তুমি নামক যন্ত্রনা পর্ব-১১

0
1244

#তুমি নামক যন্ত্রনা
#লেখনীতেঃহৃদিতা ইসলাম কথা
পর্বঃ১১

শুধুমাত্র দুটো সাক্ষরের মাধ্যমে বিয়ের মত এক পবিত্র বন্ধনে আবব্ধ হলাম আমরা।দিদুনের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে উকিল,দিদুন, বড় আব্বু আর আব্বুর উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হলো আমাদের।রেজিষ্ট্রি পেপারটি প্রথমেই দেয়া হলো আমার হাতে।একপলক সামনের মানুষটির মুখের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ সাইন করে এগিয়ে দিলাম।উনি পেপারে সাইন করেই একমুহূর্ত বিলম্ব না করেই গটগট পায়ে বেরিয়ে গেলেন।আমি সবার অগোচরে একটা ছোট্ট শ্বাস ফেললাম।জানি তার অভিমানের পাল্লা ভারি।তবে তা আমি আমার ভালোবাসার আদলে মুড়িয়ে দেব।নিজের জমিয়ে রাখা সবটুকো ভালোবাসায় শুধু তার অধিকার হবে।আমার ভালোবাসার স্পর্শে তার অভিমান, অভিযোগকে মুছে দেব।তার এহেন আচরনে বড় আব্বু মনঃক্ষুণ্ন হলেন।আব্বু কিছু না বলেই চুপচাপ রইলেন।আমি দিদুনের কাছে গিয়ে বসলাম তার হাত দুটো আকড়ে ধরে।দিদুন অপরহাতে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে অস্পষ্ট স্বরে বললেন,

— স্বামী সোহাগী হবি তুই। অনেক সুখী হবি।
দিদুনের করা আশির্বাদে আমি লজ্জা পেলাম। লজ্জায় নুইয়ে গেলাম।ইতোমধ্যে বাবা আর বড় আব্বু উকিলের সাথে বাইরে বেরিয়ে গেছে কিছুক্ষন আগেই।দিদুন এবার আমার হাতের উপর হাত রেখে বললো,

— ওর অভিমান শুধু তুই ভাঙাতে পারবি।খুব অভিমানী ও।পারবি ওকে আগলে রাখতে সামলে রাখতে।তোর চঞ্চলতায়, প্রাণোচ্ছলতায় আবার ভরিয়ে তুলবি ওকে।তোর ভালোবাসায় মুড়িয়ে দিবি ওকে।যেন এতদিনের দুরত্বে জ্বলতে থাকা পুড়তে থাকা হৃদয় প্রেমের বর্ষনে সিক্ত হতে পারে।শীতলতা ছড়িয়ে দিবি ওর অনলে দগ্ধ হওয়া মনটাকে।পারবি না বল! আমি জানি তুই! একমাত্র তুই – ই পারবি।

আমি বেশ অবাক হলাম।তারমানে কি দিদুনও জানে উনার অবাধ্য, অব্যক্ত, অপ্রকাশিত অনুভুতির কথা।হবে হয়তো! তাইতো সে তার হৃদডে জ্বলতে থাকা যন্ত্রনার কথা জানে।আমি কিছুক্ষন ভাবনায় মগ্ন রইলাম।দিদুন অন্যহাতে হাত চেপে ধরে বললেন,

— কি হল বল? পারবিনা তুই?

আমি ভাবনা থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম।তার পর ঠোটের কোনে মুচকি হাসি বিদ্যামান রেখে চোখের পলক ফেলে আমি তাকে আশ্বাস দিলাম। মনে মনে ভাবলাম।”হ্যাঁ,পারবো আমি! আমাকে পারতেই হবে!তার দগ্ধ হৃদয়কে শীতল স্রোতের জোয়ারে ভাসাবো! ভরে দেব যত ক্ষত।আমার ভালোবাসার স্পর্শে।মুড়িয়ে দেব সকল সুখ।গুচিয়ে দেব সকল দুঃখ”

মুখে বললাম,
— চিন্তা করো না দিদুন! সব ঠিক হয়ে যাবে।

দিদুন তৃপ্তির হাসি হাসলেন।তার হাসিতে যেন মুক্ত ঝড়ে।বুড়ি এককালে ভিষন সুন্দরী ও মায়াময়ী ছিলেন।তার রেশ এখনো কাটেনি।হঠাৎ হঠাৎ তার রুপ লাবণ্য উকি দেয়। তার অদ্ভুত সুন্দর হাসিতে।আচ্ছা সুন্দর মনের মানুষগুলোর হাসিও বুঝি সুন্দর।এত ভাবনার মাঝেই মনটা খারাপ ভিষন খারাপ।মিথ্যে হাসির আড়ালে মন খারাপটা লুকিয়ে রাখতে চাইলেও পারছিনা।হুট করেই বিষন্নতায় ছেয়ে গেল অবুঝ মনটা।নার্স এসে বললেন,

— আপনি একটু বাইরে যান।এখন উনার রেস্টের প্রয়োজন।

আমি দিদুনকে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে চলে এলাম কেবিনের বাইরে।আমার দুচোখ শুধুই আমার প্রিয় মানুষটিকে খুঁজছে। আমি জানি সে বড্ড অভিমানী। আমার সাথে বড্ড অভিমান তার।সবটাুকো মানলেও একটা বিষয়ে আমি ভিষন কষ্ট পেয়েছি। দুঘন্টার আগের কথা,,,
বাড়ি পৌছেতেই স্রোত ভাই গটগট পায়ে উপরে চলে যান।আমাকে কথা বলার সুযোগ দেন না।গাড়িতে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করেছি তখনও ইগনোর করেছে উনি আমায়।ভিষন জোরে রেডিও চালিযে দিয়েছিল।কান ঝালাপালা হওয়ার জোগার।আচ্ছা উনি কি বোঝেন না আমার মনের কথা। উনার চোখে কি আটকায় না আমার করুন নিঃস্ব অসহায় চাহনি।আমার অনুতপ্ত মনের ব্যাথা কি তার হৃদয়কে ব্যথিত করেন না।আমি তপ্ত শ্বাস ফেলে ব্যথিত হৃদয় নিয়ে উপরে চলে এলাম।মন খারাপের রেশ নিয়েই ফ্রেশ হতেই ক্লান্তিতে চোখ বুজে এলো আমার।অনেক বেশি কান্না করলে মাইগ্রেনের ব্যাথাটা তীব্রভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।মস্তিষ্ক ঝাঝড়া করার মত মাথা ব্যাথা। ব্যাথায় মাথার সবগুলো রগ দপদপ করে উঠলো।মেডিসিন নিয়ে শরীরটা এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম নেমে এলো চোখে।ঘুমিয়ে পড়লাম চোখের পলকে।ঘুম ভাঙল আব্বুর মায়াময় কন্ঠে আম্মু বলে ডেকে ওঠাতে।ঘুমের মাঝেই টের পাচ্ছিলাম।আব্বু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।ঘুমের মাঝেই মুচকি হাসলাম।আব্বুর দুবার ডেকে ওঠাতেই পিটপিটিয়ে চোখ খোলার চেষ্টা করলাম।ঘুমে জুবুথুবু আমি।তারপরও চোখ খুলে মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিলাম।আব্বু আলতো হাসলেন।আমি উঠে বসলাম।আমি আদুরে কন্ঠে শুধালেন,

— ঘুম হয়েছে আমার আম্মুর?

— হু আব্বু।তুমি কখন এলে?আর দিদুন এখন কেমন আছে?

— আলহামদুলিল্লাহ ভালো আম্মু।তুমি একটু ফ্রেশ হয়ে এসো।আব্বু কিছু জরুরি কথা বলবো।

আমি বুঝতে না পেরে কপাল কুচকে চাইলাম।আব্বুকে প্রশ্ন করলাম,

— কি জরুরি কথা আব্বু?

— আগে তুমি ফ্রেশ হয়ে এসো বলছি।

— ঠিকাছে।তুমি পাঁচ মিনিট বসো আমি দশ মিনিটে আসছি।

বলেই উঠে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আব্বুর কাছে আসতেই আব্বু বিনয়ী স্বরে বললো,

— তোমার কাছে আজ আব্বু কিছু চাইবো দিবে আমায়?

— আব্বুর হঠাৎ এরকম প্রশ্নে চমকে উঠলাম আমি।বুঝতে পারলাম না কি এমন চাইবে আব্বু যে এভাবে অনুমতি চাইছে!আমি চমকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষনের জন্য আব্বুর নিমীলিত মুখ পানে।তারপর আব্বুর হাত ধরে বললাম,

— এভাবে বলো না আব্বু। আমার ভিষন কষ্ট হয়।

— আচ্ছা বলবোনা! তুমি আমাকে বলো তো আম্মু তোমার জীবনে কেউ আছে? তুমি কি কাউকে পছন্দ করো।যদি এমন কেউ থেকে থাকে তবে নিসংকোচে আমাকে বলতে পারো।আব্বু তো তোমার বন্ধু তাই না।

আব্বুর আচমকা কাউকে আমার জীবনে থাকার কাউকে পছন্দ করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় কিছু নয় বেশ অনেকটাই অবাক হলাম।কারন এখনো অবধি এ বিষয়ে কখনো কথা হয়নি আমাদের।আমি চুপ থেকে মাথা নাড়ালাম।আব্বু তার জবাব পেয়ে গেলেন।তারপর সবচেয়ে অবাক করা এক কথা বলে ফেললেন।আমি তাতে খুশি হবো নাকি অবাক হবো বুঝতে পারছিলাম না।

— স্রোত আর তোমার বিয়ে দিতে চায় তোমার দিদুন।আমি আর ভাইয়াও তাতে একমত।আমাদের কোন সমস্যা নেই।তোমার কি এই বিয়েতে মত আছে?

বিস্ফোরিত হলো চক্ষুযুগল।আব্বুর করা প্রশ্নে আকাশসম বিস্ময় নিয়ে আব্বুর মুখপানে নিরুত্তর স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষন আটকে ছিলাম।পরপরই শুন্য মস্তিষ্ক নাড়া দিল আমায়।আব্বু আমার হাত দুটো আকড়ে ধরায় ঘোর কাটল।তিনি করুন চাহনি নিয়ে ভেজা কন্ঠে বললেন,

— না করো না আম্মু।আমি জানি তুমি তোমার দিদুনকে খুব ভালোবাসো।আব্বুর জন্য না হলেও দিদুনের জন্য মেনে নাও। ডক্টর কি বলেছে তুমি তো শুনেছো, তাকে এখন কোন রকম স্ট্রেস দেওয়া যাবে না।

একটু থেমে তারপর আবার বললেন,

— আর মা চাইছেন আজ আর এখুনি তোমার আর স্রোতের বিয়েটা দিতে।যাতে তিনি বেঁচে থাকতে তোমাদের দুজনকে একসাথে দেখতে পায়। তুমি তো জানোই তোমার বড় আব্বু সহ তার পরিবার তোমাকে কতটা ভালোবাসে! তারাও চায় তোমাকে নিজের কাছে রাখতে।আমি কখনো চাইনি আমার মতামত তোমার উপর চাপিয়ে দিতে।চেয়েছি তুমি নিজের লেখাপড়া শেষ করে নিজের একটা পরিচয় তৈরি কর।তবে এই বিয়েটা তোমার উপর প্রভাব পড়বে না তুমি চাইলে স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারো।আমি সবসময় তোমাকে বেস্টটাই দিতে চেয়েছি।আর আমার মতে স্রোতের থেকে ভালো জীবন সঙ্গী আমি হাজার খুঁজলেও পাবো না।তাই আমার মনে হয় স্রোতই তোমার জন্য বেস্ট।

আমি চুপ করে শুধুই শুনছি।তবে কি বলবো বুঝতে পারছি না।তাই চুপ করেই আছি।আব্বু আবারো বললো,

— তবে তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমি আমার মতামত চাপিয়ে দিতে চাই না।তুমি কি বলো?

আমি এবারো চুপ রইলাম ।আমি জানি আব্বুকে আমাকে ভিষন ভিষন ভালোবাসেন।তিনি সবসময় আমাকে বেস্টাটাই দিতে চেয়েছেন।আজও সেটাই চাইছেন।আমিও জানি তিনিই আমার জন্য বেস্ট।আমিও তো তাকে চাই। একান্তই নিজের করেই চাই।তার প্রতি আমার অনুভুতিগুলোকে এতদিন চিনতে না পারলেও আজ আমি আমার অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ করতে চাই।তাকে বোঝাতে চাই শুধু তিনি একাই নয় আমিও তার ভালোবাসা নামক যন্ত্রণার অনলে দগ্ধ। ভয়- ভীতি কাটিয়ে তাকে জানাতে চাই আমার মনের কথা।তাই তার সাথে বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনে আবব্ধ হওয়াতে আমার আপত্তি থাকার কথা নয়।কিছুতেই নয়! মোটেও না! আব্বু আমার মুখপানে ভিষন আশা ভরসা নিয়ে তাকিয়ে রইলেন।আমি এবার গলার স্বর খাদে নামিয়ে বললাম,

–আমি জানি আব্বু আপনি আমাকে ভিষন ভালোবাসেন।আপনার ভালোবাসায় উপর আঙুল তোলার অধিকার আমি কাউকে দিই না।এমনকি নিজেকেও না।আপনি যা ভালো মনে করেন তাই করবেন আমার এতে কোন আপত্তি নেই।

— আমাকে খুশি করার জন্য বলছে নাকি মন থেকে বলছো?

— মন থেকেই বলছি কারন আমি জানি আমার ভালো থাকায় আপনার ঠিক কতটা ম্যাটার করে।আর আমি আপনাকে কখনো সামান্যতম কষ্ট দিতে চাই না।

মাথা নিচু করেই কথা বলছিলাম। মাথা তুলে আব্বুর দিকে চাইতেই দেখলাম আব্বুর চোখে জল।তিনি সে জল আড়াল করতেই ঘুরে দাড়ালেন।সন্তপর্নে চোখের জল মুছে নিলেন।তবে তা আমার চোখের আড়াল হলো না।আমি জানি আব্বুর চোখের এই জল দুঃখের নয় এ জল আনন্দের। সন্তানের তার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ তাকে আবেগী করে তুলেছে।সেই আবেগ থেকেই নিরবে ঝড়ছে সে জল।তিনি প্রাপ্তির হাসি হাসলেন।আমার কপালে স্নেহের পরশ একে দিয়ে বললেন,

— তৈরি হয়ে নাও মা।তোমার জীবনের নতুন পদার্পনের জন্য।

আমি মুচকি হেসে তাকে আশ্বাস দিলাম।তিনি খুশিমনে চোখের জল মুছতে মুছতে চলে গেলেন। আমি সত্যি ভিষন খুশি।মনটা আমার আনন্দে আত্মহারা।তবে সেই খুশি বেশিক্ষন বহাল রইলো না।মুহুর্তেই মিলিয়ে গেল।যখন জানতে পারলাম স্রোত ভাইয়া বিয়েতে অমত করছেন তখন আর বলার মত কিছুই রইলো না।ভাষা হারিয়ে ফেললাম।নির্বাক আমি।আব্বুর কথামত আমি নিজেকে গুছিয়ে বেরিয়ে এলাম।আসার সময় বড় আব্বুর ঘরের ভিতর থেকে শুনতে পেলাম তার অবরুদ্ধ কন্ঠস্বর। মুহুর্তেই মনের ভিতর জমে থাকা কষ্টগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।

