তুমি আমার পর্বঃ ০২
– আবির খান
হঠাৎই ঘর থেকে একটা মেয়ে দ্রুত বের হয়ে আমার দিকে তেড়ে এসে রাগী ভাবে বলল,”আপনার সমস্যাটা কি?? এরকম সাত সকালে কাকের মতো ডাকছেন কেন??”
আমি মেয়েটাকে কি বলব বুঝতে পারছি না। কারণ আমিতো তাকে দেখে পুরো হারিয়ে গিয়েছি ভীনদেশে। সে দেখতে অল্প বয়সের একটা মেয়ে। আনুমানিক ১৮/১৯ হবে৷ তার মুখের গঠন বেশ সুন্দর আর নিখুঁত। সে বেশি ফর্সাও না আবার কালোও না। মাঝামাঝি। আহামরি সুন্দরী সে না। তবে যতটুকু আছে, তা যে কাউকে পাগল করে দিবে। তার নয়নজোড়া আপনাকে তলিয়ে নিয়ে যাবে অতল সমুদ্রের গভীরে। কারণ তার চঞ্চল চোখদ্বয়ে আছে শুধু মায়া আর মায়া। তার সুন্দর পাপড়িগুলো তার চোখের সৌন্দর্য্য আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। নাকটা তার খাড়া খাড়া। তাই হয়তো সব জায়গায় একটু নাক গলায়। তার ঠোঁটদুটো বেশ আকর্ষনীয়। কারণ গোলাপি রঙের ঠোঁটদুটো বেশ মিষ্টি লাগছে। উচ্চতা এবং শরীরের গঠন সব মিলিয়ে সে একজন গ্রাম বাংলার রূপসী মেয়ে। তাকে দেখে যে কেউ তার পথ ভুলিতে পারে। তবে আমি নিজেকে সংযত করিয়া তাহাকে ধমক দিতে যাব সেই মুহূর্তে তার পিছন থেকে আমার আদুরে বোনটা আমার পানে দৌড়ে এসে চিৎকার করে বলল,
ইশাঃ ভাইয়া তুমি!!!
মেয়েটাঃ ভাইয়া!!!
আমিঃ হ্যাঁ রে আমিই। কেন বিশ্বাস হচ্ছে না?? ছুঁয়ে দেখ। মজা করে।
ইশাঃ ধুর। হঠাৎ করে কিভাবে এলে?? অবাক হয়ে।
আমিঃ কেন লঞ্চে করে হাহা। মজা করে।
ইশাঃ অাহহা তুমিও না।
আমিঃ মা-বাবা কই খুকি??
ইশাঃ বাবাতো কাজে আর মা পাশের বাসায় গেছে। দাঁড়াও আমি এক মিনিটে ডেকে নিয়ে আসছি।
আমিঃ আররে দাঁড়…
আমি কিছু বলার আগেই বোন এক দৌড়ে চলে গেল। এবার আমি সেই রূপসী কন্যার দিকে তাকালাম। তার চোখে চোখ পরতেই বুঝলাম সে প্রচন্ড লজ্জা পাচ্ছে। আমি কিছু বলতে যাবো ওমনি সেও ভিতরে চলে গেল। কি ব্যাপার সবাই খালি পালিয়ে যাচ্ছে কেন! আমি উঠানে গিয়ে বসলাম। পাশে ব্যাগটা রাখা মাত্রই মা জোরে বলল,
মাঃ বাবা আবিদ!!
আমি পাশে তাকিয়ে দেখি মা। আজ প্রায় ৬/৭ মাস পর মায়ের পবিত্র মুখখানা দেখছি। মায়ের মুখখানা দেখে যেন প্রাণে শান্তি লাগছে। সত্যি এটাই মা। আমি তাড়াতাড়ি উঠে মায়ের কাছে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরি। আমি একটু স্বভাবতই বেশি ইমোশনাল। তাই খুশীতে চোখের জল আটকে রাখতে পারলাম না। মা আর বোনের চোখতো সেই কবে থেকেই ভিজা।
মাঃ কেমন আছিস বাবা?? আজ কতদিন পর দেখলাম তোকে। বলে আসিস নি ক্যান?? কান্নাসিক্ত কণ্ঠে।
আমিঃ ভালো আছি মা। আর বলে আসলে বুঝি তোমাদের এভাবে সারপ্রাইজ দিতে পারলাম?? এই যে তোমাদের চোখে মুখে অমূল্য খুশীখানা কি আর দেখতে পেতাম। তাই বলি নাই। ভাবলাম একটা সারপ্রাইজ দিয়েই দি।
ইশাঃ খুব ভালো করছ ভাইয়া। তোমাকে খুব মিস করছিলাম।
আমিঃ এহহ আসছে। সব বুঝি সব বুঝি। আমাকে না বল, ঢাকা থেকে তোর জন্য আনা গিফটকে মিস করছিলি। মজা করে।
কথাটা বলা মাত্রই মায়ের সাথে পিছন থেকে কার যেন মিষ্টি হাসির শব্দ কানে ভেসে আসলো। পিছনে তাকিয়ে দেখি সেই রূপসী। আমি তাকাতেই সে লজ্জায় বোধহয় আড়ালে চলে গেল।
ইশাঃ দেখছ মা ভাইয়া কি বলে। অভিমানী কণ্ঠে।
মাঃ আহরে তোরা এখনই শুরু করলি! আবিদ আয় বাবা ভিতরে আয়। ফ্রেশ হয়ে নে।
আমাদের বাসাটা একতলা বিল্ডিং। বাবা নিজ অর্থে তৈরি করেছেন। আমি মা আর বোনের সাথে ভিতরে গেলাম। কিন্তু আমার চোখ যাকে খুঁজছে তার আর কোনো খোঁজ পেলাম না। আমি আমার রুমে গেলাম। সাথে বোনটাও আসলো।
আমিঃ বস এখানে।
ইশাঃ ভাইয়া আমার গিফট??
আমিঃ ক্যান তুই না আমাকে মিস করছিল?? তাহলে গিফট কেন হুম??
ইশাঃ আহহা ভাইয়া প্লিজ দেও তো। অসহায় ভাবে।
আমিঃ আচ্ছা দিব। তবে আগে আমাকে একজনের সম্পর্কে কিছু বলতে হবে।
ইশা অবাক হয়ে বলে,
ইশাঃ কার ভাইয়া??
আমিঃ ওই যে তখন একটা মেয়েকে দেখলাম না ওর সম্পর্কে। ও কে?? আমাদের বাড়িতে ক্যান??
ইশাঃ ওও…বুঝলাম। কিন্তু তুমি জেনে কি করবা হুম?? মজা করে।
আমিঃ বলবি নাকি গিফট কিন্তু দিব না।
ইশাঃ আচ্ছা বাবা বলছি শোনো।
আমি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিলাম ইশার দিকে।
আমিঃ হ্যাঁ বল বল।
ইশাঃ আপুর নাম হলো নাতাশা।
আমিঃ নাতাশা। বাহ কি সুন্দর নাম। মনে মনে।
ইশাঃ আপু এবার ভার্সিটিতে ২য় বর্ষে পড়ে। এখন আপুর ভার্সিটি বন্ধ তাই বাসায়।
আমিঃ ওও…ওর বাবা মা??
ইশাঃ আপুর শুধু বাবা আছে। মা গত বছর কি যেন একটা রোগে মারা গেছে। আপুর কোনো ভাই বোনও নাই। আর আপুর বাবা আমাদের আব্বুর সাথেই কাজ করে। তার সাথেই থাকে সবসময়। তাই আপু সারাদিন একা থাকে বলে আমাদের বাসায়ই থাকে। আম্মুকে কাজে সাহায্য করে। জানো ভাইয়া আপু যে কি সুন্দর রান্না করে না। খুব মজা লাগে খেতে।
আমিঃ কি বলিস আমিও খাবো।
ইশাঃ কি কিকক বললা??
আমিঃ কিছু না। তোর এই আপুটার সাথে আমাকে পরিচিত করে দিস।
ইশাঃ কেন আপুকে ভালো লাগছে বুঝি?? মজা করে।
আমিঃ তুইতো দেখি অনেক পেকে গিয়েছিস।
ইশাঃ বুঝি ভাইয়া সব বুঝি। এখন আমার গিফটটা দেও।
আমিঃ আচ্ছা দাঁড়া।
আমি উঠে ব্যাগ থেকে একটা শপিং ব্যাগ বের করে ওর হাতে দিলাম।
ইশাঃ এতে কি আছে ভাইয়া??
আমিঃ তুই খুলে দেখ না।
ইশা শপিং ব্যাগ থেকে একে একে সব বের করে পুরো অবাক। কারণ আমি ওর জন্য মেকাপ কিট, চুড়ি, লিপস্টিক আরো অনেক কিছ এনেছি। মানে সাজুগুজু করতে যা যা লাগে আর কি। ইশাতো খুশীতে আটখানা হয়ে গিয়েছে।
আমিঃ কি পছন্দ হয়েছে??
ইশাঃ অনেক অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে ভাইয়া। থ্যাঙ্কিউ সো মাচ ভাইয়া। ইশা আমার গলা জড়িয়ে ধরে বলল।
আমিঃ আচ্ছা হইছে। এখন যা। আমি একটু রেস্ট নি।
ইশাঃ হ্যাঁ নাতাশা আপুকে এগুলো দেখিয়ে আসি। আপু অনেক হিংসা করবে হি হি।
আমিঃ হ্যাঁ হ্যাঁ যা দেখা। আর প্লিজ বইনা আমার, আমার নামে খারাপ কিছু বলিস না। ভালো বলবি। বললে তোকে আরো অনেক কিছু কিনে দিব তাহলে।
ইশাঃ সত্যি??
আমিঃ তিন সত্যি।
ইশাঃ ইয়েএএ। আচ্ছা বলব।
আমিঃ আচ্ছা যা।
ইশা চলে গেল। আমি হাসছি।
ইশার রুমে,
ইশাঃ আপু আপু দেখো ভাইয়া আমার জন্য কত্তো কিছু আনছে।
নাতাশাঃ কই কই দেখি।
ইশা একে একে নাতাশাকে সব কিছু বের করে দেখালো। নাতাশাতো দেখে অবাক। ওর অনেক হিংসা হচ্ছে। ইশা দুষ্টামি করে বলল,
ইশাঃ কি আপু এসব দেখে হিংসা হচ্ছে বুঝি?? হিহি।
নাতাশাঃ যাহ দুষ্ট। মোটেও না।
(হিংসা মানে, আমিতো শেষ হয়ে যাচ্ছি। বেটা আমার জন্য কিছু আনলো না কেন। ধুর, আমিও না। আমার জন্য আনবে কেন! আমাকেতো চিনেই না। আমিও তো ভালো মতো চিনি না।) মনে মনে বলল নাতাশা।
ইশাঃ ও তাই নাকি?? মজা করে।
নাতাশাঃ হুম তাই। অসহায় ভাবে।
ইশা নাতাশার গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
ইশাঃ আরে কষ্ট পেয়েও না অাপু। ভাইয়া বলছে, তুমি চাইলে আমার সাথে তুমিও এগুলো ব্যাবহার করতে পারবে। আমার ভাইয়া অনেক ভালো বুঝলা।
নাতাশা অবাক হয়ে বলল,
নাতাশাঃ তোমার ভাইয়া তা বলছে??
ইশাঃ হ্যাঁ। নাহলে তো আমি তোমাকে দিতামই না। হিহি।
নাতাশাঃ নাহ লোকটা ভালো আছে তাহলে। মনে মনে বলল।
ইশাঃ কই হারালা??
নাতাশাঃ এই তো। আরে লাগবে না আমার এগুলো। তুমি সেজো তাতেই হবে।
ইশাঃ না না। তা হবে না। আমি তোমাকে সাজিয়ে দিব তুমি আমাকে সাজিয়ে দিবা। তারপর দুজন মিলে পুরো গ্রামে ঘুরে বেড়াবো। হিহি।
নাতাশাঃ হ্যাঁ। তারপর গ্রামের সবাই আমাদের বাবার কাছে এসে নালিশ দিবে।
ইশাঃ দিলে দেক। সাজুগুজু না করলে এগুলো দিয়ে কি করবো বলো??
নাতাশাঃ আচ্ছা। দুষ্ট। এখন তোমার ভাইয়ার সম্পর্কে কিছু বলো। সে কি করে??
ইশাঃ ভাইয়া M.A তে পরছে। কিছুদিন পরই পড়া শেষ হয়ে যাবে।
নাতাশাঃ ওও..সেতো অনেক বড়।
ইশাঃ হুম। আমার ভাইয়াটা অনেক ভালো। আমাদের অনেক ভালোবাসে।
নাতাশাঃ বাহ।
এরপর ইশা আর নাতাশা অনেক কথা বলে। এদিকে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে মায়ের কাছে যাই। আমি আসছি বলে মা জমপেশ রান্না বসিয়ে দিয়েছে। আমি মায়ের কাছে গিয়ে বসলাম। অার বললাম,
আমিঃ মা তুমি ভালো আছোতো?? তোমার শরীর ভালো আছেতো??
মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
মাঃ মা যতই অসুস্থ থাক কিংবা খারাপ থাক, সন্তানের মুখে মা ডাকটা শুনলে সে এমনিই ভালো হয়ে যায় খোকা। আর তুইতো আমার মানিক। তুই আসছিস আমি ভালো না থেকে থাকতে পারি বল।
আমিঃ তুমিও না। তোমার আর বাবার জন্য কিছু এনেছি।
মাঃ তোর বাবাকে ফোন দিয়ে বলেছি তুই এসেছিস। সে খুশীতে বাজারে চলে গেছে তোর পছন্দের সব আনতে। একটু পরেই এসে পরবে নে। তখন দিস।
আমিঃ আহহা আবার বাবা এসব করছে কেন! আমি কি মেহমান নাকি??
মাঃ তা নয়তো কি?? তুইতো হলি ঢাকায়া বাবু। আমাদের সবচেয়ে বড় মেহমান। মজা করে।
আমিঃ তুমিও না কি যে বলো।
হঠাৎই নাতাশা এসে বলল,
নাতাশাঃ খালা আমাকে দিন আমি করে দিচ্ছি।
মাঃ না না মা থাক। আমিই করছি। তুমি বসোতো এখানে।
নাতাশাঃ না না খালা, আমি করে দিচ্ছি।
নাতাশা মায়ের কাছ থেকে সবজি নিয়ে কাটা শুরু করলো। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
মাঃ বুঝলি আবিদ, এই হলো একটা মেয়ের মতো মেয়ে। মেয়েতো নয় যেন সোনার টুকরা। বেশ লক্ষ্ণী একটা মেয়ে। সবসময় আমার সাহায্য করে।
আমিঃ হুম।
মাঃ ওর সাথে পরিচয় হয়েছে??
আমিঃ না মা।
মাঃ আচ্ছা। ও হলো নাতাশা। তোর আব্বুর সাথে ওর বাবা কাজ করে। আগে পাশের গ্রামে ছিল। এখন আমাদের বাড়ির পাশেই থাকে। জানিস ওর মা নাই। তাই ও আমাকে ওর মা মনে করেই আমার যত্ন করে। আমিও ওকে আমার মেয়ে মনে করি। এতো ভালো আর সুন্দরী মেয়ে লাখে একটা হয়।
আমিঃ বাবাহ।
নাতাশাঃ খালা তুমি কিন্তু বেশি বেশি বলছ।
মাঃ দেখ কি লজ্জা পাচ্ছে মেয়েটা। আচ্ছা আর কিছু বলছি না। নাতাশা মা, তোমাকে সবসময় আমার ছেলের কথা বলতাম না। এই সেই আমার আবিদ। ওর মতো ভালো আর মেধাবী ছেলে অন্তত এই গ্রামে আর একটাও নেই।
আমিঃ মা, এখন কিন্তু তুমি আমার কথা বেশি বলছ।
মাঃ আচ্ছা বাবা। তোদের কথা আর বলবো না। তোরা দুই জনই অনেক ভালো। তাই বলতে হয়।
আমিঃ হইছে আ…
বাবাঃ কই শারমিন, আবিদ কই??
মাঃ ওইতো তোর বাবা আসছে। চল দেখা করে আসবি।
আমি আর মা বাবার কাছে গেলাম।
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম বাবা।
বাবাঃ অলাইকুম আসসালাম। কেমন আছিস বাবা??
আমিঃ জ্বি ভালো। আপনার শরীর ভালো আছে??
বাবাঃ আছে বাবা। তা এবার কয়দিনের জন্য আছিস??
আমিঃ বাবা-মা, এবার আর তোমাদের নিরাশ করবো না। এবার পাক্কা ১ মাস আছি তোমাদের সাথে।
মাঃ কি বলিস সত্যি??
ইশাঃ কি বলো ভাইয়া সত্যি?? কখন জানি এসেছে।
আমিঃ হ্যাঁ।
বাবাঃ যাক ভালো। তোর মা আর বোন তোর জন্যতো পুরো পাগল হয়ে থাকে। এবার ছেলেকে মন ভরে দেখো তোমরা ঠিক আছে।
মাঃ তা আবার বলতে হবে। তুমি হাত মুখ ধুয়ে আসো। তারপর কথা হবে নে।
বাবাঃ আচ্ছা। আবিদের সব পছন্দের খাবার আছে এখানে। ওকে ভালো করে রেঁধে দিও।
মাঃ আচ্ছা আচ্ছা।
বাবা চলে গেলে অামি,
আমিঃ মা, আমি একটু ঘুমাই তাহলে। এখানে এসে নিরিবিলি পরিবেশে আর সবুজের ছোয়ায় খালি ঘুমই আসছে।
মাঃ আচ্ছা যা। রান্না হলে ডাক দিব নে।
আমিঃ আচ্ছা। ইশা, আমাকে দুপুরে ডাক দিস গোসল করতে যাব।
ইশাঃ আচ্ছা ভাইয়া।
আমি এরপর ঘুমাতে গেলাম। বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুমিয়ে পরি। কতক্ষণ ঘুমিয়েছি জানি না। হঠাৎ কারো ডাকে ঘুম ভাঙে।
ইশাঃ ভাইয়া…ও ভাইয়া উঠো। গোসল করবা না??
আমি আস্তে আস্তে করে চোখ খুলে তাকাই। আর বলি,
আমিঃ হ্যাঁ উঠছি। তুই যা।
ইশাঃ আচ্ছা। তাড়াতাড়ি গোসল করে আসো। রান্না কিন্তু শেষ।
আমিঃ আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি।
আমি এরপর উঠে তাড়াতাড়ি বাড়ির পাশের পুকুরটাতে গোসল করতে গেলাম। আহ! কতদিন পর পুকুরে নামলাম। আমি সাঁতার জানি। তাই পুকুরে নেমে বেশ মজাই করলাম অনেকক্ষন। অবশ্য একা ছিলাম না। সাথে ছোট ভাই ব্রাদাররাও ছিল। গোসল করে এসে পুরো শরীর ভিজা ছিল। তাই একটা তোয়ালে পরে নিলাম। জানি এখন আমার রুমে কেউ আসবে না। আমার নিচটা শুধু একটা তোয়ালে দিয়ে ঢাকা৷ অা উপরটা পুরো খালি। ভিজা কাপড় গুলো পাশে রেখে যেই ঘুরে তাকিয়েছি দেখি নাতাশা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি….
চলবে… ?
আশা করি সবার ভালো লাগছে। সাথে থাকবেন আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু।