তুমি আমার প্রিয়তমা পর্ব-০৮

0
1630

#তুমি_আমার_প্রিয়তমা
#লেখিকা_Amaya_Nafshiyat
#পর্ব_০৮

মুসকান এবং আকিল এখনও ফেরেনি বাসায়।আসতে বেশ রাত হতে পারে বলে ফোন দিয়ে জানিয়েছে আবিদকে।আবিদ সে কথা তার মা চাচীকে জানিয়ে দিয়েছে যাতে ওনারা টেনশন না করেন।

সৌরভ ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে ভাতিজা জিহানকে কোলে নিয়ে আবিরের বিয়ের কার্ড খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো।রাজকীয় কুশিয়ারা সেন্টারে বিয়ে হবে বলে ঠিক করা হয়েছে কনে পক্ষ থেকে।আর সৌরভদের পক্ষ থেকে ওয়ালিমা হবে খানস প্যালেস কনভেনশন হলে।এবং গায়ে হলুদ যার যার বাসায় হবে।

তূর্য একে একে দরকারী সব জিনিসের নাম পড়ে শোনালো লিস্ট থেকে।ওয়ালিমার আগে একটা গরু কিনে আনতে হবে।মুরগী থেকে শুরু করে যা যা দরকার তা সবই নিয়ে আসতে হবে।এবং এটার দায়িত্ব আবিদ,হৃদয় আর মি.শফিক নিয়েছেন।মি.সালাম ও তূর্যের বাবা মি.মিছবাহ তদারকির দায়িত্বে আছেন।সবকিছু ডেকোরেশনের দায়িত্ব তূর্য,আকিল,মুসকান ও সৌরভের।কনেদের বাড়িতে পাঠানো সব তথ্য সাজানোর দায়িত্ব মেয়েদেরকে দেয়া হয়েছে।পিঠেপুলি বানানোর দায়িত্ব সব মহিলাদের।এসবকিছু নিয়ে ডিসকাস করা হলো অনেকক্ষণ যাবৎ।

মিসেস জেসমিন হঠাৎ মিসেস মিনাকে জিজ্ঞেস করলেন;

মিসেস জেসমিন:-সবই তো বুঝলাম ভাবী!আবিরের তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে,তবে সৌরভ কেন বাদ যাবে?ওরও বিয়ে দেয়া দরকার।তোমরা যদি বলো তবে আমি আমার জুইয়ের সাথে আমার ভাইপোর বিয়ের কথা আগাতে পারি।

মিসেস মিনা নির্বিকার ভাবে জবাব দিলেন;

মিসেস মিনা:-বললেই তো হয়ে যায় না গো ননদী।ছেলের পছন্দ তো হতে হবে।সৌরভ যদি জুইকে বিয়ে করতে রাজি হয় তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।আমার ছেলের খুশিতেই আমরা খুশি।

ওনাদের কথা শুনে জুই লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে গেছে পুরো।প্রিয়তা রাগে জ্বলতে জ্বলতে এটমবোম্ব হয়ে গেছে প্রায়।প্রিয়তা এ কদিনে বুঝে গেছে যে সৌরভকে তার চাই।সৌরভকে সে খুব পছন্দ করে।এতই পছন্দ করে যে এখন তার জুইকেই সহ্য হয় না।অথচ জুইয়ের সাথে তার খুব ভাব ছিলো।জুই সৌরভের প্রতি দুর্বল বলে এখন জুইকে অপছন্দ করতে শুরু করেছে সে মনের অজান্তেই।সৌরভের প্রতি এ ভালোলাগাটা সে ভালোবাসা অবধি নিতে চায়।সে বুঝতে পারছে না ওনাদের বলা কথা শুনে তার এত কেন ফাটছে!এত কেন কষ্ট হচ্ছে বুকে?

এসব কথা শুনে একমাত্র সৌরভের মধ্যেই কোনো ভাবান্তর ঘটলো না।মিসেস জেসমিন এবার সৌরভকে জিজ্ঞেস করলেন;

সৌরভ:-কী রে সৌরভ!করবি আমার মেয়েকে বিয়ে?

সৌরভ একবার আরচোখে প্রিয়তাকে দেখে নিলো।প্রিয়তার গাল ফোলানো দেখে সে যা বোঝার বুঝে ফেললো।ঠোঁটে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে একবার জুইয়ের দিকে তাকালো সৌরভ।জুই নববধূর মতো লজ্জায় টুকটুকে হয়ে বসে আছে।সৌরভ সহাস্যে জবাব দিলো;

সৌরভ:-সরি ফুপ্পি।আসলে আমার অন্য কাউকে পছন্দ।এবং আল্লাহ চাহেন তো আমি একমাত্র তাকেই বিয়ে করবো।সে ব্যতিত অন্য কাউকে নয়।জুই আমার চাইতে আরও ভালো কাউকে ডিজার্ভ করে।তাই জুইকে আমি আমার লাইফ পার্টনার হিসেবে চাই না।

সৌরভের কথা শুনে জুইয়ের লাজুক মুখটা চুপসে গেল।প্রিয়তা কিছুটা খুশি হলেও পুরোপুরি হতে পারে নি।কারণ সৌরভ জুইকে নয় অন্য কাউকে পছন্দ করে।এ কথা শুনেই সে আর মন থেকে খুশি হতে পারে নি।কষ্ট হচ্ছে খুব তার মনের মধ্যে।প্রিয়তা চুপচাপ বসে বসে টিভি দেখছে।সৌরভের দিকে আর একবারও তাকালো না অভিমানে।

মিসেস মিনা থেকে শুরু করে উপস্থিত যারা সৌরভের পছন্দের কথা জানে না তারা অবাক হয়ে গেছে সৌরভের কথা শুনে।মিসেস মিনা কৌতুহলী কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন;

মিসেস মিনা:-তাই নাকি বাবা?তোর মেয়ে আগে থেকে পছন্দ করা আছে?কে সে?আমায় বল,আমি দরকার পড়লে কালকেই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো।

মি.শফিক:-হ্যা সৌরভ,বলে দে তোর কাকে পছন্দ।আমরা তো আর তোকে মানা করবো না।

আবিদ:-তলে তলে ট্যাম্পু চলে আর আমরা জিগাইলে কস হরতাল,তাই না?(সৌরভের পিঠে চাপড় মেরে)

সৌরভ:-ওসব কিছু না ভাইয়া।জাস্ট পছন্দ করেছি।কোনো রিলেশন নেই মেয়েটার সাথে।তবে আগে আবিরের বিয়ের ঝামেলা মিটুক।তারপর আমি নিজে থেকেই জানাবো তার কথা তোমাদেরকে।তখন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেও।

মি.সালাম:-আচ্ছা তবে ঠিক আছে তাই হবে।তুই চিন্তা করিস না বাবা।ওই মেয়েটার সাথেই তোর বিয়ে দিবো আমরা।আমাদের ছেলের একমাত্র পছন্দ বলে কথা।নিশ্চয়ই ভালো কাউকে পছন্দ করেছে।

হৃদয়:-হুম তা তো বটেই।যাকগে ইশা বাচ্চাদেরকে খাবার খাইয়ে আমার জন্য খাবার বাড়ো টেবিলে।খুব খিদে পেয়েছে আমার।সারাদিনে পেটে কিছু পড়ে নি।

ইশা:-তুমি ডাইনিংয়ে আসো তাহলে,আমি খাবার বাড়ছি।

হৃদয়:-হ্যা আসছি।

বড়রা রুমে চলে যেতেই মেয়েদের গল্পের আসর জমে ওঠে ড্রয়িং রুম জুড়ে।তানিয়া,ডলি,পান্না ওরা কালকে কী কী কিনবে সেসব আলোচনা করছে ধুমসে জুই ফ্যাঁকাশে চেহারা নিয়ে তাদের কথায় হু হা করে জবাব দিচ্ছে।প্রিয়তাও বেশ চুপচাপ হয়ে বসে আছে।আবির,সৌরভ ও তূর্য ওরা খেলা দেখছে সোফায় আয়েশ করে বসে।

🖤

রাতের খাবার সেড়ে সবাই যে যার রুমে চলে গেল।প্রিয়তা বিছানায় শুয়ে শুধু এপাশ ওপাশ করছে।তার একটুও ঘুম আসছে না।বারবার খালি সৌরভের বলা কথাটা কানে বাজছে।মনের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়েছে তার।অশান্ত মন যে কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না!এখন এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

প্রিয়তা খুব ভালো করে জানে যে এখন তার আব্বু আম্মু মরে গেলেও তাকে বিয়ে দেবে না।ভাই তো আরও এককাঠি সরেস।ওনাদের সবার ইচ্ছা যে প্রিয়তা হাইয়ার স্টাডি কমপ্লিট করে তারপর বড় পদের চাকরি করবে।কিন্তু এদিকে প্রিয়তার পড়াশোনা করতে মোটেও ভালো লাগে না।পড়াশোনায় ঢিলও দিতে পারে না কারণ মুসকান কান টেনে ছিঁড়ে ফেলবে তার এমন কথা চিন্তা করলে।একটামাত্র বোনকে নিয়ে সে মারাত্মক পসেসিভ।পড়ায় নিজে গাইড করে।টিচার কী পড়িয়েছে না পড়িয়েছে সব পাই টু পাই চেক করে মুসকান।এমতাবস্থায় বিয়ে অসম্ভব।আর সৌরভ তো অন্য কাউকে ভালোবাসে।তাহলে এখন কী হবে?

এ-সব ভাবতে ভাবতেই প্রিয়তা জীবনের প্রথম কোনো নির্ঘুম রাত কাটালো।
এদিকে সৌরভ মনে মনে ভাবছে প্রিয়তার গাল ফোলানোর কথা।সৌরভ এটা বুঝে গেছে যে প্রিয়তা মনে মনে তাকে বেশ পছন্দ করে।এটা ভাবতেই এক প্রশান্তির বাতাস মন ছুঁয়ে গেল তার।ঠোঁটের কোণে একটুকরো তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠে।আরামের ঘুম নেমে এলো তার চোখদ্বয়ে।

🖤

পরদিন,,
শেষ দুপুরের দিকে সবাই তৈরী হয়ে শপিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরোলো।রাতে ঘুম না হওয়ায় প্রিয়তার আজকে ঘুম ভাঙতে বড্ড দেরি হয়েছে।প্রিয়তার বাবা মাও সকাল সকাল এসে পড়েছেন সৌরভদের বাসায়।তাই সবাই মিলে আজ শপিংয়ে যাচ্ছেন কেনাকাটা করতে।

যতজনের হাইয়েস গাড়িতে জায়গা হয়েছে ততজন গাড়িতে করেই চলে গেলেন।প্রিয়তা মুসকানের বাইকে ওঠে বসলো।সৌরভের বাইকে ডলি,তূর্যর বাইকে জুই,আকিলের বাইকে তানিয়া এবং আবিরের বাইকে পান্না বসেছে।সবাই ঠিকঠাক মতো বসতেই বাইক স্টার্ট দেয়া হয়।প্রিয়তা মুসকানকে ধরে বসে সৌরভের দিকে মলিন দৃষ্টিতে তাকালো।যদি এমন কোনো ক্ষমতা তার হাতে থাকতো তবে এই মুহুর্তে সৌরভকে সে নিজের করে নিতো।

প্রায় মিনিট পনেরো পর ব্লু ওয়াটার শপিং সিটিতে গিয়ে পৌঁছালো সবাই।গাড়ি বাইক সব যথাস্থানে পার্কিং করে শপিং মলে প্রবেশ করলো ওরা।মুসকান প্রিয়তার হাত ধরে রেখেছে শক্ত করে।সৌরভ আগে আগে আবিরের সাথে কথা বলতে বলতে হাঁটছে।

সবাই সবার মতো কেনাকাটা করছে।মুসকান প্রিয়তাকে প্রিয়তার পছন্দমতো কাপড় চোপড় কিনে দিচ্ছে।একটামাত্র আদরের ছোট বোন।তাকে দেবে না তো কাকে দেবে!

প্রিয়তার শপিংয়ে মন বসছে না।তার বেহায়া চোখ জোড়া বারবার ঘুরেফিরে সৌরভকেই প্রত্যক্ষ করছে।সৌরভ সে আবিরকে সাথে নিয়ে জেন্টস শো রুমে গেল কাপড় কিনতে।মিসেস মিনা বাকি মহিলাদের সাথে ডিসকাস করে কনেপক্ষের সবার জন্য কাপড় চোপড় ক্রয় করছেন।

কেনাকাটা শেষ হতে হতে রাত ৯ টা বেজে গেছে প্রায় তাই সবাই পানসি রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবার খাওয়া সেড়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।সারাটা দিনে সৌরভ আর প্রিয়তার মধ্যে কোনো কথা বার্তা হয়নি।একমাত্র চোখাচোখি ব্যতিত।নিজের মনের মধ্যেই ছটফট করতে করতে শেষ প্রিয়তা।

প্রিয়তা বিয়ে উপলক্ষে আজ অনেক কেনাকাটা করেছে কিন্তু তার মন এসবে নেই।সে বড্ড হতাশ হয়ে আছে গতকাল থেকে।এখন ঠিকই বুঝছে এখন প্রেমে পড়ার জ্বালা।এতদিন অন্যান্য মানুষকে এসব নিয়ে কতকিছু শুনিয়েছে,কত ব্যঙ্গ করেছে,কিন্তু আজ তাকেই ভেঙালো যেন প্রকৃতি।

আজকেও ছটফট করতে করতে মাঝরাতের দিকে ঘুমালো প্রিয়তা।সৌরভ সে তার মতো নরমাল আছে।কোনো চিন্তা নেই প্যারাও নেই।চিল মুড!

🖤

সকাল থেকে শুরু হলো সব কাজকর্ম।একটা বিয়ে বাড়ির কতরকমের কতশত কাজ থাকে তা না বলাই বাহুল্য।প্রিয়তা সকাল থেকেই ব্যস্ত।তথ্য সাজানোর গুরুদায়িত্ব তার ওপর পড়েছে।কারণ সে এসব কাজ অনেক ভালো পারে।

সৌরভ ডেকোরেশনের সবকিছু তদারকি করছে।আজকে বেশ কয়েকজন লোক এসেছে ডেকোরেটার্স থেকে।ওই লোকগুলো মরিচবাতি লাগানো ও গেট সাজানোর কাজ করছে।তূর্য সৌরভের সাথে আছে।মুসকান প্রয়োজনীয় কিসব আনতে গিয়েছে দোকানে।সবাই একটা না একটা কাজে ব্যস্ত।

২ দিন পর বিয়ে।তাই এত ব্যস্ততা।কালকে গায়ে হলুদ ও মেহেদী অনুষ্ঠান একসাথে অনুষ্ঠিত হবে।

সৌরভ একটা টিশার্ট ও একটা ফোর কোয়ার্টার টাওজার পড়েছে আজ।তাকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে।প্রিয়তা গোসল করে ছাদে কাপড় মেলতে এসেছিলো।সামনের দিকে তাকাতেই নিচে সৌরভকে দেখতে পেল সে।দৃষ্টিটা ওখানেই স্থির হয়ে গেছে তার।পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো রেলিঙের কাছটাতে।এককোণে দাঁড়িয়ে একমনে সৌরভকে লক্ষ্য করছে সে।

হঠাৎ ছাদের দিকে তাকাতেই প্রিয়তার দিকে নজর গেল সৌরভের।সেও কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল।তারপর সম্বিৎ ফিরে পেতেই মৃদু হেসে হাত দিয়ে হাই ইশারা করলো।এমনসময় মুসকানকে আসতে দেখে প্রিয়তা দ্রুত ছাদ থেকে নেমে পড়ে।সৌরভ ঠোঁট এলিয়ে হাসলো প্রিয়তার তড়িঘড়ি করে চলে যাওয়া দেখে।

🖤

পরদিন,,
দুপুরের সময় আবিরকে হলুদ মাখিয়ে গোসল করানো হলো।গতকালকে সারা’দের বাসায় সব তথ্য পাঠানো হয়েছে।

রাতে স্পিকার বক্সে ফুল ভলিউম দিয়ে গান বাজানো হচ্ছে।রোমান্টিক হিন্দি গান।ছাদের ওপর প্যান্ডেল বেঁধে সেখানে সব ছেলেরা দল বেঁধে বসে আছে।সবাই আজ পাঞ্জাবি পাজামা পড়েছে।বিকেলের দিকে দল বেঁধে নিকট আত্মীয় স্বজনরা চলে এসেছেন এখানে।সারা বাসা জুড়ে মেহমানরা গিজগিজ করছে।

প্রিয়তা আজকে মেহেদী ও হলুদ রঙা ডিজাইনার ঘেরওয়ালা স্কার্ট ও ফুলহাতা ফতুয়া পড়েছে।সাথে হাতভর্তি চুড়ি ও পায়ে নুপুর।মুখে হালকা মেকআপ টাচ্।চোখে গাঢ় কাজল।ঠোঁটে হালকা মেরুন রঙের লিপস্টিক।চুলগুলো ছাড়া।এতে তাকে ভীষণ সুন্দরী লাগছে দেখতে।একদম নজরকাঁড়ার মতো একজন লাগছে তাকে।

ডলি আর তানিয়ার সাথে সেও ছাদের ওপর গেল।সৌরভ একবার তাকায় প্রিয়তার দিকে।প্রিয়তাকে এভাবে সাজুগুজু করতে দেখে তার মেজাজটা একটু গরম হয়ে গেল।ছাদে এত এত ছেলেপুলে।তাদের ফ্রেন্ডসার্কেল ও কাজিন টাজিন কত ছেলে আছে এখানে।এর মাঝে প্রিয়তা কীভাবে এরকম করে সেজে এলো চুল টুল ছেড়ে ভাবতেই বিরক্ত লাগছে তার।

তবে সৌরভের আর কিছু বলতে হলো না মুসকান নিজেই প্রিয়তার কাছে এগিয়ে গিয়ে একটু বকাঝকা করে প্রিয়তার চুলগুলো নিজে খোঁপা করে দিয়ে ওড়না মাথায় সুন্দর করে প্যাচিয়ে হিজাব বেঁধে দিলো।বেচারি প্রিয়তা জুই আর পান্নার কথায় এরকম চুল ছেড়ে রেখেছিলো।নয়তো সে এরকম ছাদে আসতো না।সৌরভ প্রশান্তির শ্বাস ফেলে অনুষ্ঠানে মনযোগ দেয়।

ট্রেডিশনাল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যা যা হয়,আবিরের গায়ে হলুদেও তা হয়েছে।সাথে চলছে অসংখ্য ফটোগ্রাফি।সবশেষে প্রিয়তা ও পান্না আবিরের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিতে স্টেজে ওঠে দুজন আবিরের দুপাশে বসলো।সৌরভ সামনের সারিতে একটা চেয়ারে বসে ক্যামেরা হাতে ভিডিও করছে।পাশে ফটোগ্রাফার দুজনও ফটো তুলছে প্লাস ভিডিও করছে।প্রিয়তা মাঝেমধ্যে পরোক্ষ দৃষ্টিতে সৌরভকে খেয়াল করছে।সৌরভ তো ডিরেক্ট প্রিয়তাকে দেখছে।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে