#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-৮
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
নির্ঝন রাস্তা দিয়ে মেঘা হেঁটে যাচ্ছে
উদ্দেশ্য নিজের বাড়ি যে করেই হোক
মেঘাকে নিজের বাড়িতে পৌছাতে হবে
হঠাৎ অনিকের একটা কল আসায়
তাকে বাইরে যেতে হয় সেই সুযোগটায়
মেঘা নিয়েছে
মেঘার একমাত্র উদ্দেশ্য বাড়িতে যাওয়া
আর অনিকের ভালে মানুষির মুখোশ
সকলের সামনে উম্নোচন করা।
কী ভেবেছে কি লোকটা
৫ পাঁচটি বছর তাকে কস্ট দিয়ে
এখন এসেছে মেঘাকে দরদ দেখাতে
মেঘা আর মেঘা নেই
সে হয়েছে মেঘাদ্রি শিকদার (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
কিন্তু মেঘার একটায় চিন্তা
এতো রাতে সে কোথায় যাবে জায়গাটাও
মেঘার চিনা লাগছে না অনিক ওকে
কোথায় এনেছে আচ্ছা
ইশান এর সাথে যোগাযোগ
করলে কেমন হয় এই মুহুর্তে
ইশানকেই মেঘার ভরসা করতে বেশি ইচ্ছা
করছে আচ্ছা যতই
টাইম পাস এর বিএফ হোক না
কেন? অই অনিক চৌধুরির
থেকে অনেক ভালো
কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে
মেঘার কাছে ফোনও নেই
দূরদুরান্তে কোনো বাড়ি-ঘড় বা
দোকানও সে দেখছে না যে তার কাছে সাহায্য চাইবে
,??
মেঘা কে না পেয়ে অনিকের প্রায়-পাগল
অবস্হা সার্ভেন্ট আর গার্ডসদের রিতিমত
সে ঝেড়েছে
এতো টাইট সিকিউরিটি থেকেও
মেঘা কি করে পালালো সেটাই
ভাবছে অনিক
অনিক খেয়াল করলো
রান্নাঘরের শেষ প্রান্তে
জানালাটা খুলা
ইসশ বড্ড ভুল হয়ে গেছে তার মেঘা
যে আর আগের মেঘা নেই সেইটা তার বুঝা উচিৎ
ছিলো অনিক চিৎকার করে
সার্ভেন্ট এর উদ্দেশ্যে বলে উঠে–
অনিকঃ এতো কেয়ারলেস কেন
আপ্নারা ১০ মিনিট
জাস্ট ১০ মিনিট এর জন্য আমি বাইরে
কি গেলাম আর আপ্নারা ওকে
একা রান্নাঘরে যেতে দিলেন
একজন শেফ ভয়ে ভয়ে বলে
উঠে–
স্যার আমরা তো যেতে
দিতে চাইনি।ম্যাডাম এ বললো
তার ক্ষিদে পেয়েছে তাই নিজের
হাতে কিছু করবে আমাদের সামনে
নাকি করতে পারবে না তাই আমরা
অনিকঃ তাই আপ্নারাও চলে এলেন
ওন্ডারফুল লিসেন একটা কথা
সবাইকে বলে দিচ্ছে
জাস্ট আদা ঘন্টার মধ্যে মেঘাদ্রিকে
আমার সামনে হাজির চাই না
হলে আপনাদের কি হাল।
হবে আপনারা চিন্তা ও
করতে পারবেন এই বলে ঘটঘট করে
অনি বেড়িয়ে পড়ে।
উদ্দেশ্য মেঘাকে খুঁজা সে আর ওদের
উপর ভরসা করতে পারছেনা
???
অয়ন ল্যাপটপে বসে কাজ করছে
রাতে কাজ করা তার একটা অভ্যাস
এর মধ্যে বলে বলা যায়
অয়ন তার চুলে টান অনুভব করে।
সে তাঁকিয়ে দেখে রিমি
মুখটা ঘুমড়ো করে আছে
অয়ন একটানে রিমিকে নিজের কোলে
বসিয়ে নেয় রিমির কোনো ভাবান্তর নেই
অয়নঃ আমার রিমিপরীর কি মন খারাপ?
এতো রাতে না ঘুমিয়ে আমার
স্টাডি রুমে যে
রিমিঃ তুমি জানলে কীভাবে
অয়নঃ বারে এতোবছর ধরে সংসার
করছি তোর সাথে তুই যে আমার
কলিজা তোর মনের কথা না বুঝতে
পারলে তোকে
কেমন ভালোবাসলাম?
রিমি কিছু না বলে অয়নের বুকে
মুখ গুজে দেয়
অয়ন মুঁচকি হেঁসে দেয় তার রিমিপরী আগের মতোই
আছে এতোবছরেও
এক্টুও বদলায়নি
রিমিঃ জানো আমার মনটা জেনো।
কেমন লাগছে
অয়নঃ কেমন?
রিমিঃ মনে হচ্ছে কোনো।
বিপদ আসতে চলেছে
অয়নঃ দূর পাগলি সব তোর মনের
ভুল অনিক ফিরেছে মেঘাটা
ফিরলেই ওদের দুজনের ধুমধাম
করে বিয়ে দিয়ে দিবো
দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে
রিমিঃ ভালোবাসি
অয়ন মুঁচকি হেঁসে রিমিকে
জড়িয়ে ধরে
???
প্রেয়সী তুমি কি জানোনা ?
?তোমার জন্য আমার মন মানেনা
একটু খানি ভালোবাসা দিয়েই দেখো?
প্রেয়সী তুমি কি জানোনা?
তুমি আমার ভালেবাসার প্রেরনা ?
—-জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি
অয়রি মনোযোগ দিয়ে চিরকুট টা পড়ছে
হ্যা কাব্য রেখে গিয়েছে তার জন্য কাব্যের
গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছে
খেয়াল ই ছিলোনা
কাব্য সযত্নে অয়রিকে কোলে।
করে বেডে শুয়িয়ে চিরকুট টা রেখে চলে
গিয়েছে
তার আধাঘন্টা পরেই
অয়রির ঘুম ভান্গে
অয়রি মুঁচকি হেঁসে
আবার ঘুমিয়ে পড়ে
,??
রিক(অয়নের মামা) কখন থেকে
প্রাপ্তির জন্য খাবার নিয়ে
বসে আছে কিন্তু
প্রাপ্তির আসার নাম ই নেই
সে হয়তো নিজের পার্টি নিয়ে ব্যাস্ত
স্ত্রীরা তার স্বামী জন্য অপেক্ষা
করে কিন্তু রিকের ক্ষেত্রে বিষয়টা
আলাদা আচ্ছা এমন কেন
হলো? প্রাপ্তি তো তাকে
ভালোবাসতো তাহলে কেন
তাদের সম্পর্কে এতো
জটিলতা এসবের উত্তর খুঁজে পায় না
?
মেঘা হেঁটে যাচ্ছে হঠাৎ কিছু এক্টার
শব্দ হয়
মেঘা ভয়ে ভয়ে পিছনে ঘুরে আর
তখনি।।
চলবে কি?