#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-৬
#Jannatul_ferdosi_rimi[Writer]
মেঘা স্তব্ধ কেননা তার সামনে
অনিক মেঘা কী বলবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা অনিক তাকে কিডনাপ করিয়েছে কিন্তু কেন?আর অনিক দেশে ফিরলো বা কবে সব কিছু
মেঘার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
অনিক মেঘার কপালের সাথে
নিজের কপাল ঠেকিয়ে বলে
অনিকঃশান্ত হো জান পাখি
আমি তোর অনি
অনিকের এতো কাছে আসায়
মেঘার সারাশরীরে যেন বিদুৎ
প্রবিহিত হচ্চে দুজনেই দুজনের নিঃশ্বাস
শুনতে পারছে মেঘার বিশ্বাস-ই হচ্ছেনা
তার অনি ভাইয়া এতো বছর পর
তার সামনে হঠাৎ অনিক মেঘাকে
জড়িয়ে ধরে মেঘা এখনো আগের ন্যায়।
দাঁড়িয়ে আছে সব কিছু তার মাথার উপর
দিয়ে যাচ্ছে অনিক মেঘার পরিস্থিতি।
বুঝতে পেরেছে তাই বলে উঠে
–দেখ জানপাখি আমি তোর অনি
তোর কাছে ফিরে এসেছে দীর্ঘ ৫ বছর পর
কিছু তো বল জানপাখি
মেঘা ও অনিককে
জড়িয়ে ধরতে যাবে তখনি মেঘার
৫ বছর আগের ঘটনা মনে পড়ে যায়
মেঘা জোড়ে ধাক্কা মেরে নিজেকে অনির
থেকে সরিয়ে নেয় হঠাৎ এমন
কান্ডে অনিক কিছুটা
পিছিয়ে যায় তার কাছে অবাক
লাগেনি কেননা এইটায় স্বাভাবিক
সে তার ছোট্ট কলিজা কে কস্ট দিয়েছিলো
তার ছোট্ট হ্রদয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিলো
মেঘাঃ কেন কেন আমাকে এখানে এনেছেন
মিঃ অনিক চৌধুরী
আপনার সাহস দেখে আমি সত্যি
অবাক আমাকে কি সেই
৫ বছরের মেঘা পেয়েছেন
যে শত-অবহেলা সহ্য করেও
সেই আপনার কাছেই ফিরবে
যদি সেইটা মনে করে থাকেন
তাহলে আপনি ভুল মিঃ চৌধুরি
অনিক একটা শুকনো হাঁসি দিয়ে।
বলে
–আমি জানি আমি তোর
অপরাধী কিন্তু আমার কথাটা শুন
মেঘাঃ ব্যাস মিঃ চৌধুরী অনেক আপনার কথা শুনেছি আমি ওকে আমাকে
এখানে আনার মানে কি?
এখন কি আপনার বেড পার্টনার
করার জন্য শেষে আমার মতো
পতিতার চেয়েও
খারাপ মেয়ের কাছে আসতে হলো
মিঃচৌধুরি
অনিক হতভম্ব মেঘা এইসব কথা বলতে
পারলো
অনিক মেঘা বলে মেঘাকে চর দিতে গিয়েও
থেমে গেলো
মেঘা চোখ বন্ধ
করে ফেলে
অনিকের মনে পরে যায় অনিক ই তো
মেঘার ছোট্ট মনে এইসব কথা ঢুকিয়ে
ছিলো হ্যা সব দোষ তার
মেঘাকে সে দোষ দিতে পারেনা
মেঘা কিছু অনভব করতে না পেরে
আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাঁকায়
দেখে অনিক নিজের আগের জায়গায়
অনিক মেঘার দুগালে হাতরেখে বলে
—জানপাখি তুই আমার কথাটা বুঝার চেস্টা কর সেদিন
মেঘা অনিকের হাত ঝারা দিয়ে ফেলে দেয়
–ডোন্ট টাচ মি মিঃ চৌধুরি
আমাকে যেতে দিন ভালোয় ভালোয়
বলছি
মেঘা অনিক কে
ক্রস করে যেতে চাইলে
হাঁতে৷ টান অনুভব করে
মেঘা দেখে অনিক ওর হাঁত ধরেছে
অনিকঃ আমি না চাইলে তুই কোথায় যেতে
পারবিনা(হাল্কা হেঁসে)
মেঘাঃ ওয়াট???
অনিকঃ ইয়েস বেইবি অন্তত ৭ দিনের আগে তো না(বাঁকা হেঁসে)
মেঘাঃ আমি যাবোই
অনিকঃ চেস্টা করে লাভ নেই জান
মেঘা ঃ আপনি আমাকে এখানে আটকে
রেখেছেন কেন?ডেম ইট
অনিকঃ এই ৭ দিনে তোর অভিমান ভেন্গে দিবো
তাই(মনে মনে)
অনিক চৌধুরি কাউকে কৌফিওত দিতে
পছন্দ করে না
এখন চুপচাপ খেয়ে নে
মেঘাঃ আপনি নিজেকে কি মনে করেন সব নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী করবেন
তাহলে আপনি ভুল
আমি কিচ্ছু খাবো না
অনিকঃ তাহলে আমার পদ্বতি
করতে হবে
অনিক মেঘা কোলে তুলে নেয়
মেঘা হাত-পা ছড়াছড়ি করছে
অনিক মেঘাকে বেডে বসিয়ে জোড় করে মুখে খাবার দিয়ে দেয়
মেঘা ফেলে দিতে গেলে অনিক নিজের ঠোট দিয়ে মেঘার ঠোট চেঁপে ধরে
মেঘার চোখ বড়বড় হয়ে যায়
অন্যদিকে ইশান
খবর পেয়ে গেছে
মেঘা কলকাতা নেই সে মেঘা কে
খুঁজার চেস্টা করছে কিন্তু ব্যর্থ
সে কাউকে কল করে
ইশানঃহ্যালো কিউটি
—-
আমি খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাইনি
——
ইশানঃ হ্যা ও কলকাতায় নেই ওর বান্ধুবি
মিথ্যে বলেছে অই ঝিমি নিজের বিএফ
এর সাথে
———
ইশানঃ কি বলছো অনিক দেশে ফিরেছে?
———–
ইশানঃ ঠিক বলেছো কিউটি অই
অনিক ই মেঘাকে কোথাও রেখেছে
——-
ইশানঃ প্লিয তুমি রাগ করোনা আমি
ঠিক মেঘাকে খুঁজে বের
করবো
———-
ইশানঃ ওকে কিউটি(শুকনো হেঁসে)
এদিকে…
অয়রি কাব্য কে ফোনে বার বার ট্রাই করছে কিন্তু পারছেনা অয়রির টেনশন হচ্ছে+অনেক ভয়ও হচ্ছে কাব্যর কিছু
হয়নি তো
কাব্যর ফোন
অফফ
অয়রির কাব্যের উপর
প্রচন্ড রাগ হচ্ছে
সামনে পেলে
ওকে কি করবে নিজেও জানে না
অয়রিঃ সাদা বান্দর জিরাফ কালা থুক্কু
সাদা বিলাই তোর।
অই বিদিশিগো মতো
চুল যদিনা ছিড়ছি আমার নামও
অয়রিকা চৌধুরিনা
বিদেশি বান্দর
তোরে খালি একবার পাই।
সবসময় আমাকে টেনশন দেয়
অয়রি পারেতো এখন
বেঁচারি কেঁদেয় দেয়
তখনি বারান্দা থেকে একটি গানের সুর আসে
নিমিষেই অয়রির কান্না অফ হয়ে যায়
সে ছুটে যায় বারান্দায় তখনি..
চলবে কি?