#তোমাকে_চাই💖
#কলমে_অনন্যা(অনু)
#পর্ব_০৩
(০৫)
তরু উঠে দাড়ালো বেরোবে বলে কিন্তু ক্যান্টিনের দিকে ব্লু শার্ট পরে একটা ছেলেকে আসতে দেখে তরু হা করে তাকিয়ে আছে।
“কি রে কি হল?এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?মুখটা বন্ধ কর নাহলে মশা ঢুকে যাবে তো!”,বিবেক মজার সুরে বলল।
“এ এখানে কেন?”,তরু অবাক কণ্ঠে বলল।
“কে?কার কথা বলছিস?”,সুকন্যা ভ্রু কুঁচকে বলল।
“ত..তন্ময়!”,তরু থতমত খেয়ে বলল।
“কোথায়?কোনটা?”,বিবেক এক্সসাইটেড হয়ে চারপাশে চোখ বুলিয়ে বলল।
“ওই যে ওটা”,তরু হাত দিয়ে তন্ময়ের দিকে ইশারা করে বলল।
“কোনটা রে?”,তরুর ইশারা মত সামনে তাকিয়ে বলল সুকন্যা।
“উফঃ!সামনে দেখ ব্লু শার্ট পরা”,তরু বিরক্ত হয়ে বলল।
“ওরে কি দেখতে রে!হিরোদের থেকে কোন অংশে কম নয়”, তন্ময়কে কোনটা বুঝতে পেরে বিবেক বলল।
“তোর লজ্জা করে না? নিজে একটা ছেলে হয়ে আর একটা ছেলের প্রশংসা করতে”,তরু কিছুটা জোরে বলল কথাটা।
“না রে আমার লজ্জাটা বরাবরে কম”,বিবেক মুখ ভেংচি দিয়ে বলল।
“তুই যাই বলিস না কেন রে তরু তন্ময়কে দেখতে দারুণ। কি করে তুই ওকে রিজেক্ট করবি ভাবছিস বলতো”,সুকন্যা হা করে তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল।
“ঠিক বলছিস সুকু।ওকে রিজেক্ট করলে তরু সব থেকে বড় বোকামো করবে”,বিবেকও তাল মেলালো।
“হ্যাঁ রে দেখ দেখ তরু আশে পাশের সবাই কিভাবে তন্ময় এর দিকে তাকিয়ে আছে”,সুকন্যা কন্টিনের চারপাশে তাকিয়ে বলল।
সুকন্যার কথায় তরু আশে পাশে তাকিয়ে দেখল সবাই তন্ময় এর দিকে তাকিয়ে আছে।
“তো আমার কি?দেখুক।কিন্তু তোরা হঠাৎ উল্টো শুর গাইছিস কেন?”,তরু বিরক্তির সুরে বলল।
“ওকে দেখে সব ভুলে গেছি রে তাই।আমি যদি মেয়ে হতাম না তবে ওকে নিঘাত পটিয়ে নিতাম”,বিবেকের কথায় রাগ হলো তরুর।
তরু কিছু বলবে তার আগেই তন্ময় ওদের সামনে চলে আসে।
“তরী আন্টি….”,তন্ময় কথাটা শেষ করতে পারে না।তার আগেই তরু বলল,”হ্যাঁ মা বলেছে সব!”
“তবে চল।আসলে আমার আবার মিটিং আছে”,তন্ময় ব্যস্ত হয়ে বলল।
“তো মিটিং করেই আসতে পারতেন”,তরু মুখ বাঁকিয়ে বলল।
“না হতো না।মিটিং করে পার্টিতে যাবো।এখন চলো”,তন্ময় তাড়া দিয়ে বলল।
“হ্যাঁ চলুন,আসছি রে আমি”,তরু বিবেক সুকন্যা কে উদ্দেশ্য করে বলল।
“তোমরা কিছু মাইন্ড করো না।পরে তোমাদের সাথে আলাপ করে নেব।এখন একটু তাড়া আছে!আসছি”,বিবেক সুকন্যার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বলল তন্ময়।
“না না কিছু মাইন্ড করিনি”,বিবেক এক গাল হেসে বলল।
তন্ময় আর কিছু না বলে খালি মুচকি হেসে তরুকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।
গাড়িতে,
“কেমন আছো তরী?”,বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকার পর তন্ময় জিজ্ঞেস করলো তরুকে।
“ভালোই আছি”, তরু সামনের দিকে তাকিয়ে জবাব দিল।
“তা কি সিদ্ধান্ত নিলে?”,তন্ময় বলল।
“এখন কিছু ভাবিনি”,তরু বড় একটা শ্বাস নিয়ে বলল।
“একটু তাড়াতাড়ি ভাবো”,তন্ময় তরুর দিকে তাকিয়ে বলল।
তরু আর কিছু বললো না।চুপ করে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।
“সরি!”,তন্ময় মৃদু স্বরে বলল।
“কেন?”,হটাৎ তন্ময়ের কথা তরু অবাক হয়ে বলল।
“আমার জন্য তোমাকে পার্টিতে যেতে হবে তাই।”
“ইটস ওকে!”
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা শপিং মলে চলে এলো।গাড়ি পার্ক করে দুজনেই ভেতরে গেল।
“এখানে আসার কারন টা কি?মানে শপিং করবো কেন?”
“গিফ্ট নিতে হবে।আমি এই সব গিফ্ট কিনতে পারিনা কনফিউসড হয়ে যাই কি নেব না নেব!”
“তা এর আগে কে কিনে দিয়েছে?”
“কেউ না!”
“মানে?”
“মানে এর আগে আমি কোন পার্টিতে যাইনি!”
“তাহলে আজকে কেন যাচ্ছেন?”
“ওরা তোমাকে আর আমাকে একসাথে দেখেছে তাই আমি না চাইলেও বাধ্য যেতে।”
“ওরা কি জানে?মানে আমার আর আপনার রিলেশনটা কি জানে?”
“ফিয়ান্স!”
“আপনি অন্য কিছু বলতে পারেননি?”
“অন্য কিছু কি বলতাম?ওরা তো গালফ্রেন্ড ভেবেছিল!”
“আর কিছু বলার নেই?তবে একটা কথা আমি কিন্তু বিয়েতে হ্যাঁ বলিনি।”
“জানি।এসব কথা ছাড়ো কি কিনবে সেটা নিয়ে নেও।”
“আমি কি জানি কি কিনবো?”
“যা পছন্দ হয় নেও না।”
“আচ্ছা নিচ্ছি কিন্তু খারাপ হলে আমার দোষ নেই।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
এরপরে তরু গিফ্ট দেখতে লাগলো।
“বলছিলাম কি এই ড্রেসটা তোমায় ভালো মানাবে?”
তরু তন্ময়ের বলা ড্রেসটার দিকে তাকাল।
“আমি নেব না।”
“আমি তোমাকে নিতে বলিনি!”
তরু চুপ করে গেল।বেশ কিছুক্ষণ পরে ওরা শপিং শেষ করে লাঞ্চ করে নিল।তারপর তন্ময় তরুকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিল।
“সন্ধ্যায় রেডি থেকে আমি সাতটার মধ্যে চলে আসবো।”
“ঠিক আছে।”
“এটা নেও এটা পরবে আজকে।”
তরুর দিকে একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললো।তরু প্যাকেটটা নিয়ে দেখল সেই ড্রেসটা।
“এটা তো….”,তরুকে কথা শেষ না করতে দিয়ে তন্ময় বলল,”কথা কম যা বললাম তাই করবে।”
তরু চুপ করে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে চলে গেল।তন্ময়কে একবারো বাড়িতে আসতে বলেনি।
“কেমন মেয়েরে বাবা একবারো বাড়িতে আসতে বলল না!”,তন্ময় মনে মনে ভাবলো।
এরপর তন্ময় ওর অফিসে চলে গেল।
(০৬)
তন্ময় সাতটার মধ্যে তরুদের বাড়ি চলে এসেছে।ড্রয়িংরুমে অনিমেশ বাবুর সাথে বসে গল্প করছে আর অঞ্জলি দেবী হাল্কা কিছু খাবার খেতে দিয়েছেন তা খাচ্ছে।
“আন্টি তরীকে ডাকুন।নাহলে লেট হয়ে যাবে”,তন্ময় সময়টা দেখে বলল।
“হ্যাঁ হ্যাঁ তুমি খাবারটা শেষ করো আমি ডাকছি ওকে”,অঞ্জলি দেবী হেসে বললেন।
অঞ্জলি দেবী তরুকে ডাকতে ওর ঘরে গেল। গিয়ে দেখেন তরু রেডি হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছে।
“কিরে হলো তোর?তন্ময় চলে এসেছে তোকে ডাকছে”,অঞ্জলি দেবী তরুর পাশে দাঁড়িয়ে বললেন।
“হ্যাঁ মা হয়ে গেছে।আমাকে কেমন লাগছে?”,তরু তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল।
“খুব সুন্দর আর মিষ্টি লাগছে।আমার মেয়েটা এমনি সুন্দর আর সাজলে এতো সুন্দর লাগে যে চোখ ফেরানো মুশকিল!”,অঞ্জলি দেবী তরুর চিবুকটা ধরে বললেন।
“ধুর মা তুমি যে কি বলো না(লজ্জা পেয়ে)মা আমার না যেতে ইচ্ছে করছে না গো!”,তরু নার্ভাস হয়ে বলল।
“কেন?বেরনোর সময় হয়ে গেছে আর এখন বলছিস যাবি না!”,অঞ্জলি দেবী চোখ রাঙিয়ে বলল।
“আসলে ওখানের কাউকেই তো চিনি না তাই নার্ভাস লাগছে!”,মিনমিন করে বলল তরু।
“তন্ময় তো আছে চিন্তা করিস না তো।আর চিনিস না তো কি হয়েছে আজকে গিয়ে পরিচয় করে নিবি আর ও বলেছে তাড়াতাড়ি চলে আসবে”,অঞ্জলি দেবী আশ্বাস দিয়ে বললেন।
“তাও একটু নার্ভাস লাগছে!”
“ওহো বলছি তো কিছু হবে না।চল চল নীচে তন্ময় ওয়েট করছে”,অঞ্জলি দেবী তাড়া দিয়ে বললেন।
“হুম চলো”,দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল তরু।
তরু অঞ্জলি দেবীর সাথে কথা বলতে বলতে নীচে নামছে আর তন্ময় তরুকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।তন্ময়ের দেওয়া ড্রেসটা পরেছে তরু।খুব সুন্দর হয়েছে ড্রেসটা আর ওকে ভালো মানিয়েছে।অনিমেশ বাবুর কথায় তন্ময়ের ধ্যান ভাঙলো।
“এই তো তরু চলে এসেছে”,সিড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন অনিমেশ বাবু।
“তাহলে বেরোনো যাক?”,নিজেকে সামনে বলল তন্ময়।
“হ্যাঁ বাবা সাবধানে যেও”,সম্মতি দিয়ে বললেন অঞ্জলি দেবী।
“আসছি,চলো তরী”,সবার থেকে বিদায় নিয়ে তরুকে নিয়ে বেরোলো তন্ময়।
গাড়িতে,
“তোমার যদি কোন প্রবলেম হয় ওখানে তবে আমায় বলবে আমরা তখনই বেরিয়ে পরবো”,তন্ময় ড্রাইভ করতে করতে বলল।
তরু কিছু না বলে অবাক হয়ে তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
“না মানে আন্টি বলছিল তোমার নাকি এসব পার্টি পছন্দ না তাই বললাম আর কি!”,তরুকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তন্ময় বলল।
“হ্যাঁ এসব পার্টিতে আমি যাই না আমার ভালো লাগে না”, আমতা আমতা করে বলল তরু।
“হুম যা তোমায় দেখেই বোঝা যাচ্ছে”,আড়চোখে তরুর দিকে তাকিয়ে বলল তন্ময়।
“কি ভাবে?”,ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল তরু।
“চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ!”
“সেরকম কিছু না!”
“আমরা তাড়াতাড়ি চলে আসবো।”
“আচ্ছা।”
কিছুক্ষন চুপ থেকে তন্ময় বলল,”তোমায় আজকে খুব সুন্দর লাগছে।”
“ধন্যবাদ”,মৃদু স্বরে বলল তরু।
তন্ময় একটু মুচকি হাসল আর তরু বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। একটু পরেই ওরা পার্টিতে পৌছে গেল।পার্টিটা তন্ময়ের বন্ধু শানের বাড়িতেই হচ্ছে।
“চল ভেতরে”, কার পার্ক করে তরুকে নিয়ে তন্ময় ভেতরে গেলো।
“আচ্ছা এখানে তো সব বন্ধু বান্ধব দেখছি!”,ভেতরে ঢুকে চারপাশে তাকিয়ে বলল তরু।
“হ্যাঁ শানের মা বাবা নেই আপন বলতে একটা ভাই আছে তাই পার্টিতে বড়োরা কেউ নেই!”
ওওও”
“চলো ওই যে বার্থডে বয়”,তন্ময় আগে আগে গেল পিছনে তরু।
“হ্যাপি বার্থডে ব্রো”, শানকে জড়িয়ে ধরে বলল তন্ময়।
“থ্যাংকস রে তুই আসবি আমি সত্যি ভাবতে পারিনি”,শান খুশি হয়ে বলল।
“না এসে উপায় ছিল নাকি? তবে আমি একা আসিনি!তরীকে নিয়ে এসেছি”,তন্ময় হেসে বলল।
“তাই নাকি তা কোথায় ভাবিজি?”,শান এক্সসাইটেড হয়ে বলল।
“এই তো!”,তন্ময় তরুকে সামনে এনে বলল।
“হ্যাপি বার্থডে”,তরু উইস করে গিফ্টটা দিল।
“থ্যাংক ইউ ভাবিজি!”,শান মুচকি হেসে বলল।
তরু একটু লজ্জা পেল কিন্তু কিছু বলল না।এরপর অনেকে শানকে উইস করছে।কিছুক্ষণ পরে কেক কাটা হলো।অনেক ফ্রেন্ডসদের সাথে তন্ময় তরুকে পরিচয় করে দিল।তারপরে ডিনার করে সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে।
তরু এমনিতেই খুব মিশুকে সবার সাথে অল্পতেই মিশে যায়।তন্ময়ের ফ্রেন্ডসদের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে তরুর।তরু যা ভেবেছিল তন্ময় আর ওর বন্ধুরা সেরকম নয় সবাই খুব ভালো।তরুর তো এখন নিজের ভাবনার ওপর রাগ হচ্ছে। না জেনে কি না কি ভেবেছিল।সবাই মিলে গল্পতে মেতে উঠেছে হঠাৎ একটা মেয়ে তন্ময়ের কাছে এলো।
“হাই তন্ময়!”,মেয়েটি দিয়া।দিয়া তন্ময়ের কলেজ ফ্রেন্ড।
“হ্যালো!”,তন্ময় কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলল।
“শুনলাম তোমার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে।তা কে সেই লাকি গার্ল?”,দিয়া মুখ বাঁকিয়ে বলল।
“হ্যাঁ!মিট তরী ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।আর তরী ও হল দিয়া ওর বাবা আর আমি বিসনেস পার্টনার”,তন্ময় তরুর হাতটা ধরে বলল।
“তোমার তো আমি বন্ধুও হই তন্ময়”,তন্ময়ের কথায় আহত হলো দিয়া।তাই নিজেই বন্ধুত্বের কথাটা বলে দিল।
“ছিলে এক সময় এখন আর নেই বন্ধুত্ব”,তন্ময় গম্ভীর গলায় বলল।
“তাই?আচ্ছা তরী তুমি সত্যিই খুব লাকি কারন ওকে পাচ্ছো।জানো কলেজে কত মেয়ের ও ক্রাশ ছিল কিন্তু কাউকে ও পাত্তাই দিতো না!আমিও ওর জন্য পাগল কিন্তু ওর তাতে কিছুই যায় আসে না”,দিয়া মন খারাপ করে বলল।
“মানে?”,তরু অবাক হয়ে বলল। ও কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে এসব।
“মানে আমি তন্ময়কে ভালোবাসি”,দিয়া তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে বলল কথাটা।
“জাস্ট শাট আপ দিয়া!(চিৎকার করে) তোমার মতো মেয়েদের মুখে ভালোবাসি কথাটা মানায় না বুঝলে?”,তন্ময় খুব রেগে চেঁচিয়ে বলল।
“কেন মানায় না?আমিও তো মানুষ আমারো তো ভালো লাগা খারাপ লাগা আছে।তুমি কেন বোঝ না আমি তোমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসি”,দিয়া তন্ময়ের শার্টের কলার ধরে বলল।
“আর একটাও বাজে কথা বললে আমি তোমায় কি করবো তবে আমি নিজেও জানি না!তুমি আমায় ভালোবাসো তা আমায় বিশ্বাস করতে হবে? সত্যি হাসালে।তুমি আর তোমার বাবা ঠিক কি চাও তা আমি খুব ভালো করেই জানি”,তন্ময় অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল।
“কি জানো তুমি?তোমায় এই মেয়েটা বলেছে আমার সমন্ধে বানিয়ে বানিয়ে তাই না?কি কম আছে আমার মধ্যে যে তুমি এই বেহেনজি টাইপের মেয়েটাকে পছন্দ করলে!ওর থেকে…”,দিয়া কথাটা শেষ করতে পারলো না তার আগেই তন্ময় ওর গালে থাপ্পড় মারে।
“তুমি তরীর সাথে নিজের তুলনা করছো!তরীর পায়ের নখের যোগ্য নোও তুমি!আর কোনদিন জানো তোমাকে না দেখি আর তরীর থেকে দূরে থাকবে”,তন্ময় কথাটা বলেই তরীর হাত ধরে বেরিয়ে পরলো।
তন্ময় কিছুটা গিয়ে পেছনে না তাকিয়ে দিয়াকে উদ্দেশ্যে করে বলল”,আমি তোমাদের কোম্পানির সাথে সব ডিল কেনসেল করছি।”
আর একমুহূর্ত দাড়ায়নি তন্ময় তরুকে নিয়ে সোজা বাড়ি চলে গেল আর দিয়া গালে হাত দিয়ে ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
“এর শোধ তো আমি নেবো!তরীকে তো শেষ করবোই এতো বড় অপমান আমি কিছুতেই ভুলবো না তন্ময়।তোমার পেছন পেছন অনেক ঘুরেছি।তোমাকে তো আমার চাই।তোমার সব সম্পত্তি আমার চাই!”,দিয়া মনে মনে বলল।
তন্ময় তরুকে বাড়িতে নামিয়ে নিজের বাড়ি চলে গেল।আজকে প্রথম তরু তন্ময়কে এতোটা রাগতে দেখলো।ভয়ে তন্ময়কে কিছুই বলেনি।
রাতে শুয়ে শুয়ে তরু তন্ময়ের বলা কথা গুলো ভাবছে।যখন দিয়া তরুকে বেহেনজি বলল তখন ওর খুব রাগ হয়েছিল কিন্তু তন্ময়ের কথা শুনে সত্যিই অবাক হয়ে যায় আর দিয়া তন্ময়ের কলার ধরা দেখে তরুর তো ইচ্ছে করছিল দিয়ার মাথাটা ফাটাতে।
“না আমি ভুলছিলাম তন্ময় সত্যিই আমাকে ভালোবাসে নাহলে এতোটা রেগে যেতো না কিন্তু আমার এতো রাগ হচ্ছে কেন দিয়ার ওপর?তাহলে কি আমিও….”,তরু নিজের মনেই বলছে আর একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে ওর মধ্যে।
অনেকক্ষন তন্ময়ের কথা ভাবতে ভাবতে একসময় তরু ঘুমিয়ে পরে।
#চলবে…..?