তুমিময় পর্ব : ৪

0
1627
তুমিময় পর্ব : ৪ গল্পবিলাসী – Nishe সবাই চুপচাপ বসে আছে পাশে তাকাতেই আহাদ আর আকাশকেও দেখতে পায় মেঘ। ইশারায় জানতে চাইলে ওরাও বললো কিছুই জানেনা। আলতাফ চৌধুরী : এখানে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যই সবাইকে ডেকেছি। আশাকরি তোমরা বুঝতেই পারছো। গতকাল আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে এয়ারপোর্ট। আশাকরি তোমরা সবাই তাকে চেনো। আর না চিনলেও নামটা আমি বহুবার এই পরিবারে বলেছি সবাই শুনেছো নিশ্চয়ই। হ্যা আমি আরমানের কথাই বলছি। যে কিনা নিজের জীবন ঝুঁকিতে রেখেও আমার মেয়েটাকে বাঁচাতে চেয়েছিলো কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আমার মেয়েটাকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না সেই পাঁচ বছর বয়সেই হারাতে হলো। আগামীকাল আমরা সবাই তার বাসায় যাচ্ছি। মেঘ : খুব বড় একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে ওহ গড বাবা এইজন্য এতো জরুরী ডাকা হয়েছে। তুমি কল করলে আমরা এড্রেস অনু্যায়ী চলে যেতাম। আলতাফ চৌধুরী : আমার কথা এখনো শেষ হয়নি। আরমানের মেয়ে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়েছে আমার খুব ইচ্ছে এই মেয়েটাই আমার বাড়ির বড় বউয়ের স্থান গ্রহন করবে। আমি আমার ইচ্ছার কথা আরমানকে বললে সে তখন বললো দুজনের মধ্যে কথা হোক তারপর যদি ওরা দুজন দুজনকে পছন্দ করে তখন তার কোনো দ্বিমত থাকবেনা। মেঘ যেনো কথা বলার শক্তিই হারিয়ে ফেলছে। কি বলছে বাবা এসব? কিভাবে সম্ভব? মিসেস আলতাফ : পছন্দ অপছন্দ তো পরের কথা ওদের এইজ ডিফারেন্স টাও তো দেখবে মেঘের কতো ছোট হবে সে ভাবতে পারছো তুমি? আলতাফ চৌধুরী : সংসার কখনো বয়সের উপর ডিপেন্ড করেনা আশু। সেখানে দুজনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ডিপেন্ড করে। কে কাকে কতোটা বুঝে সেটা ডিপেন্ড করে। আমার মেয়েটাকে খুব ভালো লেগেছে। আর তাইতো চাইছি। আলতাফ চৌধুরীর কথায় আর কেউ দ্বিমত করলোনা। মেঘের দিকে তাকিয়ে আশা করি তোমার কোনো দ্বিমত নেই? সবাই মেঘের উত্তরের পথে চেয়ে আছে। মেঘ চুপচাপ বসে আছে। এইরকম একটা ঝড় আসবে সে জানতো কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি আসবে সেটা কখনো ভেবে দেখেছি। কিন্তু আর যাই হোক রুহিকে ছাড়া তারপক্ষে থাকা কখনো সম্ভব নয়। তখন মেঘ সবার দিকে তাকিয়ে বাবার দিকে তাকালো সবাই তার উত্তরের অপেক্ষায় আছে সে বুঝতেই পারছে। কিন্তু আজ তাকে বলতেই হবে আজ চুপ থাকলে সে অনেক অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যাবে হয়তো হারিয়ে যাবে তার পিচ্চি বউ। মেঘ ফ্লোরে তাকিয়ে বলতে শুরু করলো আজ থেকে ছয় মাস তেরো দিন আগে রাত প্রায় ১২টা। রাজশাহীর অফিস থেকে আমি আমার ফ্ল্যাটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই রাহিম আমাকে কল দেয় খুব বিপদ না হলে আমার বন্ধুরা আমাকে কল দেয়না। তার কোনো গার্ডিয়ান না থাকার কারনে আমি তখনি সেখানে ছুটে যাই। রাহিম বেশিরভাগ সময়ই ইংল্যান্ড থাকে তার বাড়ি সবগুলোই ভাড়া দেয়া। নিজের জন্য প্রতিটা বাড়িতে একটা ফ্ল্যাট ছাড়া সবই ভাড়া দেয়া। সেদিন নুকুলপুরের বাড়িতে গিয়ে উঠে রাত দশটায়। সেখানে সেইবার নিয়ে মাত্র দুবারই যাওয়া হয়েছিলো তার। তার চলাচল না থাকাতে সেই বাড়িটাকে পতিতালয় করে নিয়েছিলো সেখানকার কিছু কিছু মাস্তান। রাহিম সেখানে আশ্রয়হীন দের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। তাদের বের করে দিয়ে স্থানীয় কিছু মাস্তান সেখানে পতিতালয় গড়ে তুলেছিলো যখনি রাহিম সব শুনে রেগে গেলো তখনি তাকে একটি মেয়ের সাথে রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশ ডেকে পাঠালো। খুব সম্মানিত একজন মানুষ রাহিম। অল্পসময়ের মধ্যেই অনেক সুনাম অর্জন করেছে। তাকে নিয়ে মিডিয়াতে এসব খবর ছড়ালে অনেক সর্বনাশ হয়ে যাবে। তখন কোনো উপায় না পেয়েই আমাকে কল করে আমি সেখানে গেলে আমাকেও অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। পুলিশের সাথে কথা বলে মিডিয়ার লোকদের বের করে দিলাম। তারপর রুমে এসে মেয়েটার সাথে কথা বলতে চাইলে মেয়েটার কিছু মনে নেই। কেমন যেনো হয়ে আছে। এতোকিছু হয়ে গেলো মেয়েটার যেনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ততোক্ষনে এই কাজ যার মাধ্যমে হয়ে তাকে এরেস্ট করে নিয়েছে পুলিশ কনস্টেবল। মেয়েটা শুধু চোখের পানি ফেলছে কিছুই যেনো বুঝতে পারছেনা। পতিতালয়ের লোকটি বলতে শুরুকরলো এখন এই মাইয়ার মুখ দিয়া কোনো কথা বাইর হইবোনা। পুলিশ : কেনো? কি করেছিস ওকে? লোকটা : ওরে আধঘণ্টা আগে পাঁচটা পোলা আইসা বিক্রি কইরা গেছে তিন লাখ। ওরা ধুতরাবীজ দিয়া বশে নিয়ে ব্যবল কইরা নিছিলো এহানে ঢুকানোর সময় কিছু মাল খাওয়াইছিলাম এহনো হ্রেস কাটেনাই। পুলিশ সবাইকে এরেস্ট করে। সবাই সবার মতো করে চলে যাচ্ছিলো মেয়েটা পড়েই রইলো। আমি পারছিলাম না মেয়েটাকে এভাবে রেখে আসতে তাই আমার সাথে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম কিন্তু পুলিশ আমাকে বাধা দিচ্ছিলো দুজন অপরিচিতো মানুষকে না দেয়াটাই স্বাভাবিক। তখন আমি ওদের কথা দেই যে আমি ওকে বিয়ে করবো। ওর সেন্স ফিরে আসার পর। এমনকি ওদের সামনেই। তখন অফিসার রাজি হচ্ছিলোনা মিডিয়াতে প্রচারের ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন তখন আমি বললাম যে এই ব্যাপারটা মিডিয়াতে ছড়াছড়ি হলে মেয়েটার ক্ষতি হবে আমি নিজ দায়িত্বে মেয়েকে সুস্থ করে তুলবো। এবং ওর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিবো তখন যদি সে মেনে নেয় আমাকে নিবে আর না হলে দুজন আলাদা হয়ে যাবো আমার রিকোয়েস্ট আর ফেলতে পারলেন না তিনি রাজি হলেন । তখন আমি মেয়েটাকে নিয়ে প্রথমে হসপিটালে যাই কিন্তু মেয়েটার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলোনা যার জন্য ডক্টর স্লিপিং পিল দিয়ে দিলো আর বললো রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে। পুলিশের সাথে কথা বলে তাকে আমার বাসায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তকোন বাসায় নিবো সেইটা বুঝতে পারছিলাম না। যেহেতু পুলিশ আছে কোনো ঝামেলা হবেনা তাই এইবার জন্মদিনে দেয়া ফ্ল্যাটে আমি মেয়েটাকে নিয়ে যাই। বাবা তুমি সেদিন বলেছিলে তোমার ঘরের লক্ষিকে নিয়ে যেনো আমি সেই ঘরে পদার্পণ করি।সেদিন বাসায় ঢুকার সময় বারবার এই কথাটা মনে পড়েছিলো। একবার মনে হয়েছিলো এই মেয়েটাই হয়তো তোমার ঘরের লক্ষি আরেকবার মনেহয়েছিলো আমি ভূল করছি তাকে এই বাড়িতে নিয়ে ঢুকে। তখন রাত প্রায় তিনটা। স্লিপিং পিল খাওয়ার জন্য মেয়েটা ঘুমিয়ে ছিলো মেয়েটাকে গেস্ট রুমে শুইয়ে দিয়ে আমিও ফ্রেশ হয়ে নিলাম। পরদিন ভোর চারটায় আমার ঘুম ভেঙে যায় একটা শব্দ শুনে। হ্যা সেইটা বজ্রপাতের শব্দ ছিলো। ছুটেই মেয়েটার রুমে যাই মেয়েটা ভয়ে কুঁকড়ানো অবস্থায় দেখতে পাই। আমি যাওয়ার সাথে সাথেই মেয়েটা আমার বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তার হার্ট এতো জোড়ে বিট করছিলো আমি গুনতে পারতাম তখন।খুব জ্বর ছিলো মেয়েটার গায়ে। কিছু একটা বিরবির করে বলছিলো মেয়েটা বুঝার চেষ্টা করছিলাম মেয়েটা শুধু এইটা বলেছিলো আমার ভয় লাগছে প্লিজ আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন। আমি ভাইয়ার কাছে যাবো। ভাইয়া ভাইয়া বলে কাঁদতে লাগলো। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। প্রথমেতো মেয়েটার পরিচয় ঠিকানা জানতে হবে তারপর পৌছে দিতে হবে। এই অবস্থায় খুব বেশি প্রেশার ও দেয়া যাবেনা। হঠাৎ করে মেয়েটা আমার থেকে ছিটকে দুরে সরে গেলো। আপনি কে? কোথায় নিয়ে এসেছেন আমাকে? মেঘ : মেয়েটা রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে উঠছিলো যা ওর স্বাস্থ্যের জন্য খুব খারাপ। আমি অনেকবার অনেককিছু বুঝানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু মেয়েটা আমাকে সেই সুযোগ দিচ্ছিলোনা। কিছুক্ষন চিল্লাচিল্লি করে মেয়েটা আবারো সেন্স হারিয়ে ফেলেছিলো তখন মুখে পানি দিলে কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তখন তুমি কোনো ভয় পেয়োনা। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবোনা। মেঘ : আমাকে বলো কি হয়েছিলো তোমার ভরশা করতে পারো।তারপর মেঘ কেনো তাকে এখানে নিয়ে এসেছে কোথা থেকে নিয়ে এসেছে সব খুলে বললো মেয়েটাকে। মেয়েটা কাঁদছিলো তখন। চোখ দিয়ে পানি পরছিলো। মেয়েটা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো হয়তো কিছু একটা ভাবছিলো ভরশা করবে কি করবেনা তাই হয়তো ভাবছিলো কিছুক্ষন পর মেয়েটা বলতে শুরু করলো আমি মেহজাবিন রুহি। বাসা আহমদপুর। ( সেইটা কোথায় আদৌ আছে কিনা আমি জানিনা) ইন্টার পরিক্ষার্থী। লেখাপড়াতে ঢেড়স। অবশ্য তা নয় পড়তে ভালোলাগেনা। একঘন্টা পড়লে তিনঘণ্টা দুষ্টুমি করে কাটাই। তাই বাবার ধারনা আমি ডিম পাবো পরিক্ষায়। এই নিয়ে বাবা প্রায় আমাকে বকাবকি করে কিন্তু আমি সেভাবে কানে নেইনা। ভাইয়া আমার সাপোর্টার। সব কিছু ঠিক করে দেয়। কিন্তু গতকাল ভাইয়া বাসায় ছিলোনা বাবা খুব বেশিই বকাবকি করে যারজন্য খুব রাগ হয়। আমার আম্মু একজন টিচার। যার জন্য বেশিরভাগ সময় বাসার বাহিরেই থাকে আর যখন বাসায় আসে তখন আমি ঘুমিয়ে থাকি অথবা ফ্রেন্ডস নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বাসায় কেউ ছিলোনা। খুব রাগ হয়েছিলো তখন বেড়িয়ে যাই বাসা থেকে হাটছিলাম আর বাবার কথাগুলো ভাবছিলাম আমি অকর্মার ঢেকি। লেখাপড়ায় ঢেড়স। আমার জন্য তার মানসম্মান থাকবেনা। আমাকে ভালো পরিবারে বিয়েও দিতে পারবেনা এইরকম আরো অনেক কথা শুনিয়েছিলো হাটতে হাটতে ঠিক কোথায় চলে গিয়েছিলাম জানিনা হঠাৎ একটা ব্রীজের উপর আসি। তখন প্রায় সন্ধ্যা। ব্রীজের উপর অনেক কাপল ছিলো, অনেক মেয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো আবার ছেলেরাও বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো শুধু আমিই একা ছিলাম। হঠাৎ কিছুক্ষন পর চারটা ছেলে সিগারেট নিয়ে আমার পাশে এসে দাড়ায়। সিগারেটের গন্ধ নাকে আসতেই আমি কাশতে শুরু করি তখন একটা ছেলে আমাকে পানি এগিয়ে দিলে আমি খেয়ে নিই। খাওয়ার মিনিট দুইয়ের মধ্যেই আমার সব কেমন লাগছিলো গা কেমন গুলিয়ে যাচ্ছিলো শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো তারপর আর কিছুই মনে নেই। একগ্লাস পানি এগিয়ে দিলো মেয়েটা সাথে সাথে খেয়ে নিলো তারপর মেয়েটা নিজ থেকেই শুয়ে পরলো আমিও বের হয়ে এলাম। ভাবছি পিচ্চি একটা মেয়ে। কিভাবে কি করা যায় তাই ভাবছি। মেয়েটাকে কেনো কেনো ফেলে আসতে পারিনি সেতো আমার কেউ নয় তাকেতো চিনিও না তাহলে কেনো পারলাম না তাকে ফেলে আসতে অপেক্ষা করছিলাম। ফ টিপটিপ বৃষ্টি পরছিলো এতেই ভিজে রাহিম পুলিশ অফিস্যার মহিন এলো সাথে একজন হুজুর। ওরাএ ভেবে নিয়েছে আমি সত্যিই বিয়ে করবো পুলিশ রুহির অবস্থা জেনে ওর সাথে দেখা করতে চাইলো কেমন আছে এখন শরীর কেমন লাগছে এমন টুকটাক রাহিম বলে উঠলো আমি রুহির সাথে কথা বলতে চাই। আমরাও বেরিয়ে গেলাম রাহিম : দেখো রুহি আমাকে তোমার ফ্রেন্ড ভাবতে পারো। বা তোমার বড় ভাই। ভয় পেয়োনা আমরা তোমার কোনো ক্ষতি করবোনা। আমার কথা গুলো মন দিয়ে শুনবে। তুমি কি সত্যিই মেঘকে ভরশা করতে পারো? রুহি : অপরিচিতো একটা মানুষ আমাকে এভাবে বাঁচালে আমি কি করে তাকে বিশ্বাস না করে থাকবো ভাইয়া? রাহিম : আমরা তো তার উপর ভরশা করতে পারিনা দিনশেষে সেও একজন পুরুষ। দেখো আজ বা কিছুদিন পর তুমি যখন বাড়ি যাবে পরিস্থিতি ঠিক কতোটা বিগরে যাবে তোমার কল্পনার বাহিরে। তাই আমি বলছিলাম যে তুমি আর মেঘ যদি বিয়েটা করে নাও। বিয়ের কথা শুনে চমকে উঠলো রুহি। রাহিম : কেনো? তাইতো? তুমি যখন বাসাত গিয়ে বলবে তুমি একটা পুরুষের সাথে একি ফ্ল্যাট এ ছিলে কিন্তু তোমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি তোমার পরিবার বিশ্বাস করলেও আত্নীয়স্বজন করবেনা তোমার সমাজ করবেনা। হ্যা ছিলা এইটা করবে কিন্তু তুমি তাদের কাছে একটা নষ্টা মেয়ে হয়ে থাকবে। কিভাবে জানো? কারন তারাও এইটা বলবে যে দিনশেষে সেও একজন পুরুষ ছিলো সে যে তোমাকে স্পর্শ ও করেনি সেটা কেউ জানতে চাইবেনা বললেও বিশ্বাস করবেনা। কিন্তু যদি বিয়েটা হয়ে যায় তখন কিছুটা কম রিয়েক্ট হবে তা নয়। পরিস্থিতি কিছুটা হলেও তোমার পক্ষে থাকবে। সমাজে নষ্টা হিসেবে পরিচয় হবেনা।কারন তুমি তোমার হাজব্যান্ডের সাথে ছিলা। আর যেহেতু এডুকেডেট মেয়ে তাহলে নিশ্চয়ই জানো আমাদের বিডিতে সমাজটাকে একটু বেশীই এলাও করে। । এই একটা রাত নিয়ে কম ঘূর্ণিঝড় আসবেনা তোমার জীবনে তখন তুমি জবাবে তোমার হাজব্যান্ড এর কথা টানতে পারবে। মেঘ তোমার থেকে যথেষ্ট বড় আমি জানি। এখন পরিস্থিতি সামলে নিতে আমার কাছে এইটাই বেটার মনেহলো। যদি তুমি চাও পরে ডিভোর্সের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এখন পুরোটা তোমার উপর তুমি যা চাইবে তুমি তাই হবে। মেঘকে আমি খুব ভালোভাবে চিনি। এখন তোমার মতামতের উপর ডিপেন্ড। সে মেয়েদের খুব রেসপেক্ট করে। তোমাকে ঠকাবে না মেঘ। আমাকে যেহেতু ভাই বলেছো সারাজীবন পাশে থাকার চেষ্টা করবো। আমরা বাহিরে অপেক্ষা করছি তুমি ভেবে চিন্তে ডিসিশন নাও। রুহি ভাবছে মেঘের বয়স বেশি সেইটা কোনো ফেক্ট না। সে সবসময় এমন একজন মানুষকে চাইতো যে তাকে বুঝবে। তাকে নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করবে। এখন পরিস্থিতি সামলে নেয়ার জন্য বিয়েটা দরকার মনেহলো রুহির। পরে যদি মনেহয় সে থাকবে মেঘের সাথে তাহলে থাকবে আর নয়তো ডিভোর্সের ব্যবস্থা নিবে। মাথাটা খুব ব্যাথা করছে এইভাবে বাসায় যাওয়াও পসিবল না। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এখন থাকে সুস্থ থাকতে হবে। পরে ভাইয়ার সাহায্য নিয়েই যা করার করবে। রুহি বেরিয়ে এলে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। রুহি : আমি রাজি। সেদিন পুলিশ অফিসার মহিন আর রাহিমের সাক্ষীতে আমরা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ কয়ে গেলাম। রুহি নিজ থেকেই পুলিশ অফিসারকে বললো ভাইয়া? পুলিশ অফিসার মৃদু হেসে বললেন বলো রুহি : জীবনে এইটুকু বয়সে অনেক পুলিশ দেখেছি কিন্তু কখনো আপনার মতো কাউকে দেখিনি। আজ থেকে আমার তিনটা বড় ভাই আমার রোহান ভাইয়া। রাহিম ভাইয়া আর আপনিও আমার ভাইয়া পুলিশ অফিসার মহিন খুব খুশি হয়েছিলেন। তিনিও রুহিকে বোনের স্থান দিয়েদিলো। রাহিম : আমার নিজের তো বোন নেই আজ থেকে রুহিই আমার বোন দেখে রাখিস আমার বোনটাকে। ওনাদের বিদায় দিয়ে রুহি আমার কাছে এলো আমি তখনো চুপ ছিলান রুহি কেনো করলো বিয়েটা সেটা ভাবছি আমি কম করে হলেও রুহির দশ বছরের বড় হবো।রুহি : আমার ক্ষিদে পেয়েছে। মেঘ : তুমি থাকো আমি নিয়ে আসছি। আর কেউ নক করলে খুলবেনা। মেঘকে অবাক করে দিয়ে রুহি তাকে জড়িয়ে ধরলো রুহি : জানেন আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। আমার ভাইয়া বলে ভাগ্যে যা হয় সব মেনে নিতে হয়। পরিস্থিতি সামলে নিতে হয়। হয়তো আপনিও আমার। এভাবেই বিয়েটা হয়ে যায়। এতোটুকু বলে মেঘ থামলো।( যদিও সে এখানে অনেকগুলো কথা মিথ্যা বলেছে যদি সত্যি সে বলে তাহলে নিশ্চিত ওদের আলাদা হতে হবে। কারন সবাই ভাববে রুহি আমাকে ফাসিয়ে বিয়ে করেছে) সবাই খুব কৌতুহলী হয়ে মেঘের কথা শুনেছিলো। মিসেস আলতাফ : তারপর তুই মেয়েটাকে ওর বাসায় ফিরিয়ে দেস নাই? মেঘ : দিয়েছিলাম অন্য রুহি রুপে। যে সারাক্ষণ পড়াশুনা করতো কারন তখন তার টার্গেট ছিলো গোল্ডেন পেতে হবে তাকে আমি পুরো এক সপ্তাহে তাকে এমন ভাবে গড়েছিলাম। চলবে


( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???
https://www.facebook.com/nishe.ratri.9809

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে