#তুই আমার ২
#পর্বঃ১৪
#Tanisha Sultana
রাতে জীম মিষ্টি রুশা আবির খেতে বসেছে।
খেতে মিষ্টি বলে
“বাপি কিছু বলার ছিলো
” হুম বলো
বলছিলাম কি বয়স তো আর কম হলো না।
জীম রুশা আবির সবাই অবাক। রুশা বলে
“কার
” কার আবার আমার দাভাইয়ের
“তো
” ভাবছি এবার দাভাইয়ের বিয়ে টা দিয়েই দি কী বলো তোমরা।
মিষ্টির কথা শুনে জীমের গলায় খাবার আটকে যায়।
“বিয়ের কথা শুনে কাশি উঠে গেলো এ কেমন ছেলেরে বা বা।
জীম রাগি ভাবে বলে
” আমি বিয়ে করবো না।
“দাভাই তোমার জন্য আমি কষ্টে আছি। প্লিজ না করো না।
” আমার জন্য তুই কষ্ট আছিস?
“তা নয়ত কি। তুমি বিয়ে না করলে তো আর বাপি আমার বিয়ে দেবে না।
মিষ্টির কথা শুনে আবির আর রুশা কাশি দেয়।
” তোমরা এমন ভাব করছো যেনো আমি আশ্চর্যজনক কথা বলছি
“তা নয়ত কি?
” তোমরা জানো যার সাথে আমি ক্লাস সিক্স এ পড়তাম সে এখন তিন বাচ্চার মা। তারপর দাভাইয়ের বন্ধু অভি কাকুও তো চার বাচ্চার বাবা
“কি বলছো তুমি
“ঠিকই বলছি। যাইহোক দাভাইয়ের জন্য আমি একটা মেয়ে সিলেক্ট করেছি।
” নাম কি মেয়েটার
“অভির বোন মাইসা
জীম রেগেমেগে চলে যায়। রুশা মিষ্টিকে বলে
” দিলি তো ছেলেটার খাওয়া নষ্ট করে।
“যাহ বা বা আমি কি করলাম।
পরেরদিন কেলেজের ক্যান্টিনে বসে আছে মিষ্টি তিথি আর মিষ্টির আটাশ নাম্বার বয়ফ্রেন্ড কৃশ
” ও কৃশ
“বলো
” আমি তোমার কয় নাম্বার গার্লফ্রেন্ড?
“তুমি আমার ফাস্টলাভ
” জানো তুমি কয়নাম্বার
“কয় নাম্বার
মিষ্টি হাতের আঙুল গুলে বলে
” আটাশ
এতো কম
“কি করবো বলো
আর বলতে পারে না মিষ্টি তার আগেই চোখ যায় অভি আর রিনির দিকে। মিষ্টি দৌড়ে ওদের কাছে চল
” কাকু কিউটি তোমরা
অভি রেগে বলে
“তুমি এখানে কেনো?
” এটা তো আমার কলেজ। আমি এখন কলেজে পড়ি হু?
“তো এখানে কি চাই
” আমি তোমার জন্য আসি নি কিউটির সাথে দেখা করতে এসেছি।
“তুমি মিষ্টি না
” হ্যাঁ আমি মিষ্টি। তুমি না আগের চেয়ে আরও বেশি কিউট হয়েছো আমি তো crush খাইছি তোমাকে দেখে।
রিনি একটু মিষ্টি হাসি দেয়।
“তুমিও অনেক কিউট
” তা কিউটি তুমি এই কাকুটাকেই কেনো বিয়ে করলে বলো তো দেশে কি ছেলের অভাব পড়েছে। আবার একটা না দুইটা না চারটা বাচ্চা জন্ম দিয়েছো
“আমি?
” হ্যাঁ তুমিই তো
“কে বললো তোমাকে?
” কেনো কাকু বলেছে
রিনি অভির দিকে তাকায়। অভি বলে
“রিনি বাদ দাও। ও একটা পাগল
” কাকু তুমি জানলে কেমনে আমি পাগল।
“তোমাকে দেখেই বোঝা যায়।
” আশেপাশে এতো মানুষ কেউ বুঝলো না আর তুমি বুঝলে। কথায় আছে না পাগলে পাগল চিনে
“শাট আপ
” তুমি কি এই একটা ওয়ার্ডই পারো?
“কেনো?
” না মানে কথায় কথায় শুধু এই একটা শব্দই বলো।
“তোমার সাথে থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো।
” তোমাকে তো আমি আমার সাথে থাকতে বলি নি। আর বউ রেখে অন্য মেয়ের সাথে থাকতে চাও তোমার লজ্জা করে না।
“না করে না।
“অবশ্য করবে কি করে পাগলদের তো আর লজ্জা শরম নাই।
“আমাকে তোমার কোন দিক দিয়ে পাগল মনে হয়
” তোমার তোমাকে কোন দিক দিয়ে ভালো মনে হয়।
“আমি সবদিক থেকেই ভালো
” একজন সুস্থ মানুষ কখনো নিজের গুন নিজে গায় না। বুঝছো
রিনি ওদের ঝগড়া দেখে হাসছে
“তুমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসছো কেনো? যাও ক্লাসে
রিনি মিষ্টির দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে চলে যায়।
” কাকু বলছিলাম কি
“কাকু বলবা না
” তো কি জামায় কইয়া ডাকুম না কি
“ছি ছি এটা কেমন ভাষা
” যেমনই ভাষা হোক যা বলছিলাম শুনো
“বলো
” বলছিলাম বাচ্চাগুলো কি গোয়াল ঘরে বেধে রেখে এসেছো
তোমাকে তো আমি
মিষ্টিকে আর পায় কে এক দৌড়ে কৃশ তিথির কাছে চলে যায়
“কি হয়েছে দৌড়াচ্ছো কেনো?
মিষ্টি হাঁপাতে হাঁপাতে বলে
” একটা কাকুর পাল্লায় পড়েছিলাম
“কাকু
” হ্যাঁ। চলো না ক্লাসে যায়।
ক্লাসে একটা স্যার ক্লাস নিচ্ছে। মিষ্টির খুব ঘুম পাচ্ছে। স্যারের কোনো কথায় ওর কান ওবদি পৌছাচ্ছে না। স্যারও অনেকখন যাবত মিষ্টিকে অমনোযোগী দেখছে
“বিদেশি দাড়াও
স্যারের বলা শেষ হওয়ার আগেই মিষ্টি দাড়িয়ে পড়ে
” স্যার আমি দেশি জাস্ট বিদেশিদের মতো দেখতে
“ওহহ আচ্ছা। তো এখন বলো ব্যাবস্থাপনা কী??
” স্যার আমি তো এখনো বই কিনি নি
“তো পড়া হয় নি
” এই মাএ আমি এই বিষয়ে পড়িয়েছি।
“জাস্ট দুবার বলেছেন দুবারে কি মনে থাকে
” মন দিয়ে শুনলে একবারেই মনে থাকে।
“তাহলে এখন আমি আপনাকে কিছু বলবো আমি একবার মন দিয়ে শুনে আমাকে তা রিপিট করবেন। পারবেন
” তুমি আমাকে চ্যালেন্জ করছো
” yeah
“তো শুরু করি
” ওকে
মিষ্টি তারাহুরো করে বলে
“ভালোবাসায় ভালোবাসে শুধুই তাকে
ভালোবাসায় ভালোবেসে বেধে যে রাখে
স্যারটা ভালোকরে বুঝতেও পারে না মিষ্টি কি বললো
আমি আজকেই আবিরের কাছে নালিশ দেবো।
” ফোন নাম্বার আছে
“কি
” বলছি বাপির ফোন নাম্বার আপনার কাছে আছে না কি আমি দেবো
চলবে