— আব্বু প্লিজ আমি পারবো না।

— কেন পারবে না স্রোত।কিসের তোমার বাধা? তুমি কথাকে পছন্দ করো না নাকি তাকে বিয়ে করতে চাও না।এখন এটা একদমই বলবে না যে তুমি কথাকে বিয়ে করতে চাও না।কারন আমরা সবাই জানি যে তুমি কথার প্রতি দুর্বল। তুমি আমার ছেলে, যতই তুমি নিজেকে আড়াল রাখার চেষ্টা করো, নিজেকে অপ্রকাশিত রাখো।আমি জানি তুমি কি চাও।তাছাড়া এখানে তোমার বা আমার চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয় স্রোত।তুমি তোমার দিদুনের কথাটা কেন ভাবছো না।তুমি তো সবটাই জানো।তার ইচ্ছে! তিনি তোমাদের দুজনকে একসাথে দেখতে চায! অন্তত তার কথাটা ভাবো।

— দিদুন আমার জন্য কি সেটা আমিও জানি আর তুমিও। তবে আমি জানি আব্বু দিদুন কেন এসব চাইছে।তবে আমি কথার জীবনটা নষ্ট করতে চাই না। আমার জীবনের সাথে জরিয়ে ওর কাছ থেকে ওর সকল খুশি কেড়ে নিতে চাই না।আমার জন্য বা কারো জন্য ও নিজের সাথে সেক্রিফাইজ করুক আমি চাই না।ওকে ওর মত ভালো থাকতে দাও।ও আমার সাথে সুখি হবে না।এটা বোঝার চেষ্টা করো।

— কে বলেছে তোমাকে এইসব বাজে কথা।আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না। আমি যা বলছি তাই হবে।মায়ের ইচ্ছে আমার কাছে আদেশস্বরুপ।তাই আর কোন কথা না বলে চলে এসো।

আমি দ্রুত দরজা থেকে সরে দাড়ালাম।আড়াল করলাম নিজেকে।তারা বেরিয়ে গেল।আমি হুট করেই কেমন জ্বলে উঠলো।ভিষন রাগ হলো গোমরা মুখোটার উপর।একটু বেশিই বোঝেন উনি।ব্যাটা বজ্জাত হোক না।শুধু একবার বিয়েটা হোক তারপর তোকে বোঝাবো মজা।আমার ভালো আর আমার সুখের চিন্তা করতে তাকে কে বলেছে? আমি বলেছি! আমি আমার সুখ ঠিক খুঁজে নেব।আর তাকে জব্বর শায়েস্তা করবো।রাগী বদমেজাজি রাক্ষস একটা।নিজের অনুভুতি প্রকাশে অপারগ থেকে সবসময় শুধু ধমকা- ধমকা আর রাগ দেখিয়েছে আমার উপর। উজবুক একটা! রাগ না দেখিয়ে নিজের ভালোবাসাটা প্রকাশ করলেও তো পারতো তাহলে তো আর এতকিছু হতো না।একবার হোক বিয়েটা তারপর আমি দেখবো কিভাবে সে আমাকে ইগনোর করে।হুহ! পাজি রাক্ষস!

তারা চলে যাওয়ার পর একা একাই বিড়বিড় করে জোরে জোরে পা ফেলে চলে এলাম।তখন প্রচন্ড রাগ হলেও এখন মনটা কেমন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এসব কিছু আমারই বোকামোর জন্য হচ্ছে ভেবে অনুতপ্ত হলাম আমি।তবে অনুতপ্ত হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিলে চলবে না তার রাগের সামনে আমাকে টিকে থাকতে হবে।তার রাগী চোখমুখ দেখে ভয় পেলে একদম চলবে না।তার অভিমানকে আমার প্রনয়ের স্রোতে ভাসিয়েই ছাড়বো নয়তো আমার নামও কথা নয়।ভেবেই একটু ভাব নিয়ে খোলা চুলগুলোকে পেছনে ঠেলে দিলাম।

# চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে