#তুমি নামক যন্ত্রণা
#লেখনীতেঃ হৃদিতা ইসলাম কথা
#পর্বঃ১৪
— দিদুন বিয়েটা আগামী সপ্তাহে নয় এই সপ্তাহে হবে।কালকে হলুদ আর পরশু বিয়ে। রিসেপশন ঢাকা হবে।সে অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করছি আমি।
স্রোত ভাইয়ার হঠাৎ এ কথা শুনে সবাই তব্দা মেরে বসে আছে।মুহুর্তের মাঝেই হাসির রোল পড়ে গেল।ভুবন কাপানো হাসি যাকে বলে।সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।আমার সব কাজিন সমাজ একসাথে। তারা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে অদ্ভুত সব ইশারা করছে। আর আমি লজ্জায় শেষ।মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে তবে উনার কোন ভাবান্তর নেই।উনি নির্বিকার ভাবে দাড়িয়ে।নীলা তো আমাকে বসে থেকেই ধাক্কা মেরে হিসহিসিয়ে ঠাট্টার সুরে বললো,
— দেখ তো স্রোত ভাইয়ার আর তর সইছে না।তাই বলে তো কাল- পরশুর মধ্যেই তোকে নিয়ে যেতে চাইছে।বুঝতে পারছিস জানু স্রোত ভাই তোকে কতটা ভালো্াসে। ইশশ! আমার ক্রাশ তোকে এতটা ভালোবাসে ভাবতেই বুকে চিনচিন ব্যাথা হচ্ছে।
আমি ওর দিকে কটমট করে তাকালাম।
ও মিটমিটিয়ে হাসছে । শুধু ও না প্রায় সবাই মিটমিটিযে হাসছে। আমি এবার না পেরে উনার দিকে চোখ গরম করে তাকালাম।উনি আমার দৃষ্টিকে পাত্তা দিলেন।তা দেখে গা জ্বলে উঠলো আমার।চোখমুখ শক্ত করে মনে মনে ঝেড়ে দিলাম উনাকে।
— নির্লজ্জ বেহায়া লোক।এক্কিবারে লজ্জা শরম নেই।অসভ্য পাজি লোক একটা।সবাই কি ভাবলো।ইশশ! আমাকে এভাবে লজ্জায় ফেলবে বলে ইচ্ছে করে সবার সামনে এরকম নির্লজ্জের মত কথাটা বলে ফেললো।
সবার এমন হাসি মুহুর্তেই উবে গেল উনার শান্ত, শীতল অথচ তীক্ষ্ণ চাহনির কবলে পড়ে।উনি আর সময় ব্যয় না করে স্থান ত্যাগ করলেন।আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।তবে উনারা যেতেই শুরু হলো সবার মশকরা। সবাই ফাজলামো করছে উনাকে নিয়ে। এমন সব কথা বলছে চোখ তুলে তাকাতে পারছি না।গাল দুটো ইতোমধ্যে টমেটো হয়ে গেছে।ওদের কথার প্রতিত্তোরে কিছু বলতে পারছি না। আসলে আড্ডার আসর বসেছে আমাকে ঘীরে। যেহেতু বিয়ের কনে তাই।আজ সকালেই দিদুন নাস্তার টেবিলে আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা তুলে ধরে। সামাজিকভাবে সবটা মিটিয়ে নিতে চান উনি।সেখানে কারো কোন আপত্তি নেই।ফুপ্পিরা আমার আর স্রোতের বিয়ের ব্যাপারে সবটা জানলেও কাজিন সমাজ কোন হই- হুল্লোড় করেনি।পরিস্থিতি অনুকুলে ছিল না।তার ঘোর নিষেধ এসব বিয়ের বিষয় নিয়ে যেন কোনমতেই বাড়াবাড়ি না হয়।আর তার আদেশ যেন কোন মহান ঋষির বানী তার একচুলও নড়চড় চলে দুনিয়া এদিক ওদিক করতেই পরোয়া করবেন না তিনি।মানুষটা বড়ই অদ্ভুদ তার থেকেও বেশি অদ্ভুদ তার আচার আচরন।এই ঠান্ডা তো এই গরম।উনার আচার আচরন আবহাওয়ার পূর্বাভাসের থেকেও বেশি দ্রুত পরিবর্তন হয়।এই ঝড় এই বৃষ্টি এই তুফান তো এই স্লাইকোন।এই মানুষটা জীবন ঝালাপালা করে দেবে আমার।
সবার মতে বিয়ের সমস্ত নিয়ম- কানুন মেনে বিয়ে সম্পন্ন করা হবে।তাই মেহেন্দি, সঙ্গীত ও হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ উনার এমন বক্তব্য সবাইকে বাক্য হারা করে দিয়েছে। এমনিতেও উনি মুডি মানুষ কখন মুড চেঞ্জ হয় বলা যায় না।তখন তো কোন আপত্তি করেননি।আজ হঠাৎ কি হলো কাল মেহেন্দির ফাংশন করার ছিল।তবে উনার কথায় মনে হচ্ছে কিছুই হবে না।ধ্যাৎ মনটা খারাপ হয়ে গেল আমার।কতকিছু করবো বলে ভেবেছিলাম। কত সাজগোজ করবো? কত মজা করব?ধুর! এখন আর কিছুই করা যাবে না।আমার সাথে সাথে পুরো কাজিন গুষ্ঠির মন খারাপ। তবে সেটা প্রকাশ করার সাহস নেই কারো।স্রোত ভাইয়ের উপর কথা বলার মত কলিজা কোন প্রানীর মধ্যেই নেই।
.
মন খারাপ নিয়েই রাতের খাবার শেষ করে নিজ ঘরে ফিরে যাচ্ছিলাম। নীলা কিছুক্ষণ আগেই আমার ঘরে গিয়ে সুয়ে পড়েছে।তিশা আপুর ঘর দখল করেছে সবাই। তাই নীলা আর তিশা আপু আমার ঘর দখল করেছে।তখনই দিদুন স্মরন করলো আমায়। আমিও দিদুনের ঘরে চলে গেলাম। দিদুন বললো,
— শোন বুড়ি যতদিন তুই এবাড়িতে আছিস আমার কাছে থাকবি।আর তাছাড়া বিয়ের কনের একটু আলাদা থাকা দরকার।
কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
— আলাদা থাকা কেন দরকার?
— ওতকিছু তোর জানার দরকার নেই।তুই এঘরেই থাকবি আমার সাথে বুঝতে পারছিস।
আমি শুধু মাথা নেড়ে হ্যাঁ বোঝালাম।
দিদুনের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে দুজনেই চুপ করে সুয়ে পড়লাম।কিন্তু ঘুম আসছে না।কিছুতেই না! ভিষন বিরক্ত লাগছে আমার।সকল বিরক্তির অন্ত ঘটলো বারান্দার থেকে কিছু একটা পড়ার আওয়াজে। আমি ধপ করে উঠে বসলাম।বারান্দার দিকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছি।আজ পূর্নিমা তাই চাঁদের উজ্জল আলোয় আবছা আলোকিত চারিপাশ। হঠাৎ করেই কারো একটা ছায়া দেখতে পেলাম।আমার ভেতর কেমন যেন একটা ভয় অনুভব হতে লাগলো।বসে থেকেই শুকনো গলাটা ঢোক গিলে ভেজানোর চেষ্টা করলাম।ধীরে ধীরে ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বলার চেষ্টা করলাম,
ভয়ে ভয়ে বললাম,
— ক্ কে ওখানে? কে আছে?
ওপাশ থেকে কোন উত্তর এলো না।আমার এবার ভয় হতে শুরু করলো।আমি আলগোছে দিদুনকে হাত দিয়ে আলতো নেড়ে চড়ে দীর কণ্ঠে ডাকতে থাকলাম।
— দিদুন!দিদুন!তুমি ঘুমিয়ে গেছ দিদুন! ও্ ওঠ দিদুন।বা্ বারান্দায় কেউ একটা আছে। দিদুন!
দিদুনের কোন সাড়াশব্দ নেই।সে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। শান্তির ঘুম! আর এদিকে আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ওখানে কে আছে? কেন আছে? চোর টোর নয়তো! ভাবতেই বুকটা কেঁপে উঠলো।কিন্তু চোর হলেও তো তাকে ধরা প্রয়োজন। যদি সে কারো ক্ষতি করতে এসে থাকে। মনের ভিতর কিঞ্চিত সাহস জুগিয়ে বিছানা থেকে পা দুটো নিচে নামিয়ে সন্তপর্নে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলাম।যাওয়ার সময় তীক্ষ্ণ ধারালো একটা অস্ত্র হাতে নিলাম।যা দিয়ে বিপদ হলে নিজেকে রক্ষা এবং অপর ব্যাক্তিকে ঘায়েল করতে পারি।
বারান্দার দরজা খুলে দুপা আগতেই কেউ একটা পরছন থেকে মুখ চেপে ধরলো। আমি অন্যহাতে প্রতিকারের চেষ্টা করছি।তবে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি।এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় তার গায়ে আচড় লেগে গেল।সে “আউচ ” শব্দ করে উঠলো।আমি ভয় পেলাম খানিকটা। আমার ধরে রাখা হাতটা ছেড়ে দিল সে।তারপর সে যেহাতে আমার মুখ চেপে ধরেছিল সে হাতটা ছেড়ে দিয়ে তার আঘাত প্রাপ্ত হাতটাকে আকড়ে ধরলো।আমি ছাড়া পেয়ে তার থেকে দুরে সরে এলাম।অতঃপর কোন দিকে খেয়াল না করে চোখ বন্ধ করে সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করার জন্য উদ্যত হতেই সে সামনে থেকে আমার মুখ চেপে ধরলো আর তার ধারালো দৃষ্টি আমার উপর নিবব্ধ করলো।ভয়ার্ত চোখ দুটো তার উপর পরতেই তা অস্বাভাবিক আকাড়ে প্রসারিত হলো।বড় বড় চোখে সামনের মানুষটির মুখের দিকর তাকিয়ে । আকাশে শুল্কপক্ষের চাঁদ। জোৎস্নার উজ্জ্বলতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। পুরো পৃথিবী ছেয়ে আছে দুধসাদা জোৎস্নায়। বাইরে হিমেল বাতাস হু হু করে প্রবেশ করছে বারান্দায়। শরীর শীলতায় ছেয়ে দিতেই।হাড় কাপাতেও যথেষ্ট।
তারউপর শিহরন জাগানো স্পর্শ। স্রোতের মুখে জোৎস্নালোকিত স্বর্গীয় লালিত্য যেন উপচে পড়ছে।আর সেই উপচে পড়া জোৎস্নার উজ্জ্বলতা যেন তার সৌন্দর্যকে হাজার গুন বৃদ্ধি করছে।আমি একপলকে তার মুখের দিকে তাকিয়ে। তার গভীর নীল জলরাশির মত দুটো গহীন চোখ।যার গহীনে যেকোন রমনী হারিয়ে যেতে বাধ্য। এক দেখাতেই প্রেমে পড়তে বাধ্য। গৌর বর্নের মুখটিতে সৌন্দর্যের বাহার নেমেছে বলে মনে হয়।চিকন পাতলা ঠোঁট দুটি লালচে রঙের। মনে হয় ঠোঁটে লিপি স্টিক লাগিয়েছে।উনার ছোট ছোট ঘন চাপদাড়ি গুলো উনার সুদর্শন হওয়ার পরিচয় বহন করছে বলে মনে হয়।উনাকে এতটা নিখুত আর খুঁতিয়ে খুঁতিয়ে পর্যবেক্ষন করার পর মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন ছুড়লাম!
— আচ্ছা উনি এত সুন্দর কেন? উনি কি সত্যি এত সুন্দর নাকি আমার চোখেই শুধু তাকে অধীক সুদর্শন পুরুষ বলে মনে হচ্ছে।পুরুষদের অতি সুদর্শন হতে নেই। সৌন্দর্যের সীমা থাকা প্রয়োজন। তা সীমা পেরিয়ে গেলেই অঘটন ঘটতে দেরি হবে না।
.
যেমনটা আজ সকালের ঘটনা।উনার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ার ফলে আম্মু আমাকে জোর করে পাঠিয়েছে স্রোত ভাইয়ার রুমে।অন্যদিকে উনার আমার প্রতি এত অবহেলা সহ্য হচ্ছে না আমার।তাই কালকেি নীলা ফোন করে এবাড়িতে ডেকেছি।এই মেয়ে ভিষন বিচ্ছু। ছেলেদের ঘোল খাওয়াতে এক্সপার্ট। আজ পর্যন্ত ঠিক কতজন ওর বয়ফ্রেন্ড ছিল তা হয়তো ওর নিজের ও অজানা! অথবা যদি কাউন্ট করতে বসে তবে হয়তো কয়েকদুন পেরিয়ে যাবে।এমনও বয়ফ্রেন্ড ছিল যাদের মেয়াদ কেবল মাত্র কয়েক ঘন্টা।নীলার ভাষ্যমতে, ওর মুড সুয়িং যে ছেলে হ্যান্ডেল করতে পারবে একমাত্র সেই ছেলে ই ওর বপেন হওয়ার যোগ্যতা রাখে।ওর এসব আজব আজব যৃক্তি আর যুক্তিখন্ডন দেখে রীতিমতো কয়েকবার কোমায় যেতে যেতে বেঁচে গেছি।মেয়েটা বড্ড ফাজিল আর দুষ্টু। তবে ভিষন মিষ্টি। আমাকে ভিষন ভালোবাসে সেখানে কোন সন্দেহ নেই।কেউ আমাকে জোরে ধমকে দিলেও যেন ওর চোখ দিয়ে জল গরিয়ে পড়ে। সকাল থেকেই নানা বুদ্ধি সুদ্ধি প্রয়োগ করতে উদ্যত সে।তবে কোনভাবেই মনমত কোন কিছু পাচ্ছি না।যাতে করে ব্যাটাকে আচ্ছামত জব্দ করা যেতে পারে।আমাকে ইগনোর করার সাধ মেটাবো বলেই পণ করেছি আমি।আর সে পণ পুরন করতেই একটা অশ্লীল পন্থা অবলম্বনের কথা বলেছে নীলা।তবে আমি তা মানতে নারাজ।আমার পক্ষে এত বড় কার্য ইহ জীবনেও সিদ্ধ হবে না।উল্টো দেখা গেল দু- চারটে চড় লাগিয়ে দিল।না বাবা না।মোটেও না।স্রোত ভাইকে কিস করার মত মহাপাপ আমি ইহজীবনেও করতে পারব না।যদিও সে আমার স্বামী তবুও এত অশ্লীল কাজ আমার দ্বারা অসম্ভব।
খাবারের ট্রে নিয়ে উপরের আসার সময় হাজারো জল্পনা কল্পনা করছিলাম।তবে সেসবের ইতি টেনে প্রবেশ করলাম স্রোত ভাইয়ার রুমে। সেখানে এসে কোথাও মহাশয়ের দেখা মিললো না।ওয়াশরুম থেকে পানির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছর।আমি খাবারের ট্রে টা টেবিলে রেখে পিছনে ঘুরতেই আমার চোখ ছানাবড়া। স্রোত ভাই শুধুমাত্র টাওয়ার কোমরে জরিয়ে দুহাতে ভেজা চুল ঝাড়তে ঝাড়তে এগিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে।আমি একবার মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকে পুরোটা স্ক্যান করি।অতঃপর হুট করেই তার দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।বুকের ভিতরটা তার এমন ঘায়েল করা চোখের চাহনিতে ধরাস ধরাস করছে।হৃদপিণ্ড তার গতিবিধীর হাড় বাড়িয়ে দিয়েছে।আমার হার্ট অস্বাভাবিক গতিতে বিট করছে।আমি মনে হয় হারিয়ে গেছি কোন একটা ঘোরে।ঘোরের মাঝেই তার দিকে সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছি।তিনি আমাকে এভাব এগিয়ে আসতে দেখে একটু অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে। সত্যি ব্যাপারটা ভিষন অদ্ভুত! তার ভেজা শরীরে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি জমে আছে।তার ভেজা চুল থেকে টুপটাপ করে পানি গরিয়ে পড়ছে।তার চোখমুখ সিক্ত।সিক্ততা মিশ্রিত এই সুঠাম দেহী সুদর্শন পুরুষকে দেখে কি হলো আমার জানি না। তবে তার দিকে ভিষনভাবে আকৃষ্ট হয়ে গেছিলাম। তার সামনাসামনি দাড়িয়ে পা দুটো একটু উঁচু করে একদম আচমকাই তার ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুইযে দিলাম।আমার এহেন কান্ডে স্রোত মহাশয় যেন জমে বরফ হয়ে গেল। তার মুখে শব্দ নেই।চোখদুটো বড় বড় হয়েছে ইতোমধ্যে। এমন একটা ঘটনায় সে রীতিমতো শকড! সে শকড কাটিয়ে উঠতে পারছে না।তাকে ভয়াবহ এক চুমু খাওয়ার পর অকস্মাৎ আমার ঘোর কাটলো।পরিস্থিতি বুঝতে দেরি হলেও আমার পালাতে দেরি হলো না।ছুট লাগালাম নিজ ঘরের উদ্দেশ্য। আর পৌছেও গেলাম।ঘরে এসে দরজা দিয়ে হাপাতে লাগলাম।পরক্ষনেই সেই মুহুর্তের কথা মনে পড়তেই দুহাতে মুখ লুকালাম।ইশশ!কি লজ্জার ব্যাপার! আমি কিনা স্রোত ভাইকে চুমু খেলাম।তাও আবার লিপ টু লিপ।যদিও সেটা একটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চুমু ছিল।তবুও চুমু তো ছিল।
.
আমার ভাবনার মাঝেই উনি আমার সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো,
— সকালের ঘটনার ভয়াবহতা মনে পড়ছে নিশ্চয়।
আমার সম্বিৎ ফিরলো। সকালের ঘটনার ভয়াবহতা বলতে উনি ঠিক কি বুঝিয়েছেন।মুহুর্তেই আমার ভিতরে ভয় আর লজ্জারা গ্রাস করলো।আমি লজ্জাটাকে ছাপিয়ে ভয়ার্ত চোখে উনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম।
–আ্ আসলে ত্ তখন….
— তখন কি ছিল? কেন ছিল? আমি জানতে চাইনি। আমি অসম্পূর্ণ কাজটা সম্পূর্ণ……
#চলবে…..