তুমি আমার প্রিয়তমা পর্ব-০৬

0
1633

#তুমি_আমার_প্রিয়তমা
#লেখিকা_Amaya_Nafshiyat
#পর্ব_০৬

বাসায় পৌঁছাতে প্রায় রাত সাড়ে সাতটা বেজে গেছে।প্রিয়তার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে।সেই সাতসকালে ঘুম থেকে ওঠেছিলো।আর সারাদিনের এত হাউকাউ করায় ক্লান্তি যেন শরীরে জেঁকে বসেছে।

রাতের খাবার রান্না করাই ছিলো।তাই একটু রেস্ট নিয়ে সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে সোজা যে যার রুমেই চলে গেছে।কারণ ডিসেম্বরের এই সময়টায় শীত থাকে প্রচুর।প্রিয়তা তো কম্বল মুড়ি দিয়ে সেই কখন ঘুমিয়ে কাঁদা হয়ে গেছে।

সৌরভ এশার নামাজ আদায় করার পর বিছানায় গিয়ে কমফোর্টার গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পড়েছে।তারপর ফোনে কানাডার বন্ধু কয়েকজনের সাথে গ্রুপ চ্যাটিংয়ে বিজি হয়ে গেল।এই কদিন ব্যস্ত ছিলো তাই তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা হয়ে ওঠে নি।আজ ডেভিড আর লুইস যেচেই ইনস্টাগ্রামে নক করেছে তাকে।তাই আরকি এক চান্সে আলাপ করে নিচ্ছে।পরে আবিরের বিয়ের জন্য আরও ব্যস্ত হয়ে যাবে।তখন সময় নাও মিলতে পারে।

রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত অডিও কনফারেন্সে কথা চললো তাদের মধ্যে।তারপর বাই বলে ফোন রেখে ঘুমিয়ে গেল সৌরভ।

সকাল প্রায় আটটা বাজে।প্রিয়তা আজকে কী মনে করে রান্নাঘরে পা ফেললো।ইচ্ছা আজকে সবার জন্য কিছু একটা বানাবে।প্রিয়তা কাজকর্ম করতে একদমই যে পারে না এমন নয়।সে ঠেকায় পড়লে সব করতে পারে নয়তো মেরেও কেউ তাকে দিয়ে কিছু করাতে পারে না।নবাবের মতো বিন্দাস চলাফেরা করতে তার ভীষণ ভালো লাগে।

প্রিয়তাকে রান্নাঘরে দেখে ইশার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেছে।এশাও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।ওরা কখনো টেনেও প্রিয়তাকে রান্নাঘরে আনতে পারে না।আজ কী মনে হতে ওনার পদধূলি এখানে পড়লো বুঝতে পারছে না এশা আর ইশা।ওদের এভাবে হতবাক দৃষ্টিতে তাকাতে দেখে প্রিয়তা হোমড়াচোমরা ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল;

প্রিয়তা:-কী হলো ভাবী?তোমরা এভাবে ভুত দেখার মতো তাকিয়ে আছো কেন আমার দিকে?কী হয়েছে?

ইশা:-এশা আজকে কী সূর্য ওঠেছে?ওঠলে কোনদিকে ওঠেছে বলতো একটু?

এশা:-নাহ আপু,সূর্য আজকে মেয়াদ উত্তীর্ণ গাঞ্জা খেয়ে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে।তাই আর ওঠে নি।

প্রিয়তা:-কী অদ্ভুত কথা বার্তা বলছো তোমরা ভাবী?পাগল হলে নাকি?

ইশা:-নাহ পাগল হইনি গো।তবে যে মানুষটাকে রান্নাঘরে জীবনে টেনেও আনতে পারি না সেই মানুষটা কীনা আজ স্ব ইচ্ছায় রান্নাঘরে পা রেখেছে তা দেখে একটু অবাক হলাম বৈকি।তা ননদীনি কোনো দরকার পড়েছে তোমার?কিছু লাগবে?

প্রিয়তা:-আমি আজকে সবার জন্য কিছু একটা বানাতে চাই বড়ভাবী!আমাকে একটু হেল্প করবে প্লিজ।

এশা:-হঠাৎ এরকম ভুত মাথায় ওঠলো কেন?

প্রিয়তা এবার লজ্জায় লাল নীল হয়ে আমতা আমতা করে বললো;

প্রিয়তা:-ইয়ে মানে ভাবী,সবারই তো বিয়ে শাদী হয়ে যাচ্ছে,আমিও বা বাদ যাই কেন?একদিন দেখবে আমারও বিয়ে হয়ে গেছে।এখন যদি রান্না বান্নার প্র্যাকটিস না করি তখন বিয়ের পর আমার বরকে রান্না করে কী খাওয়াবো বলো?শ্বশুর বাড়ির লোকজন তখন আমাকে কথায় কথায় লজ্জা দিবে কিছু পারি না বলে।তাই এখন থেকেই এসব শিখে রাখা ভালো।আমি আবার এত আনাড়ি নয় কিন্তু।কিছু দেখলে সাথে সাথে শিখে ফেলার মতো টেলেন্টেড মেয়ে আমি।হুম!

এশা আর ইশা হেসে ফেললো।পিছন থেকে মিসেস শিলা এসে কান টেনে ধরলেন প্রিয়তার।প্রিয়তা আহ বলে চেঁচিয়ে উঠলো।মিসেস শিলা এতক্ষণ প্রিয়তার বলা সব কথা শুনেছেন।

প্রিয়তা:-আহ,ফুপ্পি!লাগছে ছাড়ো!

মিসেস শিলা:-লাগুক,লাগার জন্যই তো ধরেছি।এতটুকুন মেয়ে কী পাকা পাকা কথা বলে!আমার তানু আর ডলিও এত পাকা কথা কখনো বলে নি।এখনো নাক টিপলে দুধ বেরোয় আর মেয়ে বর,বিয়ে ও শ্বশুর বাড়ির কথা বলে।বুঝেছি তোর বাবাকে আর মাকে জানাতে হবে।তাদের মেয়ে যে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে সেটাও বলতে হবে।

প্রিয়তা:-নাআআ,ফুপ্পি।এভাবে আমার মানইজ্জতের ফালুদা করতে পারো না তুমি।আমি বিয়ের কথা কখন বললাম।আমি তো একটু রান্না করতে চাইছি।তোমরা এমন করছো কেন?আমি আজ একটু নাশতা বানাই প্লিজ,প্লিজ,প্লিজ।

প্রিয়তার মিনতিতে মিসেস শিলা রাজী হলেন।কান ছেড়ে দিয়ে বললেন;

মিসেস শিলা:-আচ্ছা কী বানাবি বানা গিয়ে যা।যদি কোনো কিছুর হেরফের হয় তাহলে আজকে তোর খবর আছে কিন্তু।

প্রিয়তা খুশিতে গদগদ হয়ে বললো;

প্রিয়তা:-ও তুমি চিন্তা করো না ফুপ্পি।আমি খুব ভালোমতোন রান্না করবো।থ্যাংকিউ সো মাচ মাই ডিয়ার ফুপ্পি।

এই বলে প্রিয়তা মিসেস শিলাকে একটা টাইট হাগ করলো।মিসেস শিলা হাসলেন ভাতিজির পাগলামো দেখে।

প্রিয়তা কাল সারারাত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সৌরভকে নিয়ে মধুর স্বপ্ন দেখেছে।সৌরভকে তার এত ভালো লেগেছে যে আজ সে একমাত্র সৌরভের প্রশংসা পাওয়ার জন্য এত কষ্ট করে নাশতা বানাতে চলে এসেছে।নয়তো এই শীতের সকালে আরামদায়ক ঘুম ছেড়ে কে রান্নাঘরে আসতে যাচ্ছে?

