#তুমি নামক যন্ত্রণা
#লেখনীতেঃহৃদিতা ইসলাম কথা
পর্বঃ৬
সকাল ১০ টা বাজে। আম্মুর চেচামেচি আর বাইরের কোলাহলে ঘুম ভাঙলো আমার। ঘুম ঘুম চোখে টেনে তুললো আম্মু।ঢুলু ঢুলু হয়ে উঠে বসে ঝিমুতে লাগলাম।কাল অনেক রাত অবধি জাগার কারনে আজ যেন চোখের রাজ্যের ঘুম ভর করেছে।ছাড়ছেই না।ঘুম ঘুম চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলাম।আম্মু বললো,
–তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে যা সবাই তোর খোঁজ করছে।
আমি কোনমতে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
আজ সকাল থেকেই বাড়িতে অনুষ্ঠানের তোরজোর চলছে।অনেক মানুষজনে গমগম করছে শান্তি নীড়। আমার দিদুনের নামে নামকরন করা হয়েছে বাড়ির। শান্তি! আমার দিদুনের নাম।
আজ সকাল থেকেই জনসমাগম বেড়ে চলেছে।তিশা আপুর নানু বাড়ির সবাই এসেছে।তারা অবশ্য আজ সকালে এসেছে।দিদুন,আব্বু, আম্মু কালকে এসেছে।আমার মামা বাড়িতেও দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। তবে নীলার নানু নাকি একটু অসুস্থ তাই সবাই ও বাড়িতে গেছে।আসতে পারবে না বলে ভিষন দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বড় আব্বু আম্মু ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। নীলার নানুর সুস্থতা কামনা করছে।আমর্ সবাই এখানকার ফাংশন মিটে গেলেই ওখানে যাবো।হয়তো আজ না হলেও কাল যেতে হবে।
বাড়িতে ফাংশন এরেইঞ্জমেন্ট করা হবে বলে বাড়িটা খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে।বিজনেস ওয়ার্ল্ডে ওত বড় কেউ না হলে যথেষ্ট নাম ডাক আছে বড় আব্বুর।তার আদর্শ আর সততার জন্য।
বাগানের দিকে স্টেজ সাজানো হয়েছে।ডেকোরেশন ভিষন সুন্দর!চোখ ধাধানো!রাতে আরও বেশি সুন্দর লাগবে।সব জায়গা লাইটিং করা।আমি সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে এসব কিছু দেখছি। আমার পরনে একটা লেডিস টিশার্ট আর একটা লং স্কার্ট।গলায় ওড়না ঝুলানো।আমাকে দেখে তিশা আপুর দুইটা কাজিন ছুটে এলো।আমাকে ঘিরে ধরলো। বলতে লাগলো,
— আরে আরে তুমিই সেই কথা! তাই না।
আমি একটু অবাক হলাম।এরকম করে বলার কি আছে।আমি তো এমন স্পেশাল কেউ নই।আর তাছাড়া ওনাদেরকে আমি চিনি না।এনাদের আগে কখনো দেখিনি। আমি সহাস্যে মাথা নেড়ে ভদ্রতার সহিত বললাম,
— জ্বি আপু।আমিই কথা।
— দেখছো সত্যি দেখতে ভিষন মিষ্টি একটা মেয়ে। এমন মিষ্টি একটা লাখে একটা মেলে।খালামনি তোমার চয়েস….
আমি বুঝলাম এরা তিশা আপুর খালাতো বোন। কিন্তু এমন বলার ছিল যে বলতে বলতেই থেমে গেলেন উনি।তার কারন আমার কাছে অজানা।আমার আশে পাশে অনেকেই বসে। আম্মু নেই।তবে বড় আম্মু আর দিদুন আছে।সবার মুখে উৎফুল্লতা বিরাজমান।তবে তা যে আমাকে ঘিরে বোঝার বাকি রইলো না কিন্তু এমন কেন বুঝলাম না আমি। এরমাঝেই দেখতে পেলাম মাহিকে।মাহি তিশা আপুর মামাতো বোন।আমার এক বছরের জুনিয়র। তবে আমাদের মধ্যে খুব ভালো একটা সম্পর্ক আছে।ও এসেই কথাপু বলে জরিয়ে ধরলো আমায়। আমিও ওকে দুহাতে আগলে রেখে বললাম,
— কেমন আছো মাহি?অনেকদিন পর তোমাকে দেখলাম।
— আমি খুব ভালো আপ্পি। তুমি কেমন আছো?
— ভালো
— আমি তো তোমাকে খুব মিস করছিলাম আপু।কতবার কতবার করে বললাম তুমি ঢাকা বেরাতে এসো কিন্তু না তুমি আসতেই চাও না।তোমার নাকি তোমার প্রানের শহর ছাড়া কোথাও ভালো লাগে না।তা এখন কি করে এলে?
— না এসে উপায় আছে বলো। তিশা আপুর জীবনের এত বড় একটা দিন।কি করে মিস করি বলো তো।
— ওহ তাই বলো।শুনলাম স্রোত ভাইয়া নাকি তোমায় নিয়ে এসেছে।
আমি গম্ভীর মুখে শুধু “হুম ” বললাম।বুঝি না স্রোত ভাইয়ার আমাকে নিয়ে আসার পেছনে কারন কি? সেটা কি শুধুই আপুর এঙ্গেইজমেন্টের জন্য! নাকি অন্য কোন কারন আছে? সবাই এত অদ্ভুত ভাবে একই কথা কেন বলছে! আশ্চর্য!
.
সারা বিকাল তন্নতন্ন করার পর আপু আমার জন্য একটা লেহেঙ্গা সিলেক্ট করলো।বুঝলাম না আমি বার্থডে আর এঙ্গেজমেন্ট কি আমার নাকি উনার।অবাক করা বিষয়।আপু বরাবরাই আমাকে একটু বেশি ভালোবাসে। তাই তার এমন একটা স্পেশাল দিনে সে তার পছন্দ অনুযায়ী আমাকে সাজাতে চায়।আমি সায় দিলাম।
গাঢ় বেগুনি রঙের হালকা স্টোন বসানো একটা লেহেঙ্গা চুজ করলো। লেহেঙ্গাটা ভিষন সুন্দর! ওত হেবি না। তবে এটা তো শপিং এ ছিল না।কোথ্থকে এলো ভেবে পেলাম না আমি।যাই হোক লেহেঙ্গাটা কমফোর্টেবল বলে পড়ে নিলাম। সাথে হালকা সাজ।কানো ঝুমকো, হাতভর্তি ম্যাচিং চুড়ি।চুলগুলো মাজ বরাবর সিথি করে দুপাশে বেধে নিয়ে ছেড়ে দিলাম।ওড়নাটা গায়ের সাথে ভালোভাবে আটকে নিয়েছি।ওড়না সামলানো আমার জন্য বেশ মুশকিলের কাজ।তাই সবসময় ওটা সেফটিপিন দিয়ে আটকে রাখি।
যা হোক সবাই খুব জোর করছিলো পার্লারের জন্য তবে আমি যেতে চাইলাম না।আপু এ বিষয়ে কিছু বলেনি।আমি নিজেই তৈরি হয়েছি।
.
সন্ধ্যা ৮ টা। বাড়িতে রমরমা পরিবেশ। মানুষজনের আনাগোনা চলছে।আমি প্রায় রেডি তবে বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে না।ঘরে বসে আছি।সবাই পার্লারে।কিছুক্ষন পর বড় আম্মু এসে বললো আপু রেডি হয়ে চলে এসেছে।আমাকে তার রুমে যেতে বলেছে।আমি চলে গেলাম আপুর রুমে। সেখানে গিয়ে আরও অবাক হলাম।পুরো রুম আধারে ডুবে আছে।এত অন্ধকারে আপু কি করছে। সন্তপর্ণে ঘরে ঢুকে গেলাম।বেলকনির দরজা খোলা।সেখান থেকে এক টুকরো চাঁদের আলো এসে পড়াতে ঘরটা মৃদু আলোকিত।আমি ভাবলাম নিশ্চয়ই আপু বেলকনিতে।তবে পুরো ঘর অন্ধকার করে রাখার মানে কি! যত বেলকনির কাছে যাচ্ছি।ততই বুঝতে পারছি।আজ জোস্না রাত।চাঁদের উজ্জ্বলতা যেন উপচে পড়ছে।আমি বেলকনির ভিতরে গেলাম।বাইরের উজ্জ্বলতা চোখে পড়লো প্রথমেই।ঘুরে ওপাশে দেখতেই চোখে পড়লো এক বলিষ্ঠ দেহী পুরুষ।যে কিনা চাদের দিকে মুখ করে দাড়িয়ে আছে। তার গায়ে ও একই রঙের ডিজাইনার জামা।আমার ভ্রু কুঞ্চন হলো।এ সময় এখানে কে থাকবে?
আমার ভাবনার মাঝেই সে ব্যাক্তি পিছন ঘুরলো।মুখ দেখে খানিকটা ভড়কে গেলাম আমি।স্রোত ভাইয়া! উনি এখানে কি করছে? ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম উনাকে।আজ উনাকে ভয়াবহ সুন্দর লাগছে।উনার এমন রুপে যেকোন নারী নির্ঘাত জ্ঞান হারাবে।যদি নীলা থাকতো তবে সে নিশ্চিত মুহূর্তে মুহূর্তে ক্রাশ নামক বাশ খেত।
শক্ত পোটানো শরীরে ফর্সা গড়নের বিশাল এই মানুষটার সৌন্দর্যের বর্ননা না দিয়ে পারলাম না।বেগুনি রঙের পাজামা পাঞ্জাবিতে বেশ মানিয়েছে। সাথে তার ঝাকড়া চুল মৃদু হাওয়ায় হেলছে দুলছে।মারাত্নক সুন্দর লাগছে।মনে হচ্ছে জ্ঞান হারাবো।এই প্রথম তাকে দেখে মনের ভিতর এক অজানা অনুভূতিরা নাড়া দিল।ক্রাশ নয়, অন্যরকম এক মুগ্ধতার সাথে পরিচিত হলাম আজ।আজ পর্যন্ত কোন পুরুষকে দেখে এতটা মুগ্ধ কখনো হই নি আমি।আচ্ছা! উনি কি সত্যি এত সুন্দর নাকি আমার কাছেই তাকে এত ভিষন সুন্দর লাগছে।বুঝতে পারছি না।তবে আবচেতন মন আমাকে অন্য কিছু জানান দিচ্ছে।
আমি ভাবনায় বিভের তখনই স্রোত ভাইয়া এলো আমার কাছে।তবে সচেতন দুরত্ব বজায় রেখেছেন উনি।নিষ্পলক দৃষ্টি বিনিময় হলো আমাদের।উনার চাহনিতে অস্বস্তি হলো আমার।এক পর্যায়ে উনি চোখ সরিয়ে আমাকে গম্ভির কন্টে শুধালেন,
— এত সেজেছিস কেন তুই?
আমি অপ্রতিভ।সেজেছি! কোথায় সেজেছি! কিছুই তো করেনি!শুধু অর্নামেন্টস পরেছি আর চোখে কাজল।এর বেশি তো আমি কখনোই সাজি না।
বিরক্ত কন্ঠে ভ্রুকুচকে বললাম,
— তো আজকের দিনে সাজবো না।তিশা আপুর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন।আমি সেজেছি তাতে আপনার কোর সমস্যা?
— নাহ! আমার কোন সমস্যা নাই! তবে এই পুরো জাতির সমস্যার কারন তুই!
— মানেহ!
— এই যে তুই এত সেজেছিস, এখন তোকে দেখে যদি সবাই মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তখন তার দায় কে নিবে বলতো?
আমি একটু লজ্জা পেলাম।কারো কাছে প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে।আমারও লাগছে।একটু লজ্জা লজ্জা পেয়ে কিছু বলার জন্য মুখ খোলার আগেই উনি বলতে শুরু করলেন,
— নিজেকে নায়িকা ঐশ্বর্য রায় ভেবে মনে মনে এত জল্পনা কল্পনা করার কিছুই হয়নি।তোর মত ভিষন ভয়ংকর এক পেত্নীকে দেখলে সবার মাথা এমনি ঘুরে যাবে।
উনার এমন অপমান জনক কথায় গা রি রি করে উঠলো আমার।অপমানে জলে উঠলো পুরো শরীর। এই অসভ্য অভদ্র লোকটার সাথে কথা বলাই বেকার।যখন মুখ খুলবে আমায় অপমান করবে।এসব আর মেনে নেওয়া যায় না।রাগটাকে আরেকটু হাওয়া দিয়ে ভেতরের রাগটাকে আরো তীব্র করার চেষ্টা করলাম। কারন তাকে কিছু ভয়ংকর কঠিন কথা আজ শোনাতে না পারলেই নয়।
— কিহহ!আমি পেত্নী। আপনার আমাকে পেত্নী মনে হয়। চোখ কি আছে নাকি গেছে।চোখের ডাক্তার দেখান।লাগলে চারটা না দশটা চশমা লাগান বুঝলেন।এরকম চলতে থাকলে কপালে বউ জুটবে না।
উনি সহাস্যে বললেন,
— সত্যি বললে সবারই গায়ে লাগে।
— কোনটা সত্যি?
–এই যে তোকে সাজলে পুরো পেত্নীর মত লাগে। পুরাই বটগাছের ২০০ বছরের পুরনো পেত্নী।
বলেই উচ্চস্বরে হাসতে লাগলেন উনি।রেগে গেলাম ভিষন। যাকে বলে চরম রকমের রাগ।আর ভিষন রকম রেগে গেলে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয় আমার।ভিষন রাগটা ঝাড়বো বলে তার দিকে তেড়ে এগুতে যাওয়ার সময় অসাবধানতা বশত লেহেঙ্গায় পা আটকে ছিটকে পড়লাম তার উপর।হটাৎ ঘটা আকস্মিক ঘটনায় উনি নিজেও ব্যালেন্স ধরে রাখতে পারলেন না।আমার পায়ের সাথে পা বেজে নিজেও পড়ে গেলেন।আর আমি ডিরেক্ট সিনেমার হিরোয়িনদের মত একেবারে উনার উপর গিয়ে পড়লাম।ধরাম করে আওয়াজ হলো।মনে হচ্ছে বেশ ব্যাথা পেয়েছেন উনি।
” আউচ!”শব্দ বের হলো উনার মুখ থেকে। তবে পড়ে যাওয়ার সময় আমাকে এমনভাবে দুহাতে আগলে নিলেন।যেন আমি আঘাত না পাই। চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করা আমার।ভয় কাটিয়ে উঠতে উঠতে কিছু মুহুর্ত কেটে গেল।চোখ মেলতেই ভয়াবহ ঘোরালো দুটো স্থির দৃষ্টির সম্মুখীন হলাম আমি।আমাদের মাঝে বিন্দুমাত্র দুরত্বের লেশ ও নেই।এমন বিষ্ময়কর ঘটনা আর অনাকাঙ্ক্ষিত চাহনিতে মিনিট কয়েক স্তব্ধ ছিলাম আমি।পুর মুহূর্তে উঠার চেষ্টা করতেই বুঝলাম।স্রোত ভাইয়ের দুহাত এখনো আমার কোমর শক্ত করে আকড়ে ধরে আছে।তার স্পর্শ অনুভব হতেই অন্য রকম এক শীতল অনুভুতিতে ছেয়ে গেল শরীর মন।লজ্জারা ঘিরে ধরলো আমায়।নুইয়ে গেলাম আমি।পেছনে দুহাত দিয়ে উনার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই উনি ঘোর ভেঙে বাস্তবিকতায় এলেন।সন্তপর্ণে সরিয়ে নিলেন দুহাত।আমি উঠে দাড়ালাম।তবে অপ্রীতিকর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কল্পনা অতীত ছিল।যার দরুন তাকে কিছু বলার সুযোগ দিলাম না আর না নিজে কিছু বললাম। ছুটে এলাম ও ঘর থেকে। মনে হচ্ছিলো দম আটকে মারা পরবো আমি।হাফ ছেড়ে বাচলাম।মনো হলো।বাইরে এসে জোরে জোরে শ্বাস নিলাম।তখনই হুট করে কাধে কারো স্পর্শ পেলাম।একটু ঘাবড়ে গেলাম আমি।
পিছনে ঘুরতেই চোখে পড়লো মাহিকে।ও বললো,
— আপু তুমি এভাবে হাঁপাচ্ছো কেন? কি হয়েছে? ভেতরে কে আছে?
মাহির চোখেমুখে উৎকন্ঠা। আমি শুকনো ঢোক গিলে বললাম,
— আরে না কেউ না।অন্ধকার ছিল বলে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম।তেমন কিছু না।চল আমরা নিচে যাই।
— আরে দাড়াও আপু।আগে তোমাকে ভালো করে দেখতে দাও।
মাসাল্লাহ! আপু তোমাকে ভিষন ভিষন সুন্দর লাগছে। হালকা সাজে মানুষকে এতটা মায়াবি কি করে লাগে।আজ যে তোমাকে দেখবে সেই মুগ্ধ হয়ে যাবে।চোখ সরাতেই পারবে না।আমি তো ভাবছি ছেলেরা তো জ্ঞান হারাবে।উফফ! তুমি এত মারাত্মক কিউট কেন বলোতো!
— সত্যি!
— হুম আপু সত্যি বলছি।
— ওই বজ্জাত লোকটাকে সুযোগ বুঝে দেখে নিব।আমাকে পেত্নী বলা।মিথ্যাবাদী হারামি লোক।ব্যাটা খারুস! তোর কপালে বউ নেই! এটা আমার অভিশাপ। হুহ!
বিড়বিড় করলাম আমি।আমাকে বিড়বিড় করতে দেখে মাহি বললো,
— কিছু বলছো আপু?
— না, চলো আমরা নিচে যাই।বলেই নিচে চলে এলাম।
তবে আসার পথে প্রত্যেকে এমন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিল যে ভিষন অস্বস্তি হচ্ছিল আমার দিকে।আশ্চর্য! আমি কি কোন ভিন গ্রহের প্রানী নাকি! নাকি কোন এলিয়েন! এভাবে দেখার কি আছে! নাকি স্রোত ভাইয়ার কথামত আমাকে সত্যি সত্যিই পেত্নী লাগছ! উফফ এসব কিছুই বিরক্তিকর। তার থেকেই বিরক্তিকর ওই মানুষটা। আর এক মুহূর্তের জন্য উনার চোখের সামনে যেতে চাই না আমি।উনার চোখেন আড়ালেই থাকবো।খাটাস লোক সুযোগ পেলেই আমার মান- সম্মান নিয়ে টানাটানি করবে।
#চলবে……..