#তুই আমার ২
#পর্বঃ১৮
#Tanisha Sultana
অভি রুমে এসে দেখে মিষ্টি পায়ের ওপড় পা দিয়ে আরামছে গান শুনছে আর আচার খাচ্ছে। অভি গানটা ওফ করে দেয়।
“কি হলো গান বন্ধ করলেন কেনো??
” তোমাকে কি বলতে বলা হলো আর তুমি কি বললে
মিষ্টি উঠে অভির সামনে দাড়ায়
“আমাকে দেখে তোমার কি মনে হয় মিস্টার অভিরাজ চৌধুরী বোকা, ভীতু, না কি গাধা
” মানে
“তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমাদের কথা মেনে নেবো। মিষ্টি নিজের নিজিস কখনো অন্যকে দেয় না।
” কোনটা তোমার জিনিস মিষ্টি অভি না কি অভির বাবার টাকা পয়সা
কারো কথা শুনে মিষ্টি আর অভি পেছনে তাকায় দেখে রিনি।
রিনি মিষ্টি অভির কাছে আসতে আসতে বলে
“অভি তো আমার ফিক্সড করা। তাহলে কি আংকেলের টাকাপয়সা তোমার নিজের জিনিস
মিষ্টি একটু হেসে বলে
” ময়দা সুন্দরী অভি যদি তোমার জন্য ফিক্সড করা হতো তাহলে এখন তুমি আমার জায়গায় থাকতে।
“কি বলতে চাইছো তুমি
” আমি বলতে চাইছি তুমি এখন যেখানে দাড়িয়ে আছো সেই বাড়িটাও আমার আর তুমি যে মানুষটাকে তোমার বলে দাবি করছো সেও আমার।
“অভি আমাকে ভালোবাসে তোমাকে না।
” অভির মতো একটা ব.ল.দ আমাকে ভালোবাসুক এটা আমি চাইও না। আমি তো চাই আমার রেহান চকলেট বয় আমাকে ভালোবাসুক
“এই তুমি রেহানের সাথে কথা বলো
” কেনো বলবো না। আমি আর রেহান তো বিদেশে এক জায়গায়ই থাকতাম। রেহানের বাড়িতেই উঠেছিলাম
“বিদেশে রেহানের বাড়ি আছে??
” হ্যাঁ আছে তো। বাড়ি গাড়ি সব আছে। আর আমিই তো রেহানকে বলেছিলাম তোমাকে বলতে যে রেহানরা গরিব ওদের কিছুই নেই। আর তুমিও কেমন গরু ওর কথা বিশ্বাস করে অভিকে বেছে নিলে। (রিনির কানে কানে বলে)
রিনি চুপসে যায়।
কি এমন বললো যার জন্য রিনির মুখটা এমন হয়ে গেলো( অভি মনে মনে ভাবে)
“ময়দা সুন্দরী দয়া করে তুমি যদি একটু যাও তো আমি ঘুমতে পারি
” দেখছো অভি আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে
“তো কি করবো আমার আর বরের মাঝখানে শোয়াবো না কি যতসব
” অভি তোমার বউকে ঠিক করে কথা বলতে বলো
“মিষ্টি
অভিকে থামিয়ে
” থাক তোমার ময়দা সুন্দরীকে যেতে বলো
“অভি তুমি চলো বমার রুম পর্যন্ত দিয়ে আসো
” ও মা কেনো তুমি কি চোখে দেখো না।
“অভি
” রিনি মিষ্টি পাগল তুমি চলো
অভি রিনিকে নিয়ে চলে যায়। মিষ্টি মনে মনে ভাবে কি করা যায়। কি করে এই ডাইনিকে সায়েস্তা করা যায়? কিছু একটা উপায় বের করতে হবে
এসব আকাশ পাতাল ভাবছে তখন অভি আসে
“এই ইডিয়েট তোমার পড়ালেখা নাই? এভাবে দাড়িয়ে না থেকে পড়তে বসো
মিষ্টি লাফ দিয়ে অভির কাছে যায়। তারপর অভিকে টেনে সোফায় বসায়
” কি হয়েছে টানাটানি করছো কেনো??
মিষ্টি অভির পাশে বসে বলে
“তুমি কি কোনো খারাপ কাজের সাথে যুক্ত? মানে কেউ কি তোমাকে কোনোভাবে ফাসিয়ে দিয়েছে??
মিষ্টির প্রশ্নে অভির মুখটা থমথমে হয়ে যায়। অভি ঘামতে শুরু করে
” মানে কি বলতে চাইছো তুমি??
“সিম্পল কোশ্চেন করেছি। থাক বলতে হবে জাস্ট এটা বলো সৌরভ আর দাভাইয়ের সাথে তোমার সম্পর্কটা নরমাল না কেনো
উঠে পরে
” তোমার এসব প্রশ্নের উওর দিতে আমি বাদ্ধ নয়।
অভি বিছানায় শুয়ে পড়ে। মিষ্টিও আর কোনো কথা না বলে সোফায় শুয়ে পড়ে।
সকালে মিষ্টি তারাহুরো করে রেডি হয়ে ব্যাগ আর জুতো হাতে নিয়ে দৌড় দেয়।
অভি আর রিনি সবে গাড়িতে ওঠার জন্য দরজা খুলেছে।
মিষ্টি তারাহুরো করে সামনের ছিটে বসে পড়ে
রিনি রেগে বলে
“তুমি এখানে বসেছো কেনো? পেছনে যাও
মিষ্টি জুতো পড়তে পড়তে বলে
” আমি এখন আর নামতে পারবো না তুমি পেছনে বসো।
দেড়ি হয়ে যাচ্ছে বলে রিনি কথা না বারিয়ে পেছনে বসে পড়ে। অভি গাড়ি স্টার দিতে দিতে বলে
“তুমি কোথায় যাচ্ছ
” কাকুবরের সাথে লংডাইভে
“ইয়ার কি হচ্ছে
” না তো। আর তুমি সব সময় আমার সাথে এভাবে কথা বলবে না। আমার মতো একটা নিরিহ শিশুর ওপড় টর্চার করতে পারো কি করে
“তুমি শিশু? শিশুর মা হওয়ার বয়স পেরিয়ে গেলো আর নিজেকে শিশু বলে দাবি করছে
” সেই কথাটা তো তুমি বুঝো না (বিরবির করে বলে মিষ্টি)
“কিছু বললে
” হুম বললাম তুমি ময়দা সুন্দরীর বফ
“এই একদম ময়দা সুন্দরী বলবানা
” কেনো বলবো না। ময়দা না মেখে কখনো আয়নায় নিজেকে দেখো তুমি নিজেই ভয় পেয়ে যাবে
“এই মেয়েটা জাস্ট ইডিয়েট
” এই নামটা আমার কাকুবর দিয়েছে তুমি এই নামে ডাকবা না।
চলবে