ধ রাখতে পারো না
– না পারি না
তৃণা ওদের থামিয়ে দিয়ে বলল
– আচ্ছা তুমি ওর কথায় এত রেগে যাও কেন ? ও তোমাকে রাগিয়ে মজা পায় বোঝনা ? চলো আমরা ওদিকটায় যাই I
তৃণা সুজনের হাত ধরে হাটতে হাটতে বলল
একটা কবিতা শুনবে ?
আমি তোমাকে ঠিক এটাই বলতে চাইছিলাম
হাঁটতে হাঁটতে ওরা তখন অনেকটা দূরে চলে এসেছে I এদিকটা বেশ নির্জন I একপাশে স্বচ্ছ জলরাশি আর অন্যপাশে ঝাউবন I তৃণা শুরু করলো

ধরো কাল তোমার পরীক্ষা
রাত জেগে পড়ার টেবিলে বসে আছো
ঘুম আসছে না তোমার
হঠাৎ করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম,
ভালোবাসো?
তুমি কি রাগ করবে?
নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে
ভালোবাসি ভালোবাসি

ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ
ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত, পিরীত
খাবার টেবিলে কিছু তৈরী নেই
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত আমি
তোমার হাত ধরে যদি বলি, ভালোবাসো?
তুমি কি বিরক্ত হবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু চাপ দিয়ে বলবে
ভালোবাসি ভালোবাসি

ধরো দু’জনে শুয়ে আছি পাশাপাশি
সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম
শশব্যস্ত হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি,
ভালোবাসো?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে
ভালোবাসি ভালোবাসি

ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দু’জনে
মাথার ওপর তপ্ত রোদ, বাহন পাওয়া যাচ্ছে না
এমন সময় হঠাৎ দাঁড়িয়ে পথরোধ করে যদি বলি, ভালোবাসো?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে
আমার কাঁধে হাত দিয়ে বলবে
ভালোবাসি ভালোবাসি

ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ তুমি
দেরি হয়ে যাচ্ছে, বেরোতে যাবে
হঠাৎ বাধা দিয়ে বললাম, ভালোবাসো?
কটাক্ষ করবে?
নাকি স্যুটকেস ফেলে, চুলে হাত বুলোতে বুলোতে
বলবে, ভালোবাসি ভালোবাসি

ধরো প্রচন্ড ঝড়
উড়ে গেছে ঘরবাড়ি
আশ্রয় নেই বিধাতার দান এই পৃথিবীতে
বাস করছি দুজনে, চিন্তিত তুমি
এমন সময় তোমার বুকে মাথা রেখে
যদি বলি, ভালোবাসো?
তুমি কি সরিয়ে দেবে?
নাকি মাথায় হাত দিয়ে বলবে
ভালোবাসি ভালোবাসি

সুজন হঠাৎ করেই তৃণাকে থামিয়ে দিয়ে দুই হাতে ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
সমাপ্ত
তোমাকে বলার ছিল ……..
শেষ পর্ব
লেখনীতে
অনিমা হাসান
আজকের পর্বে যে কবিতাটা দেয়া হয়েছে তার নাম ভালোবাসি ভালোবাসি লিখেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় I

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে