তুমি কে পর্ব-০২

0
1504

#তুমি_কে?
লেখকঃ আবির খান
পর্বঃ ০২
তুবা রোহানকে যা বলল তা শোনার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তুবা বলে,

~ আমি আসলে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি আর এই নরকে যেতে চাই না। ওখানো কোন মানুষ বসবাস করে না। (বলতে বলতে কিছুটা কেঁদে দেয় ও)

রোহান সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায়। আর অবাক কণ্ঠে বলে,

— কি বললে! তুমি পালিয়ে এসেছো?
~ জি। (রোহানের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে)
— তুমি কি পাগল নাকি? এভাবে কেউ পালিয়ে যায় নাকি নিজ বাসা থেকে? (চিন্তিত কণ্ঠে)
~ ওটা আমার বাসা না৷ ওখানে আমার কেউই থাকে না।
— মানে কি? কিছুই তো বুঝতে পারছি না৷

নিলু রোহানের কাছে এসে বলে,

~ ভাইয়া শান্ত হন আপনি। মাথা ঠান্ডা করেন দয়া করে।
— তুই বুঝতে পারছিস? এই মেয়ে পালিয়ে এসেছে। এখন যদি ওকে খুঁজতে এসে আমার কাছে পায় তারা তো ভাববে আমি ওকে নিয়ে এসেছি। তখন আমার রেপুটেশনটার কি হবে একবার ভেবেছিস?
~ আমি কি আসতে চেয়েছিলাম নাকি। আপনিই তো জোর করে আনলেন। (নিচু স্বরে বলল)
— দেখ দেখ আবার কি বলছে? এই মেয়ে ক্ষুধা লাগছে এই কথা কে বলছিল তখন হ্যাঁ?
~ আমি আমি।

তুবা একদম বাচ্চাদের মতো হাত উঠিয়ে কথাটা বলল। ওর মায়াবী মুখখানা আর বাচ্চাপানা দেখে রোহানের রাগ কিছুটা পড়ে যায়। কিন্তু ও আবার জোর দিয়ে বলে,

— নাহ, এটা ঠিক না। বলো তোমার বাসা কোথায়? আমি এখনিই তোমাকে দিয়ে আসবো।
~ অসম্ভব। আমি মরে গেলেও আর ওখানে যাবো না৷
— আচ্ছা কেন যাবে না? কি হয়েছে ওখানে? আমাকে খুলে না বললে কিভাবে বুঝবো?
~ না আপনাকে কিছু জানতে হবে না। আমি আপনার বাসা থেকে চলে যাচ্ছি। শুধু শুধু আপনাদের কষ্ট দিতে চাই না৷ আমিই চলে যাচ্ছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে খাবার দেওয়ার জন্য৷ আসি।

কথা শেষ করেই তুবা উঠে রওনা হয়। আর রোহান খপ করে ওর হাতটা ধরে ফেলে। এই প্রথম রোহান কোন মেয়ের হাত ধরেছে। ভীষণ নরম আর গরম তুবার হাতটা। তুবা ভ্রুকুচকে রোহানের দিকে তাকাতেই রোহান ওকে ভীষণ অবাক করে দিয়ে ওকে টান মেরে কাছে এনে সোজা ওর কপালে হাত দেয়। তুবা আশ্চর্য হয়ে বলে,

~ এসব কি? আপনি আমাকে স্পর্শ করছেন কেন?

রোহান নিলুর দিকে তাকিয়ে বলে,

— দ্রুত জলপট্টির ব্যবস্থা কর। এই পাগল মেয়ের গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।
~ জি ভাইয়া।

নিলু দ্রুত দৌড়ে যায়। রোহান এবার তুবার দিকে তাকায় আর রাগী ভাবে বলে,

— তোমার গায়ে যে এত জ্বর তুমি আমাকে আগে বলো নি কেন? এই জন্যই তোমার মুখ লাল হয়ে ছিল! আমি বুঝতেই পারিনি। (রোহান এখনো তুবার হাতটা ধরে ছিল)

তুবার সেটা ভালো লাগছিল না। তাই ও নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে,

~ আমাকে নিয়ে আপনার আর চিন্তা করতে হবে না। আমার কিছু হয়নি। আমি ঠিক আছি। ছাড়ুন আমাকে।
— একদম না। তুমি অনেক অসুস্থ।
~ আহ! বলেছি তো আমি ঠিক আছি। ছাড়ুন। আমি যাবো গা।

বলেই হ্যাচকা টান মেরে তুবা রোহানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলে,

~ আমি বলেছি আমি ঠিক আছি তারপ…..

হঠাৎই তুবা সব ঝাপসা দেখতে শুরু করে৷ আর মনে হতে থাকে ওর পুরো দুনিয়া ঘুরাচ্ছে অনেক জোরে। আর সাথে সাথে চোখটাও বন্ধ হয়ে আসছে। তুবা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে নিলে রোহান ওকে ধরে ফেলে। এর মধ্যে নিলুও এসে পড়ে। রোহান তুবাকে অজ্ঞান হতে দেখে অসম্ভব চিন্তিত হয়ে জোরে জোরে বলতে থাকে,

— তুবা…তুবা কি হয়েছে? অজ্ঞান হলে কেন? হায়! আল্লাহ এখন আমি কি করবো?
~ ভাইয়া শান্ত হন৷ আপুকে আপনার রুমে নিয়ে যান। জ্বরের কারণে মনে হয় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। আমি ডাক্তার ভাইয়াকে কল দিচ্ছি।
— হ্যাঁ বোন দ্রুত সাদমানকে কল দে। বল ইমার্জেন্সি।
~ আচ্ছা আচ্ছা।

রোহান তুবাকে কোলে তুলে সোজা দোতলায় ওর বেড রুমে নিয়ে যায়। নিয়ে ওকে শুইয়ে দেয়। খুব অস্থির লাগছে রোহানের। একটু পরই নিলু জলপট্টি নিয়ে আসে। আর বলে,

~ ভাইয়া, সাদমান ভাইয়া বলছে বেশি বেশি জলপট্টি দিতে। দিন আমি দিয়ে দিচ্ছি। আপনি শান্ত হয়ে বসেন।
— না না আমি দিয়ে দিচ্ছি। তুই ছোট মানুষ। তুই আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আরেক ঝামেলায় পড়বো। তুই নিচে গিয়ে সাদমানের জন্য অপেক্ষা কর। ও আসলে সাথে সাথে ওকে উপরে নিয়ে আসবি।
~ ঠিক আছে ভাইয়া৷

নিলু চলে যায়। রোহান খুব যত্ন করে তুবার সেবা শুরু করে। ও কেন এমন একটা অপরিচিত মেয়ের জন্য এতকিছু করছে তা ও নিজেও বুঝতে পারছে না৷ তবে ওর কাছে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তুবাকে সুস্থ করা। রোহান দেখে তুবার শরীর কাঁপছে। মানে ওর শীত করছে। রোহান দ্রুত ওর ব্লাংকেট’টা তুবার গায়ে দিয়ে দেয়৷ আর এদিকে জলপট্টি তো দিচ্ছেই৷ ও তুবার অসম্ভব সুন্দর মায়াবী মুখখানার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চোখের পলক, গোলাপি মিষ্টি ঠোঁটটা, খাড়া নাক সব মিলিয়ে ও একদম পার্ফেক্ট। রোহান কখনো একটা মেয়েকে এত কাছ থেকে দেখে নি। তবে এখন তুবার জন্য ওর অনেক খারাপ লাগছে। এত মিষ্টি মেয়েটা এভাবে অসুস্থ হয়ে যাবে ও ভাবতেই পারেনি। রোহান তুবার সেবা করতে করতে আর ওকে দেখতে দেখতে একসময় সাদমান চলে আসে। রোহান ওকে দেখে রীতিমতো অ্যাটাক করে। সাদমান বলে উঠে,

— ভাই ভাই শান্ত হ। আমি দেখছি পেসেন্টের কি হয়েছে।
— দেখ ভাই ভালো করে দেখ। হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে গেছে৷ সাথে জ্বর তো আছেই।

সাদমান পরীক্ষা নিরাক্ষা করে বলে,

— জ্বরের কারণে আর মানসিক চাপে এই অবস্থা হয়েছে। চিন্তা করিস না সকালে মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে৷ আমি ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি।
~ ব্যথা পাবে না তো ও?
— এই ব্যাটা, ইনজেকশন এ কেউ ব্যথা পায় নাকি? ছোট বেলায় শুনিস নি পিঁপড়ার কামড়ের মতো ব্যথা লাগে। ওটা কোন ব্যথা?
— আচ্ছা আচ্ছা বুঝছি।

সাদমান হাসতে হাসতে তুবাকে ইনজেকশন দিয়ে দেয়৷ আর বলে,

— জ্বর যতক্ষণ না কমে জলপট্টি দিতে হবে৷ আর পারলে শরীরটাও মুছে দিতে হবে পেসেন্টের।
— আচ্ছা আচ্ছা।
— ওয়েট এ মিনিট! এই ব্যাটা আসল কথাই তো ধরা হইলো না। তুই এই রাতে এই মেয়েকে পেলি কই?
— তুবা নাম ওর।
— সে যাই হোক, তুই আসল কথা বল।
— আরে ম্যাডাম তার বাসা থেকে পালিয়ে এসেছেন। ভাগ্য ভালো আমি রাতে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। তখন তাকে পাইছি।
— বাহ! ব্যপারটা তো পুরাই সিনেমাটিক হয়ে গেল।
— হুম। কিন্তু সিনেমার গল্প তো আমাদের জীবন থেকেই লিখা তাই না দোস্ত?
— হ্যাঁ তাও ঠিক। যাই হোক এখন কি করবি কিছু ভেবেছিস? এরকম কুমারী সুন্দরী একটা মেয়েকে তোর বাসায় এভাবে রাখাটা কি ঠিক হবে?
— ওইইই…তুই এত বাড়িয়ে বলছিস কেন? আবার পছন্দ টছন্দ করেছিস নাকি ওকে? (একটু রাগি ভাবে)
— হাহা…চিল ভাই, তোর ভাবী আগেই ঠিক করা আছে। সো ভয় নাই। তোর যে তুবাকে ভালো লেগেছে সেটা এখানে আসার সাথে সাথেই আমি বুঝতে পারছি।
— হইছে এবার যা। অনেক রাত হইছে।
— হুম৷ এই ঔষধ গুলো সকালে এনে ওকে খাইয়ে দিস।
— আচ্ছা দোস্ত।
— আসি তাহলে। ওর খেয়াল রাখিস।
— হুম। তুই সাবধানে যাস। কষ্ট দিলাম।
— ধুর ব্যাপার না।

সাদমান চলে গেলে রোহান আবার তুবার পাশে গিয়ে বসে ওকে জলপট্টি দিতে থাকে। আর কিছুক্ষণ পর পর ওর মুখ আর হাত মুছে দেয়। কারণ পুরো শরীর ওর মুছে দেওয়া ঠিক হবে না তাই। এভাবে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত রোহান তুবার সেবা করতে থাকে। তুবার জ্বর এখন অনেকটাই কমে আসে। রোহান মেপে দেখে জ্বর এখন আর নেই। ও এবার কিছুটা চিন্তা মুক্ত হয়৷ রুমের অল্প আলোতে তুবার মুখখানা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে রোহান। জ্বরটা কমে যাওয়ায় মুখের লালিমা এখন আর নেই। অনেকটা ফ্রেশ লাগছে ওকে। রোহান মুচকি একটা হাসি দিয়ে তুবার দিকে তাকিয়ে আছে। ও ওর জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছে। কিন্তু কাউকে কখনো মনে ধরে নি। কিন্তু এই পাগলিটাকে কেন জানি ভালোই লাগছে। রোহান ভাবছে, কেন এই পাগলিটা ওর বাসা থেকে পালিয়ে আসলো? আর ওর পরিবারেই বা কে কে আছে? এখনো অনেক কিছু জানা বাকি তুবার সম্পর্কে। রোহান তুবার দিকে তাকিয়ে বলে, তুমি কে? বলেই আবার মুচকি হাসি দেয়। ওর কপালটায় একবার ছুঁয়ে দিয়ে নাকটায় একটা টোকা দিয়ে একসময় রোহান তুবার পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে বসা অবস্থায়।

পরদিন সকালে,

দক্ষিণ জানালা দিয়ে স্নিগ্ধ সকালের মিষ্টি রোদ এসে প্রথমে তুবার চোখে মুখে পড়ে। রোদের হালকা তাপে ওর ঘুমটা আস্তে আস্তে ভেঙে যায়। চোখটা আস্তে আস্তে মেলে উপরে ঘুরন্ত ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে গতকাল রাতে কি কি হয়েছে তা মনে করার চেষ্টা করে ও। মনে করতে করতে ওর ফিল হয়, ওর নরম হাতটা কারো শক্ত উষ্ণ হাতের নিচে চাপা পড়ে আছে৷ মানে ওর হাতটা কেউ ধরে আছে। এই স্পর্শটা খুব পরিচিত মনে হলো তুবার৷ গতরাতে এই হাতের স্পর্শ ও পেয়েছে। আর দেরি না করে তুবা ডান পাশে তাকিয়ে দেখে রোহান ওর হাতটা ধরে মাথা পেতে ঘুমিয়ে আছে। পাশের ছোট টুলে জলপট্টি রাখা। তারমানে রোহান সারারাত ওর সেবা করেছে। তুবা ওর কপালে গায়ে হাত দিয়ে দেখে বিন্দু পরিমাণ জ্বর নেই ওর গায়ে। আর খুব ভালোও লাগছে ওর এখন। সবই রোহানের সেবার জন্য হয়েছে। তুবা তা ঠিকই বুঝতে পারে। ও মনে মনে খুব খুশি হয়। এই প্রথম ওর জন্য কেউ এত কিছু করলো। তুবা আস্তে আস্তে ওর হাতটা রোহানের কাছ থেকে সরাতেই রোহান শক্ত করে হাতটা ধরে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। আর সাথে সাথে তুবার দিকে তাকায়। তুবা ভয়ে কোন কিছু না ভেবেই চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করতে থাকে। রোহান ভাবে তুবা এখনো ঘুমাচ্ছে। তাই ও তুবার কপালে গালে হাত দিয়ে চেক করছে ওর গায়ে আর জ্বর আছে কিনা৷ দেখে না পুরো গা ঠান্ডা। রোহান একদম চিন্তা মুক্ত হয়। কিন্তু এদিকে রোহানের এভাবে হাতের স্পর্শ পেয়ে তুবার পুরো শরীরে অন্যরকম একটা শিহরণ অনুভব হয়৷ ও মনে মনে আচ্ছা মতো রোহানকে বকা দিচ্ছে। খালি ওকে স্পর্শ করে রোহান। আরে একটা ছোট বাচ্চাকেও তো কেউ এত স্পর্শ করে না৷ তুবা মনে মনে বলে,

~ লুচ্চা, শয়তান, ফালতু লোক একটা। ইসস! কিভাবে আমাকে স্পর্শ করছে। উফফ!

তুবাকে এই প্রথম কোন ছেলে স্পর্শ করেছে। তাই ও এমন করছে। এদিকে রোহান তুবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আস্তে করে ওর হাতটা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। এরপর ও ফ্রেশ হতে চলে যায়। রোহান গেলে তুবা একটা চোখ মেলে তাকায়। দেখে রোহান কোথাও নেই। তারপর ও আস্তে আস্তে উঠে বসে। পুরো রুমটা ভালো করে দেখতে থাকে। এটা রোহানের রুম। বেশ সুন্দর আর অনেক বড়ো। অনেক দামী দামী আর্ট দেখা যাচ্ছে দেয়ালে। বরাবরই তুবা আর্টের প্রতি অনেক দুর্বল। ওর খারাপ সময় গুলো ও ছবি এঁকে এঁকে পাড় করতো। ও একলাফে উঠে আর্টগুলোর কাছে গিয়ে তা খুব মন দিয়ে দেখতে থাকে। তুবা আর্ট দেখতে দেখতে খেয়াল করে নিচে এক কোণায় ছোট্ট করে আর্টিস্ট এর নাম লিখা। তুবা যেই নামটা পড়ে ও পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ও বাকি আর্ট গুলোও চেক করে দেখে একই নাম সব গুলোয়। আসলে এই আর্ট গুলো সব রোহানের আঁকা। তুবা ভাবতেও পারছে না রোহান এত ভালো একজন আর্টিস্ট। ও পুরো বাকরুদ্ধ হয়ে আছে। হঠাৎই পিছন থেকে পরিচিত সেই কণ্ঠ বলে উঠে,

— এই ছবিটার নাম দিয়েছি আমি, পুড়ে যাওয়া স্মৃতি। কেমন হয়েছে ছবিটা? দীর্ঘ ২ মাস লেগেছে এটা আঁকতে আমার।

তুবা চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে রোহান। ও কেন জানি একটু লজ্জা পায়৷ তাই চোখ নামিয়ে বলে,

~ আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব আমার জানা নেই। তাও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷
— কেন? কেন? (ভীষণ অবাক হয়ে)
~ কারণ আপনি আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছেন তাই। আমি তো এখন থেকে এখানেই থাকবো। আপনি সত্যিই অনেক ভালো। (মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে)

কথাটা বলেই তুবা মিটমিট করে হাসতে হাসতে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু রোহান পিছন থেকে ওকে ধরে একটানে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। তুবা চোখ গুলো বড়ো বড়ো করে রোহানের সুন্দর মুখখানার দিকে তাকিয়ে আছে। রোহান আস্তে আস্তে তুবার একদম কাছে চলে যায়। ওদের দুজনের মাঝে মাত্র চার আঙুলের দূরত্ব। রোহানকে এত কাছে পেয়ে তুবার হার্টবিট অনেক বেড়ে যায়৷ ও জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। তুবা কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে যেই কিছু বলতে যাবে ওমনি রোহান ওর নরম মিষ্টি ঠোঁটে একটা আঙুল রেখে ওকে থামিয়ে দেয়৷ আর তারপরই….

চলবে…?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে