#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-৪
#Jannatul_ferdosi_rimi[Writer]
(যারা সিজন-১ পড়েননি তারাও সিজন-২পড়তে পারেন)
রিমি দরজা খুলে হতভম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কি বলবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না কেননা তার চোখের সামনে তার আদরের ছেলে অনি আছে ৫টি বছরপর নিজের ছেলেকে এইভাবে দেখবে ভাবতেই পারিনি অয়নের ও একই অবস্হা
অনিঃ মম আমাকে কি দাঁড় করিয়ে রাখবে?
রিমি অনিক কে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খায়
আমার বাবু-সোনা কেমন আছিস?
বাবা মায়ের কস্ট হয়না এতোদিন কেউ দেশের বাইরে থেকে কতটা শুকিয়ে গেছে আমার ছেলেটা আয় ভিতরে আয়
অনিক ভিতরে ঢুকে অয়ন গিয়ে অনিক কে জড়িয়ে ধরে
অয়ন–আমার প্রিন্স টা কেমন আছে বাপি মাম্মি কথা বুঝি তোর মনে পড়েনা
অনিক*–বাপি পরে দেখোছো তোমাদের না জানিয়েই চলে আসলাম
কেমন লাগলো সারপ্রাইজটা
রিমি অনিকের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে
—আগে বলবিনা কিন্তু আমরা সত্যিই সারপ্রাইজড অয়রিটা শুনলে তো খুশিতে পাগল হয়ে যাবে
অনিকঃ তা আমার বোনটা কোথায় শুনি?
মেইবি নিজেত হবু বরের সাথে প্রেম করছে তাইনা
রিমিঃ দিবো একটা চড় বড় ভাই হয়ে বোনের প্রেম
নিয়ে কথা বলিস লজ্জা নাই তোর
অয়নঃ আমার ছেলে আমার মতো ডিজিটাল বুঝেছো তোমার মতো অল্ড ফ্যাশন না
রিমিঃ কি বললা তুমি আজকে আমি
অনেক খুশি তাই বেঁচে গেলা
অনিকঃ আহা মাম্মা বাদ দাও বাপি তো এমন করবেই
তখনি মিসেস নিশি(অনিকের দিদুন) আর মিঃ সৈকত(অনিকের দাদাভাই আসে)
দিদুনঃ আরেএ আমার দাদভাই এসেছো
অনিক গিয়ে তার দিদুন কে জড়িয়ে ধরে
—হুম তোমার হেন্ডসাম হাজবেন্ড তার বউ এর জন্য চলে এসেছে
দাদুঃ তা বুড়ো বউকে নিয়ে
পড়লেই হবে আমি বুঝি কিচ্ছুনা (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
অনিক গিয়ে তার দাদুকেও জড়িয়ে ধরে
–তোমাকে কি করে ভুলতে পারি বলো
দিদুনঃ এই তুমি বুড়ি কাকে বললে আমি এখনো কত সুন্দরি জানো
অনিকঃ হ্যা একদম এইযে দাদু তোমার বউকে আমি বিয়ে করবো তখন
বুঝবা মজা
দাদুঃ অনিক দাদাভাই তুই বিয়ে কর এই বুড়িটা আমি তখনি মেঘা
দিদিভাইকে বিয়ে করবো
বুড়ির থেকে সুন্দরী বউ পাবো
সবাই অনিকের দাদুভাই এর কথায় হেঁসে দেয়!!
অয়নঃ আজকে দিদুন এর কথা অনেক মনে পড়ছে রে রিমি
রিমিঃ আমারো নানুমা তোমকেও এইভাবে আদর করতো
অয়নঃ হু?
রিমিঃ এই অনি যা তোর ঘরে যা রেস্ট নে অয়রিটা আসলে কি যে সারপ্রাইজড হবে
অনিকঃ হুম মা তুমি কিন্তু
আবার ওকে বলে দিও না
???খানবাড়ি।।
রিক(রিমির চাচাতো ভাই)
নিউজ প্যাপার পড়ছিলো তখনি কেউ তা কেঁড়ে নেয় রিক চোখ তুলে তাঁকিয়ে দেখে প্রাপ্তি(রিকের বউ)
রিকঃ কি হচ্ছে কি আমি খবর পড়ছি তো
প্রাপ্তিঃ তো পড়োনা আগে আমার টাকা দাও
রিকঃ কিসের টাকা?
প্রাপ্তিঃ কিসের টাকা মানে?আমার আজকে এক্টা পার্টি আছে তাই টাকা
লাগবে
রিকঃ প্রতিদিন কিসের এতো পার্টি?
প্রাপ্তিঃ দেখো এতো কয়ফিয়ত দিতে পারবোনা ওকে?
রিকঃ সারাদিন তো বাড়ির কোনো কাজ ই করোনা খালি ঘুরে বেড়াও মা বয়স্ক মানুষ উনিই সব সামলায়
প্রাপ্তিঃ কে বলেছে উনি সব সামলায় সার্ভেন্ট আছে তো
রিকঃ কত টাকা লাগবে?
প্রাপ্তিঃ ৫০ হাজার
রিকঃ ওয়াট? এতো?
প্রাপ্তিঃ এমনভাবে বলছো কতনা কি? এতো বড় বিসনেজ সামলাও সামান্য এইটুকু দেওয়ার মুরুত নেই
রিকঃ বাবা মারা যাওয়ার পরে আমিই সব সামলাচ্ছি কাকাই (রিমির বাবা) বিদেশের টা সামলায় আমিই বুঝি কত
প্ররিশ্রম করে টাকা ইনকাম করতে
হয়
প্রাপ্তিঃ তোমার চাচাতো বোন রিমি আপু বা মৌ আপু তারা তো নিজের সংসার নিয়ে
ব্যাস্ত তোমার বোন মিনিও নিজের সংসার
নিয়ে ব্যাস্ত তুমি একা এতো বড় বিসনেজ সামলাও এইটুকু টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তো আছেই না তাছাড়া অন্যের সম্পত্তি ভোগ করছো তোমরা সবাই(শেষের কথাটা প্রাপ্তি আসতে বললো)
রিকঃ এইযে টাকা
প্রাপ্তিঃ ওকে বাই বেইবি
এই বলে।প্রাপ্তি চলে যায়
তখনি রিকের মা রিকের কাধে হাত রাখে
রিকের মাঃ মেয়েটাকে এতো ভালোবাসিস
নিজের ফিটনেস এর জন্য কোনো সন্তান নেই নি সেইজন্যও তোর কোনো
অভিযোগ নেই অন্যদিকে রিমি
মৌ মিনির ছেলেমেয়ে নিয়ে ভরা সংসার
তাও তোর সাথে এমন ব্যাবহার করে
রিকঃ কি করবো মা ভালোবাসি তো
(প্রাপ্তি জাহান মা-বাবা কেউ নেই ভার্সিটিতে রিক আর ওর মধ্যে রিলিশন হয় তারপর বিয়ে?বিয়ের পর থেকে পুরাই চেঞ্জ?)
??
মেঘা রাগে ফুঁসছে
সব কিছু ভেন্গে ফেলছে
সার্ভেন্ট রাও ভয়ে কেউ মেঘার ধারে কাছে যাচ্ছেন না এদিকে দিয়ে অনিক সিসিটিভি দিয়ে ল্যাপটপে সব দেখছে আর বাঁকা হাঁসছে
বেঁচারা ওখানে থাকলে ওকেও মেঘা ভেন্গে দিতো?
মেঘাঃ উফফ কে অই খাড়ুশ বস একবার পাই এই মেঘাদ্রি কি জিনিস দেখিয়ে দিবো সবাইকে উফফ????
???
কাব্য অয়রিকে একটা বড় ঝিলের কাছে নিয়ে আসে ঝিলের পাশেই একটা ডুবলেএক্স বাড়ি অনেক সুন্দর অয়রি অবাক কেননা এইখানেই
কাব্য অয়রিকে প্রপোজ করেছিলো
(কাব্য আহমেদ অয়রির ভার্সিটির ট্রাস্টি ফারহান শেখ ও সুমাইয়ার শেখের একমাত্র আদরের ছেলে?)
অয়রি; কাব্য হঠাৎ আমাকে এখানে আনলে কেন
কাব্য- আমার জানের সাথে কিছু সময় ইঞ্জয় করতে
অয়রি মুঁচকি হাঁসে
কাব্য হাঁটু গেড়ে বসে অয়রি অবাক কাব্যের হাতে পেয়ার ঝুড়ি
কাব্যঃ হে আমার পেয়রারানী আমার মনের রানি হবে কি একটু দেবে কি তোমার পেয়ারা চুরি করার সুযোগ আমার বাচ্চটা খুব ভালোবাসি যে অয়রি অবাক কেননা কাব্য
প্রথমবার
এইভাবেই অয়রিকে প্রপোজ করেছিলো
অয়রিঃ হুম হুম দিবো সেই অধিকার ভালেবাসি কাব্য
কাব্য অয়রির হাঁতে চুমু খেয়ে বলে
–আমিও আমার বাবুইপাখি
অয়রি আর কাব্য লেকের পাড়ে বসে আছে
অয়রি পেয়ারা খাচ্ছে আর বকবক করছে কাব্য তার পেয়ারা রানীর দিকে এক
দৃস্টিতে তাঁকিয়ে আছে
অয়রির বাচ্ছা বাচ্ছা স্বভাব সবার থেকে
আলাদা তাই হয়তো এতো মেয়েকে
রিজেক্ট করে অয়রিকেই ভালেবাসে
অয়রি আর কাব্য
কাব্য আর অয়রি সেখানে প্রায় তিন ঘন্টা
সময় অতিবাহিত করে আবার ভার্সিটি বেক করে অয়রির একটা ইম্পোর্টেন্ট ক্লাস আছে তাই
ভার্সিটির সামনে কাব্যের বাইক থামে
কাব্যঃ সাবধানে থেকেও বাবুও লাভ ইউ
অয়রিঃ লাভ ইউ টু(মুঁচকি হেঁসে)
কাব্য মুঁচকি হেঁসে বাইক নিয়ে চলে যায় সে গাড়ি নিয়ে আসতে পারতো কিন্তু অয়রির বাইকে ঘুড়তে বেশি ভালো লাগে
অয়রি ভার্সিটিতে ঢুকতে ঈশা সামনে আসে
(ঈশা ভার্সিটির প্রিন্সপালের ভাগ্নি প্রচুর ঢন্গী)
(বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই প্রচুর ভাব দেখায়
অয়রিকে কিছু করতে পারেনা অয়ন চৌধুরীর মেয়ে তাই কাব্যকে পছন্দ করে)
ঈশাঃ ভালোই তো
আমার কাব্যের সাথে ঘুড়ছো
অয়রিঃহেই ইউ কাব্য কখনি তোমারি ছিলোনা ও তোমাকে পাত্তাই দেয়না ও আমাকে ভালোবাসে
তাই এইসব আমার কাব্য আমার কাব্য করা
বন্ধ করো আর সরো
আমার সামনে থেকে
এই বলে অয়রি
ঈশাকে সাইড করে চলে যায়
এদিকে ঈশা রেগে বোম?
ঈশাঃ তোমার থেকে যদি কাব্য কে কেঁড়ে নিতে না পারি আমার নাম ও ঈশা বাকিটা বলতে গিলে ঈশার ফোন বেঁজে উঠে
তখনি।।
চলবে কি?