#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৪
রাতে শরীর কাঁপিয়ে জ্বর আসলো ইয়ানার। মাথা যন্ত্রণায় ছিড়ে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে উঠে বসলো, হাত ব্যথায় টইটুম্বুর হয়ে আছে। এই ব্যথা থেকেই শরীর পুড়িয়ে জ্বর আনলো। দূর্বল শরীর নিয়ে ঔষধ খুঁজতে লাগলো। বেডের পাশে টেবিলে চোখ পড়লো ঔষধের প্যাকেট। অনেক কষ্টে গ্লাসে পানি ঢেলে খালি পেটেই ঔষধ খেয়ে নিলো। শরীরে বিন্দু পরিমাণ শক্তি নেই যে উঠে যেয়ে কিছু খেয়ে নিবে। মায়ের কথা মনে পড়তে তাচ্ছিল্য হাসলো। পরে কাঁথা গায় দিয়ে শুয়ে পড়লো।
——————
সকাল সকাল উপস্থিত হলো ইসহাক আহমেদ (ইয়ানার বাবা)। এসেই মেয়ের খোঁজ নিতে লাগলো।
ইতি বেগমের এবার ভয় লাগতে লাগলো কালকের ঘটনার জন্য। ভয়ে ভয়ে বললো ওর রুমে আছে ঘুমাচ্ছে।
ইসহাক আহমেদ মেয়ের রুমের যেয়ে নক দিলো। দরজার করাঘাতে ইয়ানার ঘুম ভাঙলো। বাবার কণ্ঠস্বর শুনে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো। দরজা খোলার জন্য উঠতে যাবে ওমনি মাথা ঘুরে উঠলো। ব্যথায় চোখমুখ কুঁচকে ফেললো।
আস্তে ধীরে উঠে দরজা খুলে বাবাকে দেখে জড়িয়ে ধরলো ইয়ানা।
ইসহাক আহমেদ হালকা হেসে মেয়ের গায়ে হাত দিতে আঁতকে উঠলো। শরীর প্রচুর গরম হয়ে আছে তা দেখে তিনি বিচলিত হয়ে ইয়ানাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে কপালে হাত দিয়ে দেখলো জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। তিনি কিছু বলতে যাবে তখন চোখ পড়লো হাতের ব্যান্ডেজের দিকে। মেয়ের এমন করুন অবস্থা দেখে তার পুরো দুনিয়াটা ঘুরে উঠলো। তার কলিজার টুকরোটাকে এভাবে কে আঘাত করলো? তিনি বিচলিত হয়ে ইয়ানাকে বেডে বসিয়ে দিলো বলতে লাগলো আম্মু কি হয়েছে তোমার? হাতে ব্যান্ডেজ কেনো? জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। এগুলে কবে হলো? আমাকে কিছু জানাও নি কেনো? খুব কষ্টে হচ্ছে তোমার? ডক্টর ডাকবো?
ইয়ানা বাবাকে এতো বিচলিত হতে দেখে তাকে এক পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে ধির গলায় বললো এতো হাইপার হয়ো না বাবা। আমি ঠিক আছি এটা সামান্য একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে। পরে ইয়ানা সবটা খুলে বললো।
সব শুনে ইসহাক আহমেদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়লো কে তার নিস্পাপ মেয়েটার উপর এভাবে হামলা চালালো। মেয়েকে তিনি বড্ড বেশি ভালোবাসে, মেয়ের একটু আঘাতে তার বুক কাপে সেখানে তার ফুলের মত মেয়েটা এমন আঘাত পেলো আর তা তিনি জানেন এই না। রাগে কপালের রগ ফুলে উঠলো, হাঁক ছেড়ে ইতি বেগম কে ডাকতে লাগলো। ইতে বেগম আসতেই তিনি হুংকার দিয়ে বলো উঠলো আমার কলিজার টুকরোর এই অবস্থা এই খবর তুমি কোন সাহসে আমাকে জানাও নি?
ইতি বেগম ভয়ে কেঁপে উঠলো। কি জবাব দিবে বুঝতে উঠতে পারলো না। ভয়ে ভয়ে আমতা আমতা করতে লাগলো আ..আসলে
ইতি বেগমকে এমন আমতা আমতা করতে দেখে ইসহাক আরো গর্জে উঠলো। এতে ইতি বেগমর পরান পাখি যায় যায় অবস্থা।
ইয়ানা একবার মায়ের দিকে তাকিয়ে ইসহাক আহমেদের উদ্দেশ্যে বললো বাবা মাকে বকো না। মায়ের কোনো দোষ নেই আমি এই মাকে না করেছি তোমাকে জানাতে। তুমি এমনি ঢাকার বাহিরে ছিলে আমার এই অবস্থা শুনলে টেনশন করবে এমনি তোমার হাই প্রেশার তাই আর টেনশন দিতে চাই নি। তুমি বিচলিত হয়ো না আমি ঠিক আছি এ বলে মলিন হাসলো ইয়ানা।
ইসহাক আহমেদ মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নিলো। মেয়ে অসুস্থ তাই আর ইতি বেগমকে কিছু বললো না। বাসায় ডক্টর আনতে চাইলে ইয়ানা না করে দিলো। বললো ঔষধ আছে ওগুলো খেলে ঠিক হয়ে যাবে।
ইসহাক আহমেদ মেয়েকে নিজ হাতে খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলেন। তারপর শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন। ইয়ানা আবেশে চোখ বুঁজে নিলো, বাবার এত স্নেহে চোখ জোরা ভোরে উঠলো। মায়ের আদর কখনো না পেলেও বাবা মায়ের আদরটা পুষিয়ে দিয়েছে। সব সময় বুকের ভিতর আগলে রেখেছে।
———————————
পারফি সারারাত ঘুমাতে পারলো না। বারবার শুধু ইয়ানার মুখশ্রী ভেসে উঠছে চোখের সামনে। চোখ জোরা অসম্ভব পরিমান লাল হয়ে আছে। অনেক খোঁজ নেওয়ার পর ও আসল কালপ্রিট এর খোঁজ মিললো না। কে এমন পিছু লেগেছে, কেনোই বা লেগেছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।
অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে তাই রেডি হয়ে নিচে নেমে গেলো। যেখানে সবাই উপস্থিত ছিলো ওর জন্যই ওয়েট করছিলো।
পারফি যেয়ে চেয়ার টেনে বসতে পাভেল চৌধুরী বললো শুনলাম কাল প্রীতির ফ্রেন্ডের উপরে কেউ অ্যাটাক করেছে। কে বা কারা করেছে কোনো খোঁজ পেয়েছো?
হুম ছেলেটাকে ধরে ছিলাম আব্বু বাট ওকে দিয়ে আরেকজন করিয়েছে কাজটা। যে কাজটা করিয়েছে সে ভেবেছে স্নি.. না মানে মেয়েটা আমার উইকনেস তাই ওর উপরে অ্যাটাক করেছে।
যেহেতু ভেবেছে মেয়েটা তোমার উইকনেস তাই ওর উপরে আরো অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওর সেফটির ব্যবস্থা করো। আর এর পিছনে কারা আছে তা খুঁজে বের করো।
খুঁজে তো বের করবোই সে যেখানেই লুকিয়ে থাক না কেনো।
পাভেল চৌধুরী মুচকি হেসে বললো এই নাহলে আমার ছেলে।
পিয়াসা বেগম এবার তেতে উঠে বললো যেমন নিজে হয়েছো অমন ছেলেকেও বানিয়েছো। কতবার করে বলেছি এই রিস্কি কাজ ছেড়ে দাও। আজ তোমাদের এই কাজের জন্য একটা স্বাভাবিক জীবন জাপান করতে পারি না আমরা। সব সময় গার্ডের ছায়াতলে থাকা লাগে। এই কাজ ছেড়ে দিয়ে একটা স্বাভাবিক জীবন জাপান করতে কি সমস্যা তোমার?
পাভেল চৌধুরী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো পিয়াসা আজ সবার মতো খোলামেলা স্বাভাবিক একটা জীবন পাচ্ছো না দেখে তুমি চেতে যাচ্ছো। আর আমি এ কাজ না করলে হাজারো জনগণ হারাবে তার পরিবার। অন্যায় অবিচারে হাজারো মেয়ে হারায় তার স্বামীকে, হাজারো সন্তান হারায় তার বাবা-মাকে। এগুলো মুখ বুঁজে কি করে সহ্য করি বলো? এই পরিস্থিতির সম্মুখে আমিও পড়েছি তাই বুঝি এর কষ্ট। অন্যায় মুখ বুঁজে দেখার ক্ষমতা আমার নেই পিয়াসা এতে যদি নিজের জীবন ও দিতে হয় তাতেও আমার আপত্তি নেই।
পিয়াসা এবার চুপ হয়ে গেলো। পাভেল চৌধুরীর ভয়ংকর অতীত এর কথা মনে পরে গেলো৷ পাভেল চৌধুরীর বাবা ও ছিলো একজন জার্নালিস্ট। তিনি যখন খুব ছোট ছিলেন তখন তার বাবা- মাকে শত্রুপক্ষরা হত্যা করে সেই থেকে তিনিও প্রতিজ্ঞা করে এদের কাউকে তিনি ছাড়বে না। বড় হয়ে নিজেও একজন বড় জার্নালিস্ট হয়ে উঠে বাবার খুনিদের সবাইকে ধরে তাদের উপর্যুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে। এভাবেই দেশের যেকোনো সন্ত্রাসদের নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো অন্যায় দেখে তার প্রশ্রয় দেয় না। এই জন্য তার শত্রুর কোনো অভাব নেই। এতো শত্রুর ভেরাজালে থেকে পিয়াস বেগম মাঝে মাঝে রেগে যায় কিন্তু মন থেকে স্বামীর এমন সৎ কাজকে শ্রদ্ধা করে।
পাভেল চৌধুরী নাস্তা শেষ করে কোনো কথা না বলে চুপচাপ চলে গেলো নিজের কাজে৷
পাভেল চৌধুরীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে চোখ জোরা চিকচিক করে উঠলো পিয়াসার।
পারফি খাবার ছেড়ে উঠে মাকে বুকে আগলে নিলো। পিয়াসা বেগম নিজেকে সামলাতে না পেরে ফুপিয়ে কান্না করে উঠলো। পারফি মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো তুমি এতো টেনশন করো কেনো আম্মু? আমরা আছিতো কেউ কিছু করতে পারবে না আমাদের। আমরা যদি অন্যায় দেখে চুপ থাকি তাহলে দেশের অসহায় মানুষদের কি হবে বলো? আমি জানি আব্বুর পেশাকে তুমি মন থেকে শ্রদ্ধা করো কিন্তু আমাদের হারিয়ে ফেলার ভয় পাও তুমি তাই বাবাকে এই পেশা থেকে সরে যেতে বলো। আমাদের কিছু হবে না তুমি এতো টেনশন করো না এতে তোমার শরীর খারাপ করবে। তুমি এভাবে ভেঙে পড়লে আব্বু নিজেও কষ্ট পায়। কারো কিছু হবে না, আব্বুর পাশে আমরা আছি, আব্বু আমাদের পাশে আছে এর চেয়ে বেশি কি লাগে বলো? আমরা সবাই এক সাথে হয়ে থাকলে শত্রুপক্ষ আমাদের কিছুই করতে পারবে না। আব্বুর অতীত তো সব জানোই তাই এভাবে ভেঙে না পরে সাহস দেও দেখবে মানুষটা শান্তি পাবে।
পিয়াস বেগম বুঝদারের মত মাথা নাড়লো। পারফি মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বললো টেনশন করবে না একদম আমি আছি তো। এবার অফিসে যাই লেট হয়ে যাচ্ছে।
পিয়াসা বেগম ছেলের কপালে চুমু দিয়ে বললো সাবধানে যাস।
পারফি মুচকি হেসে বাসা থেকে বের হতে নিয়েও আবার মায়ের কাছে ফিরে এসে বললো প্রীতির ফ্রেন্ড মানে ইয়ানার লাইফ যে এখন ঝুঁকিপূর্ণ সেটা প্রীতিকে জানিও না। টেনশন করবে তাহলে, এখন টেনশন দেওয়ার সময় না তাহলে ওর পড়ালেখায় ক্ষতি হবে। আমি আমার সবটা দিয়ে মেয়েটাকে রক্ষা করবো।
ইয়ানার যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সে দিকে ভালো করে খেয়াল রেখো। মেয়েটা খুব সহজসরল, মায়ের কাছ থেকে সব সময় অবহেলা পেয়ে এসেছে। ওই নিস্পাপ মেয়েটাকে কষ্ট পেতে দিয়ো না। না চাইতেও ফুলের মতো মেয়েটা আমাদের শত্রুর কবলে পরে গেলো এখন ওকে রক্ষা করা পুরোটাই আমাদের দায়িত্ব।
ওর কোনো ক্ষতি হবে না টেনশন করো না তুমি। আর প্রীতিকে শাফিন কেলেজে পৌঁছে দিয়ে আসবে আমি বলে দিবো শাফিনকে। অফিসে জরুরি কাজ পড়ে গেছে তাই তারাতাড়ি যাওয়া লাগছে। আসার সময় আমি ওকে নিয়ে আসবো এ বলে চলে গেলো পারফি।
————————————
প্রীতির ঘুম ভাঙতে ইয়ানার সাথে আগে কথা বলে নিলো। ওর বাবা ফিরে এসেছে শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। ভাবলো কলেজ শেষ হলে একবার যেয়ে দেখে আসবে ইয়ানাকে।
কলেজের জন্য রেডি হয়ে নিচে নামতে মায়ের থেকে জানতে পারলো শাফিন পৌঁছে দিয়ে আসবে। তাই নাস্তা শেষ করে বাসা থেকে বের হয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো শাফিনের কিন্তু তার আসার নাম গন্ধ ও নেই। প্রীতি এবার বিরক্ত হয়ে শাফিনদের বাসায় গেলো। শাফিনদের আর প্রীতিদের বাসা পাশাপাশি।
বাসায় প্রবেশ করতেই দেখা হলো শাহানা বেগমের সাথে ( শাফিনের মা)। শাহানা বেগমকে দেখে প্রীতি জড়িয়ে ধরে বললো কেমন আছো আন্টি।
শাহানা বেগম গাল ফুলিয়ে বললো এতক্ষণে সময় হলো আন্টির আছে আসা, তোর সাথে আমার কথা নেই যা।
প্রিতি কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো রাগ করো না কলিজার টুকরো আন্টি। তোমাকে তো বলাই হয় নি কালকে কি হয়েছে যার জন্য আসতে পারি নি।
শাফিনের কাছে শুনলাম তোর ফ্রেন্ডকে কারা নাকি হাতে ছু/রি বসিয়ে দিয়েছে। কি অবস্থা এখন ওর?
এখন একটু সুস্থ। এই ঘটনার জন্যই তোমার সাথে কাল দেখা করতে পারি নি, আর রাগ করে থেকো না প্লিজ।
বুঝেছি এখন রাগ করে নেই। কিছু খেয়েছিস? খাইয়ে দিবো?
না না মাত্র খেয়েই আসলাম এবার বলো তোমার গুনধর ছেলে কোথায়? আমাকে কলেজে দিয়ে বাসার কথা এখন তো তার কোনো খবর এই নেই। কখন থেকে বাহিরে অপেক্ষা করছি।
ফাজিলটা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে দাঁড়া জাগিয়ে দিচ্ছি। এ বলে উপরে উঠে গেলো তার পিছু পিছু প্রীতি ও উঠলো।
শাফিন ঘুমের মাঝে অনুভব করলো কেউ কান ধরে টানছে। হঠাৎ কানে ব্যথা অনুভব করতে ধরফরিয়ে উঠলো।
শাফিনের অবস্থা দেখে প্রীতি খিলখিল করে হেঁসে উঠলো। শাফিন একবার প্রীতির দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। সব কিছু বুঝতে কিছুটা সময় লাগলো। সব বুঝতে প্রীতির দিকে রাগি লুকে তাকালো তা দেখে প্রীতি জিভ বের করে ভেংচি কাটলো। শাফিনের তা দেখে রাগ আরে বারলো পারলে প্রীতিকে চিবিয়ে খায়। তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে অসহায় কন্ঠে বললো মা আমি এখন বড় হয়েছি এখনো এভাবে কান মলা দিয়ে ঘুম থেকে উঠানো কি ঠিক?
শুধু তো কান মলা দিয়েছি মার দেই নাই এটা তোর ভাগ্য। আমার মেয়েকে কোন সাহসে এত সময় অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিস? মেয়েটা সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছে।
মায়ের কথায় শাফিনের মনে পরলো পারফি ওকে ফোন করে বলেছিলো প্রীতিকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে অফিসে যেতে ও আচ্ছা বলে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলো ভাবতেই ঢোক গিললো। এখন যে শাহানা বেগম ওকে আস্ত রাখবে না ভাবতেই ঢোক গিললো।
শাফিনের অবস্থা দেখে প্রীতি মুখ টিপে হেসেই চলেছে। শাফিন মনে মনে ফুঁসতে লাগলো প্রীতির কাজে।মনে মনে ভাবলো একবার শুধু তোমাকে বাগে পাই চান্দু তারপর দেখাবো মজা।
শাহানা বেগম পারফিকে একধাপ বকাঝকা করে নিচে চলে গেলো। বললো তারাতাড়ি রেডি হয়ে প্রীতিকে নিয়ে কলেজে যেতে।
শাহানা বেগমের যেতে শাফিন বাঁকা হাসলো। শাফিনের এমন হাসি দেখে প্রীতি বুঝলো যে ওর কপালে শনি আছে তাই দৌড়ে রুম থেকে বের হতে যাবে অমনি ক্ষপ করে শাফিন প্রীতির হাত ধরে ফেললো।
#চলবে?
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