তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ পর্ব-২২+২৩(শেষ পর্ব)

0
2802

?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ ?
#সিজন-২(Last)
#পর্ব-২২ +২৩ (মিলন হবে এই রাতে ?)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

উপস্হিত সবাই স্তব্ধ সবার কিরকম এই মুহুর্তে রিয়েক্ট করার উচিৎ তা বুঝতে পারছেনা ৬ বছর ধরে যাকে মৃত্য মনে করেছিলো সে আজ স্বয়ং নিজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে ঠিক কিরকম রিয়েকশন করার উচিৎ তারা বুঝতে পারছেনা মিসেস সুমাইয়া দৌড়ে এসে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয় নিজের মার স্পর্শ এতোদিন পেয়ে কাব্যের চোখও ছলছল করে উঠে
কাব্যঃ মা শান্ত হও
নিজের ছেলের মুখে মা ডাক শুনে মিসেস সুমাইয়া আরো জোড়ে কেঁদে দেয়
কাব্যের কন্ঠে এতোক্ষনে অয়রির হুশ আসে না সে স্বপ্ন দেখছেনা তার কাব্য তার ভালোবাসা তার সামনে সে ভুল ছিলো না
তার কাব্য সত্যিই বেঁচে আছে
মিঃ ফারহান ও নিজের ছেলেকে সযত্নে জড়িয়ে ধরে
কাব্যঃ আমার কাছে আসবে না(অয়রিকে উদ্দেশ্য করে
অয়রি ঝাপিয়ে পড়ে কাব্যের বুকে

সবাই এগিয়ে আসে(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

অনিকঃ তুমি? কাব্য তুমি বেঁচে আছো
হাও হিজ পসিবল

রিমিঃ আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিনা
তুমি বেঁচে আছো

মেঘাঃ এইটা কি একটা মিরাক্কেল?

অয়নঃ আরে সবাই আস্তে আস্তে
ছেলে টাকে একটু বলতে তো দাও

ঈশাঃ কাব্য তুমি বেঁচে আছো
আমি তো বিশ্বাস ই করতে পারছিনা

রিকঃ আমিও

কাব্যও অয়রিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে–
এইযে আমার পেয়ারারানী এর বিশ্বাস এর জন্য ই আজ আমার ফিরে আসা

প্রাপ্তিঃ পৃথীবিতো এমনও হয়

মুনঃ তাহলে অয়রি আমার আর ইশানের বিয়ে তো তোমাট জন্য লাকি হলো
তোমার বিশ্বাস জিতে গেলো
কি গো তুমি কিছু বলো(ইশান কে উদ্দেশ্য করে)

ইশান এতোক্ষন নিরব দর্শকের মতো সব দেখছিলো
কাব্যকে দেখে নিজের অপরাধবোধ কিছুটা হলেও তার কমেছে কেননা কাব্যের মৃত্যতে
কিছুটা হলেও নিজেকে অপরাধী মনো করতো ইশান আজ তা দূর হয়েছে
কিন্তু অয়রিকে এইভাবে অন্যকারো
বুকে দেখে ইশানের বুক টা জ্বলে-পুরে যাচ্ছে যা সে কাউকে না বলতে পারবে না

কাব্যঃ এই পাগলি প্লিয কাঁদিস না
তোর কান্না যে সহ্য হয়না

অয়রি কাব্যের বুকে এখন একদম লেপ্টে আছে
চারপাশের কাউকে সে তোয়াক্কা করেনা

অয়রি হিচকি তুলতে তুলতে বলে–

তুমি জানো সবাই বলতো তুমি নাকি বেঁচে নেই কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনা
আমি জানতাম তুমি বেঁচে আছো

অয়রিকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে অয়রির
চোখের পানি সযত্নে কাব্য মুঁছে দিয়ে বলল–

জানি তো আমার পেয়ারারানী টা আমাকে কত ভালোবাসে

অয়নঃ কিন্তু কাব্য তুমি যদি বেঁচেই আছো
তাহলে এতো গুলো বছর কই ছিলে?

ফারহানঃ আমার সেই একি প্রশ্ন

কাব্যঃ অইযে ভাগ্য

অনিকঃ মানে?

কাব্যঃ হয়তো বিধাতাও চায়না আমার অরুর থেকে আমি আলাদা হয়

মেঘাঃ সেদিন কি হয়েছিলো?

কাব্যঃ আমার ক্ষতবিক্ষত দেহ টা ওরা ব্রিজের পানিতে ফেলে দিলেও আমার ততক্ষন শ্বাস চলছিলো
আর ভাগ্যবাসত আমি গিয়ে পড়ি নদীর এক কিনারায়
সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল এক ধনি নতুন দম্পতি তারা আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি
হসপিটালে নিয়ে যায় কিন্তু আমি নাকি কোমায় চলে যায়
তাই তারা আমাকে নিয়ে মালিয়েসিয়া নিয়ে৷ যায় যেহুতু তারা মালিয়েসারি বাসিন্দা ছিলো
২ মাস আগে আমার জ্ঞান ফিরে

অয়রি বলে
তাহলে তুমি এই দুই মাস আমাদের সাথে কন্ট্রেক্ট করোনি কেন?

সেইটা না হয় আমিই বলি

সবাই পিছনে ঘুরে দেখে

আমান মেঘলা
সাথে অল্পবয়সী দুজন ছেলেমেয়ে
ছেলেটা কে দেখে
মিসেস সুমাইয়া দৌড়ে
যায় ছেলেটার কাছে

সুমাইয়া ঃ রওশন তুই?
(হ্যা রওশন আর তৃনা আইছে?)

রওশনঃ হ্যা মামুনি

অয়নঃ আমান তুই জানতি? কাব্য বেঁচে আছে

এইবার তৃনা বলে উঠে–

নাহ আংকেল আমান স্যার আজকেই জেনেছে
আমি আর রওশন স্যার জানতাম

রিমিঃ কিন্তু তোমাদের চিনলাম না

মিঃ ফারহানঃ রওশন আমার বড় ভাইয়ের ছেলের

সস্কটল্যান্ড এর সিবিআই অফিসার আর তার এসিস্টেন্ট মিস তৃনা

আমানঃ হুম

মেঘলাঃ আসলে আভি রায়জাদার ছেলে সোহাব রায়জাদা কোনোভাবে জানতে পারে
কাব্য বেঁচে আছে
সেইটা কাব্য জানতে পারে তাই কাব্য স্কটল্যান্ড এ যায় রওশন এর কাছে

কাব্যঃ আর এখন যদি সবাই জানতে পারে আমি বেঁচে আছি তাহলে ওকে ধরতে পারতাম মা আমরা

রওশনঃ হুম তাই আমরা কাউকে জানাইনি
সোহাবকে আজকে আমরা আমান স্যার ওর মাধ্যমে ধরতে পারি

কাব্যঃ আর দেখো জান আজ আমি এখন তাই তোমার সামনে

অনিকঃ সত্যি কাব্য যে বেঁচে আছে এটাই অনেক

সুমাইয়া ঃ আল্লাহর আছে লাখ লাখ শুকরিয়া উনি আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরেয়ে দিয়েছে

ইশানঃ অয়রির ভালোবাসা জিতেছে

অয়রি এইবার ইশানের দিকে তাকালো
ইশান চোখের ইশারা করে আসস্ত করলো

অয়রির মুঁচকি হাঁসলো

অয়নঃ এতো সাধনার পর আমার মেয়েটা তার কান্খিত ভালোবাসা পেলো এইটাই অনেক

রিমিঃ হুম

তখনি মিস্টি কাব্যের কাছে এসে বলল

মিস্টিঃ এইযে নতুন আংকেল একটু নিচু হলো

কাব্য মুঁচকি হেঁসে মিস্টির সামনে হাটু গেড়ে বসলো

—হুম বলো সোনা

–তুমি পিমনি কি হও?
পিমনি তোলামে কত্ত আদল করলো
আমাল মতো কত্ত জড়িয়ে ধলল

মিস্টি কথা শুনে সবাই হেঁসে দিলো
আর অয়রি তো লজ্জায় শেষ

কাব্য হেঁসে বলল–

আমি তোমার পিমনির হবু বর

মিস্টি কিছুটা ভাবার ভন্গিমায় বলল–
আমার বাপিও আমাল আম্মুলকে জলিয়ে ধলে৷ জানো আংকেল
মিস্টির কথা শুনে
অনিক মেঘা তো লজ্জায় শেষ
বাকি সবাই মিটিমিটি হাঁসছে

অনিকঃ মেয়েতো আমার প্রেস্টিজ খাচ্ছে

মেঘাঃ তোমার মতো নির্লজ্জ

কাব্য তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে

মিস্টিঃ আর জানোতো

মিস্টি কিছু বলবে
তার আগেই মেঘা দেয় একটা ধমক

টুম্পার সাথে যাও

মিস্টিঃ আচ্ছা মাম্মা
ওকে আংকেল পরে বলবো

কাব্যঃ আচ্ছা মামুনি ?

অনিকঃ এই টুম্পা আমার পিচ্চিটা কে নে

টুমা ঃ আচ্ছা অনিকভাই

কাব্যঃ এই পাগলি আর কাঁদে না

অয়রিঃ তুমি আর ছেড়ে যাবেনা তো

কাব্যঃ নারে পাগলি

অয়নঃ অনেক হয়েছে এবার আমাদের চারহাত এক করতে হবে কি বলেন
বেয়াই

ফারহানঃ অবশ্যই

???
ইশানের বিয়েটা ভালোভাবেই কেঁটে যায়
আজ চৌধুরী বাড়ি নিজেকে এক অন্যান্যরুপে সাজিয়েছে
বাড়ির ছোট মেয়ের
সংগীত বলে কথা
কাব্যরা চলে এসেছে

কাব্য নীল সুতির কাচ করা পাঞ্জাবি পড়েছে
চুলগুলো সেট করা হিরোর থেকে কম লাগছেনা

অয়রি এখনো স্টেজে আসেনি
তাকে রেডি করা হচ্ছে
অনিকও চলে এসেছে
লাল পাঞ্জাবি চোখে কালো সাংগ্লাস
ইশানকেও কিউট লাগছে
সাথে মুন ইশান কিছুটা হলেও
মুনকে মানিয়ে নিয়েছে
আমান আর মেঘলা ও চলে এসেছে

ওদের ও কিউট লাগছে

আমানঃ জানো আজকে একটা জিনিস ইচ্ছা করছে

মেঘলাঃ কি?

আমানঃ আবার বিয়টা সেরে ফেলি

মেঘলাঃ একটু লজ্জা ও নেই না? নাতিন হয়েছে উনি এখনো সেই আগের মতোই রয়ে গেলেন

আমানঃ ছেলে মানুষের লজ্জা লাগতে নেই

অনিকঃ উফফ আমার জানেমান টা কই?

তখনি মেঘা আসে

অনিক মেঘাকে কাছে টেনে নেয়

মেঘাঃ আরে কি করছো কি?
সবাই দেখছে না

অনিকঃ কেউ দেখছে না
সবাই নিজের টা নিয়েই ব্যাস্ত

এই বলে
মেঘার গালে টুপ করে৷ চুমু খায়
মেঘা হা

মেঘাঃ আচ্ছা যাও দেখো মা-বাবা আসছেনা কেন?

অনিকঃ হ্যা দেখি
মিস্টি আম্মু চলো

মিস্টিঃ ওকে

রওশন তৃনা মিসেস সুমাইয়া ফারহান
সবাই একসাথে গল্প করছে
তৃনার সাথে সুমাইয়ার বেশ ভাব জমেছে
মেয়েটা বেশ মিস্টি রওশন এর জন্য একদম পারফেক্ট
রওশন সবার সাথে গল্পে ব্যাস্ত আর তৃনা রওশনকে দেখতে যা রওশন খেয়াল করেছে
রওশন মুচকি হাঁসি দিলো

রিমি আজকে লাল-গোলাপী একটা শাড়ি পড়েছে
বেশ লাগছে ওকে
এতো বছরেও নিজের মুখে বয়সের ছাপ
অয়ন কিংবা সে আসতে দেইনি
দুজনেই বেশ সচেতন

অয়ন একটা খয়রী পাঞ্জাবি পড়েছে
বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে

রিমি আয়নায় নিজেকে রেডি করছে
হঠাৎ মাথায় কিছু অনুভব করলো
মাথায় হাত দিয়ে দেখলো
বেলি ফুলের গাজরা
হ্যা অয়ন পড়িয়েছে তার রিমিপরীকে

অয়নঃ এইবার লাগছে আমার রিমিকে আমার রিমিপরী

রিমি অয়নের কথায় মুঁচকি হাঁসে(লেখিকা রিমি)
এই মানুষটার ভালোবাসা এতো বছরেও বদলায়নি

অয়নঃ জানিস তোর প্রেমে রোজ রোজ পরি

রিমিঃ তাই?

অয়নঃ হুম তাই
এই বলে অয়ন
রিমিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে

ভালেবাসি

রিমিঃ আমিও

হি হি হি অয়নব্র আর রিমিপু ও আমাল বাপি আম্মুর মতো কিসি করে

ককন্ঠস্বরটা শুনে
অয়ন রিমিকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়
পিছনে ঘুরে দেখে
অনিক নিজেও চোখ বন্ধ করে রেখেছে
আর মিস্টিরো

অনিকঃ ড্যাড কিচ্ছু দেখিনি

অয়নঃ ড্রামা বন্ধ কর
নিচে যা

অনিক হাঁসতে হাঁসতে চলে যায়

রিমিও হেঁসে দেয়

অয়নঃ এতোদিন ছেলেটা রোমান্সের শত্রু ছিল এখন নাত্নিটাও
দুরর

রিকঃ প্রাপ্তি শুনো?

প্রাপ্তিঃ কিহ?

রিকঃ অনেক কিউট লাগছে

প্রাপ্তি মুঁচকি হাঁসে

ঈশা দাড়িয়ে আছে
হুট করে
রোহান এসে
ঈশাকে কিস করে দিলো

ঈশাঃ এইটা কি হলো

রোহান ঃ রোমান্স ??

ঈশাঃ সত্যি তুমিও না

কাব্য সেই কখন থেকে তার প্রেয়সীর অপেক্ষা করছে
কিন্তু আসার নাম নেই

সানিঃ কি বন্ধু ভাবির জন্য ওয়েট করছো?

রওশনঃ বুঝিস না আমার ভাই এর আবার বউ ছাড়া ভালো লাগেনা

কাব্যঃ চুপ করবি

কাব্য বিরক্তি নিয়ে তাঁকিয়ে আছে তখনি তার চোখ আটকে যায়

হ্যা তার পেয়ারারানী আসছে
গোলাপী লেহেঙ্গায়
কাব্যের বুক হার্টফেল হয়ে যাবে মনে হয়

কাব্যের পাশে অয়রিকে বসিয়ে রাখা হয়
কাব্য হা করে তাকিয়ে আছে
সবাই সেইটা নিয়ে মজা করছে সেদিকে
কাব্যের খেয়াল নেই

আর অয়রি তো পারে
লজ্জায় মরে যেতে

কাব্য অয়রির কান্র ফিস ফিস করে বলে

—অরু মন চাচ্ছে আজকেই বিয়ে করে ফেলে
আমার যে আর তর সইছেনা

অয়রিঃ চুপ অসভ্য

অনিকঃ সবাই একটু চুপ
এইবার সবাই মিলে
গান+নৃত্য পরিবেশন করবে

আমানঃ জামাই বাবা আমরা পারবোনা

রিমিঃ একদম

মেঘাঃ সেইটা বললে হবেনা করতে হবে

সবাই আর কি রাজি হয়ে যায়

মেঘা আর অনিক শুরু করে–

♪♪Bole chudiya bole kangana ♪

♪♪Haai main ho gaye teri sanjana ?
Tere bina jiyo naiya lagda main te margaiya. ? (মেঘা)

পাশের মেয়েগুলো বলে উঠে

(le jaa le jaa dil je aaa)

অনিকও গেয়ে উঠে–

? Bole chudiya bole kangana
Haai main ho gayi teri sanja) 2X(অনিক)

♪Tere bin jiyo naiyo lagda mein te margaya ♪♪
le jaaa le jaa,soniye le jaa le jaan
Dil le jaaa hooooo(মেঘা)

কাব্য অয়রিকে নিয়ে নাঁচতে নাঁচতে গায়–

? Bole chudiyan bole kangna
Haai main ho gaya tere saajna♪♪(কাব্য)

অয়রিও তাল মিলিয়ে বলে-

♪Tere bin jiyo maiyo lag Ta main te marjaawa ?
Le jaae le jaa soniya le jaa le jaa
Dil le jaa le jaa, hoooo(অয়রি)

সবাই কাপল ডান্স শুরু করে দেয়

তৃনাও রওশনকে ধাক্কা দিয়ে
গাইতে শুরু করে–

? Haai haai main marjawa
.marjaawa tere bin
Ab to meri
Ratoon kat ki taree gin gin ♪♪♪(তৃনা)

রওশন তো বেঁচারা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়

মুন ও ইশানকে নিয়ে গাইতে শুরু করে

♪♪Bas tujhko pukaara kare meri bindiya isahaare kare ♪♪(মুন)

ইশান কম কিসের সেও গাইতে শুরু করে–

Hoye lashkaraa lashkaara teri bindiya ka laskhkara ♪♪

রওশনও তৃনাকে টেনে গাইতে শুরু করে

? Aise chamke jaise chamke
Chaand ke pass sitaraa ♪♪

প্রাপ্তিও রিককে নিয়ে গাইতে শুরু করে–

Oh Oh Oh Oh Oh Oh
Meri paayel bulaye tujhe
Jo roothe manaaya tujhe♪♪♪

মিসেস সুমাইয়া ও ফারহানকে উদ্দেশ্য করে গাইতে শুরু করে —

O sajni haan sajni
Kuch socho kuch samjo
Mere baat ko

ফারহান আর রিক একসাথে গাইতে শুরু করে–

♪♪Bole chudiyan bole kangana
Haain main gaya tere saajna[রিক)

?Tere bin jiyo naiyoag da main te margaawa
Le jaa le naa, soniye, le jaa
Le jaa je le jaa hoo(ফারহান)

রিমি একটা সচ্চ
স্টিলের থালা দিয়ে
অয়নের সামনে আনে
এইটা দিয়ে জানালার কাচ থেকে
চাঁদের সচ্চ আলো
অয়নের মুখে এসে পড়ছে
অয়নকে সিন্ধ লাগছে

♪♪Apni maang suhaangan ho
Sang homeshaa sajan ho ?
Aoke meri duniya mein vapass
Na jaana ?
Sehrabaandke maahi
Tu mera ghar aanna ?
অয়ন মুঁচকি হেঁসে দিয়ে
রিমিকে জড়িয়ে গান গাইতে শুরু করলো

♪ Oye soni kitti soni aj tu lagdi
Ve bass mere saath yeh
Jodi teri sajdi ve roop aisa
Sudaaana tera ?
Chaand bhi hai deewana tera ??

আমান মেঘলার কোমর টেনে নিজের কাছে নিয়ে বলল
।জান ভালোবাসি

মেঘলাও আমানকে নিয়ে গাইতে শুরু করলো–!

Jaa re jaa re oh jhoothe tere
Galla hum na maane ?
Kyoon taarife karta hai tu
Humko sab kuch jaane ?

অয়নের বাবা ও গাইতে শুরু করে

Oh Oh oh Oh Oh
Meri dil ki
Dua yeh kahe
Teri jodi salamat rahe ??
সবার উদ্দেশ্যে
সবাইও হেঁসে দেই

অয়নের মাও গাইতে শুরু করে
Oh sajan ji haan sajan nj
Yunhi beete

Saara jeevan sathe mein ?
সব ছেলেরা একসাথে নাঁচতে নাঁচতে গাই
? Bole chudiya bole kangna
Haai main ho gaye teri saanja

মেয়েরাও কম কিসে তারাও গাইতে শুরু করে

Tere bin jiyo naiya lagda
Majn te margaya ♪♪

সবাই হাসিখুশি ভাবেই থাকে

???—

আজ চৌধুরী বাড়িতে বিয়ে থাকলেও
শেষ মুহুর্তে সবাই যেন শখের মধ্যে আছে
বাড়ির ছোট মেয়েটার বিয়ে কথা

অয়রির লালা বেনারসি পড়ে আর কাব্য লালা কাচ করা সেরওয়ানি পড়েছে

বিদায়ের মুহুর্ত

রিমিতো কেদে অজ্ঞান
অনিক ও কান্না করছে আদরের বোন বলে কথা

অয়ন ও নিজের চোখের জল আড়াল করতে চাচ্ছে কিন্তু ব্যার্থ
ছোট্ট মিস্টিও কেদে যাচ্ছে
মেঘাও কেদে যাচ্ছে

সবাইকে সাম্লিয়ে
কাব্য অয়রিকে নিয়ে রওনা দেয়

আহমেদ বাড়ি,,

কাব্য অয়রির হাত শক্ত করে ধরে একসাথে বাড়িতে ঢুকে

গোলাপ ফুলে হাল্কা বাতিতে পুরো ঘর সাজানো

আর অয়রীর মনে ভয়ে শেষ তার সাথেই সে খুশিও
এতো সাধনার পর সে তার কাব্যকে পেয়েছে
দরজা খুলার আওয়াজে ভাবনার থেকে বেড়িয়ে হ্যা কাব্য এসেছে
অয়রি আর কিছু বলবে তার আগেই
কাব্য একটা শাড়ি
দিয়ে বলে

জান এইটা পড়ে আসো আমি চেঞ্জ করে আসছি

অয়রি মুচকি হাসে

অয়রি ফ্রেস হয়ে এলে

কাব্য আর সে নফল নামাজ আদায় করে
কেননা আল্লাহর জন্য আর তারা এক
নামাজ পড়া শেষ হলে

কাব্য অয়রিকে কোলে করে নেয়
বেডে বসিয়ে জোড়ে জড়িয়ে ধরে

কাব্যঃ অনেক সাধনার পর পেলাম তোমায়

অয়রিঃ সবই আল্লাহর ইচ্ছায়

কাব্যঃ৷ হুম আমাদের লেখিকার ও একটু ক্রেডিট আছে

অয়রিঃ হ্যা তা বলতে

আমাদের লেখিকার নতুন নতুন গল্প পড়তে
Stories by jannatul ferdosi rimi এ পাবেন

কাব্যঃ May I?
আমার পেয়ারারানী

অয়রি লজ্জায় শেষ

কাব্য অয়রিকে নিয়ে এক ভালেবাসার রাজ্যে প্রবেশ করে কেননা
#মিলন_হবে_এই _রাতে
ভালো থাকুক এই দোয়ায় রইলো

?
বারান্দায় রিমি অয়নকে জড়িয়ে এখনো কান্না করছে

অয়নঃ এই পরী কান্না থামা
দেখ আমাদের মেয়ে কতটা সুখী এইটা ভেবেও খুশি হো

রিমিঃ হুম আমার পাশে সবসময় থেকো

অয়নঃ থাকবোই তো
#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা

অনিকের ও একই অবস্হা
মিস্টি ও কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে

মেঘাকে শক্ত করে জড়িয়ে আছে

মেঘাঃ কান্না করোনা আম্রাতো কালকেই যাবো

অনিকঃ হুম

মেঘাঃ ভালোবাসি

অনিক মেঘাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে

মেঘলা একটা বই নিয়ে পড়ছে

আমান সেইটা সরিয়ে দিয়ে
বলে

সারাদিন বই নিয়েই থাকলে আমার দিকে একটু খেয়াল দিন ম্যাম

মেঘ মুচকি হে্সে
আমানকে কিস করে দেয়
আমান হা

নরম নরম ঘাসে
হেটে যাচ্ছে
রওশন আর তৃনা

তৃনাঃ ভালো লাগছে
অনেক

রওশনঃ হুম জায়গাটা অনেক সুন্দর

জানতে চাও না কোথায় যাচ্ছি

তৃনাঃ জানতে চাইনা গন্তব্য শুধু এইটুকুই চাই
এই পথ যেন শেষ না হয়

রওশন মুচকি হাঁসি দিয়ে
তৃনার হাত শক্ত করে ধরে হাঁটতে থাকে

থাক না কিছু গন্তব্য অজানা
?

সমাপ্ত!!! ??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে