Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তুমি এলে তাই পর্ব-১৮

তুমি এলে তাই পর্ব-১৮

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১৮
.
গুঞ্জন শুধু ওর বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের মেয়ের সম্পর্কে কেউ এমন কথা বলছে অথচ তারা সম্পূর্ণ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আর সেই সুযোগে ওর কাকা কাকী থামার নামও নিচ্ছেনা। গুঞ্জনের আর এসব কথা সহ্য হচ্ছে না। তাই মেঘলাকে বলল,

— ” মেঘুদি আমাকে একটু রুমে নিয়ে যাও প্লিজ।”

মেঘলা গুঞ্জনকে ধরে উঠাতে নিলেই গুঞ্জনের কাকী বলল,

— ” হ্যাঁ হ্যাঁ এখন তো পালাবিই। সত্যি কথা বলছি তো? সারারাত একটা ছেলের সাথে কাটিয়ে এসে এখন ভদ্র সাজছে। আমরা কী কিছুই বুঝিনা নাকি?”

এবার আর সহ্য করে পারলোনা স্পন্দন। ওর মেজাজ এবার অত্যধিক মাত্রায় খারাপ হয়ে গেলো। তাই ভেতরে ঢুকে বলল,

— ” আচ্ছা? এতো বোঝেন আপনি? কিন্তু অতিরিক্ত বোঝা স্বাস্থ্যের জন্যে খুব ক্ষতিকর সেটা জানেন?”

আওয়াজটা শুনে সবাই তাকালো দরজার দিকে। স্পন্দনকে দেখে গুঞ্জনের কাকা কাকী থেমে গেলেন। রিয়াদ হোসেন বললেন,

— ” এ কী আপনি?”

স্পন্দন একটু হেসে টি-টেবিলের ওপর থেকে চাবিটা নিয়ে বলল,

— ” চাবিটা ফেলে গেছিলাম। ভাগ্যিস চাবিটা ফেলে গেছিলাম। নইলে দেখতেই পারতাম না ফ্যামিলির মানুষের এতো সুন্দর রূপ।”

গুঞ্জনের কাকা রাশেদ হোসেন বললেন,

— ” দেখুন। আপনি একজন রেসপেক্টফুল পার্সন। আপনাকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু আপনি এসবের থেকে দৃরে থাকলেই ভালো। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়।”

স্পন্দন হালকা হেসে বলল,

— “কতোটা পারিবারিক বিষয় তা তো বুঝতেই পারছি। আর এসবে মধ্যে তো আমাকে থাকতেই হবে কারণ কোনো না কোনো ভাবেতো আমিই জরিয়ে আছি ব্যাপারটায়। তো আপনারা যা খুশি তাই বলবেন আর আমি শুনেও চুপ করে থাকবো সেটাতো হয়না।”

গুঞ্জন স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” বাদ দাও না। এগুলো শুনতে শুনতে অভ্যেস হয়ে গেছে আমার। জাস্ট চিল।”

স্পন্দন কিছু বলবে তার আগেই গুঞ্জনের কাকী বলে উঠল,

— ” দেখেছেন দাদা। বয়সে এতো বড় একজনকে আবার তুমি করে বলছে। কতোদূর এগিয়েছে আর কিছু বোঝার কী বাকি আছে?”

স্পন্দনের রাগ এবার সহ্যসীমার বাইরে চলে গেলো। ও ধমকের সুরে বললেন,

— “চুপ করুন আপনি। অসভ্যতার একটা লিমিট থাকে যা আপনি অনেক আগেই ক্রস করে গেছেন। কাল ওর সাথে কী হয়েছে কথাটা বলার পরেও কোন মুখে এসব বলছেন?”

এরপর গুঞ্জনের বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” গুঞ্জন তো আপনাদের নিজের মেয়ে তাইনা? তার সম্পর্কে কেউ এধরণের কথা বলছে। আর আপনারা শুনছেন?”

গুঞ্জনের মা একটু কঠিন গলায় বললেন,

— “ও যদি ঠিকঠাক চলাচল করত তাহলে কী লোকে এসব বলার সুযোগ পেতো? আশেপাশের এলাকার অনেক মানুষ জেনে গেছে যে কাল বাড়ি ফেরেনি। নানারকম কেচ্ছা ছড়াচ্ছে। সমাজের কথাও তো ভাবতে হবে নাকি?”

গুঞ্জনের বাবাও বললেন,

— ” এমনিতেই তো কথা শোনাতে ছাড়েনা বাইরে বেড়োলে লোকে আরো হাজারটা কথা শোনাবে। ”

স্পন্দন হালকা একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

— ” সমাজ? রাইট, এই সমাজ সমাজ করে করে আপনারা নিজেদের কোথায় নামাচ্ছেন সেটা জানেন। এইযে চব্বিশ ঘন্টায় বাহাত্তর বার সমাজ সমাজ যপে যান। যদি কাল আমি ঠিক সময় না পৌছাতাম তাহলে তো ওরা মেয়েটাকে মেরেই ফেলতো। তখন কার কষ্ট হতো সমাজের? নাকি আপনাদের? যদিও কতটা কষ্ট হত সেটা নিয়ে আমার এখন যথেষ্ট সন্দেহ আছে।”

স্পন্দনের মা মাথা নিচু করে ফেললন কারণ এটা তো সত্যিই। স্পন্দন একটা শ্বাস ফেলে বলল,

— ” জানেন আপনাদের এই সমাজ কী বলবে এই চিন্তাধারাই মেয়েদের জীবণের সব কষ্টের কারণ। রাস্তায় কোনো ছেলে ডিসটার্ব করেছে? চেপে যাও জানাজানি হলে সমাজ কী বলবে? বয়স কুড়ি পেরিয়ে গেছে তো বিয়ে দিয়ে দাও নইলে সমাজ কী বলবে? বিয়ের পর স্বামী শশুর বাড়ির লোক অত্যাচার করছে একটু মানিয়ে নাও, বিয়ের পর মেয়েরা বাপের বাড়ি থাকলে সমাজ কী বলবে? ডিবোর্স হয়ে গেছে তবুও মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া যাবেনা তাহলে সমাজ কী বলবে? কিন্তু অবাক করা বিষয় কী জানেন? রাস্তায় ছেলেদের কাছে হ্যারেজড হয়ে রাতে মুখ চেপে যখন আপনাদের মেয়েরা কান্না করে সেটা দেখতে বা বুঝতে কিন্তু সমাজের কেউ আসেনা। বিয়ের পর যখন আপনার মেয়ের অপর অত্যাচার হয় তখন কষ্ট আপনাদের মেয়ে আর আপনারা পান, সমাজের কিন্তু তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা। ডিবোর্স হয়ে গেলে আপনার মেয়ে সারা জীবণ একাকিত্ব, কটুক্তি আর অপমান সহ্য করে তখন কিন্তু আপনাদের সো কলড সমাজ সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে আসেনা তাদের ওতো সময়ই নেই। তাহলে কেনো সমাজের চিন্তা করে নিজেরই মেয়েকে কষ্ট দেন আপনারা? ঔসব কিটেদের কাজই হলো ফ্রিতে অন্যের বিষয়ে নাক গলানোর সার্ভিস দেওয়া। যাদের মস্তিষ্কে এবং মনে মেয়েরা শুধু বিয়ে করতে ,বাচ্চা জন্ম দিতে আর রান্না করতে জন্মেছে এই ধারণা নামক কতোগুলো দুর্গন্ধযুক্ত পোকা জেকে বসে আছে। কিন্তু আপনারা কেনো সেই কিটেদের জন্যে নিজেদের ঘরের মেয়েদের জীবণ দুর্বিষহ করছেন?”

ওনারা সবাই চুপ হয়ে আছে। এই প্রশ্নের সত্যিই কোনো উত্তর নেই। সমাজের ভয়ে আমরা এতোটাই ভীত যে নিজেদের পরিবারে মেয়েদেরকে শালীনতার নাম করে এক যন্ত্রণাদ্বায়ক খাঁচায় বন্দি করে রেখেছি। যেখানে মুক্ত বায়ুতে দুহাত মেলে শ্বাস নিতেও মেয়েদের ভয় করে পাছে কেউ কিছু বলে? স্পন্দন আবার বলল,

— ” আপনার নিজের মেয়ে এই অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে। মাথায় ব্যান্ডেজ, হাটতে পারছেনা শরীরের এতো আঘাতের চিহ্ন অথচ যেখানে আপনাদের প্রথম ফোকাস হওয়া উচিত ছিলো ও কেমন আছে, কতোটা লেগেছে, ডক্টর কী বলেছে? সেখানে আপনাদের প্রশ্ন ছিলো যে ও কী ঘটিয়ে এসছে? সারারাত কোথায় ছিলো ব্লা ব্লা ব্লা। সেইম অন ইউ গাইস জাস্ট সেইম অন ইউ।”

গুঞ্জনের চোখ দিয়ে ও না চাইতেও জল গড়িয়ে পড়ল। এরপর গুঞ্জনের কাকা কাকীর দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” এন্ড ইয়েস ইউ নিজের বাড়ির মেয়ের এমন অবস্হা দেখেও যাদের মুখ দিয়ে আগে ওইধরণের নোংরা কথা বেড়োয়। সেসব নোংরা বাজে চরিত্রের মহিলা বা পুরুষের অন্য কারো চরিত্র নিয়ে কথা বলার কোনো যোগ্যতা নেই। আজ আমি বলছি গুঞ্জনের মতো মেয়েকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা আপনাদের নেই। তাই যদি মিনিমান লজ্জা থাকে তো চুপ থাকবেন। জানি আপনারা এরপরেও ঠিক হবেন না। কারণ কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয়না। আপনাদেরটাও হয়নি।”

এটুকু বলে চলে যেতে নিয়েও স্পন্দন থেমে গিয়ে বলল,

— ” মেঘলা আপনাকে দুদিন অফিস আসতে হবেনা। গুঞ্জনের শরীরের অবস্হা ভালো নেই। ওর একটু বেড রেস্ট এর প্রয়োজন। আমি অফিস থেকে ফেরার পথে একবার করে দেখে যাবো ওকে।”

মেঘলা মাথা নাড়ল। স্পন্দন সোজা বেড়িয়ে গেলো ওখান থেকে। গুঞ্জন কিছুক্ষণ স্পন্দনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে মেঘলার দিকে তাকাতেই মেঘলা ওকে ধরে ভেতরে নিয়ে গেলো। আবির পুরোটা না শুনলেও স্পন্দনের শেষের কিছু কথা শুনেছে। সেসব শুনে নিজের মনেই কিছু আওরে নিয়ে মুচকি হেসে আবার ছাদে চলে গেলো। গুঞ্জনের কাকা কাকীও চলে গেলো নিজের রুমে। গুঞ্জনের মা ওর বাবাকে বলল,

— ” ছেলেটা কিন্তু ঠিকই বলেছে। মেয়েটার সাথে আমরা বেশিই রুড হয়ে যাই। কিন্তু আমরাই বা কী করবো? কেনো এমন করে ও? কী দরকার এভাবে চলার?”

স্পন্দনের বাবা বলল,

— ” ওর এভাবে চলার পেছনে আমাদের দ্বায় কী একেবারেই নেই? আর মেঘলার সাথে যা হয়েছে তার জন্যে ও ঠিক কতোটা দ্বায়ী সেটাও তো আমরা জানিনা। কিন্তু রাশেদ আর অনিলা কী মিথ্যে বলবে?”

গুঞ্জনের মা একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,

— ” কিছুই বুঝতে পারছিনা।”

এরপর ওপারা দুজনেই ভাবনায় পরে গেলেন। কিছু তো ভুল হচ্ছে। কেনো জানিনা সব ঠিক লাগছেনা তাদের কাছে। কোথাও একটা বিশাল ঘাপলা আছে। আর ওনারা এখনো অন্ধকারে।

______________________

স্পন্দনের বাড়ির সবাই একসাথে ডাইনিং এ বসে আছে। লাঞ্চ করবে। কিন্তু লাঞ্চ শুরুর আগেই কাল কেনো বাড়ি ফিরতে পারেনি, গুঞ্জনের সাথে হওয়া ঘটনা সব খুলে বলল ওদের। সব শুনে মিসেস চৌধুরী অবাক হয়ে বললেন,

— ” এমন পরিবারও হয়? ছিঃ আমার তো ওর কাকা কাকীর কথা ভাবলেই ঘৃণা লাগছে।”

মিস্টার চৌধুরী বললেন,

— ” ছোট থেকেই যদি মেয়েটা এগুলো সহ্য করে থাকে তাহলে ওর ঐরকম বেপরোয়া তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছুই না।”

স্পন্দন একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,

— ” হুমম আমিও আজ বুঝলাম সেটা। এতদিন ভাবতাম যে মেয়েটার মন এতো ভালো সে এতো অবাধ্য বেপরোয়া কীকরে হলো? আজ মোটামুটি সিউর হয়ে গেলাম। আসলে প্রত্যেকটা মেয়েরই ওর মতো হওয়া উচিত অন্তত নিজের জন্যে। কিন্তু বারতি যেটুকু করে সেটা পরিবারের ওপর জেদ করে করে সেটা ক্লিয়ার আজ আমি।”

মিসেস চৌধুরী একটু উৎসাহিত কন্ঠে বললেন,

— ” মেয়েটার সাহস আছে বলো? ওভাবে ঘায়েল হয়েও ছেলেগুলোকে পেটাচ্ছিলো?”

স্পন্দন একটু হেসে আনমনেই বলে ফেলল,

— ” এইজন্যেই তো ওকে ঝাঁসির রাণী বলি।”

মিস্টার চৌধুরী পানি খেতে নিচ্ছিলো এটা শুনে বিষম খেলো। মিসেস চৌধুরী মিস্টার চৌধুরীর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে আবাক হয়ে তাকিয়ে আছে স্পন্দনের দিকে। সারাও হা করে তাকিয়ে আছে। যদিও একবার শুনেছে ও এই ডাক স্পন্দনের মুখে । তবে স্পন্দন যে এতো সিরিয়াস এই নাম নিয়ে সেটা ভাবেনি। স্পন্দন সবার এক্সপ্রেশন দেখে বুঝতে পারল কী বলে ফেলেছে। ব্যাপারটা এড়াতে একটু গলা ঝেড়ে খাওয়া শুরু করে দিলো। একটু পর সারা একটু খোঁচা মেরে বলল,

— ” আচ্ছা ভাইয়া কাল সত্যিই তোরা হাজবেন্ট ওয়াইফ হিসেবে ছিলি?”

স্পন্দন বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” আরে চুপ করে খা নারে ভাই। কেনো পেঁচাচ্ছিস?”

সবাই আরেকদফা অবাক হলো। স্পন্দন এভাবে কথা বলছে? এই ভঙ্গিতে কথা তো ও জীবণেও বলেনা। সারা অবাক হয়ে বলে,

— ” ভাইয়া এভাবে তো গুঞ্জন কথা বলে। তুই..”

স্পন্দন চোখ গরম করে তাকাতেই সারা চুপ হয়ে গেলো। স্পন্দন হাতে খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে ওপরে চলে গেলো। খুব বিরক্ত লাগছে ওর। ও এভাবে কথা বলল? সিরিয়াসলি? ওই মেয়ে ওর স্বভাবই বদলে দিচ্ছে যা আজ অবধি কেউ পারেনি। স্টেঞ্জ! ওরা সিরিয়াস ফেস করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তিনজনেই শব্দ করে হেসে দিলো।

______________________

বেশ রাত হয়েছে। স্পন্দনের চোখে এখনো ঘুম ধরা দেয়নি গুঞ্জনের কথা বারবার মনে পড়ছে ওর। এখন কেমন আছে মেয়েটা? আচ্ছা ঐ বাড়িতে কী সমসময়ই ওর সাথে এমন ব্যবহার করে ওরা? এগুলো সহ্য করে থাকে কী করে ও? ঔষধ খেয়েছে? যেই ছটফটে মেয়ে লাফালাফি করতে গিয়ে ব্যাথা পায়নি তো? এসব চিন্তা অজান্তেই ওর মনে এসে বাসা বাধছে। ও চেষ্টা করেও গুঞ্জনের ভাবনা থেকে নিজেকে সরাতে পারছেনা।

গুঞ্জনও বেডে শুয়ে আছে। মেঘলা ঘুমিয়ে পরেছে। আজ মেঘলা ওর সাথেই ঘুমিয়েছে। কিন্তু ওর চোখে ঘুম আসছেনা। ওরও স্পন্দনের কথা মনে পরছে। এতোদিন স্পন্দনকে নিয়ে ওর বিশেষ কোনো আগ্রহ ছিলোনা। কিন্তু কাল আর আজকের পর কিছুতেই স্পন্দনকে ভুলতে পারছেনা। বিশেষ করে আজকে স্পন্দনের বলা কথাগুলোর পর গুঞ্জনের মনে গেথে গেছে ও। এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনটা ভাইবারেট হয়ে উঠলো। গুঞ্জন হাতে নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার। ভ্রু কুচকে কিছুক্ষণ নাম্বারটা দেখে রিসিভ করে বলল,

— ” হ্যাঁলো।”

ওপাশের কন্ঠস্বর শুনে লাফ দিয়ে উঠে বসল ও। ফলে শরীরের ব্যথায় ‘আহ’ করে উঠলো। ওপাশের ব্যাক্তিটি উত্তেজিত প্লাস রাগী কন্ঠে বলল,

— ” কী হয়েছে? লাগলো তো? কথায় কথায় শুধু লাফাতে হবে স্টুপিড একটা।”

গুঞ্জন একটু জোরে বলে উঠলো,

— ” তুমি..”

এটুকু বলে থেকে গিয়ে পাশে তাকিয়ে মেঘলাকে দেখে ফোনটা মুখের কাছে নিয়ে হা দিয়ে মুগ ঢেকে ফিসফিসিয়ে বলল,

— ” তুমি এতো রাতে ফোন কেনো করেছো? আর আমার নাম্বার কোথায় পেলে?”

গুঞ্জন অপর পাশের ব্যাক্তির উত্তরের অপেক্ষা করছে আর ভাবছে যে ও হঠাৎ এখন কেনো ফোন করলো আর নাম্বারই বা কোথায় পেলো? এতো রাতে কী বা দরকার পরতে পারে?

#চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