প্রিয়তা ঠিক করলো প্রথমে ব্ল্যাক ফরেস্ট স্পঞ্জ কেক বানাবে।একবার তার আম্মু বানিয়েছিলেন তার স্বাদটা এখনো প্রিয়তার জিভে লেগে রয়েছে।কিন্তু কথা হলো সে এটার রেসিপি ভুলে গেছে।এখন কী করা যায়?এটা ভাবতে ভাবতেই ইউটিউবের কথা মনে পড়লো তার।সে ঝটপট দৌড়ে ওপরের তলায় গিয়ে ফোন নিয়ে আবার ফিরে এলো।তারপর ইউটিউবে সার্চ মেরে মনমতো একটা রেসিপি খুঁজে বের করে ফেললো।ইশা আর এশা প্রিয়তাকে সবকিছু এগিয়ে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছে।

রেসিপি দেখে দেখে প্রিয়তা কাজ করতে লাগলো।মাঝেমধ্যে যখন আটকে যায়,তখন এশা হেল্প করে।এভাবেই প্রায় একঘন্টা সময় লাগিয়ে অবশেষে কেক বানাতে সক্ষম হলো সে।কেক বানিয়ে সাকসেসফুল হতেই খুশিতে একটা লাফ দিলো সে।ইশা ও এশা প্রিয়তার লাফালাফি দেখে হাসতে হাসতে শেষ।মিসেস মিনা আর মিসেস শিলা মিটিমিটি হাসছেন।প্রিয়তা গিয়ে ডলি আর তানিয়াকে ডেকে নিয়ে এসে তার হাতে বানানো কেক দেখাতে লাগলো।ডলি হামি দিতে দিতে বললো;

ডলি:-একটা কেক বানিয়ে এত লাফালাফি না করে বরং আরও ভালো কিছু নাশতা বানা।শুধু কেক খেয়ে তো আর পেট ভরবে না আমাদের।তাই না?

প্রিয়তা এবার মনে মনে ভাবলো,তাই তো!শুধু কেক বানিয়ে কী হবে!কেক তো যে কেউই বানাতে পারে!সৌরভ ঘুম থেকে ওঠার আগে যে করেই হোক আরও ভালো কিছু বানাতে হবে।কিন্তু প্রিয়তার চিন্তায় মিসেস মিনা এবার বাঁধ সেধে বললেন;

মিসেস মিনা:-এই না।মেয়েটা এত কষ্ট করে কেক বানিয়েছে তাই যথেষ্ট।আর কিছু বানাতে হবে না।প্রিয়ু মা,তুই গিয়ে রেস্ট নে যা মা এই বাঁদরের কথা শুনিস না।

প্রিয়তা:-নাহ বড়আন্টি।ডলিপু তো ঠিক কথাই বলেছেন।আমি আরও কিছু বানাবো।

প্রিয়তা নাছোড়বান্দার মতো নিজের জেদেই অটল রইলো।মিসেস মিনা আর কিছু বললেন না।তিনি জানেন প্রিয়তা যখন বলেছে তখন তা সে করেই ছাড়বে।হাজার বারণ করলেও শুনবে না।ডলি মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।জুই আর তার বোন পান্না এখনো মরার মতো ঘুমাচ্ছে।বাকি সবাইও ঘুমে মগ্ন।

প্রিয়তা এবার সংক্ষেপের মধ্যে আলু ও ডিমের পরোটা বানাতে শুরু করলো।পরোটা গুলো পুরোপুরি গোল হয়নি।আবার এত বাজেও হয় নি।মোটামুটি ভালো একটা শেপ আছে।পরোটা বানানো শেষে ইশার সাহায্যে ডিম ও আলু একসাথে ভাজি করলো।তারপর বুটের ডাল ঝাল করে ভুনা করলো।এগুলো তৈরী করতে করতেই সবাই ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এসেছে নাশতা খেতে।

প্রিয়তা রান্নাঘরের একপাশে রাখা চেয়ারে বসে রেস্ট করছে।এই কয়েকটা আইটেম বানাতে গিয়েই সে পটল তোলার মতো অবস্থা।আলসে মানুষ যখন কোনো কাজকর্ম করে তখন বোধহয় এমনই হয়।প্রিয়তা আজ হারে হারে নিজের মা,ফুপু,ভাবী তাদের সবার কষ্ট উপলব্ধি করেছে।রান্না করা মোটেও কোনো সহজ কাজ নয়।

সৌরভও ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এসেছে।ডাইনিং রুমে প্রিয়তা সবার মধ্যমণি হয়ে বসে আছে।ইতিমধ্যে সবাই জেনেছে যে আজকের নাশতা সে বানিয়েছে।সবাই তো বাহবা দিতে দিতে তাকে ফুলিয়ে ফেলেছে।আকিল একটু বদনাম করতেই প্রিয়তা তার পিঠের মধ্যভাগে সেই জোরসে এক কিল মেরে বেচারার পিঠ ভেঙে এসেছে।

সৌরভকে দেখে জুই তার নিজের চেয়ার ছেড়ে পাশের চেয়ারে বসলো।মনে মনে আশা যে সৌরভ তার পাশে বসবে।কিন্তু তার আশায় এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে সৌরভ আবিদের পাশের চেয়ারে বসলো।জুইয়ের মুখ কালো হয়ে গেছে সৌরভের এমন ইগনোর দেখে।প্রিয়তা দৃশ্যটা দেখে এক পৈশাচিক আনন্দ পেল।ঠোঁটে তার চতুর হাসি খেলা করছে।

প্রিয়তা নিজে সৌরভকে নাশতা বেড়ে দিলো।হেসে হেসে বললো;

প্রিয়তা:-ভাইয়া আজকের নাশতা কিন্তু আমি বানিয়েছি।খেয়ে বলেন ভালো হয়েছে কি না!

সৌরভ মৃদু হেসে মাথা ঝাকিয়ে সায় দিয়ে প্রথমে পরোটা ও ভাজি এবং ডাল খেতে লাগে।একদম রেস্তোরাঁর খাবারের মতো না হলেও সুস্বাদু তো বটেই।খেতে ভালো লাগলো সৌরভের।প্রায় পেটপুরে চেটেপুটে খেল সৌরভ।তারপর প্রিয়তার হাতে বানানো নরম তুলতুলে কেক দিয়ে চা খেল।সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।সৌরভ প্রশংসার সুরে বললো;

সৌরভ:-সত্যিই ভীষণ মজাদার হয়েছে নাশতাগুলো।ধন্যবাদ প্রিয় এত ভালো রান্না করে আমাদের সবাইকে খাওয়ানোর জন্য।

প্রিয়তা তো সৌরভের মুখ থেকে নিজের রান্নার প্রশংসা শুনে আকাশে ভাসছে।সে এই প্রশংসা শোনার জন্য আজ এত কষ্ট করলো নয়তো তার এত ঠেকা পড়সে নাকি যে এত এত মানুষের জন্য নাশতা বানাবে!সৌজন্যতার খাতিরে প্রিয়তা একটা ঝলমলে হাসি উপহার দিলো সৌরভকে।প্রতিত্তোরে সৌরভও হাসলো।

সৌরভের ফুপ্পি মিসেস জেসমিন বললেন;

মিসেস জেসমিন:-হ্যা নাশতাটা খুব ভালো বানিয়েছে তো প্রিয়ু।এরকম একটা মেয়েই আমার তূর্যের জন্য আমি খুঁজছিলাম।তাহলে এক কাজ করি,প্রিয়ুকেই আমি আমার পুত্রবধূ বানিয়ে ফেলি।কী বলিস প্রিয়ু?

প্রিয়তা মুখ বাঁকিয়ে বলে উঠে;

প্রিয়তা:-এহ্,আমার এত ঠেকা পড়ে নাই আন্টি যে তোমার ছেলেকে বিয়ে করবো।তোমার ছেলে আস্ত একটা খাচ্চোর।শীতের সময় এক সপ্তাহে একবার গোসল করে কী না সন্দেহ!গায়ের গন্ধ দূর করতে পারফিউম ইউজ করে।এমন আজব পাবলিককে আমি কেন কোনো মেয়েই বিয়ে করবে না।

বেচারা তূর্যের মানইজ্জত প্লাস্টিক করে দিলো প্রিয়তা।সমস্বরে হেসে উঠে সবাই।

তূর্য:-আমারও ঠেকা পড়ে নাই তোমাকে বিয়ে করতে।তুমি যা বাঁদরামি করো তাতে আমি কেন কোনো ছেলেই তোমাকে বউ হিসেবে চাইবে না।আমি তো আম্মুর নিষ্পাপ মাছুম একটা ছেলে।তোমাকে বিয়ে করলে আমার লাইফ একদম ত্যানা ত্যানা হয়ে যাবে।

প্রিয়তা:-হেহ্,আমাকে ব্লেম করতে আসছে।আমি এমন একটা ছেলেকে বিয়ে করবো যে কীনা শীতকালেও প্রতিদিন গোসল করে।তোমার মতো অপরিষ্কার বান্দাকে তো মোটেই নয়।

ডলি:-তাহলে এক কাজ কর প্রিয়ু,তুই বরং আমাদের সৌরভ ভাইয়াকে বিয়ে করে ফেল।সৌরভ ভাইয়া শীতকালে প্রতিদিন গোসল করে তাও আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে!এমন দুর্লভ প্রজাতির প্রাণী তুই আর দ্বিতীয়টা খুঁজে পাবি না।

সৌরভ এতক্ষণ তাদের ঝগড়াঝাটি উপভোগ করছিলো।হঠাৎ ডলির বলা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত একটা কথা শুনে ঝগড়া থেমে গেছে।কথাটা শুনামাত্রই সৌরভ সরাসরি প্রিয়তার চোখের দিকে তাকালো।প্রিয়তা তাকাতেই দুজনের চোখাচোখি হলো।বড়দের সামনে এমন একটা কথা বলায় প্রিয়তা সাংঘাতিক লজ্জা পেয়েছে।ততক্ষণে নাশতা করাও শেষ।লজ্জায় প্রিয়তা চুপিচুপি কেটে পড়ে এখান থেকে।আর দাঁড়ায় না।সৌরভ হাসতে হাসতে হাত ধুয়ে চলে গেল।আবির ডলির মাথায় একটা চাপড় মেরে বললো;

আবির:-বলদ একটা,কোথায় কী বলতে হয় তাও বুঝতে পারিস না।

ডলি:-ওমা,সত্যিই তো বললাম।

জুই:-তোর সত্যির নিকুচি করি।গাধা।

ডলি হাবলার মতো তাদের তিরস্কার শুনলো।সে বুঝতে পারলো না ভুলটা কী বললো।বেচারি!

সৌরভ ছাদের কোণে রেলিঙের ওপর হাত রেখে দাঁড়িয়ে আশপাশ দেখছে।ডলির বলা কথা বারংবার কানে বাজছে তার।বিষয়টা সত্যি হলে কিন্তু মন্দ হয় না।হয়তো সৌরভের যেমন চাহিদা তেমন পুরোপুরি নয়।তবে শিখিয়ে পড়িয়ে তাকে মানিয়ে নেয়া যাবে সহজে।মেয়েটা দুষ্টু হলেও বেয়াদব নয়।বিশেষ করে সৌরভের ক্ষেত্রে।সৌরভকে প্রিয়তা খুব মান্য করে।সেটা সৌরভ খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে