?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ ?
#সিজন-২
#পর্ব-৭
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
অয়রি বারান্দায় ছুটে যায় তার ঠোটে অজান্তে হাঁসি ফুটে উঠে তার বিরাট বড় বারান্দার কোনারে একটা বড় দোলনা আছে সেখানে কাব্য বসে আছে হাতে গিটার নিয়ে গিটার নিয়ে সুর
তুলতে ব্যাস্ত অয়রি
এক্টুও অবাক হয়না।
কেননা অয়রি রেগে থাকলে
কাব্য এইভাবেই
লুকিয়ে বারান্দায় চলে আসে
এবং তার গিটারের সুর তুলে
ব্যাস অয়রি আর রেগে থাকতে পারে
কাব্য অয়রির দিকে তাঁকিয়ে মুঁচকি হাঁসি
দিয়ে নিজের পাশে বসতে বলে
অয়রিও মুঁচকি হাঁসি দিয়ে কাব্যের
পাশে বসে(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
কাব্য অয়রির দিকে তাঁকিয়ে
গান শুরু করে ♪♪
ঠিক এমন এইভাবে♪♪
♪♪তুই থেকে যা স্বভাবে
আমি বুঝেছি ক্ষতি নেই♪♪
♪♪আর তুই ছাড়া গতি নেই
ছুঁয়ে দে আন্গুল, ফুট্র যাবে ফুল,ভিজে যাবে গা♪♪♪
♪♪কথা দেওয়া থাক,গেলে যাবি,চোখের বাইরে না♪♪(২বার)
♪♪♪♪♪♪(আমার অনেক ফেভারিট?)
অয়রি কাব্যের কাঁধে মাথা রেখে গানটা উপভোগ করছে বাতাসে অয়রির অবাদ্ধ চুল
গুলো উড়ে এসে কপালে পড়ছে
কাব্য সযত্নে কপাল থেকে চুলগুলো
সরিয়ে কানে গুজে দেয়
কাব্য গিটার টা রেখে
একধ্যেনে তার
মায়াবতীকে দেখতে ব্যাস্ত
আর অয়রি সে তো
লজ্জায় যায় যায়
অনেক্ষন নিরবতা পালন করে অয়রি
বলে উঠে।
—আমাকে এক্টুও রাগ করে থাকতে দিবে না
তাইনা?
কাব্য মুঁচকি হেঁসে বলে
—উহু আমার পেয়ারারানী আমার
উপর রাগ করে থাকবে এইটা কি করে
হতে দেই বলুন তো
ম্যাডাম।
–আচ্ছা তোমাকে
এতোবার ফোন করছিলাম
ধরছিলা না কেন?
জানো আমার কত
টেনশন হচ্ছিলো
—আরে আমার বাবুইপাখি
আমার কথাটা বুঝার চেস্টা করো
আমি জরুরি এক কাজে
চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম ভার্সিটির কাজে
অইখানে নেটওয়ার্ক ছিলো না
—তাহলে আমাকে বলে গেলে কি
হতো তুমি সত্যিই একটা খাঁড়ুশ
—আচ্ছা বাবা সরি এইযে কান ধরলাম
অয়রি ফিক করে হেঁসে দিলো
কাব্যঃ শুনলাম আমার শালাবাবু এসেছে
—হুম
–তাহলে কালকে তো আবার আসতে হচ্ছে
—হুম এইভাবে লুকিয়ে না এসে কালকে সোজা
বাড়িতে এসো মম অনেক খুশি হবে
—আচ্ছা বাবুইপাখি
অয়রি কাব্যকে শক্ত করে জড়িয়ে
ধরলো আর পরিবেশ টা ইঞ্জয়
করলো
★
মেঘা অনিক কে ধাক্কা মারছে
কিন্তু অনিক কে এক্টুও সরাতে
পারছেনা
প্রায় ১০ মিনিট পর অনিক মেঘাকে
ছাড়লো
সাথে সাথে মেঘা জোড়ে জোড়ে
নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলো
আরেকটু হলেই মেঘা পরপারে রওনা
দিতো ব্যাটা লুচু কীভাবে এই মেঘ্রাদিকে
কিস মরে খাটাশ একটা লুচুর
ডিব্বাহ
মেঘা এইসব মনে মনে
আওড়াতে লাগলো
আর অনিক সে তো মেঘার দিকে
তাঁকিয়ে বাঁকা হাঁসছে
মেঘা কিছু বলতে
যাবে তার আগেই অনিক বলে।
উঠে
—দেখেছিস এই অনিক চৌধুরী কী কী
করতে পারে?
মেঘা মন চাচ্ছে লুচুটাকে
কলা গাছের সাথে ঝুলিয়ে পিটাতে
ব্যাটা খাটাশ
অনিক মেঘার দিকে তাঁকিয়ে বলে
— সত্যি আমার লাইফের ফাস্ট কিস
ছিলো ইউ নো জান
—,??আপনাকে তো
—কি করতে ইচ্ছা করে কিস(চোখ টিপ দিয়ে)
মেঘাঃ আপনি তো বড় অসভ্য বিদেশে
গিয়ে এইসব শিখেছেন লুচু একটা
—শিখি নি প্রেক্টিকাল এখন দেখালাম
ইউ নো মেঘারানী আমাদের প্রতিদিন
কিস করার উচিৎ(বাঁকা হেঁসে)
মেঘার তো চোখ বেড়িয়ে আসার উপক্রোম
এই কোন অসভ্য এর
পাল্লায় পড়লো
???
মেঘ(মেঘার মা) একমনে কিছু একটা ভাবছে সেইটা আমান(মেঘার আব্বু)খেয়াল করলো তাই বইটা রেখে
মেঘ এর পাশে বসে পড়লো
আমানঃ কিরে মেঘ কিছু ভাবছো?
মেঘাঃ কি আর ভাব্বো বলো? মেয়েটা কলকাতায় গিয়েছে একটু ফোনও করেনা
আর না ফোন ধরছে
আমান–মেঘা তো এমনি
—অনিক দেশে ফিরেছে আর এখনি ওকে
কলকাতায় চলে যেতে হলো
–আহা তুমি চিন্তা করোনা অনিক যখন
একবার ফিরেছে দেখো আমাদের মেঘা আগের মতো হয়ে যাবে এখন শুধু ও
ফিরেলেই হয় আর এইযে আমার বাচ্ছার মা
এমন করে মুখ ঘুমড়া করে আছো কেন?
–কিচ্ছু ভালো লাগেনা
আমান মুঁচকি হেঁসে
মেঘের গাল দুটো টেনে বলে
ওগো আমার সুরাঞ্জনা তুমি যে রুপের ঝড়না??
?তোমার অই রুপের মুখে মানায় না কো
গম্ভিরতা ??
ওগো আমার সুরাঞ্জনা ?তুমি যে আমার মনের বাসনা,,?
—-জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি
মেঘ মুঁচকি হেঁসে আমানের বুকে মাথা রাখে
এতোবছরেও আমানের ভালোবাসা তার প্রতি এক্টুও কমেনি হয়তো সে আমানের
প্রথম ভালোবাসা না হলেও শেষ ভালোবাসা
মেঘ নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করে
এমন একজন কে নিজের জীবনসন্গীরুপে
পেয়েছে আমানের বুকেই মেঘের সব
থেকে নিরাপদ জায়গা মেঘের মনে হয়
???
অচেনা একজন গভীরভাবে রকিং চেয়ারে বসে কিছু একটা ভাবছে তার মাথায়
একটা চিন্তায় ঘুরপাক খাচ্ছে
আমান মেঘ রিমি অয়ন আর ওদের সন্তান দের ক্ষতি করতে
পারলেই সে শান্ত হবে সব কিছু শেষ করে
দিবে সে তাকে বা তাদের যে পরিমান
কস্ট সহ্য করতে হয়েছে
সব শুদে আসলে
ফিরত দিবে ভেবেই
একটা পৌচাশিক হাঁসিতে মেতে উঠে
চলবে কি?
?