#তুই আমার ২
#পর্বঃ৯
#Tanisha Sultana
মাইসা একটু হেসে মিষ্টিকে জড়িয়ে ধরলো।
“আপি আমার খুব ঘুম পেয়েছে চলো ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
” হুম চলো।
মাইসা মিষ্টি ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরের দিন হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। সৌরভদের বাড়ির সামনের বাগানে হলুদের অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়েছে। সৌরভ জীম আর অভি এক রকমই পানজাবি পড়েছে। মাইসা আর মিষ্টি এক রকমই শাড়ি পড়েছে। ওদের দুজনকেই আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে। মাইসা মিষ্টিকে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে।
সৌরভ অভি আর জীম গল্প করছিলো। একটা মেয়েকে দৌড়ে যেতে দেখে অভি বলে
“মেয়েটা কে রে??
” আমার বোনের মতো মনে হলো
“ধুর শালা তোর বোন এতো সুন্দর না
” আমাদের বাড়িতে এতো সুন্দর মেয়ে।
“বাদ দে তো কে না কে
আবির আর রুশা চলে এসেছে। মিষ্টি ওদের কাছে যায়
” বাপি মামনি আমাকে কেমন লাগছে
“এটা আমার মেয়ে। আমি তো নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছি না। রুশা আমি কি ঠিক দেখছি??
” হ্যাঁ তুমি ঠিকই দেখেছো ও আমাদের পরি।
আবির মিষ্টির কপালে আলতো করে একটা চুমু দেয়
“মাশাল্লাহ সোনা
” কিছু সোনা শাড়ি পেলে কই??
“কাল শপিং এ গেছিলাম তখন আমি এই শাড়িটা চুজ করছি।
” দেখো রুশা আমার মেয়ের চয়েস কতো ভালো
“আরে তোমরা পুরো কথাটা শুনবে তো
” হুম সোনা বলো
“তারপর যেই না শাড়িটা নিবো তখন অভি এসে আমার শাড়িটা নিয়ে যায়। তারপর যখন ও বিল প্রে করছিলো তখন আমি শাড়ি নিয়ে দৌড় দেয়।
মিষ্টির কথা শুনে রুশা আবির হাসে। তারপর হাসি থামিয়ে রুশা বলে
” সোনা এমনটা কিন্তু আর করবে না।
“ঠিক আছে। আমি এখন যাই হ্যাঁ সবাইকে দেখাতে হবে তো
মিষ্টি দৌড়ে চলে যায়। অভির বাবা মায়ের কাছে যায়।
” আংকেল আন্টি আমাকে কেমন লাগছে??
“একদম মিষ্টি পরির মতো লাগছে।
অভির মা মিষ্টির কপালে চুমু দিয়ে বলে
” খুব সুন্দর লাগছে।
মিষ্টি পুরো বাড়ি লাফাতে লাফাতে সবাইকে দেখায়। তারপর জীম অভি সৌরভ ওদের কাছে যায়।
“দাভাই আমাকে কেমন লাগছে??
ওরা তো মিষ্টিকে দেখে পুরোই থ হয়ে গেছে। লাল পেরে হলুদ শাড়ি আর কাঁচা ফুলের গহনায় মিষ্টিকে ফুটম্ত গোলাপের মতো লাগছে।
” তুই আমার বোন তো সত্যি
“হ্যাঁ আমি তো তোমারই বোন
সৌরভ বলে
” মিষ্টি জাস্ট ওসাম লাগছে তোমাকে। আমরা তো ফাষ্টে চিনতেই পারি নি।
অভি মুখ বাকিয়ে বলে
“মোটামুটি লাগছে
” হুম মোটামুটিই তো লাগবে। আসলে কি বলতো রতনে রতন চিনে, আর পাগলে চিনে ময়দা।
“তুমি রতন
” অবশ্যই। তুমি চিনতে পারবে না কজ তুমি তো ময়দা সুন্দরী ছাড়া অন্য কারো সৌন্দর্য দেখতেই পাও না।
“বলছি না ময়দা সুন্দরী বলবা না।
” বলবোই। সৌরভদা তোমাকে বলছিলাম ময়দা সুন্দরীকে ইনভাইড করতে তুমি করো নি
“হুম করছি। এতোখনে তো চলে আসার কথা। আসছে না কেনো??
” মনে হয় অন্য কোনো ছেলের সাথে ভেগেছে
“জাস্ট সাট আপ। আর একটাও বাজে কথা না। আমার রিনি ওই টাইপের মেয়েই না।
অভার কনফিডেন্স ভালো না অভিদা। আর তাছাড়াও তোমার গার্লফ্রেন্ড তুমি বুঝবে। চলে গেলেও আমার কি না গেলেও আমার কি
” বোন বাদ দে মনে হয় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে চল
জীর আর মিষ্টি যেতে লাগে তখন রিনি আর রেহান আসে।
“আরে ময়দা আপু থুক্কু কিউটি কি অবস্থা তোমার। রেহানদা তুমি
” এইতো মিষ্টি ভালোই। তুমি?
“আমিও ভালো। কিন্তু কিউটি তুমি আজ ময়দা মাখো নি কেনো??
” শরিলটা খারাপ তাই
“তা রেহান ভাইয়া তুমি কি কিউটি আপুর বড়িগার্ড না কি??
রেহান ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে কেনো
” না মানে যেখানেই যায় তোমাদের দুজনকে এক সাথে দেখি তো তাই বললাম আর কি??
অভি রাগি ভাবে বলে
“তুমি চুপ করো। রিনি তোমার সাথে কথা আছে
” আমার মিষ্টির সাথে কিছু কথা আছে। মিষ্টির সাথে কথা বলে তোমার সাথে কথা বলছি
রিনি মিষ্টিকে টেনে একটা ফাকা জায়গায় নিয়ে যায়
“কি ব্যাপার কিউটি কিছু হয়েছে তোমার??
” মিষ্টি আসলে রেহান কাজিন না বফ।
“কিহহহহহ তোমার দুটো বফ
” আমি কি করবো বলো। রেহান বিয়ের জন্য খুব চাপ দিচ্ছে
“দেখো কিউটি তুমি সুন্দর স্মার্ট। রেহানদাও সুন্দর স্মার্ট। সুন্দরের কথা বাদ দিলাম। জীবনে প্রচুর টাকা দরকার বুঝছো। কিন্তু অভিদের তো তেমন টাকা নাই। কিন্তু রেহানদাদের টাকার কোনো অভাব নেই। ভালোবাসা দুই দিনের কিন্তু টাকা তো সারাজীবনের জন্য। এখন তুমি ভেবে দেখো।
রিনি ভাবনায় পড়ে যায়। মিষ্টি আবার বলে
” আমি তোমায় এডভাইস দিলাম এখন সিদ্ধান্ত তোমার।তবে হ্যাঁ যা করবে ভেবে করবে। দেখো কোনোভাবে আবার তুমি ঠকে যেয়ো না।
চলবে