#তুই আমার ২
#পর্বঃ১৯
#Tanisha Sultana
অভি মিষ্টির কলেজের সামনে গাড়ি থামায়।
“নামো
” ময়দা সুন্দরী নামো
“মিষ্টি আমি তোমাকে নামতে বলেছি
” আমি নামবো কেনো
“তোমার কলেজ এসে গেছে তাই নামবে। তারাতাড়ি নামো আমার তারা আছে
মিষ্টি মনে মনে অভিকে বকতে বকতে নেমে পড়ে। অভি চলে যায়।
” মিষ্টি
কৃশের ডাকে মিষ্টি কৃশের দিকে তাকায়
“বলো
” তুমি বিয়ে করেছো
“হ্যাঁ কেনো
” কেনো মানে। এতোদিন আমার সাথে রিলেশন করে এখন তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করে নিলে। কি করে পারলে
“রিলেশন করলে বিয়ে করতে হবে এটা তো কোথাও লেখা নাই। আর তাছাড়াও মাএ পনেরো দিনের রিলেশন আমাদের কৃশ। এতে এতো সিরিয়াস হওয়ার কি আছে
” মিষ্টি তুমি আমাকে ভালোবাসতে না
“নাহ পছন্দ করতাম তাই রিলেশন করেছি
মিষ্টি কৃশকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে চলে যায়। কৃশ বাঁকা হেসে বলে
” বেবি আমি তোর প্রতি খুব সিরিয়াস। তুই আমার। আর তুই যদি আমার না হোস তাহলে তুই কারো না
অভির বাবা সোফায় বসে চা খাচ্ছে। মিষ্টি ধপ করে৷৷ ৃ ওনার পাশে বসে
“তুমি রিনিকে এবাড়িতে থাকার পারমিশন কেনো দিয়েছো??
” নিরুপায় হয়ে দিয়েছি
“সেই কারনটাই তো জানতে চাই।
” কিছুদিন আগে রিনির বাবা মা কার এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে। তারপর অভি ওনে বাড়ি নিয়ে এসে থাকতে দিয়েছে। আমি অভিকে বাধা দিয়েছিলাম কিন্তু অভি বললো রিনিকে থাকতে না দিলে অভিও চলে যাবে তাই আর কিছু বলি নি
“তোমার ছেলেটাকে কি রিনি জাদু করেছে না কি? রিনি মেয়েটা সুবিধার না
” সেটা তো আমিও জানি কিন্তু অভি তো বিশ্বাস ই করবে না
তখন দুজন পুলিশ ঢুকে বাড়িতে
অভির বাবা আর মিষ্টি উঠে দাড়ায়
“কি ব্যাপার অফিসার আপনি এসময়
” আমরা আপনাদের বাড়িতে একজন আসামিকে ঢুকতে দেখেছি
মিষ্টি আর অভির বাবা তো আবাক
“পুলিশ আংকেল ঠিক দেখেছেন
” হ্যঁ আমরা ঠিক দেখেছি। কালো পোশাক পড়া একজন মহিলা আপনাদের বাড়িতে ঢুকেছে।
“কিন্তু অফিসার আমরা তো কাউকে দেখলাম না
” আমরাও সেটাই ভাবছি। আপনারা দেখলেন না কি করে??
আর এই মহিলাটি পচন্ড ডেঞ্জারাস চার বছর যাবৎ ধরার চেষ্টা করছি।
মিষ্টি কিছুখন ভেবে বলে
“পুলিশ আংকেল আপনারা যান আমি দুদিনের মধ্যে আসামি ধরে দেবো
সবাই অবাক
” মামনি তুমি কি বলছো
“বাবা রিলাক্স আমি সত্যি পারবো
” দেখো সোনা মহিলাটি খুব খারাপ তুমি রিক্স নিয়ে ফেলছো
“আংকেল আপনারা নিশ্চিন্তে থাকেন আমি পারবো।
পুলিশরা চলে যায়।
” মিষ্টি
ওনাকে থামিয়ে
“বাবা দেখোই না কি হয়।
মিষ্টি পুরো বাড়িটা ঘুরে দেখে। বাগানের মাঝখান দিয়ে একটা রুমে যাওয়ার রাস্তা দেখে মিষ্টি চমকে যায়।
” ওই রুমটা কার? সত্যি এবাড়িতে ওই বাজে মানুষটা থাকে। দেখি তো রুমটা কার?
মিষ্টি ওই রুমের কাছে যায়। রুমে ঢুকে দেখে রিনি কিছু একটা ব্যাগে ঢোকাচ্ছে
“রিনি আপু
মিষ্টির ডাকে রিনি চমকে যায়
” কি ব্যাপার তুমি এখানে??
“দেখতে আসলাম তোমার রুমটা। আর তুমি কখন আসলে?? তোমাকে তো আসতে দেখলাম না।
রিনি ভয় পেয়ে যায়
” এখুনি আসলাম
“ওহহ তা আমার বরটা আসলো না
” ওর একটু কাজ আছে তাই আসতে লেট হবে
“ওহহ আচ্ছা আচ্ছা। তুমি কেমন গো এতোখন দাড়িয়ে আছি একটু তো বসতে বলতে পারো
” হুম বসো
“তুমি না বললেও আমি বসতাম।
মিষ্টি রিনির বিছানায় বসে
” তুমিও বসো। গল্প করি
রিনি বিরক্ত হয়ে মিষ্টির পাশে বসে।
“তোমার কোনো ভাইবোন নাই
মিষ্টির কথায় রিনি চমকে যায়।
” নাহহ
“এতো ভয় পাচ্ছে কেনো? গন্ডগোল আছে (মনে মনে বলে মিষ্টি)
” আচ্ছা আমি যায়। মিষ্টি চলে যায়। রিনি হাফ ছাড়ে।
মিষ্টি রুমের মধ্যে পায়চারি করছে। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খায়
“কোন শালারে চোখে দেখোস না
সামনে তাকিয়ে দেখে অভি
” আমি তোমার শালা
“ধ্যাত কতো সুন্দর করে চিন্তা করছিলাম। সবটা নষ্ট করে দিলো
” কি নিয়ে রিচার্য় করছো
“কি করে তোমাকে বস করবো তাই নিয়ে
” আমাকে বস করতে তুমি পারবে না
“অল রেডি করে ফেলেছি
” ওমা তাই
“হ্যাঁ তাই।
মিষ্টি অভিরর দিকে তাকিয়ে আছে
” কি হলো চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো কেনো?
“তুমি আর তোমার জান তো একসাথে বেরিয়েছিলে তাহলে ও আগে তুমি পরে তা কেনো
” ওর একটা কাজ পরেছিলো তাই ও চলে এসেছে
“ও কি কোনো বিজনেস টিজনেস করে
” না তো
“তাহলে এতো কিসের কাজ
” আমি কি জানি। যাও আমার জন্য কফি নিয়ে আসো।
মিষ্টি ভেংচি কেটে চলে যায়। ইউটিউব দেখে কফি বানিয়ে নিয়ে আসে।
অভি খাটে আধশোয়া হয়ে আছে
“তোমার কফি। আমি ইউটিউব দেখে নিজে হাতে বানিয়েছি। সো একদম খারাপ বলবে না।
অভি চোখ বন্ধ করে কফির মগটা নিয়ে চুমুক দেয়। কফির মগে চুমুক দিয়েই অভি চোখ বড় করে ফেলে
” খুব ভালো হয়েছে তাই না।
অভি খুব কষ্টে কফি গিলে
“এটা কফি
” নাহহ বিরিয়ানি
“কিন্তু আমার কাছে তো করোলার জুস মনে হলো
” কি বললে তুমি কফি ভালো হয় নাই
“ভালো কথাটা দুরে রাখো খারাপের চলে জঘন্য হয়েছে।
অভি কফি ফেলে দেয়।
” তুমি আমার বানানো কফি ফেলে দিলে
মিষ্টি একটা বালিশ নিয়ে অভিকে মারতে থাকে। অভি নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। অভি বালিমটা ধরে মিষ্টির হাত ধরে। মিষ্টি আহহ বলে চিৎকার দেয়
অভি মিষ্টির হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাতটা পুরে গেছে
“মিষ্টি হাত পুরলো কি করে? আর বলো নি কেনো??
অভি মিষ্টিকে বেডে বসায়।
” কফি বানাতে গিয়ে গরম পানি পড়েছিলো
অভি ফ্লোরে বসে মিষ্টির হাতে মলম লাগিয়ে দেয়।
“যা পারো না তা করতে যাও কেনো
চলবে