#তুই আমার ২
#পর্বঃ২০
#Tanisha Sultana
কি খুব ব্যাথা করছে?
“নাহ
” কফি বানাতে পারো না তা আমাক বললেই পারতে
“শিখতে তো হবে তাই বলি নি
” যাক ভালো।
মিষ্টি বই নিয়ে বসে। আর অভি গেমস খেলছে। মিষ্টিকে কৃশ ফোন দেয়। দুবার কল বাজার পরে মিষ্টি বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে
“কি হয়েছে কল করেছো কেনো?
” কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে তাই
“আমার কথা বলার মুড নাই
” বর পেয়ে বয়ফ্রেন্ড ভুলে গেলে দিজ ইজ নট ফেয়ার মিষ্টি
“আসল জিনিস পেয়ে গেছি এখন নকল দিয়ে কি করবো? আর কখনো ডিস্টার্ব করবে না।
মিষ্টি ফোনটা বন্ধ করে দেয়।
” কি বেপার এতো কিউট সুইট স্মার্ট বয়ফ্রেন্ড কে ছেড়ে দিলে। এটা কি ঠিক হলো
“সেটা তোমাকে ভাবতে হবে না
” হুম আমি জানি আমার ভাববার বিষয় নয় এটা তবুও একটা প্রশ্ন মনের মধ্যে গিজগিজ করছে
মিষ্টি বই বন্ধ করে বলে
“বলে ফেলো
অভি মিষ্টির পাশে বসে বলে
” প্রেম করলে কৃশের সাথে আর নিরদ্বিধায় আমাকে বিয়ে করলে
“প্রথমত কৃশকে আমি ভালোবাসতাম না জাস্ট লাইক করতাম। আর ভালোবাসলেই বা প্রেম করলেই বিয়ে করতে হবে তেমন তো কোথাও লেখা নাই
” বিয়ে করতে হবে না তেমনও তো কোথায় লেখা নাই
“হুম লেখা নাই কিন্তু উদাহরণ আছে
” কিরকম
“এই যে ফরহাদ তো শিরিকে বিয়ে করে নি। তারপর লাইলি তো মজনুকে বিয়ে করে নি। ওরা প্রেমের জন্য কতো কিছু করেছে। আর আমি তো কিছুই করি নি। এখন আমি যদি কৃশকে বিয়ে করতাম তাহলে ওদের অপমান হতো না
” ওয়াও অসাধারণ যুক্তি। এ তো কথা তুমি বলো কি করে।
মিষ্টির মনে হয় আড়াল থেকে কেউ ওদের দেখছে।
“তুমি শুয়ে পড়ো।
মিষ্টি রুম থেকে বেরিয়ে যায়। পা টিপে রিনির রুমের সামনে যায়৷ রিনি কারো সাথে ফোনে কথা বলছিলো
” আমি যা বলছি তাই করবি একদম বারাবাড়ি করবি না। আমি মাএ দেখে আসলাম মিষ্টি অভির সাথে গল্প করছে। আর শোন অভি আমার দের নাগালও পাবে না। কিন্তু মিষ্টি খুব চালাক মেয়ে আগে এর খেলা শেষ করতে হবে।
…………….
“এখন বাই। সকালে মাল গুলো ডেলিভারি করার ব্যাবস্থা করতে হবে।
রিনি ফোন কেটে দেয়। মিষ্টি আড়াল থেকে সব কথা শুনে ফেলে। রিনি কালো জিন্স কালো শার্ট পড়ে তারপর কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নেয়। মিষ্টি সব ভিডিও করে। তারপর জানালা দিয়ে বেরিয়ে যায় রিনি।
মিষ্টি রিনির রুমে ঢুকে প্রমাণ খুজতে থাকে। কিছু পায় না শুধু কয়েকটা পেনডাইভ পায়। মিষ্টি সেগুলো নিয়ে রুমে চলে যায়।
সকালে
চোখ খুলে মিষ্টি দেখে রিনি অভিকে বলছে
” বেবি তারাতাড়ি রেডি হয়ে নাও
“কেনো
” একটু বেরবো। প্লিজ না করো না।
রিনির নেকামো দেখে মিষ্টির গা পিওি জ্বলে যাচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না।
“ঠিক আছে যাও তুমি রেডি হও
রিনি খুশিতে গদগদ করতে করতে চলে যায়।
অভি ওয়াশরুমে চলে যায়। মিষ্টি লাফ দিয়ে উঠে বসে পড়ে। তারপর ভাবতে থাকে অভিকে কি করে আটকাবে। শেষমেশ বুদ্ধি পেয়ে পায়। দৌড়ে রান্না ঘর থেকে তেল এনে ওয়াশরুমের দরজা কাছে ভালোভাবে ফেলে তারপর ঘুমানোর ভান ধরে শুয়ে পড়ে।
একটু পরেই অভি ওয়াশরুম থেকে বের হয় আর ঠাসসসসসস
মিষ্টি আড়চোখে তাকিয়ে দেখে অভি পড়ে গেছে।
” আহহহহহ
অভির চিৎকারে মিষ্টি লাফ দিয়ে উঠে অভির কাছে যায়
“এমা তোমার কি হলো তুমি এখানে বসে আছো কেনো??
অভি রাগী চোখে মিষ্টির দিকে তাকায়
” এখানে পানি কে ফেলছে
“কেই তো পানি ফেলে নাই
” মিথ্যা বলছো কেনো? পানি না থাকলে কি আমি পড়তাম
“আমি সত্যি বলছি আমি পানি ফেলি নি তেল ফেলেছি। তুমি পানি আর তেলের পার্থক্য বুঝো না
মিষ্টি কি বলে ফেলেছে ভেবে জিব কাটে। অভি আগুন মতো চোখ করে আছে
” তুমি এখানে তেল ফেলেছো
“ইয়ে মানে আসলে ইচ্ছে করে ফেলি নি
” তোমাকে আমার চেনা আছে তুমি ইচ্ছে করে ফেলেছো। ইডিয়েট
“হ্যাঁ ফেলেছি এখন যাও ওই ডাইনিটার সাথে ঘুরতে।
“আমার আগেই সাবধান হওয়া উচিৎ ছিলো। আমি তো ভুলেই গেছিলাম আমি একটা পাগলের সাথে বাস করি
” আমি পাগল হলে তুই ও পাগলের বর। তোর লজ্জা করে না ঘরে এতো সুন্দর একটা বউরেখে অন্য মেয়ের সাথে নিকনিক করোস
“ছি ছি কি ভাষা এগুলো
” এখনও ভাষা খারাপের কিছুই দেখিস নি এবার দেখবি
“তোমার মতো ইডিয়েটের সাথে থাকা জাস্ট ইম্পসিবল
” আর ওই ডাইনিটার সাথে থাকা পসিবল তাই না।।
অভি কোনো কথা না বলে নিজে নিজে ওঠার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। মিষ্টি ধরে
“আমার কারো হেল্প লাগবে না।
” বেশি কথা বললে ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলা কেটে ফেলবো।
অভি কিছু না বলে মিষ্টিকে ধরে ওঠে মিষ্টি অভিকে বেডে বসিয়ে দেয়।
“এখন থেকে কয়েক দিন তোমার রুমের বাইরে যাওয়া নিষেধ
” তোমার কথায়
“না তো। তুমি ইচ্ছে করেই যাবে না কেনোনা তুমি তো হাটতেই পারবে না
” জানো তুমি
“চেষ্টাই করে দেখো
অভি চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। মিষ্টি তো হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে
” অভি তুমি রেডি
রিনি রুমে এসে অবাক
চলবে