?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ ?
#সিজন-২
#পর্ব-৫
#Jannatul_ferdosi_rimi[Writer]
ঈশা ফোনটা রিসিভ করে
ঈশাঃ হ্যালো বলো
—-
ঈশাঃ হুম আমি আসছি ভাইকেও আসতে বলো
—–
ঈশাঃ আর হ্যা আমার কিন্তু শপিং এর জন্য টাকা চায়
তুমি টাকা নিয়েছো
তো
——
অনেক অনেক ধন্যবাদ তুমি আমার
সেরা পি?লাভ ইউ মাই
সুইটি পি?
——–
ঈশাঃ আচ্ছা বাবা আসছি
তখনি একটা গাড়ি ঈশা গাড়িতে উঠে
পড়ে(কুটনামি করতে?)
??
অনিক অবাক
কেননা তার মাম্মি আর দিদুন তার জন্য
প্রায় ২০ রকমের আইটেম
করেছে
অনিকঃ মা এইসব কি এতো
কিছু আমি কী করে
খাবো?
রিমিঃ কি করে খাবি মানে?
আমার বাবু-সোনা বাচ্ছাটা প্রায়
৫ বছর পর ফিরেছিস অই বিদেশে
কি না কি খেয়েছিস কে জানে?
সব খেতে হবে কিন্তু
দিদুনঃ একদম ঠিক বলেছে তোর মা
আহারে আমার দাদুভাই কতটা
শুকিয়ে গেছে তখনি অনিকের
বাবা বলে উঠে
অয়নঃ দেখ অনি তুই কত লাকি
কত আদর পাচ্ছিস খেয়েনে বাবা এদিকে
আমরা যে আছি তা কারো
নজর এ পড়েনা
দাদাভাইঃ একদম
অনিকঃপাপা আর ইউ জেলাস??
রিমিঃ এইটা কি সত্যি?
আহারে আমার একটা মাত্র
আদরের ছেলে এতোদিন দেশের বাইরে ছিলো আর তুমি
অয়নঃ বারে আমার বউটা আমার
দিকে একটুও নজর দেয়না
অয়নের কথা শুনে।
প সবাই মুখ টিপে হাঁসছে
দিদুনঃ ছিহ অয়ন একটু লজ্জা কর
তোর ছেলে বাবা-মা সামনে আছে
অনিকঃ এতে পাঁপার কি দোষ বলো তো
দিদুন পাপা নিজের
বউ এর কথায় তো বলেছে
অয়নঃ এইযে আমার ছেলেই একমাত্র বুঝে
রিমিঃ এই তুমি চুপ করবে
কোথাও একটু কন্ট্রোল নেই
আর এইযে (অনিক কে) তাড়াতাড়ি খাওয়া
শুরু করতো
অনিকঃ বাট আমার বোনটি কোথায় তাকে
তো
পাওয়ায় যায়না তোমার মেয়ে একটু
বেশিই প্রেম পাগল
রিমিঃ চুপ করবি ও হয়তো ক্লাস করছে এসে যাবে তুই শুরু কর
অনিক খেয়াল করে প্রায় সব পদ আছে
কিন্তু তার ফেভারিট ফুঁচকা নেই
অনিকঃমাম্মি আমার ফুঁচকা কই জানো
বিদেশে অইটা তো
পাওয়ায় যায়না আর তুমি?
আমার ভেবারিট টায় করো নি
রিমিঃ এইরে আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম(এক্টিং করে)?
অনিকঃ দূর তোমরা কেউ আমাকে ভালোবাসো না (আপ্নারা হয়তো রিমির ফুঁচকা খাওয়ার ঘটনা?সেই অভ্যাস অনিক পাইছে)
তখনি অনিকের সামনে কেউ
ফুঁচকার প্লেট রাখে
অনিক তাঁকিয়ে দেখে অয়রি
অনিকঃ বনু তুই?
অয়রিঃ কেন রে দাভাই সারপ্রাইজ
শুধু তুই-ই দিতে পারিস?
অনিক গিয়ে অয়রিকে জড়িয়ে ধরে
অনিক অয়রির দুজনের চোখেয় জল চলে আসে
অনেকদিন পর
দুইভাই-বোন
এক হয়েছে
সবাই মুগ্ধ হয়ে ওদের দেখছে
সবাই খুব গল্প করে
অনিক কাব্যকে নিয়ে অয়রিকে অনেক পঁচায়?
অয়রিঃ একবার মেঘাপু আসুক তারপর দেখবি আচ্ছা মা কালকে মেঘাপু আসবেনা?
রিমিঃ তোর আমান আংকেল মেঘ আন্টি বড় খালামনি(মৌ)ছোট খালামনি(মিনি)আর মামি আর মামাও(রিকও প্রাপ্তি) ওরা আসবে কিন্তু
মেঘাটা নাকি ৭দিনের জন্য কলকাতা গিয়েছে অনিক্টা ফিরলো আর ওকে যেতেই হলো
অনিকঃ সেকি মা মেঘা কলকাতা কেন
গিয়েছে?(না জানার ভান করে)
রিমিঃ আরে তুই তো জানিস না মেঘা টা কেমন যেন হয়ে গিয়েছে
অয়নঃ আহা অইসব বাদ দাও এখন অয়ন গিয়ে একটু রেস্ট নে
??
রাত প্রায়-১০টা মেঘা এখনো কিচ্ছু খায়নি।
সার্ভেন্ট রা অনেক চেস্টা করিয়েছে
কিন্তু তার খাবার মুখে দেওয়ার কোনো নাম নেই
অনিক তাই এসেছে
অনিক সব সার্ভেন্ট দের উদ্দেশ্য করে
বলে
অনিকঃ তোমাদের কিচ্ছু করতে হবেনা আমি আছি তোমরা যেতে পারো
সবাই অনিকের কথা শুনে
চলে যায়
অনিক একটা ডেবিল স্মাইল দিয়ে
মেঘার ঘরের উদ্দেশ্য
মেঘা নিজের ঘরে সবকিছু ভান্গে ফেলছে
হঠাৎ কারো হেঁচকা টানে
মেঘা কারো বুকে এসে পড়ে
মেঘা উঠে তাকে দেখার চেস্টা করে
আর স্তব্ধ হয়ে যায় কেননা
চলবে কি?