তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]Part_10
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika
।
সেইদিনের পর থেকে আরুশের সাথে সায়রার আর কোন দেখা হয় না,, দেখা তহ দূরের কথা কথা পর্যন্ত হয় না,, কেন না সেইদিন এর পর ১ সপ্তাহের মাথায় সে বনানী চলে আসে,, আর সেখান থেকে ১ মাস এর মধ্যে ভিসা আর পাসপোর্ট করে বিদেশে চলে যায়,, যেহেতু ওর চাকরি হয়ে গিয়েছিল আর তাকে বিদেশে ইন্টারসিপ এর জন্য লেটার ছিল তাই সব তারাতারি হয়ে যায়,,,
দেখতে দেখতে ১ বছর কেটে যায়,, এর মধ্যেই আরুশ নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে,, সে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি পরিচালনা করে,, কিন্তু এইসব এত সহজে হয় নি,, অনেক কঠোর পরিশ্রমের ফলে সে সব অর্জন করতে পেরেছে,,
প্রথমে সে যে টাকা ইনকাম করতো তা দিয়ে কিছু এনজিও তে শেয়ার কিনে নেয়,, সঠিক জায়গায় টাকা ইনভেস্ট করাতে অল্প সময়তেই লাভ হয়,,, আর সেই লাভটা নিজের কোম্পানিতে কাজে লাগিয়ে তা অনেক বড় এক পর্যায়ে নিয়ে আসে,, নিজের নাম একজন সফল বিজন্যাস ম্যান এর তালিকায় লিখে,,,
।
আরুশ সব সময় সায়রা এর খবর রাখতো,, কিন্তু সায়রা এর কাছে আরুশের কোন খবর ছিল না,, এর মধ্যে আরুশ জানতে পারে সায়রার রুহানের সাথে বিয়ে,, তা শুনে আরুশের মাথায় রক্ত উঠে যায়,, কেন না সায়রা শুধু ওর আর কাউরো না,, সায়রা,আরুশের সাথে করেছে তার শাস্তি ওকে আরুশের সাথে থেকে পেতে হবে,,
তাই সে দ্রুত বাংলাদেশে আসার ট্রাই করতে থাকে,, সায়রা এর বিয়ের ঠিক ১ সপ্তাহ আগে সে বাংলাদেশে এসে পরে,, আর তারপরের দিন চলে যায় সায়রার বাসায়,, গিয়ে দেখে সায়রা এক ধ্যানে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে,, আরুশ সায়রার সামনে গিয়ে ওকে দেওয়ালের সাথে বাহু দুটো চেপে ধরে,, সায়রা প্রথমে আরুশকে দেখে হচকিয়ে যায়,, পরে নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পরে,, তা দেখে আরুশ বলে,,
।
“তুই এখনই আমায় সবার সামনে জরিয়ে ধরে কিস করে বলবি,, তুমি শুধু আমায় ভালবাসিস,, আর আমায় বাদে কাউকে বিয়ে করবি না,,”
( বাকি আপনারা জানেন এই,, পরে কি হয়েছিল)
।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
।
বৃষ্টির ফোটা আরুশের মুখের উপর পরতেই আরুশের ধ্যান ভাংগে,, সে বুঝতে পারে সে এতক্ষণ অতীতের সেই কষ্ট ময় স্মৃতিগুলোর মধ্যে ছিল,,,
আরুশ উঠে যেতে নিলে খেয়াল করে ওর চোখের কোনে পানি,, আরুশ তা দেখে তাচ্ছিল্য এক হাসি হাসে,, আর নিজেকেই বলে,,
।
আরুশঃ দেখ সায়রা তোর দেওয়া কষ্ট গুলো আজ আমার চোখের নোনা জল হয়ে পড়ছে,, বুঝতে পারছিস কত কষ্ট দিয়েছিস তুই আমায়,,
কিভাবে পারলি আমায় এত কষ্ট দিতে,,
আর আমাকে দেখ,, শত চেয়েও তোকে কষ্ট দিতে পারি না,, পারি না তোর মত নিষ্ঠুর হতে,, পারি না তোর মত পাষান হতে,,
।
।
আরুশ নিচে এসে দেখে সায়রা ফ্লোরেই শুয়ে আছে,, তা দেখে আরুশের বুকের ভিতর চিনচিন ব্যথা শুরু হয়,, সে সায়রাকে কোলে তুলে নিয়ে বেডে শুয়ে দেয়,, ফেরি লাইটের আলোতে সায়রা এর মুখ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,, সায়রা এর চোখ দুটো ভিজা,, চোখের কোনে পানি জমে আছে,, পাপড়ি গুলোর মধ্যেও বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে,, তা দেখে আরুশের ভিতর থেকে এক দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে,,, আর সে সায়রা এর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,,
।
আরুশঃ আমাকে তহ পুড়াছিস নিজের দহনে,, আর নিজেও পুড়ছিস আমার দহনে,, যদি তুই আমায় ধোকা না দিতি তাহলে আজ আমরা কেউই এই দহনে পুড়তাম না,, বরং দুইজনের ভালবাসার রঙে দুইজন দুইজনকে রঙ্গিত করতাম,,
।
এই বলে আরুশ সায়রার কপালে ভালবাসার পরশ একে দেয়,, পরে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে সায়রাকে বুকের সাথে জরিয়ে শুয়ে পরে,, কেন না নিজের এই অশান্ত বুককে যে শান্ত করতে ওর সায়রাকে প্রয়োজন,,
।
।
দেখতে দেখতে কেটে যায় ১৫ দিন,, এই ১৫ দিনে সায়রা আরুশের সাথে তেমন কোন কথাই বলে নি,, আরুশ কিছু জিজ্ঞেস করলে হু হা তে জবাব দিত,, যা আরুশের একদম সহ্য হচ্ছিল না,, তার উপর নিজের মধ্যেই এক অনুশ্চনা কাজ করছিল যে হয়তো নিজের জিদের বসে সায়রা এর সাথে বেশি অন্যায় করে ফেলেছে,, তাকে এইভাবে আপন না করলেও পারতো,,, তার উপর সায়রার এর এমন নীরবতা যেন আরুশকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল,,, একদিন এইসব সহ্য করতে না পেরে বলে উঠে,,,
।
আরুশঃ সায়রা দেখ সরি,, আমি তখন জিদের বসে এমন করেছিলাম,, এমন করাটা ঠিক হয় নি,,
।
সায়রা তখন কিছু না বলে চুপচাপ নিজের চুল আচড়াতে থাকে,, তা দেখে আরুশের মাথা গরম হয়ে যায়,, সে গিয়ে সায়রাকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে আনে,, তারপর ওর বাহু দুটো চেপে ধরে বলে,,,
।
আরুশঃ কিছু বলছি আমি তোকে,, কথা বলছিস না কেন,,,
।
সায়রা এক ঝাটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে বলে,,,
।
সায়রাঃ কি বলবো হ্যাঁ কি বলবো,, তুমি যা করছো ঠিকই তহ করছো,, তাহলে আমি বলার কে,,,
।
আরুশঃ সরি বলছি তহ,,,
।
সায়রাঃ তুমি কেন সরি বলছো,,তুমি তো তোমার কাজই করছ যার জন্য তুমি আমায় বিয়ে করেছ,,তুমি তহ আমাকে কষ্ট দিতে,,প্রতিশোধ নিতে,, আঘাত দিতে,,যন্ত্রনা দিতে বিয়ে করছো,, তাই না,, তাহলে সবই তো ঠিকই চলছে তো সরি বলার কোন কারনই দেখছি না,, তুমি তহ তোমার জায়গায় পার্ফেক্টলি রাইট,,
আমি বেচে থাকি মরে,,
।
আর কিছু বলার আগেই আরুশ সায়রা এর ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁটের ভাজে আকড়ে ধরে,,, সায়রাকে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়,,
সায়রা প্রথমে ছুটাছুটি করলেও পরে শান্ত হয়ে যায়,, সে নিজের অজানতেই আরুশের ছোঁয়াতে হারিয়ে যেতে থাকে,, আরুশ প্রায় কিছু সময় পর সরে এসে সায়রা এর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে,, সায়রা নিজেও হাপাতে থাকে,, তখন আরুশ শান্ত গলায় বলে,,,
।
আরুশঃ তোকে কষ্ট দিবো,,আঘাত করবো ,যন্ত্রনা দিবো তোর থেকে প্রতিশোধ নিবো কিন্তু তোকে কখনো নিজের থেকে দূরে যেতে দিবো না,,, তোকে নিজের অধিনের বাইরে যেতে দিব না,, তোকে সব সময় নিজের মাঝে আবদ্ধ করে রাখবো,, তুই সারা জীবন আমার পাশে থাকবি আমার বউ হয়ে,,তোমার উপর সব থেকে বেশি অধিকার আমার,, কেন না #তুই_যে_শুধুই_আমার❤
।
সায়রাঃ আর ভালবাসা??
।
আরুশ মুচকি হেসে আর কিছু না বলে সায়রা এর ঠোঁট দুটো আবার নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নেয়,, আর পরম আয়েশে সায়রার ঠোঁট দুটো শুষে নিতে থাকে,, আরুশের এই ভালবাসার স্পর্শে সায়রা বুঝে যায় আরুশের মনের কথা,, সে ভালো করেই জানে আরুশ ওকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসে,, কিন্তু রাগ আর অভিমানের কারণে তা বলতে পারছে না,,তাই সে আর কথা বাড়ায় না কারন তার যা উত্তর পাওয়ার ছিলো তা সে পেয়ে গেছে,,
আরুশ হঠাৎ সায়রাকে পাজাকোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,, আর সায়রা এর গলায় মুখ গুজে,,,
সেইদিন সায়রাকে আপন করে নেওয়ার পর সায়রার প্রতি ওর নেশা আরও বেরেই চলেছে,, না চাইতেও সে সায়রার কাছে ছুটে চলে যায়,, কেন না এই নেশা থেকে যে মুক্তি পাওয়া বড় দায়,, তাই তহ আজ সে যখন সায়রাকে কাছে পেয়েছে সে আবার সেই নেশায় ডুব দিতে চায়,,
।
।
।
রাত ৩ টা,,
আরুশ সায়রাকে জাপটে ধরে গলায় মুখ গুজে বেঘারে ঘুমাচ্ছে,, যেন কত রাত ঘুমায় নি,,, আর সায়রা পলকহীন ভাবে ওকে দেখেই চলেছে,, এই দেখার যেন কোন শেষ নেই,, সায়রা ভাবছে কত টাই না কষ্ট দিয়েছে সে আরুশকে,, কিন্তু সেই বা কি করতো,, সে বাদ্ধ ছিল এইসব করতে,, এই কথা ভাবতে ভাবতেই তার অতীতের সেই স্মৃতিগুলো সামনে এসে পরে,, আর সায়রা না চাইতেও ডুব দেই সেই ৩ বছর আগের স্মৃতিতে,,
।
।
।
।
#চলবে,,