#তুই_শুধু_আমার
Faria Siddique
Part 6
সন্ধ্যায়
আমাকে সাজানো হচ্ছে।খয়েরী কালারের লেহেঙ্গা,ভারি গহনা,ভারি মেকআপ,চুল গুলা খোপা করা,আর ওরনাটা খোপার ওপর লাগানো।
রুদ্র আজ ব্লু কালারের ব্লেজার,সাদা কালারের শার্ট পরেছে।হাতে ঘড়ি,চুলগুলা ওপরের দিকে স্পাইক করা। পুরাই একদম হিরোর মতো লাগছে।
আর রুশা আজকে শাড়ী পরেছে লাল কালারের।চুলগুলা মাঝখান দিয়ে সিতা করে দুইদিকে ফুলানো। ভারি মেকআপ আর কানে বড় ঝুমকো।
আমাকে নিচে নামানো হচ্ছে। রুশা আমাকে নিয়ে সিড়ি দিয়ে নামছে।পুরা লাইটের ফোকাস এখন আমাদের দিকে।আমি রুদ্রকে দেখে আরেকদফা ক্রাস খাইলাম।
রুদ্র আমার দিকে তাকিয়ে আছে হা করে।
রুদ্রঃবাবা তোমার বউমা এতো সুন্দর কেন?
বাডিঃরুদ্র তুই খুবই নিলজ্জ হয়ে গেছিস।
রুদ্র লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলল।
আমাকে স্টেজে নেওয়া হলো।
আমি আর রুদ্র পাশাপাশি বসে আছি।
রুদ্রঃতুমি এতো সুন্দর কেন জানপাখি?
আমি কিছু না বলে শুধু হাসলাম।
রুদ্রঃতোমাকে আমার কিছু বলার আছে।
আমিঃআমারও তোমাকে কিছু বলার আছে।
রুদ্রঃবল।
আমিঃআরেকটু পর বলব।তোমারটা বল?
রুদ্রঃআজকে রাতে বলব..
হঠাৎ করে লাইট অফ হয়ে গেলো। লাইটের ফোকাস এখন মেইন দরজার দিকে।
দেখলাম একটা লোক পিছন দিকে ফিরে আছে গিটার হাতে নিয়ে।তারপর লোকটা গাইতে শুরু করলো
O behena meri গান টা আর তার সাথে সাথে বড় স্ক্রিনে আমার আর আমার ভাইয়ার ছবি।এরপর ভাইয়া আমার কাছে আসল।
আমি কান্না করে দিছি।ভাইয়া আমাকে সাথে নিয়ে গান গাইতে লাগল।
(আসলে আমি গানের লাইন গুলা পারি না তাই লিখতে পারি নাই।)
অন্য দিকে
রুশা আমার ভাইয়াকে দেখে চোখ দিয়ে পানি ফেলছে।তার কারন আমরা একটু পর জানব।
ভাইয়া গান শেষ করে আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
আমিঃতুমি খুবই পচা।আমি কোন কথা বলব না।
ভাইয়াঃতুই ও তো পারতি আমাকে কল করতে।
আমিঃকেন আমি কল করব??
ভাইয়াঃআচ্ছা বাবা সরি।
আমিঃকান ধর।
ভাইয়াঃ এই যে কান ধরলাম।
বাবা এসে বলল
বাবাঃকিরে কেমন লাগলো আমার সারপ্রাইজ?
আমিঃখুব ভালো।
বলেই আমি হেসে দিলাম।
ভাইয়াঃআমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি না!!
আমিঃকেন না।চল।
ভাইয়াঃহুম চল।
আমিঃইনি হচ্ছেন আমার শ্বশুর, আর ইনি হচ্ছেন আমার শ্বাশুড়ি আর ইনি হচ্ছেন আমার বর আর ও হচ্ছে আমার একমাত্র ননদিনী।
ভাইয়া রুশাকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।আর রুশা নিচেরদিকে তাকিয়ে আছে।
ভাইয়া কিছু না বলে আমার সাথে চলে এলো।
ভাইয়াঃটুকু তুই কি জানিস আমার আর রুশা সম্পর্কে?
আমিঃভাইয়া তুমিই তো সব বললা।কিন্তু তখন আমি জানতাম না যে রুশা রুদ্রের বোন।যখন জানতে পারি তখন আমি কিছুই বলি নাই।
ভাইয়াঃতোর কি মনে হয় এখন কি করা উচিৎ?
আমিঃশোধ নাও।যেমন তোমার বোনকে জোর করে বিয়ে করেছে তেমন তুমিও বিয়ে করে নাও।(বাকা হেসে)
ভাইয়াঃটুকু তুই যে আমার বোন তার প্রমান দিলি।এখন চল তোর বরের সাথে দেখা করে আসি।
আমিঃহুম চল।
ভাইয়া রুদ্রের সাথে দেখা করতে গেল।আর আমি রাজকে কল দিলাম।
আমিঃকি খবর?
রাজঃমেম আপনার ফুফা ফুফুকে এই শালাই নাকি মারছে।
আমিঃকি বলছো কি এসব!!!!
রাজঃজ্বি মেম।
আমিঃওকে মেরে ফেল।
রাজঃare u sure mem.
আমিঃহুম।মেরে বডিটাকে আমার কুকুরদের খেতে দাও।
রাজঃওকে মেম।
আমিঃআর এখনি আমার বোন আর তার বাচ্চাকে আমার কাছে নিয়ে আস।
রাজঃ২০ মিনিটে আমি সব কাজ শেষ করে আপনার বোন আর বোনের বাচ্চাকে আপনার কাছে নিয়ে আসছি।
আমিঃহুম।
আমি কল কেটে ভাইয়ার কাছে গেলাম।
ভাইয়া রুদ্রের সাথে কথা বলছিল।
আমিঃভাইয়া তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
রুদ্রঃফারিয়ার কাহিনী কি?এমন লাগছে কেন ওকে?(মনে মনে)
আমি ভাইয়াকে সব বললাম।
ভাইয়াঃকি বলছিস এসব!!!!
আমিঃহুম।আমি যা করেছি একদম ঠিক কিরেছি।এখন আর কোন ঝামেলা হবে না।আমি আপু আর তার বাচ্চাকে তোর সাথে লন্ডন পাঠিয়ে দিব..
ভাইয়াঃযা ভালো বুঝিস কর.আমার তোর ওপর ভরসা আছে।
আমিঃহুম।
তারপর আমি আর ভাইয়া সবার কাছে গেলাম।
আমি বসে আছি। এমন সময় রাজ এলো। আমার বোন আর আমার বোনের বাচ্চাকে সাথে নিয়ে।আমি আর ভাইয়া দৌড়ে গিয়ে আপুকে জড়িয়ে ধরলাম।
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
বাবাঃমিম বেচে আছে!!(কান্নার সুরে)
আমিঃহুম বাবা।আজকে আমি তোমাদের সবাইকে সব খুলে বলব।
রুদ্রঃকি সত্যি??
আমিঃএ হচ্ছে আমার ফুফাতো বোন মিম আপু।আপুর বিয়ে হয়েছিল একটা অমানুষ এর সাথে।যে কিনা আমার ফুফার সম্পত্তির লোভে পরে আপুকে বিয়ে করেছিল।আপু ছিল ফুফার একমাত্র মেয়ে তাই ফুফা ফুফুর পরে সব সম্পত্তি আপু নামে ছিল।অমানুষ টা সম্পত্তির জন্য আমার ফুফু আর ফুফাকে মেরে ফেলে।আর তারপর আমার বোনকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রাস্তায় ছেড়ে দেয়।আর তারপর আমি আর ভাইয়া যখন আপুর খবর নিতে যাই তখন তাদের বাসার দাড়োয়ান থেকে সব জানতে পারি। আর তারপর আমি আমার পিএ রাজকে বলি সব খবর বের করতে। তারপর ও আপু আর আপুর বাচ্চাকে খুজে বের করে আর আমার আদরের দুলাভাইকে মেরে আমার কুকুরকে খাইয়ে দেয়।
সবার চোখে পানি চলে আসল।বাবা গিয়ে আপুকে জড়িয়ে ধরল।
বাবাঃআমাকে মাফ করে দে মা।
আপুঃএভাবে বল না মামু।
আমি রুদ্রের কাছে গেলাম।
আমিঃতুমি কি আমার ওপর রাগ করে আছ?
রুদ্রঃকি বল আমি কেন তোমার ওপর রাগ করব?যখন আমিই তোমাকে দিয়ে সব করিয়েছি তখন আমার রাগ করার কোন প্রশ্নই উঠে না….
আমিঃমানে?????
রুদ্রঃমানে হচ্ছে আমি হচ্ছি সব কিছুর মাস্টার মাইন্ড।।
সবাই অবাক হয়ে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমিঃক্লিয়ার করে বল..
রুদ্রঃশুন তাহলে আমি যখন তোমাকে খুজে পাই…
আমিঃওয়েট ওয়েট খুজে পাই মানে??
বাবাঃআমি বলছি রুদ্রই হচ্ছে তোর ছোটবেলার শান ভাইয়া।
বাবার কথা শুনে আমি বসে পরি আমার চোখ দুটো যেনো বাধ মানছে না।
আমি কান্না করতে লাগলাম।
রুদ্র আমার কাছে এসে হাটু গেরে বসল।
রুদ্রঃআমি জানি এখন তোমার কেমন লাগছে কিন্তু আমি যা করেছি তোমাকে ভালবেসেই করেছি।প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।
আমি কিছু বললাম না।
ভাইয়াঃআমাদের সব বলো রুদ্র।
রুদ্রঃফারিয়া যখন লন্ডন চলে গেল তারপর আমার বাবাও আমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে দিল।তারপর আমি পড়ালেখা শেষ করে দেশে আসি দুই বছর আগে।এই দুই বছর আগে আমি এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার সময় ফারিয়া আর তার বাবাকে আমার পাশের গাড়িতে দেখি।আমি ফারিয়াকে না চিনতে পারলেও ওর বাবাকে দেখে চিনেছিলাম।আর তখনি আমি রাজকে বলি তোমার সম্পর্কে সব জানার জন্য।
আমিঃরাজ………রাজকে তুমি চিন????
রাজ কিছু বলতে গেলে রুদ্র তাকে থামিয়ে দেয়।তারপর আবার বলতে শুরু করে।
রুদ্রঃরাজ আমার ফুফাতো ভাই।রাজ তোমার সম্পর্কে আমাকে সব বলে আর এটাও বলে যে তুমি একজন লেডি গ্যাংস্টার।
সবাই অবাক হয়ে আছে শুধু আমি,ভাইয়া,রুদ্র আর রাজ ছাড়া।
বাবাঃকি বলছ এসব!!!!
রুদ্রঃহুম বাবা। তারপর আমি রাজকে বলি ফারিয়ার দলে যোগ দিতে আর তার ভরসার পাত্র হয়ে উঠতে।রাজও তাই করল।আর ফারিয়ার সব খবর আমাকে দিত।আমি রাজকে ফারিয়ার সব কাজে হেল্প করতাম।মিমকে খোজার কাজেও আমি হেল্প করেছি।
সবাই অবাক হয়ে আছে।আমার বাবা ভাইয়ার কাছে গেল
বাবাঃতুই সব জানতি???
ভাইয়াঃআমি সব জানতাম বাবা.
বাবাঃতাহলে কেন ওকে থামাস নি?
ভাইয়াঃআমি চেয়েছিলাম আমরা দুইজনে মিলে সব রহস্য সমাধান করব।
রুদ্রের বাবাঃযা হয়ার হয়ে গেছে এখন আর এসব নিয়ে চিন্তাকরে লাভ নেই।
রুদ্রের মাঃ একদম ঠিক।
বাবাঃআমাকে কথা দে তুই আর কোন দিনও এসব পথে যাবি না।
আমিঃকথা দিলাম..
রাজঃ মেম আমার একটা কথা আছে??
আমিঃমেম!!!!আমি আপনাকে এখন থেকে ভাইয়া বলে ডাকবো। তা কি কথা ভাইয়া??
রাজঃতোমার যদি আপত্তি না থাকে আমি মিমকে বিয়ে করতে চাই।ওর আর ওর ছেলের দায়িত্ব নিতে চাই।
বাবাঃআমি এ সম্পর্কে ভেবে দেখব…
আমিঃবাবা ভাবাভাবির কিছু নাই।রাজ ভাইয়া অনেক ভালো ছেলে। আর আপুর আপত্তি না থাকলে বিয়ের কাজ সেরে ফেলাই ভালো।
বাবাঃমিম তুই কিছু বলবি??
মিমঃতোমরা যা ভালো বুঝ তাই করো।
আমিঃতাহলে তো হয়েই গেলো। কালকেই আমরা তাহলে বিয়ের কাজটা সেরে ফেলি?
রুদ্রের বাবাঃহুম তাই করি। কি বলেন বেয়াই সাহেব।।
বাবাঃআমারও তাই মনে হয়।
রুদ্রঃঅনেক হলো এবার সবাই এনজয় কর।
আস্তে আস্তে অনুষ্টানও শেষ হয়ে গেল।
আমাকে রুদ্রের রুমে বসিয়ে দেয়া হলো। আমি রুমে গিয়েই সব কিছু খুলে একটা টি-শার্ট আর টাউজার পরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি।
রুদ্র রুমে এসে আমাকে খুজতে খুজতে বারান্দায় চলে আসল।এসে আমার এই অবস্থা দেখে ফিক করে হেসে দিল।
আমিঃএভাবে হাসার কিছু নেই আমার বিরক্ত লাগতাছিল তাই সব খুলে এগুলো পরেছি।
রুদ্র কিছু না বলে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল
রুদ্রঃ ভালো করেছ।এইগুলাতে তোমাকেআরও বেশি সুন্দর লাগছে।(বাকা হেসে)
এই বলেই রুদ্র আমাকে কোলে তুলে নিল।
আমিঃএসব কি হচ্ছে??(রাগি সুরে)
রুদ্রঃ আমার বউটার রাগ ভাঙাতে হবে না।।তাই একটু আদর করব আরকি।
আমিঃ😒😒😒তুমি কিন্তু বেশি করছো।
রুদ্রঃযাই বল আজ তোমাকে ছাড়ছি না।
আর কি ডুব দিল ভালবাসার সাগরে।
অন্যদিকে
ছাদে দাঁড়িয়ে আছে ভাইয়া আর রুশা।
রুশাঃতুমি আমাকে এখানে ডাকলে কেন?
ভাইয়াঃআমার জানকে আমি ডাকবো না তো কে ডাকবে?
রুশাঃদেখ আমার আর তোমার মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
ভাইয়াঃতার মানে তুমি আমাকে বিয়ে করবে না??
রুশাঃনা।
ভাইয়াঃঠিকাছে।
এই বলে ভাইয়া রুশাকে অজ্ঞান করে কাজি অফিসে নিয়ে গেল।ওখানে গিয়ে রুশার জ্ঞান ফিরে আসল।
রুশাঃআমি এখানে কেন?
ভাইয়াঃবিয়ে করার জন্য।
রুশাঃআমি বিয়ে করব না।
ভাইয়াঃতুমি বিয়ে করবে।আর যদি না কর তাহলে তোমার বাবার কাছে আমাদের কিছু ছবি চলে যাবে।এবার তুমিই ঠিক কর কি করবে?
রুশা ভয় পেয়ে গেল।
রুশাঃআমি বিয়ে করবো।
ভাইয়াঃএই তো ভালো মেয়ে।
ভাইয়া আর রুশার বিয়েটা হয়ে গেলো।
ভাইয়া বাড়িতে এসে আওবাইকে ডাকার শুরু করল।
আমি আগেই বাবাকে আসতে বলে দিয়েছি।
ভাইয়ার ডাক শুনে আমি আর রুদ্র নিচে নেমে আসলাম।
মা বাবা ও আসল।
রুদ্রঃ কি হয়েছে?
ভাইয়াঃআমি আর রুশা বিয়ে করেছি।।
সবাইঃকিইইইইইই
ভাইয়াঃহুম।
বাডিঃকেমনে কি?
আমিঃআমি বলছি।
রুদ্রঃ তুমি সব জানতে??
আমিঃহুম।আমিই তো ভাইয়াকে বুদ্ধি দিলাম।
সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমিঃভাইয়া আর রুশা একে অপরকে খুব ভালবাসে। তারা লন্ডনে থাকতেই প্রেম করে।কিন্তু একটা ভুল বুঝাবুঝির কারনে রুশা বাংলাদেশে চলে আসে ভাইয়াকে না জানিয়ে।আর ভাইয়াও জানতে পারে তাই ভাইয়া বাংলাদেশে এসে রুশা খুজতে থাকে আর আমার বউভাতেই রুশাকে পেয়ে যায়।তারপর তাকে বিয়ে করতে বলে কিন্তু রুশা মানে নাই তাই তো জোর করে বিয়ে করতে হল।
বাবা এসে আমার সব কথা শুনল।তারপর জোরে জোরে হেসে দিল।
বাবাঃযা হয়েছে ভালোই হয়েছে।এখন আমাদের উচিত তাদের বিয়ে দিয়ে দাওয়া।
আমিঃতাহলে আজকে দুইটা বিয়ে একসাথে হবে।
বাডিঃআমারও তাই মনে হয়।
আমিঃকি কেমন দিলাম?(রুদ্রের দিকে তাকিয়ে)
রুদ্রঃরাতের বেলা শোধ তুলব।
আমি পাত্তা না দিয়ে চলে গেলাম
দেখতে দেখতে ভাইয়া,রুশা,মিম আপু,রাজ ভাইয়ার বিয়েটা হয়ে গেলো।
১ বছর পর
রুদ্র হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে পায়চারি করছে।
ডাক্তার বের হয়ে আসল।রুদ্র তারাতারি করে ডাক্তার এর কাছে গেল।
রুদ্রঃআমার ওয়াইফ কেমন আছে?(কাপা কাপা গলায়)
ডাক্তারঃআপনার বাচ্চা ভালো আছে।
রুদ্রঃআহ ডাক্তার আমি আমার ওয়াইফের খবর জিজ্ঞাসা করেছি বাচ্চার না।
মা আর বাডি এসে রুদ্রকে শান্ত হতে বলল।
ডাক্তারঃআপনার স্ত্রী ও ভালো আছে।একটু পর তাকে কেবিনে দেয়া হবে।
রুদ্র দৌড়ে আমার কেবিনে গেল।আমি রুদ্রকে দেখে মুচকি হাসলাম।
রুদ্রঃকেমন আছ জানপাখি?
আমিঃআমার ছেলে না মেয়ে হয়েছে?
রুদ্রঃআমি জানি না।
আমিঃমানে???
রুদ্র কিছু বলতে যাবে তার আগেই নার্স এসে আমাদের মেয়েকে রুদ্রের কোলে দিল।
রুদ্র আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্না করে দিল।
তারপর আমার কোলে দিল।মা,বাডি,বাবা,রাজ ভাইয়া,ভাইয়া,মিম আপু,রুশা এলো। সবাই বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলো আর রুদ্র আমাকে গালে কিস করে বলল #তুই_শুধু_আমার।
আমি কিছু না বলে মুচকি হাসলাম।
সমাপ্ত……..