#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??
??পর্ব-১৪??
.
?
.
নিলয় কিছু বলার আগেই তিথি নিলয়কে ঠাস করে একটা চড় মারলো।নিলয় অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু নিলয়কে আরো অবাক করে দিয়ে তিথি নিলয় কে ধাক্কা দিয়ে পিছনের সোফায় ফেলে দিল,,,তারপর এক হাতে নিজের আঁচল কোমরে গুজে,, নিলয়ের কোলের ওপর উঠে বসে পড়লো,,,তারপর নিজের দুহাতে নিলয়ের গেঞ্জির কলার ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলতে লাগলো-;
-: এই কোন সাহসে তুই এতদিন আমার ফোন ধরিস নি। নিজেকে কি ভাবিস তুই,,,হ্যাঁ রানী ভিক্টোরিয়ার জামাই,,,যত্তসব ফাউল বাজে ছেলে কোথাকার।আমি যখন তোর ফোন ধরি না,,,তখন তো আমার কান মাথা ধাধা করে দিস।আর এখন তুই নিজে কি করেছিস হ্যাঁ,,,ফোনের উপর ফোন করে গেছি অথচ তুই ফোন তো ধরলিই না,,,উল্টা বারবার কল কেটে দিচ্ছিস,,,কোন সাহসে।এখন আমাকে তোর ভালো লাগেছেনা বুঝি,,,তাইতো বলি কেন ঐদিন আমাকে ওসব কথা বলেই মাত্র,,,,ফুরুত করে চলে গেলি বাসা থেকে।বুঝি বুঝি আমি সব বুঝি,,, আমি ওতটাও বাচ্চা নই।এখন তোর অন্য কোন মেয়েকে চোখে ধরেছে না,,,তাই তো আমাকে পাত্তা না দিয়েই নাচতে নাচতে চলে যাওয়া,,, হয়েছিল সেদিন।। কিন্তু মনে রাখবি তুই,,,আমি তোকে ওত সহজে ছাড়বো না বুঝতে পেরেছিস তুই।
এক হাতে নিলয়ের গেঞ্জির কলার ধরে আর এক হাতে নিজের চোখের জল মুছতে মুছতে,,,,কথাগুলো বলছিল তিথি।চোখ গুলো তার অসম্ভব লাল হয়ে আছে।কথাগুলো বলার সময় বারবার তার গলা কেঁপে উঠছিল,,পানি টলমল করছে চোখে,,, কিন্তু সেটাকে চেপে আছে অনেক কষ্টে সে।
তিথির এমন অবস্থা দেখে,,,নিলয় অবাক হয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে।।নিলয় ভাবতেই পারেনি যে তিথি তার কাছে কোনদিনও আসবে।সে তো ভেবেছিল,,, সেদিনের পর সে আর কোনদিনও তিথির সামনে যাবে না।তিথিকে নিজের মত করে বাঁচতে দেবে,,,তাইতো এত কষ্টের পরেও এই আটটা দিন নিজের প্রিয়তমার মুখ পর্যন্ত দেখেনি সে,,, প্রতিটি রাত তার নির্ঘুমে কেটেছে,,প্রতিটা মুহূর্তে সে ছটপট করেছে শুধু এক পলক নিজের মায়াপরীকে দেখার জন্য।এই আটটা দিন নিলয়ের কেমন কেটেছে,,,তা শুধুমাত্র নিলয়ই জানে।
নিলয় তিথির এমন অবস্থা দেখে একহাতে তিথির চোখের জল মুছে কিছু বলতে যাবে,,, তখনই তিথি এক ঝটকায় নিলয়ের হাতটা নিজের চোখের ওপর থেকে সরিয়ে দিল।।তারপরে এক হাত দিয়ে নিলয়ের ঠোঁট চেপে দিয়ে বলল-;
-:চুপ!!একদম চুপ অনেক বলেছিস তুই এতদিন,,, আমি কিচ্ছু বলিনি।আজ শুধু আমি বলবো আর তুই শুনবি।খুব তো বলেছিলি তুই আমাকে ভালবাসিস,,,আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবি না।কিন্তু একবারও কি আমার মনের কথা ভেবেছিস,,,এতদিন আমি কতটা কষ্ট কাটিয়েছি তোর কোন ধারণা আছে।একবারও খোঁজ নিয়েছিলি যে আমি কেমন আছি।তুই আমাকে ভালবেসেছিস ভালো কথা,,,কিন্তু আমাকেও তো তোকে ভালোবাসার কিছুটা সময় টা দিবি,,,তোর কষ্টগুলো,,, অনুভূতিগুলোকে বোঝার তো সময়টা দিবি কিন্তু তুই কি করলি আমাকে সেই সময়টুকু না দিয়েই আমাকে ছেড়ে চলে গেলি,,,তাও আবার আমাকে ওতগুলো কড়া কড়া কথা শুনিয়ে।একবারের জন্যও ভাবিসনি না যে আমার কি হবে।পাষাণ লোক একটা খুব পাষাণ তুই খুব খুব খুব পাষাণ। শুধু নিজের কষ্টটা বললি কিন্তু আমাকে বুঝলি না,,, বোঝার চেষ্টাও করলি না।ঠিক আছে তুই থাক তোর মতো,,,আমি আর তোকে কোনদিনও ডিস্টার্ব করবো না।।
কথাগুলো বলার সময় তিথি আর নিজের চোখে জল আটকা রাখতে পারল না কেঁদেই ফেলল।কান্নার কারণে তিথির চোখের কাজল গুলো লেপ্টে একাকার হয়ে গেছে।কথা বলার শেষে তিথি একহাতে নিজের চোখের জল মুছে,, আর নাক টানতে টানতে নিলয়ের কোল থেকে যেই উঠতে যাবে,,,তখনই নিলয় নিজের এক হাতে তিথির কোমর চেপে ধরে,,,তিথিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল।তিথি নিজেকে নিলয়ের কাছ থেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করতে লাগলো,,,নিলয় তিথির ছটফটানি দেখে নিজের ডান হাত দিয়ে,, তিথির হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরলো।তারপর তিথিকে নিজের একদম কাছে এনে,,,বলতে লাগলো-;
-:কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি??আর এই কথাগুলো বলার জন্যই কি এত সেজেগুজে আসেছ আমার কাছে।আমি তো শুনেছি মেয়েরা ঝগড়া করার জন্য চুলগুলো একহাত খোপা করে বেঁধে,,হাতে একটা ঝাঁটা নিয়ে তেড়ে আসে।কিন্তু তুমি তো একেবারে নায়িকা সেজে চলে এসেছ,,ঝগড়া করতে।তা নায়িকা তোমার সাহস হলো কি করে এত সুন্দর করে সেজে,,,আমার মাথাটাকে একেবারে খারাপ করে দিয়ে আবার আমাকে এত সুন্দর সুন্দর বকা দিয়ে চলে যাচ্ছিলে।তুমি কি ভেবেছো তোমাকে অত সহজে ছেড়ে দেবো।
-:ছাড় আমাকে।তোর সাথে আমার আর কোন কথা নেই।(নিলয়ের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে)
তিথির ছটফটানি দেখে,,নিলয় তিথির কোমরে জোরে একটা চাপ দিল,,এতে তিথি কিছুটা কেঁপে উঠলো। তারপর নিলয় বলতে লাগলো-;
-:এত ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছে কেন।ওওওও আমিতো আবার ভুলেই গিয়েছিলাম তোমার তো আবার বর্ষাকালে জন্ম হয়েছিল,,তাই তোমার আর ব্যাঙের DNA অনেকটা similar।আর তাছাড়াও তোমাকে ছেড়ে দেবো মানে??ছেড়ে তো দিয়েছিলাম,,,সেইদিনই।।তাহলে কেন এলে আজ,, আমার কাছে তাও আবার এইরকম ভয়ঙ্কর সাজে,,,আমাকে পাগল বানাতে।ভেবেছিলাম তোমার স্মৃতিগুলা আঁকড়ে ধরেই সারা জীবন বেঁচে থাকবো কিন্তু তুমি তোমার এই ভয়ঙ্কর রুপ দেখিয়ে আমার মাথা একেবারেই খারাপ করে দিয়েছো,,,তাই তুমি এখন চাইলেও আমি তোমাকে ছাড়বো না।। কারণ #তোমাকে আমার প্রয়োজন আমার জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত কাটানোর জন্য,,, #তোমাকে আমার প্রয়োজন।।বিকজ আই কান্ট লিভ উইদাউট ইউ।
-:হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝি বুঝি সব বুঝি আমি,,,,আমাকে এইসব কথা বলে আমার মন গলানো যাবে না আর এখন তো অন্য মেয়ে…..
কেঁদে কেঁদে তিথি কথাগুলো বলছিল কিন্তু নিলয় আর কিছু বলতে দিল না তাকে,,,তার আগেই তিথির হাতগুলো ছেড়ে তিথির গাল শক্ত করে চেপে ধরল,,,,নিজের ডান হাত দিয়ে,,,তারপর বলল-;
-:এই মেয়ে চুপ একদম চুপ,,,,,কি তখন থেকে যা তা বলে যাচ্ছিস কিছু বলছি না বলে এই নয় যে সব সময় চুপ করে থাকব আমি।তখন থেকে কি বুঝি,,,বুঝি বলছিস হ্যাঁ,,,বাচ্চা মেয়ে একটা।আর কি বললি অন্য কোন মেয়ে,,,এই নিলয় চৌধুরী নিজের লাইফে কোন মেয়ের দিকে সেই নজরে তাকাইনি বুঝছিস,,,,একমাত্র একজনার দিকেই তাকিয়ে ছিল,,,আর সেটা হলো তুই।বুঝতে পেরেছিস তুই।আর একবার এসব কথা বললে না তোর মুখ আমি সেলাই করে দিব।(দাঁতে দাঁত চেপে বলল)
আর এদিকে তিথি চোখের জল নাকের জল এক করে ফেলেছে কান্না করতে করতে।।চোখে কাজল পুরা লেপ্টে গিয়েছে।নিচের দিকে তাকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর দুই হাতে নিজের চোখের জল মুচছে।।তিথিকে এই মুহূর্তে একজন আবেদনময়ী নারীর মতো দেখতে লাগছে।নিলয় এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে তিথির দিকে অসম্ভব মায়াবতী লাগছে আজ তাকে।এবার নিলয় তিথির গাল থেকে হাত সরিয়ে,,তিথির চুলের ভিতরে হাত ডুকিয়ে তিথিকে নিজের আরও একটু কাছে নিয়ে এলো,,তারপর তিথির দিকে তাকিয়ে,,,,আবেগপূর্ণ কন্ঠে ডেকে উঠল -পাখী….
নিলয়ের ডাকে তিথি নিলয়ের তাকাতেই সে বলে উঠলো-;
-:ভালোবাসো আমায়।
নিলয় এমন কথা শুনি তিথির চোখগুলো মুহূর্তেই জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল।তিথির মনের কথা বুঝতে পেরে,,,,কিছুটা হাসল নিলয়,,,তারপর তিথির গালে নিজের দুই হাত রেখে,,,বলতে লাগল-;
-:থাক আর বলতে হবে না।তোমার উত্তর আমি পেয়ে গেছি।এবার বলতো এই পাগল করা সাজটা কি আমার জন্যই সেজেছ।।
তিথি নাক টানতে টানতে জবাব দিল-;
-:মোটেও না।আমার তো এখান থেকে বেরিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল।তাইতো আমি আজ এমন সুন্দর সেজেছি,,,কেন ভালো লাগছে না আমায়??
নিলয় এবার রেগে গিয়ে নিজের এক হাতে তিথির গাল শক্ত করে ধরে,,,দাঁতে দাঁত চেপে বললো-;
-:আর একবার এসব ফালতু কথা যদি বলেছো,,,তাহলে তোমার ঠ্যাঙ ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেবো,,, বুঝতে পেরেছ।।বেয়াদব মেয়ে একটা।
শক্ত করে গাল চেপে ধরায়,,,তিথি হালকা আর্তনাদ করে বলে উঠলো-;
-:আহহহহ লাগছে ছাড়ুন আমায়।।
-: লাগুক,,,,লাগার জন্যই ধরা।।
তিথি এবার কেঁদেই ফেলল,,,তিথির কান্না দেখে নিলয় তিথির গাল ছেড়ে,,ধমক দিয়ে উঠল-;
-:চুপ একদম চুপ।।আর একবার কাঁদলে বেঁধে রেখে দেবো তোমাকে।নিলয়ের এমন ধমকে তিথি এবার আরো জোরে কেঁদে উঠলো,আর বলতে লাগল-;
-:পচা লোক একটা ছাড়ুন আমায়,,,শুধু আমাকে বকা দেয়।একটুও ভালোবাসো না,,,একটুও আদর করে না আমায়।।থাকবো না আমি আর এখানে,,,চলেই যাব এক্ষুনি এখান থেকে।
এই বলে তিথি যেই নিলয়ের কোল থেকে উঠতে যাবে,,,অমনি নিলয় একহাতে তিথির কোমর পেঁচিয়ে ধরে আর এক হাতে তিথির চুলের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তিথিকে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসে,,,,এতটা কাছে যে তিথির নাক নিলয়ের নাককে স্পর্শ করছে।।নিলয় কিছুক্ষণ তিথির গোলাপি শুষ্ক ঠোঁট যুগলের দিকে তাকিয়ে থাকলো।অনেক্ষন কান্না করার জন্য তার রসালো ঠোটদ্বয় শুষ্ক হয়ে গিয়েছে,,,এখন এই ঠোঁটের আর্দ্রতার প্রয়োজন।।
এ কথা ভাবতেই,,নিজের মনে হেসে উঠল নিলয়।তারপর আর সময় নষ্ট না করে,,,,নিজের ঠোঁট দিয়ে তিথির ঠোঁট,,,পরম আবেশে চেপে ধরল,,,শুষে নিতে থাকলো তিথির শুষ্ক ঠোঁট জোড়াকে আদ্র করার অভিপ্রায়ে।নিলয়ের হঠাৎ এমন আক্রমণে,,,তিথি হকচকিয়ে গেল,, তারপর নিজেকে নিলয়ের কাছ থেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করতে লাগলো।নিলয় তিথিকে আরও গভীর ভাবে আঁকড়ে ধরল,,,আর সফ্টলি ভাবে তিথির ঠোঁটগুলোকে শুষে নিতে থাকলো।তিথি একসময় শান্ত হয়ে গেলো।নিলয় তিথির কোমরে স্লাইড করতে লাগলো,,,তিথি বারবার কেঁপে উঠছে নিলয়ের এমন স্পর্শে।নিলয় তিথির নীচের ঠোঁটে হালকা করে কামড় দিল,,,ব্যাস তিথি আর নিজেকে সামলাতে পারলো না,,,সেও নিলয়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিলয় ঠোঁট গুলো কে শুষে নিতে থাকলো,,,পরম আবেশে।
প্রিয়তমার কাছ থেকে সাড়া পেয়ে নিলয় যেন আরও উন্মাদ হয়ে উঠল।দীর্ঘ দশ মিনিট পর,,, নিলয় তিথির ঠোঁট ছেড়ে,,,তিথির সারা মুখে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকলো।কতদিন পর তার পাখি তার ভালোবাসাকে বুঝতে পেরেছে,,, নিলয় কল্পনাতেও ভাবেনি তিথি এত তাড়াতাড়ি তাকে ভালোবেসে নিজের কাছে টেনে নেবে।। হঠাৎ নিলয়ের নজর গেল তিথির ঠোঁটের নিচে তাকা তিলটার উপর,,,নিলয় কিছুক্ষন তিলটার উপর হাত বুলিয়ে,,,সেই জায়গায় ঘন ঘন চুমু খেতে লাগল,,,তারপর তিথির গলায় নিজের মুখ গুজে দিল,,,তিথি আর নিজেকে সামলাতে পারলো না,,নিলয়ের চুলগুলোকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরল।নিলয় তিথির ঘাড়ে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকলো,,,এবার নিলয়ের নজর গেল গলার তিলটার দিকে,,কোনোকিছু না ভেবেই সেখানে জোরে কামড় দিয়ে দিল নিলয়।
তিথি নিলয়ের স্পর্শগুলো চোখ বন্ধ করে অনুভব করছিল,,,হঠাৎ নিলয়ের এমন কামড়ে,,,তিথি কিছুটা ব্যথা পেল,,,তাই সঙ্গে সঙ্গে নিলয়কে ধাক্কা দিয়ে উঠে দাঁড়ালো।আয়নার সামনে গিয়ে,,, নিজের গলার দিকে তাকাতেই,,,তিথি রাগ উঠে গেল।নিলয় বেশ জোরেই কামড় টা দিয়েছে,,, গলায় তার দাগ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে,,শাড়ি দিয়ে ডাকা পেটের উপর হাত রাখল,,তারপর তিথির চুলে নিজের মুখ ডুবিয়ে,,,তিথির চুলের ঘ্রাণ নিতে থাকলো।তারপর তিথির ঘাড়ে থুতনি রেখে নেশাময় কণ্ঠে বলতে লাগলো-;
-: তোমার মধ্যে কি আছে বলতে পার তিথু পাখি,,,যেটা বারবার আমাকে তোমার দিকে আকর্ষিত করে। কি আছে তোমার এই কালো ঘন কেশে যেটা আমাকে মাতাল করে তুলছে।আর না খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো সারা জীবনের জন্য।তোমাকে ছাড়া একমুহূর্ত আমি আর থাকতে পারব না।।
এই বলে তিথিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে তিথির কপালে একটা ভালোবাসার পরশ এঁকে দিল।তারপর কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো-;
-:আচ্ছা চলো খাবে চলো।তোমাকে আদর করতে গিয়ে আমি খাওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম,,,,খুব খুধা পেয়েছে আমার তাড়াতাড়ি চলো। তুমি তো আবার খিদে সহ্য করতে পারো না।পাখি আর এমন ভাবে থেকো না প্লিজ,,,নইলে আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারব না।
তিথি এতক্ষন চোখ বন্ধ করে নিলয়ের কথাগুলো শুনছিল,,, নিলয়ের কথাগুলো শুনে লজ্জায় তার মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছা করছে,,,এমন অসভ্য মানুষ সে তার হোল লাইফে একটাও দেখেনি,,,লজ্জা দেবারও একটা লিমিট থাকে কিন্তু তিনি সেই লিমিটাকেও অতিক্রম করে ফেলেছেন।তিথি আর কিছু না বলে,,,নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বলল-;
-:আমি আপনার জন্য নিজের হাতে রান্না করে,,, খাবার নিয়ে এসেছি আজ।
-:ওয়াট আই মিন সিরিয়াসলি।মানে আমি বিলিভই করতে পারছিনা।একদিনে এত আনন্দ আমি হজম করতে পারবোনা,,,,আমি মাথা ঘুরে পড়েই যাব এবার।পাখি কি রান্না করে এনেছ আজ আমার জন্য।
-:বিরিয়ানি।
-:ওয়াও!!!দিস ইস মাই ফেভারিট ফুড।তাড়াতাড়ি চলো খিদেতে আমার পেট ফেটে যাচ্ছে।
তারপর তারা নিচে গেল লাঞ্চ করতে।।
এবার আপনারা গিয়েও লাঞ্চ করে আসুন।।☺️☺️
.
.
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]