?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ ?
#সিজন-২
#পর্ব-১০
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
অয়রি ধরফরিয়ে উঠে পড়ে ভয়ে তার
গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে সে তাড়াতাড়ি ঢকঢক করে পানি খেয়ে ফেলল
অয়রিঃ তারমানে এইটা স্বপ্ন ছিলো ধন্যবাদ আল্লাহ কিন্তু খুব বাজে স্বপ্ন ছিলো
সে ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে দেখলো ভোর প্রায়৫ঃ০০ টা বাজতে চলল সে শুনেছে ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয় না না এইটা হতে
দেওয়া যাবেনা সত্যি ঈশা যদি তার কাছ
থেকে কাব্যকে কেড়ে নেই না না সে আর ভাবতে পারছেনা সে তো কাব্যকে ছাড়া বাঁচে থাকতে পারবে না
অয়রির প্রচুর কান্না পাচ্ছে সে কাঁপাকাঁপা হাতে
ফোন লাগায়–কাব্যকে
কাব্য আরামসে ঘুমাচ্ছিলো হঠাৎ ফোনে কল আসায় সে বিরক্তি বোধ করলো
অয়রির নামটা স্কিনে দেখে বিরক্তিটা চলে গেলো কিন্তু এতো ভোরে অয়রি তাকে ফোন
করলো কেন?
ভাবাচ্ছে বেশ ভাবাচ্ছে
সে তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করলো
ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে উঠলো
–হ্যা অরু বলো
অইপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেজে উঠছে
এতে বেশ ঘাবড়ে যায় কাব্য
কাব্যঃ হ্যালো জান বলো কি হয়েছে লক্ষিটি
অরু এই অরু
অইদিক থেকে অয়রি কিছু বলতে পারছেনা কেঁদেয় যাচ্ছে
কাব্যঃ জান প্লিয বলো কি হয়েছে তোমার কোনো প্রবলেম হয়েছে
অয়রি কান্নামাখা কন্ঠে বলে উঠলো—
কাব্য প্লিয তুমি একবার আসো আমার অনেক ভয় পাচ্ছে
কাব্য আর কিছু না ভেবে দৌড়ে গাড়ি নিয়ে
বেড়িয়ে পড়ে
???—(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
চম্পা (অয়রির বাড়ির কাজের লোক)
এতো সকালে কলিং বেজে উঠায় বেশ বিরক্ত হয় দরজা খুলে অবাক হয়ে যায়
–আরে কাব্য দাদাভাই যে
–হুম অয়রি কই
–অয়রি দিদিমনিতো মনে হয় ঘরে
–আচ্ছা আমি যাচ্ছি
কাব্য অয়রির ঘরে দৌরে চলে যায়
চম্পা মিটিমিটি হাঁসতে থাকে
চম্পাঃ হাইরেএএএ প্রেরেএএম
কাব্য অয়রির ঘরে গিয়ে দেখে–
অয়রি চুপচাপ বসে বসে কান্না করছে
কাব্যকে দেখে ঝাপিয়ে পড়ে
কান্না শুরু করে দেয় কাব্যও ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে করুনসুরে বলে–
কি হয়েছে জান আমাকে বলো
অয়রি নাক টেনে টেনে কান্না করেই যাচ্ছে
কাব্য অয়রির থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে
চোখের পানি মুছে বলে–
কি হয়েছে? আমার জানটার?
অয়রিঃ জানো আমি একটা ভয়ানক স্বপ্ন
দেখেছি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছো
আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো কীভাবে?
কাব্য অয়রিকে জড়িয়ে ধরে বলে–
কে বলেছে আমি আমার জানকে ছেড়ে যাবো
একদম কাঁদবে না জান তুমি জানোনা
তোমার কান্না সহ্য হয়না
আমি কত ভয় পেয়েছিলাম জানো?
অয়রি এখনো নাক টানছে
কাব্যও পরমযত্নে অয়রিকে জড়িয়ে ধরে–
হঠাৎ কারো কাশির শব্দে দুজনের হুশ আসে
দুজনে তাঁকিয়ে দেখে
অনিক
অয়রি তো লজ্জায় শেষ
অনিকঃ তা জিজুজি কখন এলে?
কাব্যঃ এইতো জাস্ট তোমার সাথে দেখা
করতে এসেছিলাম
অনিকঃ আমার সাথে এতো ভোরে??
কাব্যঃ না মানে(মাথা চুলকিয়ে)
অনিকঃ ইটস ওকে ব্রো তোমারি হবু বৌ
অনিক হাঁসতে হাঁসতে চলে যায়—
—–??
রিমিঃ অয়রি তুইও না ছেলেটাকে এইভাবে
ডেকে ছিস বেচারা ঘুমাচ্ছিলো
কাব্যঃ না আন্টি আমি ঠিক আছি
অয়নঃ আহ রিমি তুমিও না বুঝোনা
হবু বউ বলে কথা
অনিকঃএক দম ঠিক
অয়রি লজ্জায় যায় যায় অবস্হা!!
রিমিঃ এখন নাস্তা করো কাব্য তোমার আম্মুকে বলেছি তুমি এখানে
কাব্য–ওকে আন্টি
—-???
সবাই আসলো অনিকের সাথে দেখা করতে
অনেক মেলোড্রামা হলো তারপর চলে গেলো
—
এদিকে–
মেঘাঃ ইন্দুরের নাতিন শয়তানের হাড্ডি
একটা খাটাশ আমাকে আটকিয়ে রাখা
একবার খালি বের হয় দেখাবো মজা
অনিকঃ তো দেখাও না আমি তো দেখতেই চাই জান?
মেঘা চমকিয়ে যায় অনিককে দেখে
মেঘাঃ আসছে খাড়ুশ একটা
অনিক গিয়ে মেঘাকে কলে তুলে নেয় এমন কান্ডে মেঘা হচকিয়ে যায়
–আরেএএএ কি করছেন ছাড়ুন বলছি
–উফফ একটু চুপ থাকোনা
অনিক মেঘাকে নিয়ে একটা বড় বাগানে নিয়ে গেলো মেঘা জাস্টা শক
অনেক সুন্দর বাগানটা
বাতাসে মেঘা অবাধ্যচুল উড়ছে
অনিক বেশ উপভোগ করছে–!
হে ছলনাময়ী তুমিই যে ?
? আমার লাবন্যময়ী
ভালোবাসার মায়াবিনী ?
মেঘা উদ্দেশ্য অনিক বলে
মেঘা ভেঞ্চি কাটে
—উফফ আমার আর ভালো লাগছে এই দুই-ভাইবোনকে দিয়ে কোনো একটা কাজ যদি হয়
চেয়ারে বসে একজন এইসব বলে যাচ্ছে
অপরদিকের ব্যক্তিটি বলে উঠে–
প্লিয তুমি এতো রাগ করোনা লক্ষিটি ইশান কী করবে বলো তো অই অনিক ই তো মেঘাকে কোথাও নিয়ে গিয়েছে।
–মানে?কি? আর আরেকজন উনার সাম্নেই তো কাব্য আছে ওকে তো কিছুই করতে
পারছে না
—আচ্ছা তুমি চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে
তখনি..
চলবে….