#ধারাবাহিকগল্প
#তুমি আমার প্রণয়িনী
শেষ পর্ব
মাহবুবা বিথী
ভালোবাসার বদলে অবহেলা এসেছে বলে জোবায়দা আর ওদের বাসায় থাকতে চায়নি। যদিও ওর মা বার বার ওকে থাকার জন্য অনুরোধ করছিলো। কিন্তু ও থাকতে পারেনি। নিজের ভালোবাসার এমন বিসর্জন ও মেনে নিতে পারছিলো না। ওর আপন ছোটো বোনকে বিয়ে করে হিমেল কি বুঝাতে চাইলো। সারাক্ষণ ও জোবায়দার সামনে ঘুরে বেড়াবে আর ওর চোখের সামনে ওর বোনের সাথে প্রণয়ের উষ্ণতা ছড়াবে? আর এই দৃশ্য দেখে জোবায়দা জ্বলে পুড়ে খাক হবে এই তো চেয়েছিলো হিমেল? কিন্তু জোবায়দাও সেই সুযোগটা ওকে দিবে না। অথচ এই হিমেল ওকে বলেছিলো ওদের বাসর হবে পূর্ণিমা রাতে সাগরের বালুকাবেলায়।
আজ জোবায়দার বুকের ভিতরে হৃদয়ের দূকুল অবিরত ভাঙ্গছে। সেই ভাঙ্গনে সযতনে রাখা আবেগের সব জল ভেসে যাচ্ছে। সেই স্রোতে নিজের সব ক্লেশকে ভাসিয়ে দিয়ে জোবায়দা আজ মুক্তি পেতে চাইছে।
নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে মন থেকে চিরতরে মুক্তি দেওয়ার কথা মনে হতেই ওর বুকের ভিতরটা ধ্বক করে উঠলো। ওর জীবনের যদি এই পরিনতি হওয়ার কথাছিলো তাহলে ওকে ভালোবাসার কি প্রয়োজন ছিলো?
ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবটা অনেকটা কমে এসেছে। গাড়ির জানালা দিয়ে জোবায়দা বাইরে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টির বেগটা অনেকটা কমে এসেছে। মেঘ সরে গিয়ে চন্দ্রালোকিত রাতের দেখা মিলেছে। আকাশে গোল থালার মতো চাঁদ উঠেছে। তবে কি আজ ভরা পূর্ণিমা?
কমলাপুর পৌছে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ট্রেনের জন্য জোবায়দা অপেক্ষা করতে লাগলো।ও একটু আগেই এসে পড়েছে। ইচ্ছে করেই মোবাইলটা সুইচস্টপ করে রেখেছে। বাড়ি থেকে আসার সময় সবাইকে বলে এসেছে, ওকে যেন ফোন দিয়ে অযথা কেউ ডিস্টার্ব না করে। চোখ দিয়ে অনবরত নোনা জল গড়িয়ে পড়ছে। নিজের উপর ওর খুব রাগ হলো। কার জন্য ও কাঁদছে। যে ওর ভালোবাসার শতদলগুলো দুপায়ে মাড়িয়ে চলে গেল তার জন্য?
ট্রেন চলে এসেছে। সিক্ত চোখটা মুছে জোবায়দা ট্রেনের কামরায় উঠে পড়লো। জানালার কাছে সিটটাতে বসা মাত্রই সাইরেন বেজে উঠলো। ট্রেনের সাইরেনটা ওর বুকে বিচ্ছেদের ভায়োলিনের সুরের মতো বিঁধলো। ও জানালা দিয়ে বাইরে মুখ বাড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। জোবায়দা যদিও জানে আজ তাকে কেউ খুঁজতে আসবে না। বরং ও সামনে না থাকাতে ঐ মানুষটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে।
সকাল সাতটায় ট্রেনটা চিটাগাং রেলস্টেশনে এসে থামলো। জোবায়দা ট্রলি ব্যাগটা নিয়ে আস্তে আস্তে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। ট্রেনের দরজার কাছে পৌঁছাতেই হঠাৎ একটা হাত ওর দিকে বাড়িয়ে দিলো। হাতের গড়নটা বেশ পরিচিত। চমকে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর সামনে হিমেল দাঁড়িয়ে আছে।
—-কি ব্যাপার এতো সকালে আপনি এখানে কেন?
পরমুহুর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
—-ও—-ও হানিমুনে এসেছেন বুঝি?
—-এবার কিন্তু আমি রেগে যাবো। অনেক জ্বালিয়েছো আমায়। সেই কোন ছোটোবেলা থেকে তোমার পিছে পড়ে আছি। অথচ তোমায় একটু ছুঁতে পর্যন্ত পারিনি।
একথা বলে হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে হিমেল জোবায়দাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে একদম নিজের বুকের কাছটায় নিয়ে এলো। জোবায়দা টাল সামলাতে না পেরে হিমেলের বুকের উপর ধাক্কা খেলো। পরমুহুর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
—-করছেন কি আপনি? এখন কিন্তু আপনি আমার বোনজামাই। আশাকরি সম্পর্কটার কথা মনে রাখবেন।
—তোমার কি ধারণা আমি তোমার সাথে মজা করছি? কি মনে রাখবো আর কি রাখবো না সেটা পরে ভাববো। এখন তোমাকে যেখানে নিয়ে যাচ্ছি চুপচাপ সুবোধ বালিকার মতো সেখানে যাবে। হিমেল ওকে সোজা কাজী অফিসে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে তো ও আরো অবাক হয়ে গেল। হিমেলের বাবা মা ওর মা, আদিবা আর ওর ফুফাতো ভাই রাসেল বসে আছে। ও সেখানে গিয়ে যেন গোলক ধাঁধার চত্বরে পড়ে গেল। ওর মনে হলো ও স্বপ্ন দেখছে নাতো! তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
—-আম্মু আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। আদিবার বিয়ে হয়নি?
—-হয়েছে তো।
—-তাহলে ও আমাকে এখানে ধরে আনলো কেন?
—-রাসেলের সাথে আদিবার বিয়ে হয়েছে।
জোবায়দা আদিবার দিকে তাকিয়ে দেখে গা ভর্তি গয়না পরে আদিবা ওর দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে। মনে মনে বললো, সোনার গয়না পড়ার এতো শখ যখন তখন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সাথে বিয়ে হয়ে ভালোই হয়েছে। রাসেলের সাথে আই কন্ট্রাক হওয়াতে জোবায়দাকে বললো,
—-আপু আসসালামু আলাইকুম। শুভ কাজে দেরী করা ঠিক নয়। তাতে অনেক বাধা বিপত্তি হয়।
জমির মোল্লা কাজী সাহেবকে তাগাদা দিয়ে বললেন,
—-কাজী সাহেব, বিয়ে পড়ানো শুরু করেন। আমাদের আবার ঢাকায় ফিরতে হবে।
জোবায়দার আরো অনেক কিছু জিজ্ঞাসা ছিলো। সেটা জানতেই ও হিমেলের দিকে তাকালো। হিমেল ওকে ইশারায় বললো,
—-ও সব বুঝিয়ে বলবে।
তারপর দু,পক্ষের স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে হিমেল আর জোবায়দার বিয়ে সম্পন্ন হলো। খুশীতে হিমেলের মা ওকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
—-সেই কোন ছোটোবেলা থেকে তোকে ছেলের বউ করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আল্লাহপাকের কাছে শোকরিয়া সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। দোয়া করি তোরা দু’জনে অনেক সুখে থাক।
এরপর শেফালী বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেন,
—-বেয়াইন দেখেন,দুটিতে কতো মানিয়েছে।
—-আমাকে আবার ভিলেন বানিও না। হিমেল যদি বলতো ও জোবায়দাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না তাহলে তো আর এতো ঝামেলা হতো না।
শেফালী বেগম মেয়ের দিয়ে তাকিয়ে বললেন,
—-তোকে সংসারী দেখার আমার খুব ইচ্ছে ছিলো। আল্লাহপাক আজ আমার সে ইচ্ছা পূরণ করেছে। দেখে নিস, তুই অনেক সুখী হবি। সন্তান যখন তার বাবা মায়ের পিছনে অর্থ ব্যয় করে, দায়িত্ব পালন করে আল্লাহ তা বহুগুন বাড়িয়ে সেই সন্তানের জীবনে ফিরিয়ে দেন।
আজ ঐ আসরে সবার চোখ ছলছল করছে। এতো দুঃখের কার্নিশের জল নয় এযে ভালোবাসার আনন্দঅশ্রু। আদিবা এসে জোবায়দাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-সারাজীবন মুখ বুঝে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিস। দায়িত্ব করতে করতে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকেও বিলিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করা নিছক আমার কাছে বোকামী মনে হয়েছে। ভালোবাসার মানুষকে পরম যত্নে আগলে রাখিস।
—-পড়াশোনাটা তো ভালো করে করলি না তবে প্রেমের পাট ভালোই নিয়েছিস। তা আমি ঢের বুঝতে পারছি। দেখ, পড়াশোনাটা আবার শুরু করতে পারিস কিনা।
শেফালী বেগম হিমেলের দিকে এগিয়ে এসে বললো,
—-তোমাকে আমি আমার ঘরের সেরা রত্নটি আজ দিয়ে দিলাম। তাকে কখনও কষ্ট দিও না। অনেক যত্নে আর ভালোবাসায় ওকে রেখো।
—-মা, আমাদের দু’জনের জন্য দোয়া করবেন।
রাসেলের গাড়িতে করে সবাই এসেছিলো। আর ঐ গাড়িতে সবাই হিমেল আর জোবায়দার কাছে বিদায় নিয়ে ঢাকা ফিরে গেল। জোবায়দাও ঢাকায় ফিরতে চাইলো। হিমেল তখন ওকে বললো,
—মহারানীর তো ফেরা হবে না। ভুলে গেছো আমাদের বাসর হওয়ার কথা ছিলো সাগরের বালুকাবেলায়?আমার কতোদিনের ইচ্ছে সাগর সৈকতে নির্জন রাতে এক আকাশ চন্দ্রগর্ভা জোৎস্নার হাতছানিতে আমার ভালোবাসার মানুষটার সাথে বাসর জাগবো। উম্মত্ত যৌবনা জোৎস্নায় স্নান করে আমার প্রণয়িনীর প্রেমে মাতাল হয়ে রবো।
—-আপনার কাব্যেপনায় কবিরাও হার মেনে যাবে। চলেন কোথাও বসি।
পাশে রয়্যাল চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দু’জনে নিরিবিলি বসলো। জোবায়দার তখনও হিমেলের উপর অভিমান ঝরে পড়ছিলো। তাই একটু খোঁচা দিয়ে বললো,
—-এতোই যদি আমার প্রতি প্রেম ছিলো তাহলে প্রেমিকার বোনকে কি করে বিয়ে করার সাধ জাগে?
—-এই তোমার আমার প্রতি বিশ্বাস? কি করে ভাবলে তোমার বোন তো দূরের কথা পৃথিবীর কোনো নারীকে আমার ভালোবাসা সম্ভব নয়। সে যদি স্বর্গের অপ্সরীও হয় তবুও জোবায়দার প্রেম ছাড়া হিমেল কখনও উষ্ণ হবে না।
—- থাক এতো কাব্য ছড়াতে হবে না। তবে আপনার পারমিশন ছাড়া আদিবাকে আঙ্কেল আন্টি কি করে আংটি পড়ালো এটা আমি বুঝতে পারলাম না।
—–বুঝেছি,এখনও আমার উপর আস্থা রাখতে পারছো না। ঠিক আছে পুরো ঘটনাটা বলি। আব্বা আসলে তোমাকে বউ করে আনতে চাইছিলো না। তার ধারণা, তুমি তোমার ফ্যামেলির প্রতি যে পরিমান দুর্বল তাতে তোমাকে বউ করে আনলে উনারা আমাকে হারাবেন। আর আমিও যে তোমার প্রতি দুর্বল এটা আমার মা বাবা দু’জনেই জানে। তবে এটা জানতো না তাদের ছেলে এই মেয়েটাকে বহু আগেই মনটা দিয়ে ফেলেছে। সেই কারনে ওরা ভেবেছে আদিবা যেহেতু একদম ঘরোয়া ওকে আনলে সব কুল রক্ষা হবে।
—তাই আপনিও ওদের তালে পড়ে আদিবাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন?
—+না—না,এখানে একটা ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। আমার বিসিএস হয়ে যাবার পর বাবাকে বলেছিলাম তোমাদের বাড়িতে প্রস্তাব পাঠাতে। তবে এটা বলেছিলাম পুরো কাজটা যেন তোমাকে না জানিয়ে করা হয়। আমার ইচ্ছে ছিলো বর সেজে তোমাদের বাড়িতে গিয়ে তোমায় চমকে দিবো। মাঝখানে আব্বু তো সব গুবলেট পাকালো। যদিও আমি এসবের কিছুই জানতাম না। এমনকি আমি আংটিও কিনিনি। কারণ তোমার সাথে আমার কথা ছিলো বাসর রাতে আমি তোমাকে আংটি পরিয়ে দিবো। যাই হোক বিয়ের আসরে বর সেজে যাবার পর যখন কাজী বিয়ে পড়াতে যাবে আমি তখনি তোমাকে নিয়ে এসে আমার পাশে বসিয়ে দেওয়ার জন্য ওমরকে বলি। আর তখনি জানতে পারি আমার বিয়ে হচ্ছে আদিবার সাথে। আমি চিৎকার করে তোমাকে ডাকতে থাকি। পরে জানলাম তুমি চিটাগাং এর উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছো। অবশ্য ঝড় বৃষ্টি না হলে আমি ঠিক তোমার কাছে পৌঁছে যেতাম। বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়াতে ফুফু খুব খুশী হলেন। সুযোগটাও কাজে লাগালেন। আদিবাকে নিজের ছেলের বউ করে নিলেন। আমিও আমার ভালোবাসার মানুষটাকে চিরতরে আপন করে পাবার তরে এই চিটাগাং এ ছুটে আসলাম।
দু’জনে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেন্ট এ কার থেকে একটা প্রিমিয়াম গাড়ি ভাড়া করে কক্সবাজারের দিকে ছুটে চললো। হিমেল আগে থেকেই মারমেইড রিসোর্ট ভাড়া করে রেখেছিলো। খুব দ্রুতই ওরা পৌঁছে গেল। হিমেল আগে থেকেই ওদের সব বলেছিলো। হোটেলে ওদের রুমের পুরো খাটটা বাসর খাটের মতো সাজিয়েছে। বিছানায় হার্টসেভ করে গোলাপ বিছিয়ে দিয়েছে। রুমের দরজা খুললেই ওদের নিজস্ব সীবিচ দেখা যায়। বীচটা খুব নিরিবিলি। হোটেল কতৃপক্ষ ওদের দু,জনকে খুবই সুস্বাদু দুগ্লাস জুস দিয়ে বরণ করে নিলো। লাঞ্চ করে ওরা সী বীচের কাছে চেয়ারে বসে সাগরের গর্জন শুনতে লাগলো। তবে জোবায়দা হিমেলের দিকে না তাকিয়ে বুঝতে পারছে, হিমেল ওর দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। ওর ভীষণ লজ্জা অনুভব হলো। তাই একসময় জোবায়দা উঠে এসে রুমের বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। ওর কেন যেন আজ হিমেলের দিকে তাকাতে লজ্জা লাগছে। কিছুক্ষণ পর হিমেল এসে খাটের পাশটায় বসলো। জোবায়দা হিমেলকে দেখে জড়সড় হয়ে বিছানা থেকে উঠে বসলো। তারপর একসময় বিছানা থেকে নামতে গেলে হিমেল আস্তে করে ওর পা,টা জোবায়দার দিকে ইচ্ছে করেই এগিয়ে দিলে জোবায়দার পড়ে যাবার উপক্রম হয়। হিমেল জোবায়দাকে ধরে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো। জোবায়দা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই হিমেল ওর ঠোঁট জোড়া জোবায়দার ঠোঁটে ডুবিয়ে দিলো। এমনসময় হিমেলের ফোনটা বেজে উঠলো। দু,জনে তখন দু,জনের নেশায় ডুবে আছে। ফোনটা বেজে বেজে ক্লান্ত হয়ে একসময় থেমে যায়। আবারো ফোনট বেজে উঠলে প্রায় ৮/৯ মিনিট পর হিমেল জোবায়দাকে ছেড়ে দিয়ে বলে,
—-দেখো ভালোবাসায় কতো সুখ।
এরপর ফোনটা রিসিভ করে। হিমেলের বাবা ফোন দিয়েছে।
—-হ্যালো, বাবা ফোন দিয়েছো কেন?
—+বিয়ে মনে হয় বেটা তুমি একাই করেছো। পৌঁছে যে একটা ফোন দিতে হয় সে কথা কি ভুলে গেছো? বুড়ো বাবা,মায়ের তো চিন্তা হয়।
—-ফোন তো আমি দিতাম। তোমার তো তর সইলো না।
—-ঠিক আছে। টাইম টু টাইম ফোন দিও।
—-তোমাকে টাইমে টাইমে ফোন দিলে আমার আর হানিমুন করতে হবে না।
একথা বলেই হিমেল লাইনটা কেটে দিলো। হিমেল জোবায়দার দিকে তাকিয়ে দেখে, ও অন্যদিকে মুখটা ঘুরিয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে ওর ভীষণ লজ্জা লাগছে। হিমেল পিছনদিক থেকে জোবায়দাকে জড়িয়ে ধরে। হিমেল আলতো করে জোবায়দার ঘাড়ে চুমু খায়। এরপর জোবায়দাকে ঘুরিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে আসে। তারপর মুখটা তুলে ধরে বলে,
—thanks.
—কারণটাতো বুঝলাম না।
—-আমাকে ভালোবাসার জন্য,
জোবায়দা হিমেলের লোমশ বুকে মুখটা লুকায়। আর মনে মনে বলে,” এ প্রহর যেন কখনও শেষ না হয়।”
সমাপ্ত।