তুই শুধু আমার
Faria Siddique
part 1
আমার জীবনটা এমন হবে আমি কখনো ভাবি নি।।।।।।আজ এমন একটা লোকের সাথে আমার বিয়ে হচ্ছে যেই লোকটাকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি।।।।
আমি একটা রুমে বসে আছি।।।।কিছু মেয়ে আমাকে সাজাচ্ছে।।।আমি বসে আছি পুতুলের মতো।।
(আমি ফারিয়া সিদ্দিকী।।।।।। আমার পরিবারে আমার বাবা আর আমার ভাইয়া আছে।।।আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ার এ পরি।।।উচ্চতা ৫” ৬।।গায়ের রঙ একদম সাদা।।।দেখতে একবারে শুকনা না আবার মোটাও না।।।)
আমাকে সাজানো প্রায় শেষ।।। দুইজন মেয়ে আমাকে নিয়ে যেতে এসেছে।।
আমাকে সিড়ি দিয়ে নামানো হচ্ছে।।লাল লেহেঙ্গা,ভারি মেকআপ,ভারি গহনা।।।।আমাকে নিয়ে ওই লোকটার পাশে বসানো হলো।।।
আসুন এবার ওই লোকটার পরিচয় দেয়া যাক।।।
(নাম রুদ্র খান।।খান গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিক।। দেশের নামকরা বিজনেসম্যান।। উচ্চতা ৬” ২।।বয়স ২৮।।গায়ের রঙ হলুদ সাদা।।চাপদাড়ি আছে।।দেখতে একদম হিরোর মতো।।।।।)
কাজিঃমা কবুল বল।
আমি কিছু না বলে চুপ করে আছি।।
কাজিঃমা কবুল বল।
আমি এবারও কিছু বললাম না।।।
রুদ্রঃ তুমি কি কবুল বলবে??নাকি আমি তোমার বাবা.…………(শান্ত সুরে)
আমিঃআমি কবুল বলছি।।(ভয় পেয়ে)
রুদ্রঃগুড।।।। (বাকা হেসে)
আমি কান্না করতে করতে কবুল বলে দিলাম।।।।
রুদ্রও কবুল বলল।।
আমাদের বিয়ে হয়ে গেল।।।।আমার নাম এমন একটা লোকের সাথে জুড়ে গেল যাকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃনা করি।।।।
আমিঃএবার তো আমার বাবা আর ভাইয়াকে ছেড়ে দিন।।
রুদ্রঃ কুল বেবি।।।।তুমি যদি ভালোভাবে আমার কথা শুনতে তাহলে আর আমার এতো কস্ট করা লাগে না।।।(বাকা হেসে)
আমিঃকেন আপনি আমার সাথে এমন করছেন??আমি কি করেছি???(কান্না করে)
রুদ্রঃএই এই তুমি প্লিজ কান্না কর না।।।।আমি তোমার কান্না দেখতে পারি না।।।প্লিজ কান্না বন্ধ কর।।।(করুন সুরে)
আমিঃপ্লিজ আমার বাবাকে ছেড়ে দিন।।। (ভয় পেয়ে কান্না করে)
রুদ্র কিছু বলতে যাবে দেখি তখনি আমার বাবা এসেছে।।।
আমি অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে আছি।।
আমিঃবাবা।।।
আমি দৌড়ে বাবার কাছে গেলাম।।।।বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলাম।।।
বাবাঃকি হল মামনি কান্না করছ কেন????
আমি অবাক হয়ে রুদ্রের দিকে তাকাতেই দেখি ওনি আমার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে যাচ্ছেন।।।।
আমিঃবাবা তোমাকে রুদ্র কিডন্যাপ করে নি???
বাবাঃকি যাতা বলছো এসব????ও কেন আমাকে কিডন্যাপ করতে যাবে!!!!!!!
আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম।।।।।।
রাত ১ঃ৫০
একটা লোক রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে।।।।গিয়ে একটা কবরের পাশে দাঁড়াল।।।
লোকটাঃকেন চলে গেলি আমাকে ছেড়ে কেন???(বলেই চিৎকার করে কাদতে থাকল)জানিস আমার না আজকে বিয়ে হয়ে গেছে।।।।কিন্তু তাতে কি যারা তোকে খুন করেছে তাদেরকে আমি ছাড়বো না।।।যারা আমার থেকে তোকে কেড়ে নিয়েছে তাদেরকে আমি কাউকে ছাড়বো না।।।(কান্না করতে করতে লোকটা বলল)
আরও কিছুক্ষন থাকার পরে লোকটা চলে গেল।।।।
রাত ২ঃ৩০
আমার রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি।।।
বাবার থেকে শুনেছি আমি অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতে বাবা আমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।।রুদ্র নাকি দিতে চাইছিল না।।বাবা একপ্রকার জোর করেই নিয়ে আসে।।
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি ঠিক এমন সময়ই আমার ফোন বেজে উঠল।।।।
ফোন হাতে নিয়ে দেখি রুদ্রের কল।।।।।ধরতে ইচ্ছা করল না।।।
আবার কল দিয়েছে।।।।আমি এবার ধরলাম।।।
রুদ্রঃ এতক্ষন লাগে কল ধরতে???(রেগে চিল্লিয়ে)
আমিঃকেন কি হয়েছে???
রুদ্রঃ কি হবে আবার???(রেগে)
আমিঃতাহলে রাখি।।।।
রুদ্রঃ এক থাপ্পর দিয়ে গালের দাত সব ফালাইয়া দিব।।।।।তোর সাহস কি করে হয় আমার কল রাখার????(চিল্লিয়ে)
আমি কিছু না বলে চুপ করে আছি….
রুদ্রঃবারান্দায় এভাবে দাড়িয়ে আছ কেন??
আমিঃআমার ইচ্ছা।।।।
রুদ্রঃ তারাতারি এসে বাড়ির দরজা খোলো।।।
আমিঃআপনি এখানে এলেন কেন???(অবাক হয়ে)
রুদ্রঃমানে কি!!!!আমাদের আজকে মাত্র বিয়ে হল আর আমি আমার বউ ছাড়া থাকব?????বিয়ে করেছি বউ ছাড়া থাকার জন্য নাকি???
এবার আমার রাগ উঠে গেল
আমিঃমানি না এই বিয়ে।।।আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন আপনি।।।।(চিল্লিয়ে রেগে)
রুদ্রঃআমি আর দাঁড়িয়ে থেকে মশার কামড় খেতে পারছি না।।।তারাতারি এসে দরজাটা খোলো।।।
আমি আর কিছু বললাম না।।।।।গিয়ে দজা খুলে দিলাম।।।।
চলবে……..