#তুই আমার ২
#পর্বঃ৩
#Tanisha Sultana
চারপাশে খোজার পরেও ওই মেয়েটাঙ আর অভিকে কোথাও দেখতে পায় না মিষ্টি। তারপর মন খারাপ করে মায়ের কাছে যাওয়ার সময় শুনতে পায়
“অভি আমার সোনার ডিম পারা হাস। ওকে আমি ছাড়তে পারবো না
কথাটা কানে আসতেই মিষ্টি চারপাশে চোখ বুলায়। কোথা থেকে কথা বলছে সেটা বুঝার চেষ্টা করে। অবশেষে মিষ্টি পেয়ে যায়। অভির গার্ল ফ্রেন্ড সেই ছেলেটা কে বলছে। মিষ্টি আড়ালে দাঁড়িয়ে পরে
“রুনি তুমি আসলে কি করতে চাইছো? তুমি তো বলেছিলে তুমি আমাকে ভালোবাসো। তাহলে কেনো অভিকে ছাড়তে পারবে না
” রেহান সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু তুমি তো জানোই অভি আমাকে কতোটা ভালোবাসে এখন যদি হুট করে ও জানতে পারে আমি ওকে না তোমাকে ভালোবাসে তাহলে যদি সুইসাইড করে
“করলে করবে তাতে তোমার বা আমার কি?? এতে তো আমাদেরই লাভ হবে তাই না
” তুমি খুব বোকা রেহান। এখন যদি অভি মরে যায় তাহলে আমরা ফেসে যাবো কজ সবাই জানে অভি আর আমার রিলেশন কথা। এখন যদি অভি আমাদের কথা জানতে পারে তো ও চিৎকার চেচামেচি করবে তো সবাই জেনে যাবে। তারপর অভি সুইসাইড করবে আর আমাকে জেলের ঘানি টানতে হবে
“বুঝলাম। কিন্তু রিনি একটা কথা মনে রেখো আমার গোল দেওয়ার কথা ভুলেও ভেবো না। আমি অভির মতো না
ছেলেটা চলে যায়।
মিষ্টি ওদের কথা শুনে কি করবে বুঝতে পারছে না। মানুষ এতোটাও খারাপ হয়।
অভি কে এসব বললে বিশ্বাস করবে না। আমার প্রমান লাগবে। কিন্তু প্রমান কোথায় পাবো?? অভির লাইফ থেকে এই মেয়েটাকে আমি সরিয়ে দেবো। অভি তো এর সাথে ভালো থাকবে না।
আনমনে এসব ভাবছে আর হাটছে মিষ্টি। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খায়। মেজাজটা খারাপ হয়ে যায় মিষ্টির।
” চোখে দেখতে পাও না? না কি মেয়ে দেখলেই ধাক্কা দিতে মন চায়
“আমিও তো একই কথা বলতে পারি। চোখে দেখো না না কি ছেলে দেখলেই ধাক্কা খাইতে মন চাই
ভয়েজ শুনে সামনে থাকা মানুষটার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি চোখের পলক ফেলতে ভুলে যায়। মিষ্টির সামনে অভি দাড়িয়ে আছে।
অভি মিষ্টিকে ধাক্কা মেরে বলে
” আই নো আমি দেখতে খুবই কিউট কিন্তু এইভাবে দেখলে তো আমার লজ্জা লাগবে।
অভির কথা শুনে মিষ্টি চোখ নামিয়ে নেয়। অভি আবার বলে
“আমি তোমাকে ইচ্ছা করে ধাক্কা মারি নি। আর ধমকও দেই নি তারপরও যদি ব্যাথা পেয়ে থাকো সরি। আর প্লিজ তোমার ভাইয়াকে বলে বকা খাওয়াইয়ো না।
অভির কথায় মিষ্টি হেসে ফেলে। অভিও একটু হাসে।
” তোমার জুসটা তো পরে গেছে আমি আর একটা এনে দেয়
“ঠিক আছে আমি নিয়ে নেবো
” ওকে তাহলে তুমি থাকো। আমি আমার তাকে একটু দেখে আসি
অভি চলে যায়। মিষ্টির মন খারাপ হয়ে যায়। তখন জীম আসে
“এই ভাইয়া তুমি কোথায় গেছিলে?
” সরি বোন একটা কাজ পরে গেছিলো
তখন মাইসা আসে।
“হাই
জীম তো মাইসাকে দেখে অবাক
” তুমি এখানে?
” হ্যাঁ। এটাতো আমাদেরই বাড়ি আর আপনারা তো আমার বার্থডে পার্টিতে এসেছেন।
জীম আর মিষ্টি তো পুরাই অবাক হয়ে যায়।
“তার মানে অভি তোমার ভাই
” হ্যাঁ
মিষ্টি একবার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে আবার জীমের দিকে তাকাচ্ছে।
মিষ্টি জীমকে খোচা মেরে কানে কানে বলে
“দাভাই আমার সাথেও একটু পরিচয় করিয়ে দাও
” মাইসা আমার বোন মিষ্টি
মাইসা মিষ্টিকে একটু জড়িয়ে ধরে মিষ্টি হেসে বলে
“মাশাল্লাহ তোমার নামটাও যেমন মিষ্টি তুমি দেখতেও তেমন মিষ্টি
মিষ্টি একগাল হেসে বলে
” তুমিও খুব সুইট
তারপর ওরা তিনজনে বেশ কিছুখন গল্প করে। মিষ্টি নানান কথার ছলে রিনি সম্পর্কেও জেনে নেয়। মিষ্টি যতটুকু বুঝেছে তাতে রিনি মেয়েটাকে অভির বাড়ির কেউ পছন্দ করে না।খ
ওদের কথার মাঝে রিনি আর অভিও চলে আসে
“কি রে মাইসা কেকটা কাটবি না। রিনি আবার বাসায় যাবে
” ভাইয়া বাপি না আসা পর্যন্ত আমি কেক কাটবো না। যদি কারো ওয়েট করতে কষ্ট হয় তো সে যেতে পারে
“অভি তোমার বোনকে ভালো করে কথা বলতে বলো।
” মাইসা
মিষ্টি অভিকে কিছু না বলতে দিয়ে বলে
“আপু আমি তো তোমাকে দেখে পুরো ফিদা হয়ে গেছি। এতো সুন্দর তুমি। মনে হচ্ছে আকাশ থেকে পরি নেমে এসেছে।
মিষ্টি কথায় রিনি বেশ খুশি হয়েছে। আর বাকিরা হা করে তাকিয়ে আছে
রিনি একটু ভাব নিয়ে বলে
” আই নো
“অভিদা তোমার চয়েজ আছে। শেষ মুহুর্তে ময়দা সুন্দরীকে বেছে নিলে
রিনি এবার রেগে যায়
” কি বললে তুমি
“বললাম মেকাপ করলে তোমায় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশির চেয়েও বেশি মিষ্টি লাগে। তো বলছিলাম কি আজ কয় ঘন্টা ধরে সেজেছো
মিষ্টির কথায় জীম আর মাইসা মুখ টিপে হাসে
রিনি বলে
” তিন ঘণ্টা
“ওহহহ গুড। খুব ভালো করেছো। তুমি এতো সুন্দরী একটা মেয়ে এরকম একটা পিচ্চি ছেলেকে কেনো চুজ করলে
” কি করবো বলো ভালো লেগে গেলো
“খুব ভালো।
মিষ্টি আরও কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু অভি বলার সুযোগ না দিয়ে রিনি কে নিয়ে যায়।
জীম মিষ্টি কে বলে
” বোন তুই এভাবে বললি কেন
“মেয়েটা সুবিধের না
” সেটা আমিও জানি কিন্তু ভাইয়াকে কে বোঝাবে সে তো রিনি ছাড়া কিছু বুঝেনা।
“বোন ওদেরটা ওরা বুঝে নেবে আমি চাইনা তুমি এসবের মধ্যে ইন্টারফেয়ার করো।
মিষ্টি মন খারাপ করে। ও ভেবেছিলো ভাইয়ের কাছে হেল্প চাইবে কিন্তু সেটা আর হলো না।
জীম ওখান থেকে চলে যায়। মাইসা মিষ্টিকে বলে
” মিষ্টি তুমি আমাকে হেল্প করবে
“কি হেল্প
” ভাইয়াকে ওই ডাইনির থেকে মুক্তি দিতে
মিষ্টি খুশি হয়ে বলে
“আমি তোমার সাথে আছি
দুজন হাত মেলায়
চলবে